“ঢাকা টু দুবাই” নাটক রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
বাংলাতে শেয়ার করো তোমার মনের অনুভূতি
হ্যালো
বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন,সুস্থ আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে খুবই হাঁসির প্লাস শিক্ষনীয় একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করবো। আশা করি আপনারা নাটকটি দেখলে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পাবেন।
নাটকের কিছু প্রয়োজনী তথ্য-
নাটকের নাম | ঢাকা টু দুবাই |
---|---|
পরিচালনা | মহিদুল মহিম |
অভিনয়ে | আফরান নিশো, মেহজাবিন চৌধুরী, শহিদুল আলম শাচ্চু, ফরহাদ লিমন, তামান্না আজমিরসহ অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ৫৮ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | ড্রামা |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত রিভিউ -
মহিদুল মহিম কর্তৃক পরিচালিত খুবই মজার একটি নাটক ছিল “ঢাকা টু দুবাই”। নাটকটি এতই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে এখন পর্যন্ত নাটকটিতে ১২ মিলিয়নের উপরে ভিউ হয়েছে। প্রায় আড়াই লাখের কাছাকাছি লাইক এবং কয়েক হাজার কমেন্ট পড়েছে। বাংলাদেশের নাকটি সারা বিশ্বে পরিচিত। সারা বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশের নাটক দেখে থাকে। যার ফলে নাটকে প্রচুর ভিউ হয়। আমাদের দেশের নাটক গুলো দেশ বিদেশের বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরী করা হয়ে থাকে। আজকের নাটকের মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়কে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে। যেটা আমাদের দৈনন্দিন কাজে লাগে। কারন আমাদের সবার হাতেই মোবাইল নামট ডিভাইস আছে। সেই মোবাইল নিয়েই আজকের নাটক।
নাটকটিতে অভিনয় করেছে নাটক প্রিয়দের মধ্যমনি,যার রয়েছে হাজার হাজার ভক্ত,জনপ্রিয় নাটক অভিনেতা আফরান নিশো তার বিপরীতে অভিনয় করেছে বাংলাদেশের যুবকদের ক্রাশ মেহজাবিন চৌধুরী। তাদের নাটক এত জনপ্রিয় যে রিলিজ হওয়ার সাথে সাথে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হয়। তাদের সব গুলো নাটকই দারুন।
নাটকটি শুরু হয় একটি হোটেলের দৃশ্য দিয়ে। একটি এজেন্সির মাধ্যমে মেহজাবিন আর আফরান নিশো দুবাই যাবে। কিন্তুু বিমানের টেনটিকেল প্রবলেমের কারনে তাদের দুবাই যেতে দুই এক দিন লেইট হবে। আর এই দুইদিন তাদের একটি হোটেলে থাকতে হবে। হোটেলটি অনেক উন্নত এবং ভিআইপি হোটেল। হোটেলের মধ্যে একটি লাক্সারী ভাব আছে। তবে এখানে গুরুত্ব পূর্ণ কথা হলো আফরান নিশোর হাতে একটি আইফোন দেখা যায়। মূলত নাটকটি সাজানো হয়েছে সেই আইফোনটিকে কেন্দ্র করে। প্রথম দেখায় হয়তো অনেকের মনে হতে পারে,নাটকটিতে এজেন্সির লোক নিশো আর মেহজাবিনের সাথে বাটপারি করে। কিন্তুু এমন কোন ঘটনা দেখা যায়নি। তারা দুইজন হোটেলে উঠে তাদের আত্বীয় স্বজনকে আইফোন দিয়ে ফোন করে বলতেছে তারা দুবাই চলে এসেছে। তারা বর্তমানে ছাব্বিশ তলা বেল্ডিং এর পঁচিশ তলায় রয়েছে। এগুলো বলার কারন হলো তারা গ্রামে সবাইকে বলে এসেছে যে তারা দুবাই যাচ্ছে। দুবাই নিয়ে আরো অনেক কথা বলে এসেছে।
