মৌমাছির দৌড়ানি খাওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা।

in আমার বাংলা ব্লগlast month
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন আমি আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

bees-8142418_1280.jpg

সোর্স

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরো একটি নতুন পোস্ট। তো টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝতেই পারছেন আজকে আপনাদের মাঝে একটি তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চলেছি। আসলে অভিজ্ঞতা তিক্ত হলেও আলহামদুলিল্লাহ তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তো যাই হোক চলুন তাহলে এবারে পুরো কাহিনীটা বলা যাক।

আজকে অনেকদিন পর কলেজে গিয়ে ছিলাম একটা কাগজ জমা দিতে। তো আমরা মোট তিনজন একসাথে গিয়েছিলাম। প্রথমদিকেই একটা ঝামেলা হয়েছিল সেটা হচ্ছে আমার যে দুইটা বন্ধু এসেছিল ওদের বাইকের চাকা লিক হয়ে গিয়েছে। প্রথমেই তো একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেল। এরপর আমরা ভালোমতো কলেজের অফিসে গেলাম। অফিসে গিয়ে ফর্ম তুলে সেটাকে ফিলাপ করার জন্য একটা জায়গায় গিয়ে বসলাম।

জায়গাটা অতটা পরিষ্কার ছিল না তারপরও আমরা একটু পরিষ্কার করে বসার চেষ্টা করলাম। তো আমরা ভালো মতোই ফর্মটা ফিলাপ করার জন্য রেডি হয়েছিলাম। কিন্তু ঠিক তখনই দেখি কোথা থেকে অনেকগুলো মধুর মাছি এসে আমার মাথায় বসে গেছে। আমি তো প্রথমে কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। আর হুট করে আসার কারণে অনেক বেশি ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। তো তারপরও আমি কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকার চেষ্টা করলাম কিন্তু আরো মধুর মাছি চলে আসছিল যার কারণে বেশ ভয় পেয়ে এক দৌড় দেই। তো আমার দৌড় দেয়া দেখে বাকি দুইটা বন্ধু দৌড় দেয় এবং সোজা কলেজের অফিসে ঢুকে যায়। তো ওদের সাথে কি হয়েছিল জানিনা তবে আমি দৌড়ে এসে বাইরেই চুপচাপ বসে ছিলাম।

তো দেখি অনেকগুলো মধুর মাছি কাছে এসেছে কিন্তু একটাও কামড়াচ্ছিল না। তখন ভাবলাম যে চুপচাপ বসে থাকলে হয়তো কামড়াবে না। তাই সেই অনুযায়ী নড়াচড়া না করে চুপচাপ বসে থাকলাম। এবং মনে মনে নিজের অজান্তে আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রজীম বললাম আরো কিছু বললাম। কিন্তু সেই সময় আতঙ্কের কারণে বিপদের দোয়া যেটা সেটা না পড়ে অন্যগুলা পড়ছিলাম। তো সেখানে কিছুক্ষণ আমি একভাবে বসে ছিলাম এবং পাশে থেকে স্যাররা এসে বললো চুপচাপ বসে থাকো কিছু হবে না।

তো কিছুক্ষণ বসে থাকার পর দেখলাম ওনারা বলছে যে আস্তে আস্তে সব চলে যাচ্ছে তুমি চুপচাপ বসে থাকো। শেষ দিকে দেখলাম ওনাদের মধ্যে একজন একটা কাগজে আগুন ধরালো মধুর মাছি গুলোকে দ্রুত তাড়ানোর জন্য। তো এভাবেই একপর্যায়ে মধুর মাছি থেকে আমি মুক্তি পেয়ে ছিলাম। তো আমি যেহেতু এখানে মুক্তি পেয়েছিলাম তাই আমার বন্ধুরাও মুক্তি পেয়ে গিয়েছিল। তো তারপর ওদেরকে জিজ্ঞেস করলাম ওদেরকে কামড় দিছে কিনা? তখন ওদের মধ্যে একজন আমাকে বলল আমাকে অনেকগুলোই কামড় দিছে আর আরেকজন বলল আমাকে তেমন কামড় দেয়নি।

