চড়ুই পাখির কাহিনী।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
আসলে প্রায় বেশ কিছুদিন আগে থেকেই আমাদের দোকানের আশেপাশে দুইটা চড়ুই পাখিকে দেখা যেত। প্রথম দিকে আমরা তেমনভাবে লক্ষ্য না করলেও আস্তে আস্তে লক্ষ্য করলাম যে ওরা এখানেই বাসা বাঁধতে চাচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হল ওরা এমন জায়গায় বাসা বাঁধতে চাচ্ছে যেখানে বাসা বাঁধলে একদিনও টিকে থাকা সম্ভব না। অর্থাৎ পাখিগুলো বাসা বাঁধতো দোকানের শাটারের ভিতরে। আর শাটার যেহেতু প্রতিদিনই খোলা হয়ে থাকে তাই একদম সঠিক জায়গামতো বাসা না করলে টিকে থাকা কোনভাবে সম্ভব নয়।
আমি যতদূর দেখছি ওরা অনেক দিন ধরেই বাসা তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রতিদিন দিনের বেলায় দেখতাম ওরা বাসা তৈরি করার জন্য বিভিন্ন সামগ্রী গোছাতো এবং সেগুলো দিয়ে বাসা তৈরি করতো। কিন্তু পরের দিন আমি যখনই শাটার খুলতাম তখনই সেই বাসার সামগ্রী এসে আমার গায়ে পড়তো। আর সেটা এখনো পরে। প্রতিদিন ওদের ঘর ভাঙতে বেশ খারাপই লাগতো। তো একদিন আমার একটা বড় ভাই অর্থাৎ আমার সাথেই যিনি কাজ করেন তিনি একটি কাটুন নিয়ে সেখানে কোনরকমে একটি ঘর বানিয়ে দিলেন যেন চড়ুই পাখিগুলো সেখানে থাকতে পারে।
কিন্তু পরের দিন লক্ষ্য করলাম সেখানে চড়ুই পাখি তো থাকতেই পারলো না বরঞ্চ অন্য একটা দোয়েল পাখি এসে জায়গাটা জুড়ে নিয়েছে। তো এখানে আমাদের কিছুই বলার ছিল না। আসলে জোর যার মুল্লুক তার। আমরা ঘর বানালাম চড়ুই পাখির জন্য আর বাসা বাঁধলো দোয়েল পাখি।
তো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আসলে এটাই ছিল মূলত চড়ুই পাখির কাহিনী। চড়ুই পাখি গুলোকে দু-একদিন ধরে তেমন আর দেখা যায় না জানি না তারা এখন কোথায়। তবে শাটারের মাঝে এখনো তাদের বাসা দেখা যায়। জানিনা পাখি দুইটা কোথায় তবে আজকে আমি ওই বড় ভাইটাকে জিজ্ঞেস করলাম পাখিগুলো কোথায় আছে? তখন উনি বলল যে এখানেই আছে কিন্তু আজকে আমার চোখে একবারও পড়েনি। তো যাই হোক আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমার আগের বাসায় দুটো চড়ুই পাখি বাসা বেঁধে ছিল। সন্ধ্যা হলে পুরো ঘর উড়ে বেড়াতো।আমার বাসার জানালায় বাসা করেছিল। যখনই জানালা খুলতাম এখনই বাসা ভেঙ্গে পড়তো। একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া প্রত্যেকদিন বাসা ভাঙার কাজটা একদমই ভালো লাগতো না। তাই আমি কিছুদিন জানালা বন্ধ করে রেখেছিলাম তারপর থেকে আর কখনো বাসা বাঁধেনি। তবে শেষে এটা জেনে খুব খারাপ লাগলো যে চড়ুই পাখির জন্য বাসা বেঁধে ছিলেন কিন্তু অন্য পাখি এসে সেটা দখল করেছিল।
আসলে দোয়েল পাখি তো চড়ুই পাখির থেকে শক্তিশালী তাই হয়তো চড়ুই পাখি গুলার জায়গা হলো না।
চড়ুই পাখির জন্য বাসা বানালো হলো আর দোয়েল পাখি এসে বাসা দখল করে নিলো। জেনে অবাক হলাম। ঠিক বলেছেন জোড় যার মুল্লুক তার। তবে বলতে হবে চড়ুই পাখি অনেক পরিশ্রমী । আপনার লেখা এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো।
আসলে পরিশ্রমই বলাই যায় কারণ প্রতিদিন তাদের ঘর ভেঙে যাওয়ার পরেও তারা প্রতিনিয়তই ঘর তৈরি করে যেত।
চড়ুই পাখির মজার গল্প জেনে ভালো লাগলো।আমিও ছোটবেলায় দেখতাম আমাদের গোয়াল ঘরের দরজার উপরে চড়ুই পাখিরা বাসা বাঁধতো।আপনার দোকানের সাটারে বাসা বাঁধলে তো থাকতে পারবে না পাখি গুলো।কার্টুন দিয়ে বাসা বানিয়ে দিয়েছে এক বড়ো ভাই তা আবার দোয়েল পাখি দখলে নিয়েছে।কি আর করার।চড়ুই পাখি দুটোও আশা করছি সঠিক জায়গা নির্বাচন করে বাসা বাঁধবে এবং সুখে শান্তিতে বসবাস করবে।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাই আপনার দোকানে বাসা বাধা চড়ুই পাখির কাহিনীটি শুনে খুবই ভালো লাগলো। তবে আপনারা কার্টুন দিয়ে ঘর তৈরি করে দেয়ার পর তারা আর সেখানে বাসা বাঁধতে পারেনি বরং দোয়েল পাখি এসে বাসা বেঁধেছে এটা শুনে খুব খারাপ লাগলো। কেননা চড়ুই পাখি দুটো প্রতিদিন খরকুটো নিয়ে এসে আপনার দোকানের সাটারে বাসা বাঁধার আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছিল। অথচ শেষমেষ তাদের তৈরি এই বাসা তারা ধরে রাখতে পারল না। যাইহোক চড়ুই পাখি উড়ে গেলে কি হবে, দোয়েল পাখি তো বাসা বেধেছে, এটাতে হয়তো কিছুটা হলেও মনের দিক থেকে আপনি শান্তি পাবেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, চড়ুই পাখির কাহিনী নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
আসলে হয়তোবা বাসাটা দোয়েল পাখির রিজিকে ছিল।
আমরাও ছোটবেলায় ভাই এরকম খড়কুটো দিয়ে পাখিদের থাকার জায়গা কিংবা বাসা বানিয়ে দিতাম। আপনারা কিন্তু এই দিক থেকে বেশ সুন্দর একটা কাজ করেছেন। যদিও শেষ পর্যন্ত সেখানে চড়ুই পাখির থাকা হলো না, তার পরিবর্তে দোয়েল পাখি এসে স্থান দখল করে নিল। কিন্তু যেই জায়গা নিক না কেন, একজনের তো অন্তত থাকার ব্যবস্থা হল, এটাই অনেক বড় কথা।
জি ভাই এটা ঠিক বলেছেন অন্তত একজনের তো বসবাসের ব্যবস্থা হল।