মেলার লোভনীয় খাবারের কিছু ফটোগ্রাফি।।
হ্যালো বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে মেলার কিছু লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
কিছুদিন আগে আমাদের বাসা থেকে দুই কিলোমিটার দুরে একটি মেলা হয়েছিল। সেই মেলার স্থানটি আমাদের অফিস থেকে আবার এক কিলোমিটার দুরে হবে। প্রতি বছরের জানুয়ারীর এক তারিখ থেকে পনের তারিখ পর্যন্ত মেলাটা চলে। তবে যদি ক্রেতা বেশি থাকে তাহলে দুই একদিন সময় বাড়ানো হয়। মেলাটিকে সবাই কালা চাঁনের মেলা বলে থাকে। উনিশ শতকের প্রথম দিকে ঐ জাগায় কালা চাঁন নামের একজন লোক বাস করতো। সে মারা যাওয়ার আগে তার ওয়ারিশদের বলে যায় যে, সে মারা যাওয়ার পরে যেন ঐ জাগায় বাড়ির পাশে তাকে কবর দেওয়া দেয়। তারপর তার অসিয়ত অনুযায়ী সেখানেই তাকে কবর দেওয়া হয়েছে।
ধীরে ধীরে তার ওয়ারিশরা সেই কালা চাঁনের কবরকে বাউন্ডারী দিয়ে উপরে একটি টিনের চাল দিয়ে দেয়। আর প্রতি বছরের জানুয়ারীতে তার নামে একটি ওরস শুরু করে। সেই ওরস শরীফ থেকে চালা চাঁনের মাজার শরীফ হয়ে যায়। প্রায় পঞ্চাশ বছর যাবৎ সেই ওরস চলে আসতেছে। এখন খুবই জমজমাট ভাবে কালা চাঁনের মাজার প্রাঙ্গনে মেলা হয়। কিছু দিন আগে আমি সন্ধার পরে অফিস থেকে বের হয়ে কালাচাঁনের মেলাতে গিয়েছিলাম। সেখানের পরিবেশটা আমার তেমন ভালো লাগেনি। তবে কিছু খাবার দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। তাই কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
এগুলোর নাম তিল্লাই। কিছু কিছু এলাকায় তিল্লাই বাতাসাও বলে থাকে। ছোট সময় গ্রাম্য হাট থেকে বা মেলা থেকে প্রচুর তিল্লাই কিনে খাওয়া হতো। এমন কি স্কুলে যাওয়ার পথেও সুস্বাদু এই তিল্লাই কিনে খেতাম। আগের তিল্লাই গুলো সাইজে কিছুটা ছোট ছিল। তবে এখন সে গুলো কিছুটা বড় সাইজ করেছে। তবে আগের স্বাদ আর এখনের স্বাদ আকাশ পাতা ব্যবধান। তখন ব্যবসায়ীদের নিয়ত ছিল সেবা মূলক আর এখন ব্যবসায়ীদের নিয়ত হলো শোষনমূলক। এখন ব্যবসায়ীদের মধ্যে সেবার থেকে লোভ কাজ করে বেশি।
এগুলো চিংড়ি মাছ ফ্রাই। খুবই লোভনীয় একটি খাবার। শহরের যেকোন রাস্তার সাইটে ফুটপাতে এগুলো ফ্রাই করে বিক্রয় করতে দেখা যায়। আমি মনে হয় জীবনে দুইবার খেয়েছিলাম। তার কারনটা কয়েকবার বলেছি তাই আজকে আর বলবো না। প্রধান কারন হলো তৈলাক্ত খাবার। আশা করি বাকিটা আপনারা বুঝে নিবেন । বেশি খুলে বললে অনেকে মনে করে আমরা তো হরহামেশায় খাচ্ছি, আমাদের তো কোন প্রবলেম হচ্ছে না। শুধু আপনারই প্রবলেম হয়। বাঙ্গালী মানুষ বুঝে বেশি। তাই যত কথা কম বলা যায় ততই ভালো।
গরম গরম জিলাপি ভাজা হচ্ছে। কম বেশি সবাই জিলাপি খেতে পছন্দ করেন। মাঝে মাঝে এটা আমার খাওয়া হয়। প্রচন্ড গরম তেলে এক মামা জিলাপি ভাজতেছে। তারপর গুড়ের সিরার মধ্যে ডুবানো হবে। যে কোন মেলা বা অনুষ্ঠানে এই জিলাপির চাহিদা থাকে। চিনির সিরা থেকে গুড়ের সিরার জিলাপি বেশি ভালো। একটি শুকনো কাপড়ের টুকরো দিয়ে জিলাপির মসলা তেলের মধ্যে দিয়ে জিলাপি বানাচ্ছে। এটা কিন্তুু আবার সবাই পারে না। কারন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে জিলাপি বানাতে হয়।
