তিন বছর আগে আমার কুমিল্লা ভ্রমণের স্মৃতি ও অনুভূতি।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আরো একটি নতুন পোস্ট। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন কিছুদিন আগে আমি আমার আপুর বাসায় গিয়েছিলাম। আমার আপুর বাসা কোথায় তা নিশ্চয়ই আপনারা জানেন। আর যারা জানেন না তাদের উদ্দেশ্যে বলি আমার আপুদের বর্তমান বাসা হচ্ছে কুমিল্লায়। আমরা কুমিল্লাতে গিয়েছিলাম মূলত আমার ভাগ্নে হবে তার জন্য। যেহেতু এবার কুমিল্লাতে যাওয়ার উদ্দেশ্যটা ভিন্ন ছিল। তাই এবারে তেমন একটা ঘুরতে পারিনি। আপনারা এতক্ষণ হয়তো ভাবছেন 🤔 আমি এসব কেন বলছি। আমার এসব বলার একটাই কারণ তা হলোঃ আমি এর আগেও দুইবার কুমিল্লাতে গিয়েছিলাম তখন কুমিল্লাতে বেশ কয়েক জায়গায় ঘুরতেও গিয়েছিলাম। সে ঘোরাঘুরি করার সময় কিছু ফটোগ্রাফিও করেছিলাম। সেই ফটোগুলো আমার ফোনে আজও রয়ে গেছে। তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে সেই সমস্ত ফটোগ্রাফি ও ঘুরাঘুরির অনুভূতিগুলো শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালই লাগবে।

Canva দিয়ে তৈরি
আমি সর্ব প্রথম প্রায় তিন বছর আগে কুমিল্লাতে গিয়েছিলাম। তখন আপুরা কুমিল্লা ময়নামতি হসপিটালের কাছে একটা বাসায় থাকতো। আর এবার যখন গিয়েছিলাম তখন আপুরা কুমিল্লা ডায়াবেটিক্স হসপিটাল এর কাছে থাকতো। মানে বুঝতে পারছেন দুই জায়গায় হসপিটাল।😏 যাইহোক প্রথমবার যখন কুমিল্লাতে গিয়েছিলাম তখন আমার কাছে কোন মোবাইল ছিল না। তাই আমি কোথাও ঘুরতে গেলে তখন দুলাভাইয়ের মোবাইল দিয়ে ছবি তুলতাম। সেই যে ছবিগুলো তুলেছিলাম সেগুলো আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।

এখন আপনারা উপরে যে ফটোগ্রাফি টা দেখতে পাচ্ছেন এটা হচ্ছে কুমিল্লা ব্লু ওয়াটার পার্কের গেটের ফটোগ্রাফি। প্রথমবার যখন কুমিল্লাতে গিয়েছিলাম তখন এই পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তখন এই ব্লু ওয়াটার পার্কের গেটের একটা ফটোগ্রাফি করেছিলাম সেটাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।

আপনারা এখন যে ছবিটা দেখতে পারছেন এটা হচ্ছে ওই ব্লু ওয়াটার পার্কের একটা জায়গা। যেখানে পানি ছিল। সে পানির ভিতর দেখতে পেয়েছিলাম বেশকিছু বিভিন্ন রঙের মাছ। মাছগুলো দেখতে বেশ ভালই লাগছিল তাই তখন এটারও একটা ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম।

এখন আপনারা উপরের ছবিতে যে পুলটা দেখতে পারছে। এটাই হচ্ছে মূলত ব্লু ওয়াটার পার্কের ব্লু কালারের সুইমিং পুল। দেখছিলাম এখানে অনেকেই গোসল করছিল। আমারও এখানে গোসল করতে ইচ্ছা হচ্ছিল কিন্তু আমাদের কাছে এক্সট্রা জামা কাপড় না থাকায় গোসল করতে পারিনি। যাইহোক এগুলোই ছিল মূলত ব্লু ওয়াটার পার্কের কিছু ফটোগ্রাফি

এখন আপনারা উপরের ফটোতে যে জায়গাটা দেখতে পারছেন এটা মূলত কুমিল্লার একটা জায়গা। জায়গাটার নাম হচ্ছে রুপসাগর। জায়গাটায় তেমন কিছু ছিল না। জায়গাটা বেশ নিরিবিলি ছিল আর বেশ কিছু বাসার জায়গাও ছিল। বিকালে ঘুরাঘুরি করার জন্য ভালো একটা জায়গা ছিল। তাই আমরাও এখানে বিকালবেলা একটু ঘুরাঘুরি করতে গিয়েছিলাম। যাইহোক কুমিল্লায় আমি আরো এক জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম তবে আমার কাছে ফোন না থাকার কারণে সেই জায়গার কোনো ফটোগ্রাফি আমি করতে পারিনি।

এই ফটো ফ্রেমে যাদেরকে দেখতে পারছেন। এর মধ্যে প্রথমটা হচ্ছে আমি। দ্বিতীয়টা হচ্ছে আমার পাশের বাসার একটা ভাই। আর তিন নাম্বারটা আমার ভাগ্নে।

আর যেহেতু সেই সময় আমার ছবি তোলার কোন উদ্দেশ্য ছিল না তাই আশেপাশের দৃশ্যের ছবি না তুলে বেশিরভাগই নিজের ছবি তুলতাম। তখনকার কিছু ছবি উপরে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। ছবিগুলো দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি তখন কতটা ছোট ছিলাম। 🙂

যাই হোক আমি কুমিল্লায় মূলত তিন বার গিয়েছি। দ্বিতীয়বার গিয়েছিলাম মূলত প্রায় আড়াই বছর আগে। তখন আমি মূলত নতুন নতুন ফোন কিনেছিলাম। যে ফোনটা আমি এখনো ইউজ করছি। তখন করোনা সময় ছিল। যাই হোক আপুরা তখনও ময়নামতি হসপিটালে পাশের বাসাটাই থাকতো। একদিন একটা ছাদের উপর গিয়েছিলাম নিজের এবং ভাগ্নেদের কিছু ছবি তোলার জন্য। তখন আমি ছাদের উপর থেকে কুমিল্লা শহরের একটা ছবি তুলেছিলাম সেই ছবিটা আপনারা উপরে নিশ্চয়ই দেখতেই পারছেন।

তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের ফুলের ফটোগ্রাফি পোস্ট। আজকের ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