“কলিজার আধখান ” নাটক রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
বাংলাতে শেয়ার করো তোমার মনের অনুভূতি
হ্যালো
বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি নাটক রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে একটি বাস্তব ভিত্তিক নাটক রিভিউ শেয়ার করবো। একজন দম্পতি একটি বাচ্ছার জন্য কি করে সেটাই আজকের নাটকের রিভিউতে বুঝানোর চেষ্টা করবো। আশা করি নাটকটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
নাটকের কিছু প্রয়োজনী তথ্য-
নাটকের নাম | কলিজার আধখান |
---|---|
পরিচালনা | মুহাম্মদ মিফতাহ আনা |
প্রযোজক | এসকে শাহেদ আলী |
অভিনয়ে | মুসফিক আর. ফারহান, তানজিন তিশা, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। |
দৈর্ঘ্য | ৫২ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ১ই সেপ্টেম্বর-২০২৩ |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | ড্রামা |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত রিভিউ -
মুহাম্মদ মিফতাহ আনান কর্তৃক পরিচালিত ঈদুল আজহার দারুন একটি নাটক হলো “কলিজার আধখান”। ২০২৩ সালের ১ই সেপ্টেম্বর নাটকটি রিলিজ হয়। এখন পর্যন্ত নাটকটিতে ২৩ মিলিয়ন ভিউ হয়েছে, ১০ হাজারের উপরে লাইক আর তিন হাজার প্লাস কমেন্ট পড়েছে। নাটকটি রিলিজ হওয়ার পরে দারুন আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন মুসফিক আর. ফারহান ও তার বিপরীতে ছিল তানজিন তিশা। তারা দুইজনই নাটকের আইডল,দর্শকদের মধ্যমনি। প্রশংসার দিক দিয়ে কাউকে পিছনে ফেলানো যাবে না। ফারহানের যেমন ভক্ত রয়েছে ঠিক তেমনি তানজিন তিশাও প্রচুর ভক্ত দর্শক রয়েছে। দুইজনের নাটক ভালই চলে।
নতুন দম্পতিরা সাধারনত বিয়ে হওয়ার পরেই বাচ্ছা নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে অনেকের বাচ্ছা হয় না। যার ফলে তারা বিভিন্ন কিছু করে থাকে। একটি বাচ্ছার জন্য তারা পাগলের মত হয়ে যায়। এমন কোন কাজ নেই, যা তারা করে না। এমনই কিছু চিত্র অবলম্বন করে আজকের নাটকটি তৈরী করা হয়েছে। সাধারনত বাস্তবে যা কিছু ঘটে সে গুলোই তুলে ধরা হয়েছে। নাটকের দারুন একটি দিক হলো একটি গান। ইমরান ও কনার সুরে গানটি দারুন হয়েছে।
নাটকটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে ফারহান ও তার বউ তিশা। তারা একটি গ্রামের মাটির ঘরের সুন্দর একটি বাড়িতে থাকে। ফারহান আর তিশা তারা দুইজন বিয়ে করেছে তিন বছর হয়েছে। তবে তাদের কোন বাচ্ছা কাচ্ছা হয় না। সবাই ধারনা করে ফারহানের সমস্যার কারনই তাদের বাচ্ছা হয় না। যার ফলে তারা বিভিন্ন পীর ফকিরের স্বনাপন্য হয়। কোন এক ফকির বাবা তাদেরকে বলে দিয়েছে রাত বারোটার পরে পুকুরে নেমে পশ্চিম দিকে ফিরে, পানির নিচে ডুব দিয়ে এক শ্বাসে একটি দোয়া পড়তে হবে। আর গোসল করে উঠে একটি তাবিজ কোমরে বাধঁতে হবে। নাটকের প্রথম দিকে এই চিত্র গুলো দেখা যায়।
কিছুদিন পরে তাদের পাশের বাড়ির এক ভাবি এসে জানায় যে তারা যদি কামেল পীরের স্বনাপন্য হয় তাহলে তাদের বাচ্ছা হবে। ঐ ভাবি আবার কামেল পীরের লোকেশন বলে দেয়। তারা একটি মুরগি নিয়ে কামেল পীরের কাছে যায়। সেই কামেল পীর আবার মহিলা। যায়হোক কামেল পীর জানায় স্বামীর কুনজরের কারনে তাদের বাচ্ছা হয় না। কুনজর কি..? ফারহান সাইকেল দিয়ে বাড়িতে ঘুরে ঘুরে বাচ্ছাদের খেলনা বিক্রয় করে। প্রতিদিন খেলনা বিক্রয় করে যা ইনকাম হয় তা দিয়ে তাদের সংসার চলে। এখন কামেল পীর বলতেছে তার স্বামী খেলনা বিক্রয় করতে গিয়ে অন্য মহিলাদের দিকে কুনজর দেয়। যার ফলে তাদের বাচ্ছা হয় না। কামেল পীর লাগিয়ে দিলো আরেক জামেলা।
