হালকা ঝড়।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হতেই দেখি বাইরে বেশ বাতাস। চারিদিক দেখেই বুঝতে পারলাম হয়তবা ঝড় উঠতে চলেছে। মসজিদ থেকে সোজা দোকানে এসে দেখি দোকানের দুইটা শাটার অলরেডি নামানো হয়ে গিয়েছে। আর আমি দোকানে যেতে না যেতেই বলা হলো দোকানটা অফ করে দিতে। আর এর কারণ নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন চারিদিকে তীব্র বাতাস বইছে কিছুক্ষণ পরে হয়তো ঝড় নামতে চলেছে। আমরা যেখানে কাজ করি সেখান থেকে বাসা প্রায় চার কিলোমিটার দূরত্বে। তাই ঝড় উঠলে পরে বাড়ি ফিরতে ঝামেলা হতে পারে। তার জন্যই মূলত সোহেল ভাই অর্থাৎ যিনি দোকানের অনার তিনি বলছিলেন,দ্রুত দোকানটা অফ করে দিতে যেন ঝড় আসার আগেই বাড়ি ফিরতে পারি।
কিছুক্ষণের মধ্যেই দোকানটা অফ করা হয়ে গেল এরপর সোহেল ভাই এবং আমি দুজনে মিলে বাইকে করে বাড়ি ফেরার জন্য প্রস্তুত হলাম। এমনিতেই বাইকে উঠলেই জোরে বাতাসের ঝাপটা লাগে আর সেইসাথে ঝড় বইছে,যার কারনে মনে হচ্ছিল যেন বাতাসে ঠেলে ফেলে দিবে। আর বাইক একটু জোরে চালালেই কেমন একটা ইম ব্যালেন্স ক্রিয়েট হচ্ছিল যেটা বাইকের পিছনে বসে বেশ ভালই বুঝতে পেরেছিলাম। তবে জোরে বাতাস হওয়ার কারণে মাঝে মাঝে ভালো লাগছিল আবার মাঝে মাঝে খারাপ লাগছিল। প্রথমে যদি ভালোলাগার বিষয়টা বলি তাহলে হচ্ছে দুই-একদিন তাপমাত্রা একটু বেড়ে গিয়েছিল তারপর আবার এরকম বাতাস গায়ে লাগাতে বেশ শান্তি অনুভব হচ্ছিল। আর যদি খারাপ বিষয়টা বলি তাহলে জোরে বাতাস হওয়ার কারণে আশেপাশে যত ধুলাবালি ছিল সব এসে চোখে পড়ছিল যার কারণে বেশ বিরক্তবোধ হচ্ছিল।
কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়িতে পৌঁছে গেলাম। বাতাস বেশ ভালোই করে বইছে। আর বাড়িতে আছে আমগাছ তাই চলে গেলাম একটু আম কুঁড়াতে। আম কুড়াতে গিয়ে দেখলাম আলহামদুলিল্লাহ খুব বেশি আম ঝড়ে পড়েনি। একটা শুকনো আম আর দুইটা কাঁচা আম কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। আর আমি আমার আসার আগে আম্মু আরো কয়েকটা আম পেয়েছিল। যাই হোক আমগুলো কুড়ানোর সময় অনেক বাতাস বইছিল। আর পাশেই ছিল ফাঁকা মাঠ চলে গেলাম মাঠের মাঝখানে। এখানে ধুলাবালি মুক্ত বাতাস এসে গায়ে লাগছে। আহ কি শান্তি! কিছুক্ষণ বাতাস উপভোগ করার পর ঘরে ফিরে এলাম। তবে মজার বিষয় হচ্ছে এত জোরে বাতাস বইলেও একফোঁটাও কিন্তু বৃষ্টি পড়েনি।
তো যাই হোক কিছুক্ষণ পরেই খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আরো কিছু প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে নিয়েছিলাম। তারপর দেখি আম্মু কুড়িয়ে পাওয়া কয়েকটা আম কেটে দিলো। বাসায় তেমন কোনো মসলা না থাকাতে শুধু লবণ দিয়েই আমগুলো খেলাম। আহ কি দারুন! আপনারা ভাবতে পারেন এটা আমি বাড়িয়ে বললাম কিন্তু খেতে আসলেই ভালো লাগছিল।
