সুস্বাদু ভাপা পুলি পিঠা বানানোর রেসিপি।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।
আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরো একটা রেসিপি পোস্ট। আজকের রেসিপিটা হবে মূলত পুলি ভাপা পিঠা বানানো।
এটাও আমার আম্মুর রেসিপি। এখানে আপু আমার আম্মুকে সাহায্য করছিলাম। আশা করি আপনাদের ভালই লাগবে। তো শুরু করা যাক।
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
।আটা।১ কেজি | |
।নারিকেল | ২টি |
চিনি | স্বাদমতো |
লবণ | স্বাদমতো |
প্রথমে নারকেলগুলো সাথে স্বাদমতো চিনি দিয়ে একটু ভালোভাবে প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট জাল দিয়ে নিলো।
এরপর আমার আম্মু যা করবেন যা করল আটার পরিমাণ অনুযায়ী পানি দিয়ে তার সাথে একটু লবণ দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিল।
এরপর পানি ফোটানো হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়ে আটা দিয়ে ভালো করে মোয়াম করে নিল। আপনারা নিশ্চয়ই উপরের ফটোটিতে দেখতেই পারছেন।
এরপরে এটাকে একটু মোটা করে রুটি আকারে বানিয়ে নিল।
এরপর স্টেলের গ্লাস দিয়ে গোলাকার টুকরো টুকরো করে কেটে নিলো। কিভাবে কাটছে সেটা নিচে আপনারা উপরের ফটোতে দেখতে পারছেন।
এরপর আপু যা করে ওই গোল গোল ছোট ছোট গ্লাসে কাটা রুটির উপর নারকেল চিনি দিয়ে রান্না করা পুরটাকে রেখে মুড়িয়ে দিল। মোড়ানোর পরে কেমন দেখা যাবে তা আপনারা ফটোতে নিশ্চয়ই দেখতে পারছেন। তা ছাড়া কিভাবে কি করলো তা নিশ্চয়ই আপনারা ফটোতে দেখতে পারছেন। এভাবে বেশ কয়েকটা বানিয়ে নিলো।
যেহেতু এটার নাম ভাপা পুলি পিঠা তাই এটাকে ভাব অবশ্যই দিতে হয় এবার ভাপ দেওয়ার পালা। ভাপ দেওয়ার জন্য প্রথমে একটা পাতিলে পানি ফুটিয়ে নিতে হবে।
এরপর যা করল প্রথমে একটা স্টেলের জালি নিয়ে এর ওপর বেশ কয়েকটা পিঠা দিয়ে সাজিয়ে নিল।
এরপর আম্মু যা করল ওই ফোটানো পানির উপর থেকে ভাব বের হয়েছিল তো ঐ ভাবের উপর স্টিলের জালি টাকে বসিয়ে দিল। তারপর ঢাকনাটা দিয়ে ঢেকে দিল ভাব দেওয়ার উদ্দেশ্যে।
এরপর ৭-৮ মিনিট ভাপ দেওয়ার পর এটা কমপ্লিট হয়ে গেল এরপর নামিয়ে নিল।
এটাকে আম্মু আমার হাতে দিল ছবি তোলার জন্য আমি কোন রকম ছবিটা তুলেই খেতে শুরু করে দিলাম 😋।
ধন্যবাদান্তে | @johir65 |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃ | Mobile |
মোবাইল নেমঃ | vivo y11 |
ক্যামেরাঃ | 13mp |
লোকেশনঃ | বাঁগিচা গাঁও-কুমিল্লা |
তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন ও বন্ধুরা এই ছিল মূলত আজকে আমার আম্মুর ভাবা পুলি পিঠা বানানোর রেসিপি আশা করি ভালো লেগেছে। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে ইনশাআল্লাহ। তো সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
কোনদিন এইভাবে পুলি পিঠা ভাব দিয়ে খাওয়া হয়নি। আমরা সব সময় তেলে ভেজে পুলি পিঠা খাই। আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে ভালই লাগবে খেতে। আপনি প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ এরকম একটি নতুন রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ আমার পোস্টে মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া আমি কখনো ভাপা পুলি পিঠা খাইনি। আমি সব সময় তেলে ভাজা পড়লে পিঠা খেয়েছি। আপনার পুলি পিঠা রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাস। এবং যেহেতু এটি ভাপা সেহেতু স্বাস্থ্যের পক্ষেও বেশ ভালো হবে। আপনার কাছ থেকে পলি পিঠা বানানোর ভিন্ন একটি পদ্ধতি দেখে নিয়েছি বেশ ভালো লাগলো ।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাহ আপনি আপনার আম্মুকে এই পিঠাগুলো বানাতে সাহায্য করেছেন তার মানে আপনিও এর পিঠাগুলো বানানোর শিখে গেছেন। আর আমি আপনার বানানো দেখে শিখে নিয়েছি। আসলেই অনেক মজার বিশেষ করে নারিকেলের পুর দেওয়ার কারণে মজাটা অনেক বেশি বেড়ে গেছে দারুন হয়েছে রেসিপি।
আপনার য়কমেন্ট পড়ে অনেক ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য।
ওয়াও খুবই অসাধারণ সুস্বাদু ভাপা পুলি পিঠা বানানোর রেসিপি করেছেন। আমি কখনো ভাপা পুলি পিঠা খাইনি। তবে তেলের মাঝে ভাজা পিঠা অনেক খেয়েছি। খুব সুন্দর করে আপনার আম্মু পিঠাগুলো তৈরি করেছেন। মনে হয় খুব সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার কমেন্টে পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সুস্বাদু ভাপা পুলি পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন। সুন্দরভাবে তৈরি করা পাশাপাশি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টে মন্তব্য করার জন্য।
সত্যি বলতে কি ডাল দিয়ে তৈরি ভাপা পুলি পিঠা আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আর নারিকেল দিয়ে তৈরি ভাজা পুলিপিটা আমার ভালো লাগে। অনেকদিন পর পুলি পিঠা দেখে খুব ভালো লাগলো আমার।
ডাল দিয়ে বানানো পুলি পিঠা আমিও খাইছি ওটাও ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টে মন্তব্য করার জন্য।