নিসার আকিকার অনুষ্ঠান।।

হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে লাইফ স্টাইল তথা নিসার আকিকার অনুষ্ঠান সম্পর্কে ব্লগ শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি আপনাদের সবার কাছে খুবই ভালো লাগবে।

আপনারা সবাই জানেন যে,গত ২৫ শে জানুয়ারি আমাদের ঘরকে আলোকিত নতুন অতিথি এসেছে। এ বিষয়ে আপনাদের সাথে একটি ব্লগ শেয়ার করেছিলাম। সে নতুন অতিথিকে পেয়ে সবাই যেন হাতে আকাশের চাঁদ পেয়েছে। সবাই সারাদিন নিসাকে নিয়ে খুবই আনন্দে দিন কাটাচ্ছে। দেখতে দেখতে এক সপ্তাহ অতিক্রম হয়ে গেছে।

আপনারা অনেকেই জানেন যে ইসলামী রীতি অনুযায়ী নতুন শিশু জন্মগ্রহণ করলে তাদের নামে আকিকা করতে হয়। আকিকা এর শাব্দিক অর্থ- কাটা, পৃথক করা। আকিকার পারিভাষিক অর্থ- বাচ্চা জন্ম লাভের পর সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা আদায়ার্থে যে পশু জবাই করা হয় তাকে আকিকা বলে। ছেলে বাবু হলে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী দুইটি ছাগল অথবা দুইটি ভেড়া অথবা দুটি দুম্বা জবাই করে পাড়া-প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজন কে খাওয়াতে হয়। আর যদি গরু জবাই করা হয় তাহলে একটি গরুতে সর্বোচ্চ সাতটি নাম দেওয়া যায়। আর যদি মেয়ে বাবু হয় তাহলে উল্লেখিত পশুদের মধ্যে যেকোনো একটি জবাই করলেই আকিকা পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। ইসলামের এই হুকুমটি সাথে সাথে আদায় করা জরুরী নয়। যার যখন ইচ্ছা তখন আদায় করতে পারবে। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হুকুমটি আদায় করা উত্তম। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে আপনারা ইসলামী জ্ঞান সম্পন্ন আলেম অথবা গুগলের সাহায্য নিতে পারেন।

আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আমার মেয়ে বাবু হয়েছে। আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া যে, বাবুসহ বাবুর মা অনেক ভালো আছে। সেজন্য সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায়ের লক্ষ্যে আমি দুইটি ছাগল বা পশু আকিকা করার ইচ্ছা পোষণ করেছি। আমি নির্ধারিত একটি এমাউন্ট এক্সট্রা করে রেখে দিয়েছিলাম। যদি সিজারের প্রয়োজন হতো তাহলে আমি সেই টাকাগুলো ব্যয় করতাম। যেহেতু বাবু জন্মের সময় টাকাগুলো লাগেনি,সেজন্য সে টাকাগুলো দিয়ে আকিকা দেওয়ার নিয়ত করেছি। উক্ত টাকা দিয়ে একটি খাসি এবং একটি ছাগি কিনতে পেরেছি,আলহামদুলিল্লাহ।

উপরে ফটোগ্রাফিতে আপনারা উক্ত পশু গুলো দেখতে পাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত দশটার সময় আকিকার জন্য পশু গুলোকে জবাই করা হয়েছে। তারপর যথারীতি মাংসগুলোকে কেটে কুটে রাত দুইটার আগেই রান্নার জন্য রেডি করা হয়েছিল। যেহেতু শীতের সময় দিন ছোট থাকে সেজন্য ফজরের নামাজের পরেই রান্নাবান্না শুরু করা হয়েছিল। শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগেই সমস্ত আইটেম রান্না করা কমপ্লিট হয়েগেছিল।

খাবারের আইটেমের মধ্যে ছিল,মাছের ভর্তা,ডিম, সবজি, মাছ ভুনা, মুরগির রোস্ট, খাসির মাংস, ডাউল,মিষ্টি দই ও পোলাও এবং সাদা নরমাল ভাত। গতকাল শুক্রবার সারাটা দিন আমার খুব ব্যস্ততার মাধ্যমে অতিক্রম হয়েছে। সমস্ত মেহমানকে সুন্দরভাবেই খাবারদাবার পরিবেশন করা হয়েছিল। মেহমানদের মধ্যে অনেকেই আমাদের বাবুকে অনেক গিফট দিয়েছেন। আমরা সবার কাছে আমাদের বাবুর জন্য দোয়া প্রার্থনা চাইছি।

বন্ধুরা এই হল আমার আজকের ব্লগ। আশা করি আজকের ব্লক টি আপনাদের নিকট অনেক ভালো লাগবে। আজকে এখান থেকেই বিদায় নিতেছি, আবার আপনাদের সাথে আগামীকাল নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। সেই কামনা করি।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।