বন্ধুর সাথে ঘোরাঘুরি।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
কিছুক্ষণ ওয়েট করার পর ও রাস্তায় চলে আসলো তারপর চলে গেলাম দুজনে ঘোরাঘুরি করতে। প্রতিবার যে দিকে যাওয়া হয় এবারও দুজনে সেই দিকেই হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম। তো দুজনে হাঁটতে হাঁটতে এক প্রান্তে গিয়ে ভাবলাম যে আজকে এদিক দিয়ে অন্য একটা দিকে যাওয়া যাক। যদিও বা ঐদিকে আগেও একবার গিয়েছিলাম। তো এর আগে যখন ওই দিকে গিয়েছিলাম তখন দেখেছিলাম যে মাঠের ভিতর দিয়ে অনেক রাস্তা পাড়ি দিয়ে একটা মাদ্রাসা আছে। এবং সেখানে খুব সুন্দর করে লাইটিং করা যার জন্য দেখতে অনেক সুন্দর লাগে জায়গাটা। তাই নয়নকে বললাম চল ওদিক দিয়ে একবার ঘুরে আসি।
আমার কথা মতো নয়নও রাজি হয়ে গেল তাই দুজনে মিলে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম ওই দিকটায়। তো বেশ কিছুক্ষণ যাওয়ার পর পৌঁছে গেলাম আমাদের কাঙ্খিত মাদ্রাসার কাছে। তবে একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম রাস্তাটা মাঠের মাঝখান দিয়ে হলেও প্রতিটা জায়গায় লাইট লাগানো ছিল। কিন্তু রাস্তাটা অতটা ভালো ছিলনা। যাইহোক মাদ্রাসার কাছে যেতে না যেতেই শুনতে পায় বাচ্চারা অনেক জোরে জোরে পড়াশোনা করছে। তবে দুঃখের বিষয় হলো সেখানে গিয়ে দেখি আজকে লাইটগুলো জ্বলছে না অর্থাৎ আজকে লাইট গুলো অফ আছে। যেহেতু কিছু করার নাই তাই সেখান থেকেই বন্ধ বাতির এবং মাদ্রাসার আঙিনায় থাকা একটি নয়ন তারা ফুলেরসহ আরও কয়েকটা ফটো তুলেই ফিরে আসার জন্য রওনা দিলাম।
আর সেখানে গিয়ে এমনিতেও আমাদের কোনো কাজ ছিল না তাই হাঁটতে হাঁটতে আবারো ফিরে আসলাম। সত্যি বলতে নয়নের সাথে বের হলে অনেকটা পথ হাঁটা হয়ে যায়। আর এমনিতেও হাঁটা যেহেতু শরীরের জন্য ভালো তাই দুই একদিন পরপর এভাবে হাঁটতে হাটতে গল্প করতে বেশ ভালই লাগে। আর এমনিতেও আমার ওয়েট অনেক বেড়ে যাচ্ছে তাই আরও বেশি বেশি করে হাঁটা প্রয়োজন। কিন্তু এত হাঁটাহাঁটি করলেও আবার পা অনেক ব্যথা হয়ে যায়।
যাই হোক হাঁটতে হাঁটতে আবারও আমরা বাজারের দিকে ফিরে আসলাম। তো বাজারে পৌঁছানোর পর ভাবলাম কিছু একটা খেয়ে তারপর বাড়ি যাওয়া যাক। তো সেই ভাবা থেকেই দুজনে সিদ্ধান্ত নিলাম প্রথমে এখানে বসে ঝালমুড়ি খেয়ে তারপর দুজনে মিলে ছোলা খেতে খেতে বাড়ি চলে যাব। আর এমনিতেও প্রতিনিয়ত এই ধরনের স্ট্রিট ফুড গুলোই খাওয়া হয়। আর এমনিতেও এগুলো খেতে আমার খারাপ লাগে না। তো যেই কথা সেই কাজ দুজনে মিলে ঝাল মুড়ি খেয়ে তারপর লবণ ছোলা খেতে খেতে বাড়ির দিকে চলে আসলাম।
তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। তো এই পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। তবে শেষে একটা কথাই বলতে চাই যে আগে বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি করতে বের হলে অন্ততপক্ষে তিন চার জন থাকতাম কিন্তু এখন নয়ন ছাড়া আর কাউকে পাই না। আর এমন কিছু বন্ধু আছে যাদের সাথে লাস্ট কবে দেখা হয়েছে ভুলে গেছি। তো যাইহোক আজকের মতো এটুকুই আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
https://twitter.com/MdJohir65/status/1733529000381939822?t=ZZqF5d6xZSFYKhX4KS9GBA&s=19
আসলে বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা। সত্যি ছাত্র জীবনের বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি করার মুহূর্তটা কখনোই ভোলা যায় না। আসলে রাতের বেলায় রাস্তায় হাঁটতে বের হলে সত্যি বেশ দারুন লাগে। শেষ দিকে আপনারা বাজারে গিয়ে ঝালমুড়ি এবং ছোলা খেয়েছেন জানতে পেরে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
হ্যাঁ সেই পোস্টে আমি পড়েছিলাম। বন্ধুদের সাথে এরকম সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে পারলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। যখন জীবনের ব্যস্ততায় বন্ধুরা অনেক দূরে চলে যাবে এই মুহূর্তগুলো তখন মিস করবেন। যেটা এখন আমরা মিস করি একসাথে অনেক আড্ডা অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছি। এখন আর সেই মুহূর্তটা উপভোগ করতে পারি না। সেটাই উপলব্ধি করতে পেরেছি আপনার পোস্ট পড়ে।
আগের পোস্টটি আপনি পড়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই পোস্টটি পড়েও সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
বন্ধুর সাথে ঘুরাঘুরি করতে সতেই অনেক বেশি ভালো লাগে আর সেই সময়টা যদি রাত্রিবেলা হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। রাত্রিবেলা হাটাহাটি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে আকাশে যদি পূর্ণিমার চাঁদ থাকে তাহলে ব্যাপারটা অনেক বেশি রোমাঞ্চকর। হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে বাজারে গিয়ে ঝাল মুড়ি খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে এরকম বন্ধুদের সঙ্গে সময় দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি, সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে হাজারো ব্যস্ততার মাঝে বন্ধুদের সাথে একটু সময় কাটাতে পারলে অনেক ভালো লাগে। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।