ছোটবেলায় ভূতের গল্প শুনে যখন অতিরিক্ত ভয় পেয়ে যায়।পার্ট-১

in আমার বাংলা ব্লগlast year
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।

horror-g47fa69b4b_1920.jpg

সোর্স

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরো একটি নতুন পোস্ট। গতকাল রাতে একটা ভুতের সিরিজ দেখছিলাম। তো ওই সিরিজটা দেখার সময় আমার ছোটবেলার একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। তো কালকে তখন আমি ভাবলাম এই ঘটনাটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। তো সেই মোতাবিক আজকে আপনাদের মাঝে চলে এসেছি সেই ঘটনা শেয়ার করার জন্য। আসলে আপনারা তো জানেন আমরা ভূতে বিশ্বাস করি বা নাই করি কিন্তু ভয় ঠিকই পাই। আমি ভূত বিশ্বাস করি না তবে একটা অদৃশ্য জাতিকে বিশ্বাস করি যেটাকে আরবিতে জ্বীন বলা হয়ে থাকে। যাইহোক ওদিকে আর না যায় মূল গল্পে ফিরে আসা যাক। তো আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে গল্পটি শেয়ার করব এটা প্রায় পাঁচ সাত বছর আগের ঘটনা। তো তখন আমি অনেকটাই ছোট ছিলাম। একদিন বিকেল বেলায় আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে ঠিক করলাম যে আজকে খেলা শেষ করে সন্ধ্যার দিকে একটু ভূতের গল্প করব। তো খেলা শেষে আমরা কি কি ভূতের গল্প করেছিলাম এবং আমরা কেমন ভয় পেয়েছিলাম সেগুলো আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। তো চলুন আর বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।

তো সবাই মিলে খেলাধুলা শেষ করে গোল হয়ে বসে পড়লাম ভূতের গল্প করার জন্য। সবাই ছোটবেলা থেকে যেসব ভুতের গল্প গুলা শুনে এসেছি সেগুলাই আজকে সবাই একে একে বলব। তো প্রথমে আমার বন্ধু আকাশ তাঁর বাবার থেকে সোনা একটা ভূতের গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করল। গল্পটা ছিল এমন যে তার বাবা ঢাকা থেকে কোথায় একটা যাচ্ছিল তখন বড় একটা দানব টাইপের কিছু দেখতে পেয়েছিল। তো গল্পটা ছিল মূলত এটাই নিয়ে। গল্পটা যখন ও বলছিল তখন আমরা যেন ভয় পেয়ে যায় সেভাবে বলছিল আর সন্ধ্যার সময় আমরা নির্জন জায়গায় বসেছিলাম আর তখন যেহেতু আমরা ছোট ছিলাম তাই এই গল্পটা শুনে একটু একটু ভয় পেয়ে গেছিলাম। যাই হোক এরপর আমার আরো একটা বন্ধু একটা ভূতের গল্প বলল। এভাবেই সবাই তার নিজ থেকে জানা গল্পগুলো শেয়ার করতে থাকলাম। আমি তেমন কোন গল্প জানতাম না।

তো যাই হোক যেহেতু আমরা ভূতের গল্প করছি এবং মোটামুটি একটু অন্ধকার হয়ে এসেছে। সবার মনে একটু একটু ভয় জাগতে শুরু করল। তখনই হঠাৎ করে আমার একটা বন্ধু চিৎকার করে বলে ওঠে ওই দেখ ভূত। এইটা বলার সাথে সাথে সবাই দৌড় দিয়ে চলে গেলাম আমার বন্ধু নয়ন দের বাড়িতে। কারণ ওর বাড়ির পাশে মূলত আমারা এই ভূতের গল্পটা করছিলাম। আর হ্যাঁ গতকাল যার বার্থডে নিয়ে পোস্ট করেছিলাম এটা সেই নয়ন দের বাসা ছিল। তো আমরা নয়নদের বাড়িতে গিয়ে দেখি আন্টি এবং নয়নের নানী বসে আছে। আমরা তখন গিয়ে নয়নের আম্মু এবং নয়নের নানীকে বললাম এই এই ঘটনা। তো এরপর নয়নের নানী বলল এতে ভয় পাওয়ার কি আছে। ভূতের গল্প শুনবে আমি তোদেরকে বলছি এই বলে আমাদের মাঝে ভূতের গল্প বলা শুরু করল,,,,

চলবে.....

তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আর হ্যাঁ একটা কথা গল্পটিতে কিন্তু কোন ভূত নেই তবে অনেক অনেক ভয় আছে। আশা করি পরবর্তী পর্বগুলো পড়লে আপনাদের ভালোই লাগবে। আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ
Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

আপনারা বন্ধুরাই মিলে ভালই ভূতের গল্প নিয়ে আলোচনা করতে লাগলেন। তবে আপনি দুষ্টামি করে এই দেখো ভূত বলে চিৎকার করে নয়নেদের বাড়িতে চলে গেলেন। আমার মনে হয় নয়নের নানু বাস্তবে ভুতের গল্প আপনাদেরকে শোনাবে। আশা রাখি পরের পরবে নয়নের নানু কি ভূতের গল্প শোনায় তা জানার জন্য। অপেক্ষা রইলাম দ্বিতীয় পর্বের জন্য।

 last year 

আসলেই সেদিন খুব ভয় পেয়েছিলাম। পরবর্তী পর্বটা পড়লে আরো ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন্তব্যটি করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 58668.45
ETH 3162.85
USDT 1.00
SBD 2.44