তৃতীয়বার মামা হওয়ার অনুভূতি। ৪ পার্ট (শেষ পর্ব) রেসিপি।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবারও নিয়ে চলে আসলাম তৃতীয়বার মামা হওয়ার অনুভূতি চতুর্থ পার্ট।এটাই হতে চলেছে মূলত লাস্ট পার্ট। তো দ্বিতীয় পার্টের লাস্টে আমি বলেছিলাম যে আম্মুকে ও আমার দ্বিতীয় ভাগ্নিকে রেখে আমরা বাড়ি চলে আসলাম। তো ঐদিন বিকালে গিয়ে দুলাভাই আমার ভাগ্নিকে হসপিটাল থেকে নিয়ে চলে আসছিল। তো এইবার যা হলো আম্মু হসপিটালে আপুও হসপিটালে বাড়িতে রান্নাবাড়া কে করবে আর হসপিটাল টা বেশ দূরে তোর আম্মু প্রতিদিন এসে রান্না করে রেখে যেতে পারবে না।

20221008_224818.jpg

রাস্তায় অনেক জ্যাম আর আম্মুর বাড়িতে এসে রান্না করেছি যেতে প্রায় ৩-৪ ঘন্টা লেগে যাবে। তো ততক্ষণ আপু একা থাকতে পারবে না এটাই মূলত কারন। এবারে বাড়িতে আছি আমি দুলাভাই আর ছোট দুইটা ভাগ্নি এবং ভাগ্নে। রান্না কে করবে ? ছোট ভাগ্নে ও ভাগ্নি ওরা তো ছোট সেজন্য তোরা তো রান্না করতে পারবে না। আর দুলাভাই দিনের প্রায় বেশিরভাগ সময় বাইরে কাটাই। আর রইলাম বাকি আমি কিন্তু আমি তো রান্না করতে পারিনা শুধু ভাত ছাড়া। তো প্রথম দিন আমরা যা করেছিলাম শুধু ডিম ভেজে ছিলাম ডিম ভেজে প্রথমবার খেয়েছিলাম। কিন্তু সব সময় তো আর ডিম ভাজা খাওয়া যায় না। দুপুরে আমি পটল ভেজেছিলাম আম্মুর ভাজা দেখেছিলাম সেই অনুযায়ী আমিও ভেজে ফেলেছিলাম। আর রাতে দুলাভাই হোটেল থেকে মাছ নিয়ে এসেছিল সেটা দিয়ে খেয়েছিলাম।

তো তারপর দিন থেকে হয় আলু ভর্তা না হলে পেঁপে ভর্তা এভাবে যে দিন কাটছিলাম। তো এভাবেই চলছিল তারপর আমি একদিন ট্রাই করলাম ডাউল রান্না করার জন্য তো আমি ইউটিউব দেখে দেখে ছিলাম খেতে ভালোই ছিল খারাপ ছিল না। তোর দুলাভাই একদিন বলল যে আমি শাক ভাজি করতে পারি আজ দুপুরে আমি শাক নিয়ে আসবো বাজার থেকে তো আমি আমি দুপুরে শাক ভাজি করবো।

IMG_20220922_104056-01.jpeg

তোর কিছু রান্না করার দরকার নাই। তো সেটা রেসিপি আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।

IMG_20221008_223023.jpg

উপকরণের নামপরিমাণ
শাক২ আটি
রসুন১ টি
পেঁয়াজ১ টি
কাঁচা লঙ্কা
তেলপরিমাণ মতো
লবণপরিমাণ মতো

ধাপ-১

IMG_20220922_100547.jpg

তো প্রথমে উনি যা করলেন শাকগুলোকে ছোট ছোট করে কেটে নিলেন।

ধাপ-২

IMG_20220922_101634.jpg

IMG_20220922_101701.jpg

IMG_20220922_101912.jpg

এরপর যা করলেন কড় আইটিতে তেল দিয়ে গরম করে নিলেন তারপর রসুন পেঁয়াজ ঝাল ও লবণ দিয়ে মোটামুটি ভাবে ভেজে নিলেন।

