আপুদের সাথে খালার বাড়ি ভ্রমন।

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরও একটি নতুন পোস্ট। তো গত কয়েকদিন আগে একটা পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছিলাম যে আমার আপুরা প্রায় দুই বছর পরে আমাদের বাড়িতে এসেছে। তো এতদিন পরে যেহেতু বাড়িতে এসেছে তাই একটু খালার বাড়ি মামার বাড়ি ঘুরতে না গেলে কি আর হয়। তো গতকালকে আমরা প্ল্যান করেছিল যে খালার বাড়িতে যাবে এরপর ওখান থেকে সোজা নানির বাড়ি ঘুরে তারপর বাড়ি ফিরব। তবে দুঃখের বিষয় হলো অন্যবার আমি বাড়ি থাকতাম তাই আপুদের সাথে সব জায়গায় যেতে পারতাম। কিন্তু বর্তমান যেহেতু আমি একটা কাজ করছি তাই আর এবারে আপুদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার সুযোগটা তেমন হয়নি। কিন্তু যেহেতু খালার বাসা আমার কাজের জায়গা থেকে খুব কাছেই তাই আমার চিন্তা ছিল যে আমি কাজ শেষ করে সোজা খালার বাড়িতে চলে যাব।

তো অন্য দিনের মত আমি সকাল সকালে কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। আর আপুরা আমার সাথে খালার বাড়ির দিকে রওনা দিয়ে এসেছিল কিন্তু সবকিছু গোছানো না থাকায় আপুরা পড়ে গিয়েছিল। তবে মজার বিষয় হচ্ছে গতকালকে যেহেতু শুক্রবার ছিল তাই আমি দুপুরে একবার খালার বাসায় যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। তো কালকে যেহেতু জুম্মার দিন ছিল তাই বারোটার দিক থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত আমার ছুটি ছিল। তো আমি ছুটি পেয়েই সোজা বেরিয়ে পড়েছিলাম খালার বাসার দিকে। এরপর খালার বাসায় গিয়ে প্রথমেই খালাতো ভাই এবং ভাগ্নেকে নিয়ে বেরিয়ে বলেছিলাম নামাজের উদ্দেশ্যে। প্রথমে তো জুম্মার নামাজ শেষ করলাম এরপর বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া সেরে নিলাম।

আমি আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলাম যে শুক্রবারে ভাগ্নে দের সাথে একটু ঘোরাঘুরি করব এবং ছবি তুলব। তো সেটা তো আর বাড়ি থেকে হলো না তাই খালার বাড়িতেই দুপুরবেলায় খাওয়া-দাওয়া সেরে বেরিয়ে পড়লাম ঘোরাঘুরির উদ্দেশ্যে। মূল উদ্দেশ্য ছিল মূলত ছোট ভাগ্নের সাথে ছবি তোলা। তো ও যেহেতু একেবারে ছোট অর্থাৎ এক বছর বয়স কেবল তাই ওকে সামলানো খুবই মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল। যতই বলছিলাম ক্যামেরার দিকে তাকাও ততই ও এদিক-ওদিক তাকিয়ে দেখছিল। যাহোক তারপরও অনেক কষ্টের পর কয়েকটা ভালো ছবি তুলেছিলাম।

তো এই ছবি তুলতে তুলতে দেখি ঘড়ির কাটাই ২:৫০ মতো বেজে গেছে আর আমার কাজের যাওয়ার সময় চলে এসেছে তাই আর ঘোরাফেরা না করে ভাবলাম ওদেরকে খালার বাসায় রেখেই আমি আবার কাজে চলে যাব। তো যেমন কথা ছিল তেমনটাই করলাম। এরপর সারাদিন কাজ ছেড়ে আবারো রাতে যখন খালার বাসার দিকে আসবো তখন দেখি রাস্তায় একটাও গাড়ি নেই। তো আমার কাজে জায়গা থেকে খালার বাসা প্রায় দুই কিলোমিটার দূর হবে হয়তো। তাই আর এদিক ওদিক না ভেবে হাঁটতে থাকলাম। এরপর হাঁটতে হাঁটতে ভাবলাম কেননা হাঁটতে হাঁটতে একটু পোস্ট লেখা যাক। কারণ আমি জানতাম খালার বাসাতে একটুও নেটওয়ার্ক পাইনা বিশেষ করে রবি সিমে। তো যেই কথা সেই কাজ আসতে আসতেই লিখতে থাকলাম।