যায়হোক সেই কামেল পীরের কথা অনুযায়ী অনেক তাবিজ করেও যখন তাদের বাচ্ছা হচ্ছে না তখন তারা ডাক্তারের স্বনাপন্য হয়। ডাক্তার তাদেরকে দেখে বলে কিছু টেষ্ট করতে হবে। দুঃখের বিষয় হলো সেই টেষ্টে জানতে পারে তিশার সমস্যার কারনে বাচ্ছা হয় না। আর তিশার শারিরীক সমস্যার কারনে তারা কোন দিন মা-বাবা হতে পারবে না। এখন তাদের একটি বাচ্ছার অনেক শখ। এই গ্রামের একজন তিশাকে জানায় যে শহরের অনেক হাসপাতালে,এতিম খানায় অনেক বাচ্ছা রয়েছে। যাদের বাচ্ছা হয় না কিছু টাকার বিনিয়ে সেই বাচ্ছা তাদেরকে দিয়ে থাকে। তারা চাইলে সে কিছু টাকার বিনিয়ে একটি বাচ্ছার ব্যবস্থা করে দিতে পারবে। তিশা তার হাসবেন্ডকে অনেক রিকুয়েষ্ট করে একটি বাচ্ছা কিনে আনতে রাজি হয়।
অবশেষে তারা একটি বাচ্ছা কিনে আনে। সেই বাচ্ছাকে নিয়ে তারা খুব আনন্দে দিন কাল অতিক্রম করতে লাগলো। যেদিন বাচ্ছার আকিকা দিয়ে পাড়া প্রতিবেশিকে খাবার খাওয়াচ্ছে সেদিনই তাদের বাড়িতে পুলিশ এসে হাজির। তাদেরকে যে ব্যাক্তি বাচ্ছাটা এনে দিয়েছিল সে মূলত অন্যের বাচ্ছো চুরি করে এনে তাদের কাছে বিক্রয় করেছিল। এখন পুলিশ এসে সেই বাচ্ছাকে তার অরিজিনাল মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দেয়। আর তখনই নাটকের মর্মান্তিক দৃশ্য গুলো শুরু হয়। এই দৃশ্য গুলো আপনারা নাটকটি না দেখলে বুঝতে পারবে না। বাচ্ছাটা নিয়ে যাওয়ার পরে তারা কতটা কষ্ট পায় সেটা বুঝতে হলে নাটকটি দেখতে হবে।
নিজস্ব মতমত বা শিক্ষা-
এই নাটকটি দেখে শেষের দিকে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। একটি বাচ্ছার জন্য তারা কত কিছুই না করে। যাদের বাচ্ছা হয় না বা যাদের বাচ্ছা নেই তারা বুঝে একটি বাচ্ছার কত মূল্য। আপনারা যদি নাটকটি দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন কতটা কষ্ট লাগে। আমি বাস্তবেও দেখেছি যাদের বাচ্ছা হয় না তারা একটি বাচ্ছার জন্য যে কোন কিছু করতে রাজি হয়ে যায়। যে ব্যক্তি যে পরামর্শ দেয় তারা সেই পরামর্শই শুনে। বিশেষ কর পীর ফকিরের কাছে বেশি যায়। আর গলায় কোমরে অনেক তাবিজ কবজ বাধেঁ। আশা করি আপনারা নাটকটি দেখবেন।
নাটকের লিংক
ব্যক্তিগত পয়েন্ট
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
খুবই অসাধারণ একটি নাটকের রিভিউ করেছেন ভাই। আসলে এখন নাটক দেখার সময় তেমন একটা পাইনা। তবুও মাঝে মাঝে রিভিউগুলো পড়ে নাটক গুলো ইনজয় করি। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া নাটকটি সত্যিই দারুন লাগে। সময় পেলে দেখে নিবেন। ধন্যবাদ।
কলিজার আধখান নাটকটি তে ফারহান এবং তানজিন তিশা অনেক সুন্দর অভিনয় করেছেন। এধরনের ভিন্ন রকম গল্পের নাটক গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার রিভিউ দেখে ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
জী ভাইয়া এই নাটকটি ভিন্ন রকম করেছে। খুবই সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ।
ফারহান এবং তানজিন তিশার নাটক গুলো অনেক বেশি সুন্দর হয়। তাদের নাটক গুলো আমি আগে প্রচুর পরিমাণে দেখতাম। কলিজার আধখান নাটকটাও আমি দেখেছিলাম। যার কারণে এই নাটকটার সম্পূর্ণ রিভিউ আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বাচ্চাটা নিয়ে যাওয়ার পর তারা আসলেই অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছিল, যেটা দেখে আমার চোখে জল চলে এসেছিল। পুরোটা সুন্দর করে তুলে ধরে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
