নতুন প্রিন্টার মেশিন কেনার অভিজ্ঞতা।।
হ্যালো প্রিয় স্টিমিট পরিবার,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। গত কালকের ওয়াদা অনুযায়ী আমি @joniprins আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করছি ব্লগটি পড়লে আপনাদের নতুন একটি অভিজ্ঞতা হবে।
আমি গত শনিবারে আমার এক ভাগিনাকে নিয়ে একটি ফটোকপি মেশিন তথা প্রিন্টার আর একটি লেমিনেটিং মেশিন কিনতে গিয়েছিলাম। প্রিন্টার আর লেমিনেটিং এই বিষয় গুলো আমাদের নিত্যদিনের কাজ। এক সময় হয়তো এই কাজ গুলো আমাদের তেমন করা লাগতো না। কিন্তুু এখন প্রতিনিয়তই এই কাজ গুলো দরকার হয়। সার্টিফিকেট,জন্ম নিবন্ধন,ভোটার আইডিকার্ড সহ অনেক কাগজ ফটোকপি করে লেমিনেটিং করে সংরক্ষন করা হয়। লেমিনেটিং করে নিলে আজীবনে ও নষ্ট হয় না। একশ বছর পানির নিচে পরে থাকলেও সমস্যা নেই। তাই দিনে দিনে ফটোকপি আর লেমিনেটিং এর গুরুত্ব বাড়ছে। সেই চিন্তা থেকেই আমার ভাগিনা এই মেশিন গুলো কেনার চিন্তা করেছে। এই ধরনের মেশিন গুলো কেনার এটাই আমার প্রথম অভিজ্ঞতা। তাই খুব আগ্রহের সাথেই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে দশটার মধ্যে বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের গন্তব্য হলো মতিঝিল-১১
আমার ভাগিনা অবশ্য তাদের এলাকা থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড একটি মেশিন কিনতে চেয়েছিল। সেখানে ব্যবহৃত মেশিন তার কাছে দাম চেয়েছে ৫৫ হাজার টাকা। আমার ভাগিনা কিনেও ফেলেছিল। কিন্তুু ঐ লোকের পরিবার যখন জানতে পারে তখন আর মেশিনটি ভাগিনাকে দেয় নি। তার পরেই নতুন মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভাগিনা সিলেট থেকে ঢাকায় আমার কাছে আসে।
আমরা প্রথমে সাইনবোর্ড থেকে উৎসব গাড়িতে করে সোজা গুলিস্তানে চলে গেলাম। উৎসব আর বন্ধুন বাস গুলো নারায়ণগঞ্জ থেকে গুলিস্তানে আসা যাওয়া করে। যার থেকে আমরা প্রিন্টার আর লেমিনেটিং মেশিন কিনবো তার সাথে আমাদের আগেই কথা হয়েছে। সুতরাং আমরা গুলিস্তান থেকে রিকশা নিয়ে মতিঝিলে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে ঐ ভদ্রলোকের সাথে কথা বলে সোজা উনার দোকানে চলে গেলাম। উনার দোকান হলো মতিঝিল-১১ হোমল্যান্ড লাইফ ইনসুরেন্সের বেল্ডিং এর দ্বিতীয় তলায়।
আমি দোকানে প্রবেশ করেই কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিলাম। শোরুমের নাম হলো “প্রাইম ইন্টারন্যাশনাল”। আমরা প্রথমে গিয়ে ম্যানাজারের সাথে কথা বললাম। তারপর আমরা যে মডেলের মেশিন কিনবো সেটা আছে কিনা জিঙ্গেস করলাম। ম্যানাজার বললো আমাদের কাছে সব মডেলের মেশিন আছে। আমরা সরাসরি জাপান থেকে ইমপোর্ট করি। আমরা যে প্রিন্টার মেশিন চেয়েছি, সেটার মডেল হলো Toshiba e-STUDIO 2523AD Printer. সেই মডেলের মেশিন আমাদেরকে দেখালো। আমরা প্রাইজ জিঙ্গেস করলাম ম্যানাজার বললো ৫৫,৭০০ টাকা।
