হারিয়ে যাওয়া টাইটান সাবমার্সিবল সম্পর্কে কিছু তথ্য।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

istockphoto-507005083-612x612.jpg

Link

আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ

হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সাথে একটি জেনারেল পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। সাম্প্রতিক কালের একটি আলোচিত বিষয় নিয়ে আজকের ব্লগটি সাজিয়েছি। ব্লগটিতে আমি আলোচিত বিষয়টির এ টু জেট সব কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আশা করি মনযোগ সহ সম্পূর্ণ ব্লগটি পড়লে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

সাম্প্রতিক কালে সোশ্যাইল মিডিয়াতে একটি নিউজ আলোচনা ও সমালোচনার উপরে উঠে এসেছে। ফেসবুক, টুইটার, নিউজ পেপার,টেলিভিশন যেখানেই চোখ রাখি সেখানেই এই খবরটি চোখে পড়ছে। যার জন্য আজকে সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে সেই বিষয়ে একটি ব্লগ লেখার চেষ্টা করলাম।

আমি আশা করি বিখ্যাত টাইটানিক জাহাজ ডুবে যাওয়ার বিষয়ে আপনারা সবাই হয়েতো কম বেশি জানেন টাইটানিক জাহাজ ডুবে যাওয়ার কাহিনী নিয়ে একটি মুভিও তৈরী করা হয়েছিল। হুল-আলোচিত বিলাসবহুল এই প্রমোদতরীটি প্রায় ২২০০ জন যাত্রী ও কর্মী নিয়ে ১০ এপ্রিল ১৯১২ সালে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল। ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল রাত ২:২০ এ মিনিটে আইসবার্গের সাথে ধাক্কা লেগে আটলান্টিক মহাসাগরে জাহাজটি ডুবে যায়।

টাইটানিক জাহাজ ডুবে যাওয়ার পর সেটা নিয়ে সারা বিশ্বে অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়। টাইটানিক জাহাজের রেডিও অপারেটর জ্যাক পিলিপসের হেয়ালীপনার কারণেই জাহাজটি ডুবেছে বলে ধারনা করা হয়। অবশেষে দীর্ঘ ৭৩ বছর পর ১৯৮৫ সালে একদল বিজ্ঞানী যন্ত্রচালিত মেশিন দিয়ে টাইটানিকের অনুসন্ধান শুরু করে । ঐ বছরই রবার্ট বালার্ড নামক ফরাসি বিজ্ঞানী টাইটানিককে খুঁজে বের করে তার অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যায়। বর্তমানে
টাইটানিক সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ৬০০ ফুট নিচে আটলান্টিকের তলদেশে অবস্থান করছে। খুজে পাওয়ার পর থেকেই সেটা নিয়ে মানুষের ভিতরে কৌতুহল শুরু হয়ে যায়। টাইটানিক কেমন ছিল,সেটা এখন কোন অবস্থায় আছে সেটা দেখার জন্য মানুষের ভিতরে নেশা চেপে বসে।

১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মহাকাশ প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি করা প্রকৃতিপ্রেমী ও দুঃসাহসিক স্টকটন রাশ নামটি বর্তমানে সবার মুখে মুখে। গভীর সমুদ্র নিয়ে গবেষণা করার অদম্য উৎসাহ জাগে তার। নতুন কিছু করার পরিকল্পনা নিয়ে ২০০৯ সালে ওশানগেট প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন স্টকটন রাশ। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল,কোন একটি মেশিন উদ্ভাবনের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে বিচরণ করা। এছাড়াও সাবমেরিনের নাবিকদের উন্নয়নের জন্য নতুন করার উদ্দেশ্য ছিল তার।

ওশানগেট প্রতিষ্ঠান একটি সাবমেরিনের মাধ্যমে আট দিনের সমুদ্র ভ্রমণের আয়োজন করেন। সেই সাবমেরিনের মাধ্যমে আটলান্টিকের তলদেশে ১৩ হাজার ফুট গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে নিয়ে যায়। তবে সাবমেরিনের প্রতিটি আসনের জন্য আড়াই লাখ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় আড়াই কোটি টাকার বেশি) নেন। সে উদ্যেশ্যে গত রবিবারে পাচঁজন পর্যটক নিয়ে টাইটান সাবমার্সিবল নামক একটি ছোট সাবমেরিন আলান্টিক মহাসাগরে ডুব দেয়। সাগরে ডুব দেওয়ার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরে ছোট আকারের ওই সাবমেরিনটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় উপরে অপেক্ষারত জাহাজের সাথে। পানির নিচে যাওয়ার সময় ছোট সাবমেরিনটিতে সাধারণত চারদিন চলার মতো জরুরি অক্সিজেন থাকে।