তো সবকিছুই তো হলো কিন্তু মৌমাছি গুলো হুট করে এমন কেনো করল? তো পরে আমার এক বন্ধু বলছে বাতাসের কারণে পাতা ঝরে মৌমাছির চাকে পড়েছিল এবং আমরা যেহেতু কাছে ছিলাম তাই ওঁরা আমাদেরকেই তাড়া করেছিল।

তো যাইহোক এর পর বাকি কার্যক্রম করার জন্য আমরা মৌমাছি থেকে একটু দূরে চলে গেলাম। এবং সেখান থেকে আমাদের ফর্ম গুলোকে ফিলাপ করে অফিসে জমা দিয়ে আমরা চলে গেলাম বাইকের টায়ার টা ঠিক করার জন্য। তো প্রথমে এক জায়গায় গেলাম কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো সেখানে টায়ার ঠিক করার মত কোনো লোক ছিল না।

তাই এরপর আমাদেরকে হাঁটতে হাঁটতে অন্য একটা জায়গা যেতে হয়েছিল যেটা বেশ ভালই দূর ছিল। আর রোদের মধ্যে হাঁটা বেশ মুশকিল তবে রোদের সাথে সাথে খুব সুন্দর বাতাস হচ্ছিল যার কারণে আমাদের হাঁটতে তেমন কোন প্রবলেম হয়নি। তো যাইহোক এরপর ওদের কে গ্যারেজে পৌঁছে দিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ওদের সাথে গল্প করে সিদ্ধান্ত নিলাম চলে আসার জন্য।

তো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। তো আপনারা কখনো কি মৌমাছির দৌড়ানি খেয়েছেন কিনা অবশ্যই কমেন্টে জানাতে পারে। তো যাই হোক আজকের মত এটুকুই । আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ
Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last month 

আরে ভাই মৌমাছি কামড় খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। মৌমাছির কামড় না খেলে তো বোঝা যাবে না মৌমাছির কামড়ে কেমন টেস্ট। তবে যাই হোক মৌমাছি আসতে দেখলে কিন্তু নীরবে থেমে যাওয়া ভালো। আর আমিও অনেকবার মৌমাছির কামড় খেয়েছি তবে কয়েকবার মৌমাছির নিকট থেকে ফল পেড়েছি মৌমাছির বাসা অতিক্রম করে গাছে উঠে গেছি কিন্তু কখনো কামড় দেয়নি। পায়ের নিচে বড় মৌমাছির চাক ছিল আমি সেই ডাল বয়ে গাছে উঠে তেতুল পেড়েছি আম গাছে উঠে আম পেরেছি এমন অভিজ্ঞতাও রয়েছে আমার। এরা অকারনে মানুষকে কামড়ায় না। যখনই তাদের উপর হামলা করা হয় তখনই তারা ক্ষিপ্ত হয়।

 last month 

আসলে ভাই এটা ঠিক বলেছেন এরা অকারণে কাউকেই কামড় দেয় না। আসলে সেই সময় বাতাস হওয়ার কারণে গাছের পাতা গিয়ে ওদের চাক এ লেগেছিল আর যার কারণে আমাদেরকে সামনে পেয়ে আমাদেরকেই তাড়া করেছিল।

 last month 

মৌমাছি কামড় দিলে প্রচন্ড ব্যথা লাগে। আমি ছোটবেলায় ২ বার মৌমাছির কামড় খেয়েছিলাম। যাইহোক আপনি চুপচাপ বসেছিলেন বলে শেষ পর্যন্ত মৌমাছি আপনাকে কামড় দেয়নি। নড়াচড়া করলে ঠিকই কামড় দিতো। কলেজে ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে বেশ ভালোই ঝামেলায় পরেছিলেন দেখছি। যাইহোক এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 67597.54
ETH 3772.68
USDT 1.00
SBD 3.55