লাইফ স্টাইল || অনেকদিন পর ধান ভাঙ্গানোর মিলে গিয়ে ধান ভাঙ্গানোর অভিজ্ঞতা।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
তো পরে আম্মু বলল কালকে যেহেতু শুক্রবার তাই কালকে সকালে অথবা বিকেলের দিকে একটু ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসে ধানগুলো ভাঙ্গাতে নিয়ে যেতে। তো আমি বিকেলটাকে না বেছে সকালটাকে বেছে নিলাম কারণ সকালবেলায় ধান ভাঙ্গিয়ে এসে গোসল করলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে কিন্তু বিকালে গোসল করতে ভালো লাগবে না আবার গা হাত পা নোংরা হয়ে যাবে তাই সকালটাকে বেছে নিলাম।
তো সেই মোতাবেক আজকে সকাল বেলায় কাজে চলে গিয়েছিলাম এবং কিছুক্ষণ পরেই ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে আসলাম ধান ভাঙানোর জন্য। তো বাড়িতে এসে দেখি আম্মু ধানের বস্তা গুলো রেডি করে রেখেছে। এবার আমাকে শুধু নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমাদের এখান থেকে মেইন রোডে যাওয়ার রাস্তাটা খুবই বাজে। এই রাস্তা দিয়ে ভ্যান আনা খুবই মুশকিল তাই বাধ্য হয়েই পাশের বাড়ির প্রতিবেশীর কাছ থেকে সাইকেল ধার করে নিয়ে এসে চলে গেলাম ধান ভাঙ্গানোর উদ্দেশ। তো এই ক্ষেত্রে আমাকে হেল্প করার জন্য আম্মুও আমার পিছে পিছে আসছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো যাওয়ার পথে সমস্যা হতেও পারে কারণ রাস্তা যেহেতু অনেক উঁচু নিচু। শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে সমস্যা একটু হলেও সেটা মেনে নেওয়ার মতো ছিল। আমাদের এখানে রাস্তা ঠিক করার কাজ চলছে জানিনা সেটা কমপ্লিট হতে কতদিন সময় লাগবে। তবে এক্ষেত্রে একদম আমাদের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা ঠিক হবে না কিন্তু যেটুকুই ঠিক হবে সেটুকুতেই আশা করা যায় অনেকেরই উপকার হবে।
তো যাই হোক কিছুক্ষণের মধ্যেই ধান ভাঙ্গানোর মিলে পৌঁছে গেলাম। তো মিল পর্যন্ত পৌছাতে গিয়ে আমার বেশ ভালই বেগ পেতে হয়েছিল। কারণ অনেকদিন এই ধরনের কাজ করা হয় না। এর আগে প্রায় এক বছর আগে হয়তো বা ধান ভাঙ্গাতে গিয়েছিলাম। তো যাই হোক মিলে গিয়ে দেখি অলরেডি একজনের কাজ চলছে। তো ওনার কাজটা শেষ করেই আমাদের ধানগুলো ভাঙ্গাতে শুরু করলো। তো বেশ কিছুক্ষণ সময় অপেক্ষা করার পর ধান ভাঙ্গানো কমপ্লিট হয়ে গেল তারপর আবারো বস্তাগুলো সাইকেলে উঠিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিলাম। এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ি পৌঁছে গেলাম। তবে সব মিলিয়ে ধান ভাঙ্গিয়ে আসতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছি। অন্যদিন হলে সমস্যা হতো না কিন্তু আজকে যেহেতু জুম্মার দিন ছিল তাই একটু তাড়াহুড়ার মধ্যে ছিলাম তবে এত তাড়াহুড়া করার পরেও বেশ দেরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ আমি জামাতে অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলাম।
তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। তো এই ছিল আমার আজকের লাইফ স্টাইল পোস্ট জানিনা পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লাগবে কারণ প্রথমবারের মতো এরকম একটা লাইফ স্টাইল শেয়ার করলাম। অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যটা কমেন্টে জানাবেন। তো যাই হোক আজকের মতো এটুকুই আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/MdJohir65/status/1728100624938725429?t=XB-WOL0MDslLpwGmlgX9Ug&s=19
পরিবারের চাহিদা মেটাতে আপনি ধান ভাঙ্গাতে ধান ভাঙ্গানোর মিলে গেলেন।তবে রাস্তা উঁচু নীচু বলে ভ্যানে না গিয়ে প্রতিবেশীর সাইকেল নিয়ে গেলেন।এটা খুব ভালো ই করলেন।যদিও শুক্রবার ছিল।তারপরেও জামাতে আপনি নামাজ পড়তে পারলেন।জেনে ভালো লাগলো। এটা ঠিক বলেছেন,এই চাল আমাদের শহরের মানুষ কিনে এনে থাকি।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। ।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন্তব্যটি করার জন্য।
যারা গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করে তাদের এই ধান ভাঙ্গানোর অভিজ্ঞতা সত্যিই অন্য সবার থেকে একটু বেশি। যখন বাসায় থাকতাম তখন কয়েক মাস পরে ইচ্ছে করেই ধান ভাঙ্গাতে যেতাম মিলঘরে। যদিও এটা আমার তেমন একটা ভালো লাগতো না কারণ সেখানে প্রচুর ধুলাবালি আর নাকের মধ্যে ধুলাবালি গেলে আমার প্রচুর হাঁচি হয়। যাইহোক আপনি আপনার আম্মুর কথাতে ধান ভাঙ্গাতে গিয়েছিলেন এবং সুন্দর একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন যেটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার এই অভিজ্ঞতাটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন মিলে গেলে যদি ঝাল ভাঙ্গে তাহলে অনেক বেশি হাঁচি হয়। তবে ধুলাবালির কারণে আমার হাঁচি এত সহজে হয় না।
তাহলে তো আপনি অনেক কষ্ট করে ধান ভাঙ্গার জন্য নিয়ে গেলেন। তবে আমাদের এদিকে একটা সুবিধা আছে ছোট টাকটার গুলোর মধ্যে ধান ভাঙ্গার মেশিন বসিয়ে বাড়িতে এসে ধান ভেঙ্গে যায়। যাইহোক আপনি সত্যি অনেক ভালো করেছেন প্রতিবেশী সাইকেল ধার নিয়ে আপনার আম্মুকে ধান গুলো ভেঙে দিয়েছেন। যদিও রাস্তার অবস্থা খারাপ ছিল তারপরও আপনি ঠিকমত ধান গুলো মিলে নিয়ে গেলেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে সুন্দরভাবে গুছিয়ে মন্তব্যটি করার জন্য। আরে হ্যাঁ আমাদের এদিকে যদি এমন সুবিধা থাকতো তাহলে অনেক ভালো হতো।
ছোটকালে আমরা এভাবে ধান ভাঙ্গানোর মিলে যেতাম আমরাও। তবে এখন ধান ভাঙ্গানোর জন্য মিলে যেতে হয় না। তবে আপনি অন্যজন থেকে সাইকেল নিয়ে অনেক কষ্ট করে ধান ভাঙ্গানোর মিলে গেলেন। তবে যদি যাতায়াত করার রাস্তা খারাপ হয় তাহলে রিকশা বা ভ্যান গাড়ি নিয়ে যেতে অনেক কষ্ট হয়। যাইহোক কষ্ট করে ধান গুলো ভাঙ্গান এবং আপনার আম্মুর কথা শুনেছেন ভালই করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর করে পোস্টটি করার জন্য।
হ্যাঁ আম্মুর কথা শুনতে পারলে খুবই ভালো লাগে। যাহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে মন্তব্যটি করার জন্য।