বরিবারের পর থেকে এখন পর্যন্ত তাদের ঐ সাবমেরিনের আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার নৌবাহিনী ও ডুবুরি দল সহ বিশ্বের সব ধরনের সামুদ্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে তাদেরকে খোঁজে বের করার জন্য। অনেকটা ট্রাক আকৃতির এই সাবমেরিনে পাঁচজন ব্যক্তি উঠতে পারেন। নিখুঁজ হওয়া যাত্রীদের মধ্যে চালকের অবস্থানে আছেন টাইটান যন্ত্রের আবিষ্কাকর স্টকটন রাশ, ৫৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ ধনকুবের ব্যবসায়ী হ্যামিশ হাডিং, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ধনাঢ্য ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ এবং তাঁর ১৯ বছর বয়সি ছেলে সুলেমান দাউদ,৭৭ বছর বয়সি ফরাসি নৌবাহিনীর সাবেক ডুবুরি পল-হেনরি নারজিওলেট।

বর্তমানে বিশ্বের টপ নিউজের মধ্যে এক নাম্বারে রয়েছি টাইটানের নাম। ট্যুর আয়োজন কারী প্রতিষ্ঠান ওশানগেটের কর্মকর্তারা বলছেন টাইটানের মধ্যে যে অক্সিজেন রয়েছে তাতে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত যাত্রীরা বেঁচে থাকতে পারবে। তবে অনেক বিজ্ঞানী বলছে তারা ঠান্ডা এবং বিষক্রিয়ায় মারা যেতে পারে। আমেরিকার কোষ্টগার্ড প্রধান বলছে আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করে যাচ্ছি।

কখন কার জীবনে কি নেমে আসে সেটা কেউ জানে না। এই ছোট সাবমেরিন দিয়ে আরো কয়েকবার সমুদ্র তলে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখা হয়েছে। তবে এবারের পর্যটকরা ফিরে আসতে পারবে কিনা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ জানে না। আমরা সবাই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি সবাই যেন সুস্থ ভাবে নিজেদের পরিবারের কাছে,আপন জনের কাছে ফিরে আসতে পারে।

সবাইকে ধন্যবাদ।


FrDSZio5ZCzUamf35asauSgs1tnNGCc8exBrDii52qi3Jpx7VBdpwVc4VapjSy3JtXCK3dEJDS8jYnZijAxW2t36oFhopCnVsFrGtMDi8FAe1h1c7ZBBXCHkMoE1Ntj54H77X8LydomuTDnXZgGT6yxu8a7AvgLuxo2mUFPx5zhMq98BpXpELpaBjKAziJVshFg2UaXbNtpqTXrxHy.png

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG_20190907_175336_618.JPG

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।

FNeY1coMNUL9WkErUPeUKmtGszS37qoEdLJEhh8bj8LkMZg4ZnLbSCPtsqdFwbPFaU6vxamfJRhKsAXwWBZmAwtf2KFjktn9asDsnKpUF6cbBcNYFzwcTbFb5dfFf7N5Lt5j8KUqpB64Bhu5yFCR9Qn5uG4sQo8t4PYbc7VJq37PW7258mLRbFTrsBTtbAnos9AJnU46Lv3HqXsN7s.gif

45GhBmKYa8LQ7FKvbgfn8zqd6W2YEX34pMmaoxBszxVcFaFYLUUkHV6dSwLV7zz7zNE5rVJ5qtN3Zm6SdmcqGFekXXVnJVmd6y7N12FUdQdbdzipDFEFaWmdmFe1K9CCqMuRmX9o7cDLXe7oZxUwNZXbSxanRUefX7PYzUbi2zovtPsG5QcGuGgiyhkJur9LnLhaBtL31haW2181Ss.png

KNoz79cGRt58XHcjM3shjWsSEtKgRtxoVdChppmw4FvW2CQtZxVJGen4yBCeRMj2Y2h9ttHevCs9rtWncvn3FXAHo5MrkNBCbLay5LtH7wgCA27mBRvWM5GDKNQKzJk62Dz8KRvqdiFsZ66guzvyhyBYqJu6KB21dLiPDmtFGR2yvqBCtUPp3Rscm37PwtDEWYMtuKM5v3qhNod24L.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

HNWT6DgoBc14riaEeLCzGYopkqYBKxpGKqfNWfgr368M9VRjuxKSTKuNvqEk1nfiYiKKnHbcTuABq9Fu2qE77V9BjGsoqkb23ngKUAk2mCBmjpG3wz3go7Vd2YW.png

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png

download-03.png

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য

download-044.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP

RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png

Click Here For Join Heroism Discord Server

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.

Manually curated by @jasonmunapasee

r2cornell_curation_banner.png

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.17
JST 0.030
BTC 80568.31
ETH 3220.00
USDT 1.00
SBD 2.80