নিচু মন মানসিকতা।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
আমি বর্তমান একটা ফার্মেসিতে কাজ করি আমার ফার্মেসির যিনি মালিক তিনি হচ্ছেন একজন ডাক্তার তিনি প্রতিনিয়ত রোগী দেখে থাকেন এবং আমাদের কাজ হচ্ছে ওষুধ দেওয়া। তো যেহেতু আমি দোকানে থাকি তার জন্য প্রতিনিয়তই অনেক মানুষের সাথেই আমার পরিচয় হয় এবং অনেক জনের সাথেই কথা হয়। এবং অনেকজনেরই মন মানসিকতা সম্পর্কে আমার ধারণা হয়। একজন সম্মানীয় ব্যক্তি আমাদের দোকান থেকে ঔষধ নিয়ে থাকে। তো উনি মূলত ভাই এর পরিচিত তাই ওনাকে যেকোনো ওষুধে ছাড় দেয়া হতো।একদিন ভাইয়া বাইরে ছিল তাই আমি ওনাকে ঔষুধগুলো দিয়েছিলাম এবং আমিও প্রতিটা ওষুধের মূল্য থেকে যতটুকু সম্ভব ছাড় দিয়ে দাম ধরেছিলাম। তো সবগুলো ঔষধ দেওয়ার শেষে তিনি আরও একটা ওষুধ চাইলেন যেটার মূল্য ছিলো ৪০ টাকা। তো উনি আমাকে বলছেন এখান থেকেও ৫ টাকা ছাড় দিতে। আপনারা যারা এই বিষয়ে আইডিয়া রাখেন তারা নিশ্চয়ই জানবেন যে ৪০ টাকা থেকে ওষুধের মূল্যে ৫ টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। আর এটা উনিও খুব ভালোভাবে জানতেন তার পরেও আমাকে এটা বললেন। সত্যি বলতে ওনার এই একটা কথার কারণেই ওনাকে যতটা মন থেকে সম্মান করতাম সেটা এখন আর করতে পারিনা। তবে তারপরেও চেষ্টা করি ওনাকে সম্মান করার জন্য।
তো যাই হোক এই তো গেলে একটা বিষয় এবার আরেকটা ঘটনা বলি একবার একটা মসজিদে একটা ভাই ক্যালেন্ডার দান করেছিল। আর সেই ক্যালেন্ডারটা দান করার একটাই কারণ যে ক্যালেন্ডারটা দেখতে অনেক সুন্দর ছিল এবং ইউনিক ডিজাইনের ছিল। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে এক লোক নাকি সেই ক্যালেন্ডারটা তার বাসায় নিয়ে গেছে। সত্যি বলতে আমি যখন এই কথাটা শুনলাম তখন মনে হল মানুষের মন মানসিকতায় এমনও কিভাবে হয়। আর সব থেকে খারাপ লাগার বিষয় হল উনি এখন বর্তমান ওই মসজিদের ইমাম। তো যাই হোক দোয়া করি যেন উনার মন সুন্দর এবং কমল হয়।
তো যাই হোক এবারে আরেকজন ব্যক্তির কথা বলা যাক যিনি সব জায়গায় ডিসকাউন্ট নিতে পছন্দ করে। একদিন আমাদের দোকান থেকে একজন ১০ টাকার ওষুধ নিলো এবং বলল এখান থেকে দশ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট দিতে। সত্যি বলতে এখানে আমাদের আর কিছু বলার ছিল না। নিশ্চয়ই বুঝেই গেছেন যে ওনার মন মানসিকতা ঠিক কি রকম। তবে জানিনা উনি এটা মজা করে বলেছিলেন কিনা। আর হ্যাঁ ডিসকাউন্ট দেওয়া যায় না তা না তবে ডিসকাউন্ট দেয়া যাই সেই সকল মানুষদের যাদের খুব বেশি আর্থিক সমস্যা। বা অনেক টাকার জিনিস কিনেছে তো সেখান থেকে কিছু ডিসকাউন্ট পেলে তার উপকার হবে। কিন্তু এমন জায়গায় ডিসকাউন্টের কথা বলা উচিত না যেখানে নিজেকে ছোট করা হবে। যদি বা এখন আমাদেরকে ডিসকাউন্ট দিতে নিষেধ করা হয়েছে তাই আর ডিসকাউন্টে নিতে পারবে না। এর জন্য এখন বেশ প্যারার মধ্যেও আছি। যদি সুযোগ হয় পরবর্তীতে সেটা নিয়ে আলোচনা করব।
তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। তো আমার আজকের লেখাগুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই। আজকের মতো এটুকুই আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
https://twitter.com/MdJohir65/status/1728466792430162327?t=o-AswSE0o4AKlkdB-y1NRg&s=19