কিছুটা হাঁটার পরেই দেখি একটা ভ্যান আসছে তাই আর লেখা বাদ দিয়ে সোজা ভ্যানে উঠে পড়লাম। তো ভ্যানে উঠে খালার বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম। এবং আমি কালকে গুনে দেখি খালার বাসায় ১৫ জন সদস্য হয়ে গিয়েছি। মানে বুঝতেই তো পারছেন আমার আপু যেহেতু অনেক দিন পরে এসেছে তাই আমার খালাতো বোনেরাও আপুকে দেখার জন্য চলে এসেছিল। তো সবার সাথে সময়গুলো বেশ মজা করে কাটাচ্ছিলাম। যাই হোক শেষে আমি ভাবলাম যে আজকে তো পোস্ট করতে হবে তাই বড় ভাগ্নে টাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম নেটওয়ার্কের খোঁজে। কারণ নেটওয়ার্ক ছাড়া তো আর পোস্ট করতে পারবো না। তো অনেকক্ষণ খোঁজার পরে এক জায়গায় দেখি মোটামুটি নেটওয়ার্ক পাচ্ছে তো সেখানে দাঁড়িয়েই আমি পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। তো আমার পোস্ট লিখতে লিখতে অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছিল তাই ভাগ্নে আর না দাঁড়িয়ে সে বাড়ি চলে এসেছিল কিন্তু আমার যেহেতু পোস্ট করতে হবে তাই আমি দাঁড়িয়ে পোস্টটা সেরে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।

বাসায় আসার পর আবারও সবাই মিলে বেশ মজা করেছিলাম। যদিও বা খালার বাড়িতে আমার খালাতো ভাই ছাড়া আমার বয়সী আর কেউ ছিল না। কিন্তু ওর সাথে যে আড্ডা দেবো তার কোন উপায় ছিল না কারণ ওর বাড়িতে দোকান আছে আর ও সেখানেই সারাদিন ব্যস্ত। যাই হোক তারপরও ছোট অনেক বাচ্চা ছেলে মেয়ে ছিল অর্থাৎ আমার ভাগ্নেরা ওদের সাথে বেশ মজা করেছিলাম আর এমনিতেই আমার ছোট বাচ্চাদের সাথে খেলা খেলতে ভালই লাগে। যাই হোক এরপর অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল তারপর আমরা ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আবার সকালে উঠে খাওয়া শেষ করে আমি কাজে চলে গিয়েছিলাম। তবে এবার আপুরা বলেছিল যে আজকে নানির বাসায় যাবে। তো আমি এখন বর্তমান নানির বাড়িতে আছি এই নানির বাড়িতে আসার ঘটনাটা আপনাদের মাঝে কালকে শেয়ার করব ইনশা-আল্লাহ।

তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আজকের লেখাগুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। তো আজকের মতো এটুকুই আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 10 months ago 

অনেকদিন পর খালার বাসায় বেড়াতে গেলেন, এখন হয়তো আর আগের মত সময় হয়ে ওঠেনা যেহেতু আপনি কাজ করছেন। তবুও সব ব্যস্ততার মাঝে সময় বের করে সবাই একসাথে কিছুটা সময় কাটিয়েছেন এটাই আনন্দের।

 10 months ago 

জি ভাই সময়টা বেশ ভালই কাটিয়েছিলাম ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য ।

 10 months ago 

মায়ের পরে যদি সব থেকে আপন কাউকে ধরা হয় সে হলো খালা। অনেক সময় মা পাশে না থাকলেও খালা থাকলে মায়ের অভাবটা কিছুটা পূরণ করে। আপনি আপনার আপুদের সাথে খালাবাড়ি ভ্রমণ করেছেন। ভ্রমণের কিছু অভিজ্ঞতা এবং কিছু ভাললাগার বিষয়গুলো আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। বেশ ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতিটা মাঝে মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন্তব্যটি করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 59020.34
ETH 2514.65
USDT 1.00
SBD 2.47