একটি মর্মান্তিক বাইক এক্সিডেন্ট। পর্ব-১
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
এইতো কয়েকদিন আগে আমি দোকানে বসে আছি। তো সেই সময় হঠাৎ করেই চোখের সামনে দিয়ে একটা বাইকে দুই তিন জন ছেলেকে যেতে দেখলাম। তো পাশ থেকে তারিফ ভাই বলল যে এরা খালি অ্যাক্সিডেন্ট করে। তো এটা শুনে আমি ওনার কাছ থেকে জানতে চাইলাম,কেন অনেক বার করেছে নাকি। তো উনি আমাকে বলল যে মাঝে মাঝেই ওরা এক্সিডেন্ট করে। আসলে বাইক অনেক ছেলেদেরই স্বপ্ন। কিন্তু যেসব যুবক ছেলেদের কাছে বাইক থাকে তাদের মধ্যে প্রায় অনেকেই ফাউল গাড়ি চালাই। তো ওরা ছিল তাদের মধ্যে একজন। তাই হয়তোবা ওরা মাঝে মাঝেই অ্যাক্সিডেন্ট করতো। যাই হোক তারপর আর এ বিষয়ে কথা না বাড়িয়ে যে যার মত কাজ করতে থাকলাম।
কিন্তু গত তিন দিন আগে হঠাৎ করেই একটা অটো এসে হাজির এবং আমাদেরকে বলছে অ্যাম্বুলেন্সে কল দিতে এক্সিডেন্ট হয়েছে। তো এটা শুনেই আমাদের ডাক্তার ভাই অর্থাৎ যার দোকানে আমি কাজ করি তিনি বিষয়টা দেখতে গেলেন। তিনি এক্সিডেন্ট করা ছেলেটার কাছে গিয়েই বুঝতে পেলেন যে বড় রকমেরই অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। তো তিনি দৌড়ে দোকানের ভিতরে এসে অ্যাম্বুলেন্সের নাম্বার খুঁজতে থাকেন কিন্তু সেই মুহূর্তে এম্বুলেন্স এর নাম্বারটাও খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে যেহেতু ছেলেটাকে ইমারজেন্সি হসপিটালে পাঠাতে হবে তাই আমরা ট্রিপল নাইনে কল দিয়ে এম্বুলেন্স পাঠিয়ে দেয়ার জন্য বললাম।
তো আমি তখন এত মারাত্মক ঘটনা শুনেই ছেলেটার কাছে গিয়ে দেখতে গেলাম যে কি অবস্থা। তো আমি গিয়ে দেখি যে ওর হাতের একটা জায়গার গর্ত হয়ে হার দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও পায়ে অনেক আঘাত লেগেছে। ক্ষতস্থানগুলো দেখতে বেশ ভয়ংকর লাগছিল। তো এই এক্সিডেন্টের ঘটনা শুনে চারিদিকে অনেক লোক জড়ো হয়ে গেল। এবং চারিদিক ভেসে গেল কান্নার স্বরে। হঠাৎ করেই সুন্দর বিকেলটা এরকম হয়ে গেল। কি একটা মর্মান্তিক অবস্থা এদিকে অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি করছিল। তো এম্বুলেন্স আসতে দেরি করতে দেখে কয়েকজন আবার তাকে অটোতে করেই হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। কিন্তু সোহেল ভাই বলল অর্থাৎ যিনি ডাক্তার তিনি বলল যে একটু দাঁড়ান এম্বুলেন্স আসলে তাড়াতাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়ে যাবে। তো তারপর সবাই একটু দাঁড়িয়ে ছিল কিন্তু পরবর্তীতে ট্রিপল নাইন থেকে আমাদেরকে কল করে বলল যে এই মুহূর্তে অ্যাম্বুলেন্স অন্য একটা কাজে গেছে তাই আপনারা একটু ব্যবস্থা করুন।
তো এই কথা শোনার পর পরই ছেলেটাকে অটোতে করেই হসপিটালে পাঠিয়ে দেয়া হলো। আর ওই ছেলেটার বাইকের পেছনে আরো একটা ছেলে ছিল যার অত বেশি লাগেনি তাই তাঁকে আমাদের এখানেই ড্রেসিং করে ব্যান্ডেজ করে দিতে বলছিল। কিন্তু আমরা বিষয়টা দেখে বুঝতে পারলাম এর অবস্থাও খুব একটা ভালো না। তাই একেও আরেকটা ভ্যানে উঠিয়ে হসপিটালে পাঠিয়ে দেওয়া হল। কিন্তু হেঁটে হেঁটে যখন ভ্যান এর কাছে যেতে যাচ্ছিল তখনই দেখি সে ভালোমতো হাঁটতে পারছে না। তো তারপর তাকে কোলে উঠিয়ে মেনে তুলে দেয়া হলো। যাইহোক এর কিছুক্ষণ পরে দেখি ছেলেটাকে গাংনীতে না রেখে কোনরকমে ব্যবস্থা করে তাকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয়া হলো। আসলে এটা আগে থেকেই জানা ছিল যে এ রোগীকে গাংনীতে রাখবে না। তো এরপর কি ঘটেছিল সেগুলো আপনাদের মাঝে পরবর্তী পর্বে শেয়ার করব ইনশা-আল্লাহ।
তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। তো আজকের মতো এটুকুই আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/MdJohir65/status/1729563101027053583?t=OD91zc892rtMEzH0UsfXWg&s=19
বাজে ভাবে যারা রাস্তায় বাইক চালায় তাদের জন্য কি আর বলবো😓! নিজেদের দোষেই তারা এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বাইক এক্সিডেন্ট এর এমন মর্মান্তিক ঘটনা শুনতেও খারাপ লাগে । বাইক এক্সিডেন্ট জোরালো হলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে যে ক্ষতস্থানগুলো হয় তা দেখতে ভয়ংকরই লাগে। কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পর ছেলেটির সাথে কি হলো, সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
হ্যাঁ ভাই এক্সিডেন্টের ক্ষতস্থান দেখতে বেশ ভয়ংকর লাগে। ইতিমধ্যেই ঘটনাটির পরবর্তী অংশ শেয়ার করেছি চাইলে দেখে আসতে পারেন।
বাইক এক্সিডেন্ট খুব ভয়ানক হয় বেশি সময়েই।আর এই অ্যাক্সিডেন্টে বেশি শিকার হয় উঠতি বয়সের তরুণরা। তরুণদের বেপরোয়া বাইক চালানোই এর মূল কারণ। খুব খারাপ লাগলো ঘটনাটি পরে।আপনার ডাক্তার ভাই খুব ভালে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হসপিটালে পাঠানোর।ছেলেটার এখন কি অবস্থা জানতে ইচ্ছে করছে।পরবর্তী পোস্টে অবশ্যই জানতে পারবো সেই অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ইতিমধ্যেই ঘটনাটির পরবর্তী অংশ শেয়ার করা হয়েছে চাইলে দেখে আসতে পারেন।