একসময় তাদেরকে হোটেল থেকে ডিনারের জন্য কল করা হয়। তখন তাদের কাছে খাবারের মেনু অফার করা হলে তারা সব বিদেশি চাইনিজ খাবার অর্ডার করে। কারন থাকা খাওয়ার সম্পূর্ণ খরচ এজেন্সি বহন করবে। যার ফলে তারা এমন সব খাবার অর্ডার করে,যা কখনো খায়নি। এখন তারা বিদেশি খাবার খেতে গিয়ে জামেলায় পড়ে। আদতে তারা গ্রাম থেকে উঠে এসেছে। কিন্তুু তাদের কথা বার্তা চাল চলনে এমন ভাব দেখায় যে,তারা অনেক বড় মাপের মানুষ। মানে কাউকে বুঝতে দিতে চাচ্ছে না যে,তারা দুবাইতে কাজ করতে যাচ্ছে। এছাড়াও নাটকে অনেক দৃশ্য রয়েছে,যে গুলো দেখলে আপনাদের অনেক হাঁসি পাবে। আপনারা যদি নাটকটি দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন।
নাটকের শেষের দৃশ্যটা খুবই করুন। মূলত তারা দুইজন কাজের ভিসায় দুবাই যাচ্ছিলো। মেহজাবিন ক্লিনারের ভিসায় আর আফরান নিশো বাড়ির কেয়ার টেকারের ভিসায়। যখন তারা দুবাই যাওয়ার প্লান প্রোগ্রাম করছিলো তখন নিশো,তার বউয়ের সাথে বলে দুইবাই অনেক ধনীদের শহর,সেখানে আমাদের একটি আইফোন হলে ভালো হতো। তখন মেহজাবিন তার নিজের জমানো টাকা দিয়ে নিশোকে একটি পুরাতন আইফোন কিনে দেয়। তবে দুর্ভাগ্যবশত সেই আইফোনটি চুরির আইফোন পরে। যার ফোন সে আবার থানায় জিডি করে রাখে। তারপর নিশো যখন ফোনটা অপেন করে চালাতে থাকে,পুলিশ লোকেশন টেক করে,তাদের হোটেল পর্যন্ত চলে আসে। আর নিশোর হাতে ফোনটি পেয়ে তাদেরকে থানায় যেতে বলে। অপর দিকে ঐদিন তাদের দুবাই যাওয়ার ফ্লাইট ঠিক হয়। যখন বিমানে উঠতে যাবে তখনই পুলিশ এসে তাদেরকে থানায় নিয়ে যায়।
নিজস্ব মতমত বা শিক্ষা-
আজকের নাটকটিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা আছে। আর সেটি হলো পুরাতন মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে দামি ফোন বা আইফোন হলে অবশ্যই কাগজ পত্র থাকতে হবে। তা না হলে যে কোন সময় বিপদে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। নিশো আর মেহজাবিন যখন বিমানে উঠতে যাবে তখনই তাদের মোবাইলটি নিয়ে বিপদে পড়তে হয়েছে। আশা করি নাটকটি দেখলে সব কিছু বুঝতে পারবেন।
নাটকের লিংক
ব্যক্তিগত পয়েন্ট
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
সময় পেলে নাটক দেখতে ভালই লাগে সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। যদি ও এই নাটকটি দেখা হয়নি তবে রিভিউ পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে নাটকটি সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু অনেকেরই সময় বের করে নাটক দেখার সময় হয় না। কারন সবাই বিজি থাকে। ধন্যবাদ।
আফরান নিশো, মেহজাবিন চৌধুরী এর নাটক আমার অনেক ভালো লাগে। তাদের সবগুলো নাটক আমি দেখে থাকি৷ আজকে আপনার কাছ থেকে এই নাটকের রিভিউ দেখে খুব ভালো লাগলো৷ এই নাটকটি আমি এখনো দেখে নিতে পারিনি৷ তবে আপনার এই রিভিউ থেকে ধারণা নিয়ে অবশ্যই এই নাটকটি আমি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব৷
জী ভাইয়া তারা দুইজন দারুন অভিনয় করে। ভালোই লাগে তাদের নাটক গুলো। ধন্যবাদ।
সবারই উচিত এই বিষয়টা মেনে চলা। যেকোনো মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে তার সব কাগজপত্র থাকলে ভালো। পুরনো মোবাইল গুলো কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে। তাহলে পরবর্তীতে আর কোন সমস্যায় পড়তে হয় না। এই নাটকটা আমি অনেক আগে দেখেছিলাম। তারা প্লেনে ওঠার সময় মোবাইলটার কারণে ধরা খেয়ে গিয়েছিল। এত সুন্দর করে পুরো নাটকের রিভিউ টা লিখে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ পুরোটার রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
জী আপু নাটকটির শিক্ষা হলো পুরনো মোবাইল বেচা কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। ধন্যবাদ।