ষষ্ঠবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো টিম অস্ট্রেলিয়া।।
হ্যালো বন্ধু,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোষ্ট শেয়ার করবো। গত কালকের ফাইনাল ম্যাচের সব তথ্য দিয়েই আজকের ব্লগটি সাজাবো।
স্নেহের ভাই এবং বোনেরা,আশা করি আপনারা সবাই জানেন যে গত কালকের ফাইনাল ম্যাচের মাধ্যমে ২০২৩ সালের জমজমাট ক্রিকেট আসরের সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়েছে। এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম অস্ট্রেলিয়া। এই নিয়ে তারা ষষ্টবারের মত বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তুললো। বিশ্বকাপের শুরুতে প্রথম দুই ম্যাচ হারায় অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল টিম অস্ট্রেলিয়াকে। অথচ প্রায় দেড় মাসের লড়াই শেষে তারাই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপটেন প্যাট কামিন্স জানায় আমরা ফাইনালের জন্যই সেরাটা তুলে রেখেছিলাম। আজ সবাই সব কিছু উজার করে দিয়েছে। আমরা পণ করে নেমেছিলাম,সাফল্য আমাদের ধরা দিয়েছে। বিপক্ষ দলও খুব ভালো খেলেছে,তাদের জন্য সমাবেদনা রইল।
আমরা যদি বিশ্ব পরিসংখ্যান রিপোর্টে চোখ রাখি,সেখানে দেখতে পায় বিশ্বকাপের সর্বশেষ ৩টি ফাইনাল ম্যাচই জিতেছে পরে ব্যাটিং করা দল। এবারও ফাইনালে পরে ব্যাটিং করে জয় পায় ওয়েশিনিয়া মহাদেশের দেশ অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডে ক্রিকেটে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া ১৯৮০ সালে প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল। সেই থেকে এখন পর্যন্ত ১৫১টি ম্যাচ খেলে এশিয়ার দেশ ভারত জয় পায় ৫৭টিতে। অপর দিকে অস্ট্রেলিয়া জয় পায় ৮৪ টি ম্যাচে। তবে বিভিন্ন কারনে ১০টি ম্যাচ শেষ হয়েছে কোন ফলাফল ছাড়াই। আর বিশ্বকাপের মঞ্চে দল দুটি একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে সর্ব মোট ১৪ বার। যেখানে ভারত ৫টিতে জয় পেলেও ৯টিতে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ানরা। ভারত দুটি বিশ্বকাপ জিতেছে আর অস্ট্রেলিয়া এবার নিয়ে ছয়বার বিশ্বকাপ জিতেছে।
গত কাল টস জিতে বলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় টিম অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপটেন পেট ক্যামিন্স। সেটাই যেন ছিল জয়ের প্রথম ধাপ। টানা দশ ম্যাচে অপরাজিত থাকা ভারতীয় টিম শুরুতে নেমেই হুঁচট খায়। মাত্র চার রান করে আউট হয়ে যায় আলোচিত অপেনার সাবম্যান গিল। তবে হাল ছাড়েনি ক্যাপটেন রোহিত শর্মা। কোহিলিকে সঙ্গে নিয়ে তার ব্যাটে রানের জড় তুলে। কিন্তুু সেই জড় বেশিক্ষন স্থায়ী হয়নি। ব্যাক্তিগত ৪৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যায় এই অপেনার। তার অল্প কিছুক্ষন পরেই তৃতীয় ধাক্কা খায় ভারতীয় শিবির। মাত্র তিন বল খেলে চার রান করে ফেরত যায় শ্রেয়াস। তারপর দলের হাল টেনে ধরে বিচক্ষন খেলোয়ার বিরাট কুহেলি আর উইকেট কিপার রাহুল। তারা দুইজন দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে জেতে থাকে। তখন সবাই ধারনা করেছিলো ৩০০+ রান হতে পারে। তবে কোহেলি অর্ধশতক পার করার পরে আর বেশিক্ষন থাকতে পারেনি। কোহেলি ব্যাক্তিগত ৫৪ আর রাহুল ৬৬ রান তুলে আউট হয়ে যায়। তার পরে আর কেউ তেমন দাড়াতে পারেনি। সব শেষে ৫০ অভার খেলে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান তুলতে সক্ষম হয় ভারতীয় বাহিনীরা।