তো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আপনাদের ওখানে এরকম বাতাস বয়েছিলো কিনা কমেন্টে জানাতে পারেন। তো আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
কালকে আমাদের এলাকায় এরকম হুটহাট একটু বাতাস হয়েছে, বাতাসে চারিদিকে একদম ধুলায় অন্ধকার সেই সাথে কম বেশি একটু আম পড়েছে। তবে স্বস্তির বিষয় ছিল বাতাসের পরে আবহাওয়া টা অনেক ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল।
জি ভাই বাতাসের কারণে কিছুক্ষনের জন্য আবহাওয়াটা বেশ ঠান্ডা ছিল তবে আজকের দিনটিতে আবারো বেশ ভালই গরম পড়েছিল।
তাহলে তো দেখছি ভালোই হয়েছে, আমাদের এদিকে যখন গরম পড়তেছে আপনাদের ওদিকে তখন বৃষ্টি হচ্ছে। সত্যি বৃষ্টি হলে অনেকটা সতজতা অনুভব করতে পারি। তার সাথে আবার দেখছি বৃষ্টিতে কাঁচা আম কুড়িয়ে পেয়েছেন। তবে বেশি আম ঝরেনি এটাই ভালো হয়েছে। গাছে আম থাকলে সেটা পাকা হলে খেতেই বেশি ভালো লাগে। তবে আমি মনে করি আপনারাই বেশি ভালো এবং সুন্দর অনুভব করতে পারছেন।
জি জোরে বাতাস হওয়ার কারণে বেশ ভালোই সুন্দর অনুভব হয়েছিল তবে কিছুক্ষণের জন্যই শুধু মাত্র পরিবেশটা ঠান্ডা হয়েছিল। আজকে সারাদিন বেশ ভালোই গরম পড়েছিল।
অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্টটি দেখে। তবে মেঘ হোক বা ঝড় হোক এই সময় বাইরে বাড়ানো ঠিক না। তবে যেহেতু গাড়িতে দুইজন ছিলেন সে ক্ষেত্রে তো ভালোই লেগেছে আপনাদের। গতকালকে আমাদের এখানেও হালকা বাতাস বয়ে গেছে । এবং আমাদের গাছে অনেক আম পড়েছে। আপনা আমের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লাগছে আমার। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঝড়ের সময় বাইরে না বেরোনোই ঠিক কিন্তু যে জোরে বাতাস হচ্ছিল এ বাতাস গায়ে লাগাতেও বেশ ইচ্ছে করছিল।
ঝড় হলে পরিবেশটা তাও একটু ঠান্ডা হয়। যে পরিমাণ গরম পড়ছে একটু ঠান্ডা পরিবেশ স্বস্তি এনে দিবে সবার। ঝড়ের মধ্যে আম কুড়াতে গিয়েছেন। তবে খুব বেশি আম ঝরে পড়েনি এটাই ভালো হয়েছে। ভালো লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে।
ঝড় হয়ে পরিবেশটা ঠান্ডা হয়েছিল তবে সেটা শুধুমাত্র কিছুক্ষণের জন্যই। আজকে সারাদিন বেশ ভালোই গরম পড়েছিল। তবে সব মিলিয়ে যে একটু ঠাণ্ডা পরিবেশ পেয়েছিলাম এটাই আলহামদুলিল্লাহ।
আমাদের এদিকে কয়েকদিন আগে সামান্য একটু ঝড় হয়েছিল। তবে আমি মনে করি, ঝড়ের সময় বাইরে থাকা উচিত নয়, এতে করে বিপদ হতে পারে। তাছাড়া ছোটখাটো ঝড় হলে অনেক সময় বৃষ্টি হয় না, এটাই স্বাভাবিক। যাইহোক, আপনি দেখছি কয়েকটা আম পেয়েছেন এই ঝড়ের কারণে যা বেশ দারুন ব্যাপার।
জি ভাই ঝড়ের সময় বাইরে না বেরোনোই উচিত কিন্তু ইচ্ছে করছিল আর ঝড়টাও অনেক জোরে ছিল না তাই গিয়েছিলাম। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
ভাই, সামনে তো আরও ঝড়ের দিন আসছে। সেই সময়টাতে অবশ্যই সাবধানে থাকবেন।