বাচ্চাদের জ্ঞানকে প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়া উচিত।

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।

সোর্স

তো আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরও একটি নতুন পোস্ট। তো আজকে পোস্টে টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আজকে পোস্টার কি নিয়ে লিখতে চলেছি। আসলে আমি প্রথমেই বলে রাখছি ক্রিয়েটিভ রাইটিং এ আমি অতটা দক্ষ নই। কিন্তু আপনাদের সবার পোস্ট পড়ে আমিও কিছু কিছু বিষয় উপলব্ধি করতে পারছি। আর তার মধ্যে থাকে একটা বিষয় নিয়ে আজকে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব। আশা করি একটু হলেও বুঝাতে পারি। তো চলুন আর বেশি দেরি না করে মূল বিষয়ে যাওয়া যাক।

জ্ঞান যেটা মানুষ জাতির আলাদা একটা গুণ। একমাত্র যে প্রতিবন্ধী বা আল্লাহ তাআলা যাকে প্রথম থেকে তুলনামূলক কম জ্ঞান দিয়ে সৃষ্টি করেন শুধুমাত্র বলা চলে তাদের ভিতরে জ্ঞানের কমতি আছে। তাছাড়া ভাবতে গেলে দেখবেন জ্ঞান সবার ভিতরে আছে। হয়তোবা এখানে অনেকে অনেক কথা বলতে পারেন যে সবাই তো জ্ঞানী না। কিন্তু আমি বলি যারা বড় হয়ে অজ্ঞের মত কাজ করে চলে তাদের ছোটবেলাটা দেখবেন। বা যেই বাচ্চাটাকে আপনি ছোটবেলায় দেখেছেন আবার বড় হয়ে দেখছেন তার বিষয়টা লক্ষ্য করবেন। তাহলে বিষয়টা অনেকটাই বুঝতে পারবেন।

একটা ছোট বাচ্চা যখন তিন থেকে চার বছর বয়স হয় তার মধ্যে সে অনেক জ্ঞান অর্জন করে। অর্থাৎ ওইটুকু বয়সে যতটুকু সম্ভব তার থেকেও বেশি জ্ঞানের কাজ করে থাকে। দেখবেন তার মা বাবা বলবে তাদের ছেলে অনেক বেশি জ্ঞানী। সে আজকে এটা করেছে কালকে সেটা করেছে এগুলা বল। আর আমি মনে করি এটা বলাই স্বাভাবিক কারণ জ্ঞান যা প্রায় সব বাচ্চাদের মধ্যেই থাকে। কিন্তু শিশু অবস্থায় বাচ্চাটা খুব দ্রুত জ্ঞান অর্জন করতে পারলেও অনেকেই বড় হওয়ার সাথে সাথে তা হারিয়ে ফেলে। কারণ তারা নিজের জ্ঞানকে কাজে লাগাবার সুযোগ পায় না তার জন্যই মূলত তারা সেটাকে হারিয়ে ফেলে।

আমার একটা বড় ভাই সেদিন বলছিল আমি ছোট থাকতে একটা জাহাজ বানিয়ে ফেলেছিলাম। বিষয়টা অনেকেই অনেকভাবে নিচ্ছিল কিন্তু আমার কাছে একেবারে স্বাভাবিক মনে হয়েছিল। কারণ আমি অনেক বাচ্চাকে দেখেছি যারা ছোটবেলায় ইলেকট্রনিক জিনিস নিয়ে বেশ ঘাটাঘাটি করতে পছন্দ করে। কিন্তু সবাই সঠিক সুযোগ না পাওয়ার কারণে বা প্রয়োজনীয় জিনিস না পাওয়ার কারণে কিছু তৈরি করতে পারে না বা তাদের জ্ঞানকে প্রকাশ করতে পারে না। কিন্তু যেসব বাচ্চারা একটু এসব দিকে ফোকাস করার সুযোগ পাই তারাই দেখবেন ছোট থাকতেই এমন একটা জিনিস বানিয়ে ফেলেছে যেটা অনেকেই অবাক করে দিবে।

তাই আমি মনে করি ছোট থাকতে ছোট বাচ্চাদের মনে ইতিবাচক জ্ঞান অর্জন করার মনোভাব জাগানো প্রত্যেকটা বাবা মায়ের দায়িত্ব। যেন তাদের জ্ঞানকে তাঁরা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে। আর বড় হয়ে জ্ঞান অর্জন করার সবথেকে ইফেক্টিভ উপায় হল বই পড়া। এবং যেগুলো পড়বো সেগুলোকে বাস্তবের সঙ্গে উপলব্ধি করা। আর এটা আমাদের সকলের করা উচিত কারণ জ্ঞানহীন মানুষ এবং জ্ঞানী মানুষের মধ্যে আকাশ-পাতাকাত তফাৎ থাকে।

তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। পোস্টটি পড়ে আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59934.86
ETH 2666.82
USDT 1.00
SBD 2.45