এগুলোকে চিনি মিষ্টি বলা হয়। প্রচুর চিনি দিয়ে এই মিষ্টি গুলো তৈরী করা হয়। যাদের ডায়াবেটিক্স রোগ আছে তাদের একটি মিষ্টি খেলেই যথেষ্ট। ডায়াবেটিক্স পনের থেকে এক লাফে ত্রিশে চলে যাবে। আর যাদের ডায়াবেটিক্স দশের নিচে আছে তারা হয়তো দুই একটি মিষ্টি খেতে পারে। তবে কারো জন্যই বেশি খাওয়া ঠিক হবে না। এই মিষ্টি গুলো বিক্রয় হয় কম। হাতে গুনো দুই একজন এই মিষ্টি কিনে থাকে। আমি এখন পর্যন্ত এগুলো টেষ্ট করি নাই।
আজকে আর বাড়াচ্ছি না। কিছু শুকনো খাবারের ফটোগ্রাফি আছে সে গুলো পরে একদিন শেয়ার করবো। আমি মেলা থেকে তেমন কিছু কিনি নাই। জাষ্ট ফটোগ্রাফি করে চলে এসেছি। কারন সব জায়গার খাবার আবার আমার পেটে সহ্য হয় না। দূর্বল পেট বলতে পারেন। হজম শক্তি খুবই কম। অনেক মানুষ তো যা সামনে পায় তাই খেয়ে ফেলে। তাদের পেটে তেমন কোন সমস্যা হয় না। এটা ভালো একটি দিক। তাদের হজম শক্তি ভালো। যায়হোক সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | মেলার লোভনীয় খাবারের কিছু ফটোগ্রাফি।। |
স্থান | ফতুল্লা,নারায়নগঞ্জ, ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১০/০১/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মেলা ভ্রমণ করে লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন দেখে সত্যি লোভে পড়ে গেলাম।
মেলা ভ্রমন করতে আমারও অনেক ভালো লাগে সেখানে গেলে নতুন নতুন খাবার সেই সাথে নতুন নতুন অন্য সামগ্রীর সাথে পরিচিত হওয়া যায়।
আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে চিংড়ি ফ্রাই এবং জিলাপি আমার সবথেকে বেশি প্রিয় দেখে তো একদম জিভে জল টপটপ করছে।
জী ভাইয়া সব গুলো খাবারই লোভনীয় ছিল। মেলা ভালোই লাগে। ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মেলার লোভনীয় খাবারের কিছু ফটোগ্রাফি। আপনার শেয়ার করা খাবারের প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দেখে আমার কাছে বেশ অসাধারণ লেগেছে। খাবার দেখে তো জিভে জল চলে আসছে ভাই। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে মিষ্টির ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া মিষ্টি গুলো দেখতে যেমন লোভনীয় ঠিক তেমন মিষ্টি। ধন্যবাদ।
লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি। খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে খাওয়ার জন্য লোভ লেগে গেল। তবে গরম গরম জিলাপি খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। মিষ্টির ফটোগ্রাফি গুলো বেশ লোভনীয় ছিল। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
গরম গরম জিলাপি খেতে আমার কাছেও ভালো লাগে। আর প্রায় সময় খেয়েও থাকি। ধন্যবাদ।
আসলে যেকনো মেলায় ঘুরতে গেলে এধরনের লোভনীয় খাবার গুলোর দেখা পাওয়া যায়। আপনি মেলায় ঘুরতে গিয়ে দারুন সব খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। শীতের সময় এই মেলা গুলো বেশি হয়ে থাকে। কিছুদিন আগে আমাদের এই দিকে ও মেলা বসেছিলো মেলায় ঘুরতে গেলে আমার গরম গরম জিলাপি এবং চিনি মিষ্টি গুলো খেতে ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া শীতের মৌসুম আসলে মেলা বসে বেশি। ধন্যবাদ।