ধাপ-৩

IMG_20220922_101958.jpg

কিছুক্ষণ ভাজার পর এবারের কড়াইতে শাকগুলোকে দিয়ে দিলেন।

ধাপ-৪

IMG_20220922_102036.jpg

IMG_20220922_102232.jpg

এবারে একটু নেড়ে দিয়ে ঢেকে দিলেন।

ধাপ-৫

IMG_20220922_102441.jpg

তার কিছুক্ষণ পরে ঢাকনাটা শাক দিয়ে অনেক পানি বের হয়েছে তার জন্য দুলাভাই আরো বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে পানিটাকে শুকিয়ে নিলেন।

ধাপ-৬

IMG_20220922_103557.jpg

IMG_20220922_104056-01.jpeg

পানিটা শুকিয়ে গেলে এবার নামিয়ে নিলেন।

তো বাস কমপ্লিট তো ঐ দিন দুপুরে আর রাতে আমরা ওই শাক দিয়ে ভাত খাই। আর পরের দিন আমি ট্রাই করলাম খিচুড়ি রান্না করার তো সেটা তো রান্না করে নিয়েছিলাম ইউটিউব দেখে খেতে ভালো লাগছিল কিন্তু ন্যপ্ট হয়েছিল। তো এভাবে আমরা চার পাঁচ দিন কাটিয়ে দিয়েছিলাম। চার পাঁচ দিন পরে আমার ভাগ্নে টা
বাড়িতে চলে এসেছিল।

প্রয়োজনীয় তথ্য

ধন্যবাদান্তে@johir65
ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃMobile
মোবাইল নেমঃvivo y11
ক্যামেরাঃ13mp
লোকেশনঃবাঁগিচা গাঁও-কুমিল্লা

তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন ও বন্ধুরা এই ছিল মূলত আমার আজকের পোস্ট রেসিপি টা জাস্ট এমনিতেই শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। যাতে পোস্টারও কোয়ালিটি ফুল করা যায়। আর হ্যাঁ আমার ভাগ্নে টা যখন ঘুমায় তখন ওর দিকে তাকালে আর ফোন বা টিভি দেখা লাগে না ও একবার হাসবে একবার কাঁদবে দেখতে খুব ভালো লাগে আমার কাছে। যাইহোক আর কথা বাড়াবো না এটাই লাস্ট পর্ব।খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ
Sort:  
 2 years ago 

অনুভূতির সাথে রেসিপি বিষয়টা বেশ ভালই লাগলো। কি বলেন আপনি নিজেই বেগুন ভাজি করেছেন আপনার আম্মুর থেকে দেখে দেখে। বেশ ভালই লেগেছে শুনে। তার সাথে দেখছি এখন আবার শাক ভাজি করে ফেলেছেন। আমার কাছে যে কোন তরকারির সাথে শাক ভাজি খেতেই ভীষণ ভালো লাগে। আপনার শাক বাজি দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ সাধু হয়েছে।

 2 years ago 

আপু আপনার বোধহয় কোথায় কোথায় ভুল হয়েছে? আমি আসলে বেগুন না পটল ভিজেছিলাম। আর শাক ভাজিটা আমি না আমার দুলাভাই করেছিলেন। যা হোক তারপর আপনাকে ধন্যবাদ আমার পোস্টে মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনার মামা হওয়ার অনুভূতির সাথে খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিটাও বর্ণনা করে দিলেন। আমিও আগে তেমন কোনো রেসিপি তৈরি করতে পারতাম না। কিন্তু এভাবে একদিন চাপে পড়ে সবকিছু শেখা হয়ে গিয়েছে। আপনিও এখন বাসায় কেউ না থাকায় চাপে পড়ে কত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে নিয়েছেন। পরবর্তীতে যদি কখনো একলা বাসায় থাকেন তাহলে আর আপনার অসুবিধা হবে না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি অনুভূতি এবং রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

আপনার কমেন্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আসলে চাপে পড়লে কত কিনা করতে হয়। ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59264.94
ETH 2604.33
USDT 1.00
SBD 2.38