একজন মানুষের মন মানসিকতা কেমন সেটা তার আচরণেই প্রকাশ পায়।আপনি যে ঘটনাগুলো তুলে ধরেছেন সেগুলো এখন প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। যখনই আপনি কিছু বলতে যাবেন তখনই তাদের চোখে খারাপ হয়ে যাবেন। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
সমাজের এরকম মানুষ অহরহ। কেউ বা ডিসকাউন্ট নিতে পছন্দ করে।কেউ না ফ্রী তে নিতে পছন্দ করে। আসলে আর্থিক সমস্যা না থাকলে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা উঠে যায়।আর মসজিদে সুন্দর ক্যালেন্ডার দান করেছিলেন কেউ আর সেটি যখন কেউ বাড়িতে নিয়ে যায় সেটা শুনে খারাপ লাগারি কথা।আসলে এমন ঘটনা নিচু মন মানসিকতার প্রকাশ করে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে মসজিদের ঘটনাটা শুনে আমারও খারাপ লাগছিল।
আমরা সাধারণত কথাই বলে থাকি মানুষের পাঁচটা আঙ্গুল সমান নয়। আর পাঁচটা আঙ্গুল মানুষকে অনেক কিছু শিক্ষা দিয়ে থাকে। পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের মানুষ বসবাস করে তাদের সবার মন এক নয়। ওষুধের বিষয়ে যেমন তেমন, মসজিদের যে ক্যালেন্ডারটি যিনি বাড়িতে নিয়ে গেছেন এই বিষয়টি আমার কাছে অত্যন্ত খারাপ লেগেছে তাও উনি আবার মসজিদের ইমাম। এই ধরনের কিছু খারাপ মানুষ আমাদের সমাজে বসবাস করে বলে সমাজটা আজ এত কলুষিত।
ভুল বুঝবেন না আসলে যখন উনি ক্যালেন্ডারটি নিয়ে গেছিলেন তখন উনি ইমাম ছিলেন না। তবে দুঃখের বিষয় হলো যার মধ্যে ইমাম হওয়ার কোয়ালিটি আছে সে কিভাবে এরকমটা করতে পারে।
ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। তবে এতো নিচু মনের মানুষ থাকলে খুবই সমস্যা। যাকে যত বেশি ডিসকাউন্ট দিবেন তারা ততই বেশি ডিসকাউন্ট চাবে।এই জন্য যারা মোটা অংশের ওষুধ নিয়ে থাকে তাদের জন্য ডিসকাউন্ট পার্ফেক্ট।আপনার মসজিদের গল্প পড়ে একটু অবাক হলাম। ক্যালেন্ডার হারিয়ে গেছে।আচ্ছা মানুষ কি এতো নিচু মানের হতে পারে।মসজিদের ক্যালেন্ডার নিয়ে চলে যায়। পরে দেখা গেলো সেই লোকে নাকি মসজিদের ইমাম।কি আশ্চর্য ঘটনা ভাই। যাইহোক সুন্দর ভাবে পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভুল বুঝবেন না আসলে যখন উনি ক্যালেন্ডারটি নিয়ে গেছিলেন তখন উনি ইমাম ছিলেন না। তবে দুঃখের বিষয় হলো যার মধ্যে ইমাম হওয়ার কোয়ালিটি আছে সে কিভাবে এরকমটা করতে পারে।
১০ টাকার প্রোডাক্ট এ আবার কিভাবে ডিসকাউন্ট চায়। অনেকেই আছে যে বিভিন্ন ডিসকাউন্টে জিনিস কিনতে কিনতে ভুলে যায় যে সব জিনিস এর ডিসকাউন্ট চাওয়াও ঠিক না। ঠিকই বলেছেন ভাইয়া ডিসকাউন্ট তাদেরকে দিলে ভালো হয় যারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল। ওষুধ কিনতে যাদের খুব কষ্ট করতে হয়।
জানিনা সেখান থেকে তার কি লাভ হতো।
ঠিকই বলেছেন, মানুষের মন মানসিকতা তার আচরণ এবং ব্যবহারের মাধ্যমেই প্রকাশ পায়। আপনার পোষ্টের ঘটনা তিন টি পড়লাম। মসজিদ থেকে ক্যালেন্ডার নেওয়ার ব্যাপারটা পড়ে খারাপ লাগলো। মসজিদের ইমাম হয়ে এই কাজ টা করেছেন। শেষের ঘটনাটি পড়ে কিছুটা অবাক হলাম। ১০ টাকার ওষুধেও ১০% ডিসকাউন্ট চাচ্ছে। আসলে সবার মন মানসিকতা এক রকম হয় না। ঘটনা গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভুল বুঝবেন না আসলে যখন উনি ক্যালেন্ডারটি নিয়ে গেছিলেন তখন উনি ইমাম ছিলেন না। তবে দুঃখের বিষয় হলো যার মধ্যে ইমাম হওয়ার কোয়ালিটি আছে সে কিভাবে এরকমটা করতে পারে।