একটি বাচ্ছার জন্য তারা কত কিছু করে। অভিনয়টা দারুন ছিল। ধন্যবাদ।
কলিজার আধ খান নাটকটি আমি দেখেছি অসাধারণ একটি নাটক। মুশফিক আর ফারহানের অভিনীত নাটকগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে নাটকটির রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন যা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া সব থেকে সুন্দর লাগে যখন বলে হাতে হাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছে,হা হা হা।
অনেকদিন হলো নাটক দেখা হয় না। আমার কাছে মুভি থেকে নাটক দেখতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আপনি আজকে দারুন একটি নাটকের রিভিউ দিয়েছেন। মুশফিক ফারহান খুবই সুন্দর অভিনয় করে থাকে। তার অভিনয় অনেক ভালো লাগে আমার কাছে এই নাটকটি দেখার চেষ্টা করব।
জী ভাইয়া মুশিফিক ফারহান ভালো অভিনয় করে। ধন্যবাদ।
নাটকের রিভিউ যত পড়ি আমার কাছে ততই অনেক বেশি ভালো লাগে। আজকেও আপনার মাধ্যমে এই নাটকটার রিভিউ পড়তে পেরেছি, যেটা আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। পুরোটা যত পড়ছিলাম আমার কাছে ততই ভালো লাগছিল। তানজিন তিশার সমস্যার কারণে তারা বাবা-মা হতে পারবে না, এই বিষয়টা ডাক্তার বলেছিল। গ্রামের যে মানুষটা তিশাকে জানিয়েছিল বাচ্চার কথা। তার কথামতো তিশা এবং তার হাজবেন্ড একটা বাচ্চা এনেছিল। তবে দেখছি ওই বাচ্চাটা ছিল চুরি করা। মানে ঐ লোকটা চুরি করে এনে দিয়েছিল বাচ্চাটাকে। পরবর্তীতে তাদের কষ্ট দেখে সত্যি খুব খারাপ লাগলো।
জী আপু তারাতো আর জানে না,যে বাচ্ছা চুরি করে এনে দিয়েছিলো। ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে কলিজার আধখান নাটকটি রিভিউ করে শেয়ার করেছেন। তানজিন তিশা এবং মুশফিক ফারহানের নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। ঠিক বলেছেন ভাই আপনি একটি বাচ্চার জন্য বাবা-মা অনেক কিছু সেক্রিফাইস করে। যাদের বাচ্চা হয় না তারাই বুঝতে পারে এই কষ্টটা। চেষ্টা করব ভাই আপনার শেয়ার করা এই নাটকটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দেখার জন্য।
জী ভাইয়া বর্তমান সমাজের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া আপনি তানজিন তিশা ও ফারহানের খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। আপনার এই রিভিউ পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তাদের দুজনের জুটি যেমন ভালো লাগে তেমনি নাটক দেখতেও খুব ভালো লাগে। আপনার এই রিভিউ পড়ে বুঝতে পেরেছি এর কাহিনী খুব সুন্দর। সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
জী আপু তারা দুইজন জুটি করে নাটক করেছে খুব কমই। তবে ভালো অভিনয় ছিল। ধন্যবাদ।
মুশফিক আর ফারহানের নাটক আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আমি কম বেশি মুশফিকের নাটক দেখি।এই নাটকটি দেখছি।তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দারুণ একটা ভালোবাসা রয়েছে। তবে লাস্টের দিকে একটু খারাপ লাগে।যাইহোক আপনি চমৎকার ভাবে নাটকটির রিভিউ উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া মুশফিক তো রোমান্টিক নাটক করে বেশি,এটা বাস্তব ভিত্তিক ছিল। ধন্যবাদ।