আমার ভাগিনার বাবা মানে আমার দুলাভাই প্রাইম ইন্টারন্যাশনালের ইউটিউব বিডিও দেখে ম্যানাজারের সাথে কথা বলে সব কিছু ঠিক করে রেখেছে। তিনি কথা বলে ৫৫০০০ হাজার টাকায় প্রিন্টারটি ডিল ফাইনাল করে। আমি আর ভাগিনা ইচ্ছা করলে এক থেকে দুই হাজার টাকা কমাতে পারতাম। কিন্তুু যেহেতো দুলাভাই এখানে কথা বলেছে সে জন্য আমরা আর কিছু বললাম না। আর লেমিনেটিং মেশিনটার প্রাইজ নিয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। দুলাভাই বিদেশ থেকে নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট করে দিলেন। আমাদের আর কোন জামেলা করতে হয়নি।
এখন হলো বক্স খুলে টেষ্টিং এর পালা। শোরুমে তাদের নিজস্ব ইন্জিনিয়ার রয়েছে। তারা প্রিন্টার খুলে কি কি যেন ইনস্টল দিলো। তারপর কিভাবে টোনার প্রবেশ করাতে হবে বের করতে হবে সেটা দেখিয়ে দিলো। তারপর কোন কোন পেপার কোন দিক দিয়ে দিতে হবে, এনআইডি কার্ড কিভাবে প্রিন্ট করতে হবে সব কিছু দেখিয়ে দিলো। আর বললো যদি কোন প্রবলেম হয় তাহলে তাদের নাম্বারে যোগাযোগ করলে বা হোটসঅ্যাপ নাম্বারে বিডিও কল দিলে সব কিছু দেখিয়ে দিবে। এক বছর ফ্রী সার্ভিস দিবে।
আমরা সব কাজ শেষ করে পেমেন্ট করে দিলাম। তারা দুইটি বক্স আগের মত করে লাগিয়ে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের সাথে যোগাযোগ করে চালান করে দিলেন। আমরা সব ডকুমেন্ট নিয়ে বের হয়ে গেলাম। তখন প্রায় একটার উপরে বাজে। আমরা সেখান থেকে গুলিস্তানে গেলাম। সেখানে খাওয়া দাওয়া করে আরো কিছু পন্য কিনেছি। সে গুলো অন্য একদিন শেয়ার করবো।
বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের আয়োজন। আশা করি ব্লগটি আপনাদের কাছেও ভাল লেগেছে। যদি নতুন কোন তথ্য পেয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন। আর কেউ যদি প্রিন্টার মেশিন কিনতে চান তাহলে ঐ শোরুমে যেতে পারেন। তাদের ব্যবহার আমার কাছে ভাল লেগেছে। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-10 |
শিরোনাম | প্রিন্টার মেশিন কেনার নতুন অভিজ্ঞতা।।। |
স্থান | মতিঝিল-১১,ঢাকা। |
তারিখ | ২২-০৭-২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ওয়াও ভাইয়া আপনি আজ আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু প্রেন্টিং মেশিনের ফটোগ্রাফি করেছেন। শুভকামনা রইল এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই এখানে আমার ফটোগ্রাফি শেয়ার করা মূল উদ্যেশ্য না। পড়লেই বুঝতে পারতেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বর্তমান সময়ে প্রিন্টার এবং লেমিনেটিং মেশিন এটা অনেক বেশি জরুরী হয়ে পড়েছে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই এই দুটোর প্রয়োজন রয়েছে। আপনার ভাগিনার সঙ্গে প্রিন্টার এবং লিমিটিং মেশিন কেনার খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন সেইসাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমি মনে করি সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিস কেনার থেকে নতুন জিনিস কেনা অনেক ভালো এটা অনেকদিন টেকসই হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কেনাকাটা শেষে গুলিস্তানে গিয়ে আরও কিছু কেনাকাটা করেছিলেন যেগুলোর মুহূর্ত হয়তো পরবর্তী পোস্টে আপনার কাছ থেকে আশা করব। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জী ভাইয়া টাকা থাকলে সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিষ না কেনাটাই ভাল। ধন্যবাদ ভাইয়া।