দ্বিতীয় পর্বে ২৪১ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে টিম অস্ট্রেলিয়ার দুই অপেনার ডেভিড ওয়ার্নার আর ট্রাভিস হেড। তবে শুরুতেই ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া শিবির। মাত্র তিন বলে সাত রান করে আউট হয়ে যায় দলের সব থেকে দায়িত্বশীল খেলোয়ার ওয়ার্নার। যখন মাত্র ৪৩ রানে আউট হয়ে যায় তিনজন বিগ ব্যাটার। তখন আশা জেগেছিল হয়তো টিম ইন্ডিয়া জয়ে পেতে পারে। তবে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন দল এমনি এমনি ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। তারাও সর্ব শক্তি প্রায়োগ করে টিকে ছিল। দলের এক পাশ টেনে ধরে রাখেন ট্রাভিস হেড। সে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে থাকে। তার উপর ভরসা করে এগিয়ে যায় টিম অস্ট্রেলিয়ার রানের চাকা। তার ১২০ বলে ১৩৭ রানের অসাধারণ সেঞ্চুরি এবং লাবুশেনের হার না মানা ৫৮ রানে সহজেরই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় টিম অস্ট্রেলিয়া।
এই আসরের সব থেকে বেশি রান করে বিরাট কুহেলি। সে ১১ ম্যাচ খেলে ৭৬৫ রান তুলে। ৫৯৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় নাম্বারে রোহিত শর্মা, ৫৯৪ রান নিয়ে তৃতীয় নাম্বারে রয়েছে আফ্রিকান খেলোয়ার ডি-কক। আর সব থেকে বেশি উকেটের মালিকও ভারতীয় খেলোয়ার মোহাম্মাদ সামি। সে মাত্র সাত ম্যাচ খেলে ২৪টি উইকেট শিকার করে। ১১ ম্যাচে ২৩ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়ার এডাম জাম্পা। সব থেকে বেশি সেঞ্চুরি করে ডি-কক। সে ১০ ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরি করে। আর সব থেকে বেশি সিক্স মারে রোহিত শর্মা। সে ১১ ম্যাচে ৩১টি সিক্স মারতে সক্ষম হয়। এই ছিল সর্বশেষ আপডেট।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
সত্যিই ইন্ডিয়ার জন্য অনেক বেশি খারাপ লাগছে কারণ তারা প্রত্যেকটা ম্যাচ এত বেশি ভালো খেলেছে যে ফাইনালের মত একটা জায়গায় এরকম কল্পনা করতে পারিনি। প্রথম অবস্থায় রোহিত শর্মা যে হারে চার ছক্কা মারছিল ভেবেছিলাম রান ৩৫০ প্লাস হয়ে যাবে কিন্তু সে আউট হয়ে যাবার পরপরই আর কেউ তেমন একটা ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেনি। এদিকে প্রচন্ড অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ার বেহাল দশা সবাই দ্রুত আউট হয়ে যাচ্ছিল ভেবেছিলাম এরা ২০০ মধ্যে আউট হয়ে যাবে কিন্তু, অস্ট্রেলিয়ার দুই প্লেয়ার যে এরকম ভালো খেলবে বুঝতে পারেনি। অবশেষে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ধন্যবাদ চমৎকার একটি রিভিউ তুলে ধরার জন্য।
৩০০+ করতে পারলে ভারতের জেতার সম্ভাবনা ছিল। যায়হোক সবাই ভালো খেলেছে। ধন্যবাদ।