মেলা মানেভ লোভনীয় সব খাবারের সমাহার।মেলাতে গিয়ে নতুন নতুন খাবারের আইটেম গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে।মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো মেলাতে খুব বেশি পাওয়া যায় তার মধ্যে জিলাপি খেতে খুবই পছন্দ করি। খুবই লোভনীয় সব খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া দেখেই তো খেতে মন চাইছে।সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ছোট সময় মেলার জন্য টাকা জমিয়ে বিভিন্ন জিনিষ পত্র কিনতাম। অনেক আনন্দ হতো। ধন্যবাদ।
বিভিন্ন প্রকার মেলাতে এই সমস্ত খাবারের আইটেমগুলো দেখতে পাওয়া যায়। তবে মানুষের ভিড়ে চলাচল করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে তাই যাওয়া হয় না তেমন একটা আমাদের। খুবই সুন্দর লোভনীয় রেসিপিগুলো নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।
জী আপু মানুষের সমাগম হয় বলেই তো এত আনন্দ হয়। ধন্যবাদ।
আপনার বাসা থেকে দুই কিলোমিটার দূরের এই কালা চাঁনের মেলায় আপনি গিয়ে খাবারের খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন।এটা ঠিক ওই পরিবেশ ভালো লাগার কথা ও নয়।তবে এই খাবারগুলো দেখে ছোটবেলার মেলায় গিয়ে পছন্দের খাবারগুলোর কথা মনে পরে গেলো।প্রথম ফটোগ্রাফিটি হলো কদমা।আমরা এটাকে কদমা বলেই জানি।মুখে দেয়ার সাথে সাথে মিশে যায়।আর জিলাপি তো এখনও ভীষণ পছন্দ আমার।আমি মাঝে মাঝেই চিকন চিকন শাহী জিলাপি নিয়ে আসি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কিছু খাবারের ফটোগ্রাফির পাশাপাশি সুন্দর বর্ননা শেয়ার করার জন্য।
জী আপু যে কোন মেলায় গেলে ছোট সময়ের স্মৃতি মনে পড়ে যায়। ধন্যবাদ।
সত্যি বলতে ভাইয়া আপনি মেলায় গিয়ে এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করলেন সেগুলো দেখে আমার তো জিভে জল চলে আসলো। এমনিতে মেলায় গেলে বেশ পছন্দের খাবার পাওয়া যায়। আমার তিল্লাই বাতাসা খেতে অনেক ভালো লাগে। আরো কিছুদিন আগে যখন আমরাও মেলায় গিয়েছিলাম তখন আমরাও তিল্লাই বাতাসা খেয়েছিলাম। তাছাড়া চিংড়ি মাছের ফ্রাই আমার তো খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনার লোভনীয় ফটোগ্রাফি গুলো দেখে যে কারোর লোভ লেগে যাবে এমনিতেই। কিন্তু আপনি প্রতিটি ফটোগ্রাফি এত সুন্দর ভাবে ক্যাপচার করেছেন আবার অনেক সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপেও বর্ণনা করলেন।
ছোট সময় কত যে তিল্লাই খেয়েছি। তবে এখন আর খাওয়ার ইচ্ছা করে না।
ভাইয়া আপনি মেলার খুবই মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। খাবার গুলো দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। মেলায় গেলে এই খাবার গুলো খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি কিনতেও ভালো লাগে। ধন্যবাদ মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপু যে কোন মেলার খাবার গুলো লোভনীয় হয়। দেখলেই খেতে মন চাই। ধন্যবাদ।