শুক্রবারের আড্ডা।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই-বোন ও বন্ধুরা,
আবার বিকাল বেলায় সবাই চলে এসেছিলাম আমাদের আড্ডার জায়গা। তবে বিকেল বেলায় আমাদের কয়েকটা বন্ধু চলে গেল ব্যাডমিন্টন খেলতে। আর আমরা বাকিরা মিলে গেমস খেলেই সময়টা কাটিয়ে দিলাম। তাই বিকেল বেলাটা অতটা ভালো লাগেনি আমার কাছে। যাই হোক মাগরিবের আজান দিয়ে দিয়েছিল তাই চলে গেলাম নামাজ পড়তে । নামাজ পড়ে প্রতিদিন মতো আজকেও বাড়ি ফিরছিলাম বাড়ি ফেরার পথে দেখি আমার একটা বন্ধু রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম এখানে কি করছি? ও বলল তেমন কিছু না তাই আমি আবারও বাড়ি চলে যেতে লাগলাম। কিন্তু তখনই আমার একটা বন্ধু পিছন থেকে ডাক দিল। দেখলাম ওর সাথে আরো অনেকে আছে। আসলে সবাই নিজ নিজ বাসার পথেই রওনা দিবে। কিন্তু ওরা একটা কাজের জন্য দোকানে এসেছিল তাই সবার সাথে দেখা হয়ে গেল।
যেহেতু সবাই একসাথে আছি আর শুক্রবার চলে গেলে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়বে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে এখন আর বাড়ি না ফিরে এশার আজান পর্যন্ত আড্ডা দিব। যেই কথা সেই কাজ সবাই মিলে চলে গেলাম ছোটখাটো একটা ফাঁকা মাঠে। সবাই মিলে গোল করে বসে পড়লাম। আর ভাবলাম যেহেতু শীতকাল আর বাইরে অনেক ঠান্ডা পড়ছে তাই একটু আগুন জ্বালানো যাক। তাই সবাই আশেপাশ থেকে চিপসের প্যাকেট কাগজ এগুলো সংগ্রহ করে আনলাম এবং আগুন জ্বালিয়ে দিলাম। এবং সবাই মিলে গেমস খেলার পাশাপাশি গল্প করে সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়ে দিলাম। তারপর যখনই সারাদিন দিল সবাই যে যার উদ্দেশ্যে চলে গেলাম। কাল দেখে হয়তো সবাই আবার ব্যস্তই হয়ে পড়বে। আসলে যত বড় হতে থাকব তত ব্যস্ততা বাড়তে থাকবে। আর এইসব আড্ডা গুলো কমতে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আজকের লেখাগুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ছোটবেলায় অনেক বন্ধু-বান্ধব থাকেন কিন্তু যত বড় হতে থাকা হয় তখন বন্ধু-বান্ধব কমে যায়।যেহেতু সবাই বড় হয়ে কর্মস্থলে ফিরে যান এবং সবার একটি পরিবার হয় সেই জন্য সবাই আস্তে আস্তে ব্যস্ত হয়ে পড়েন এবং বন্ধুত্বের দূরত্ব বাড়তে থাকে।আপনারা সবাই যেহেতু পুরো সপ্তাহ ব্যস্ত থাকেন শুক্রবারে দিনটা বেশ মজার করে কাটিয়েছে।শত ব্যস্ততার মাঝেও যদি সবাই মিলে একটু আড্ডা দেওয়া হয় তাহলে বন্ধুত্ব রক্ষা পাই।অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপনারা সবাই মিলে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মুহূর্তটি শেয়ার করার জন্য।
আসলে বড় হওয়ার সাথে সাথে বন্ধুগুলো যেন হারিয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি এত সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন্তব্যটি করার জন্য।
আসলে এখন সবাই ব্যস্ত। তাই তো বন্ধুদের সাথে সেভাবে আড্ডা দেওয়া সময় হয় না। তবুও ব্যস্ততার মাঝে যখন সবার সাথে দেখা হয়ে যায় আর আড্ডা আরো জমে ওঠে। চিপসের প্যাকেট এবং বিভিন্ন প্রকারের কাগজ দিয়ে আগুন করে সেখানে সবাই মিলে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি। আসলে মাঝে মাঝে সময় করে নিতে হয়। হয়তো প্লান করে সেই সুন্দর সময় আসে না।
আপনি ঠিক বলেছেন কিছু কিছু সুন্দর মুহূর্ত হঠাৎ করে চলে আসে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
যতদিন যাচ্ছে মানুষ ততটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ছে এখন আর আড্ডা গল্প করার মতো কারো কাছে সময় নেই যে যার মতো করে ব্যস্ততাময় জীবন কাটাচ্ছে। ছোটবেলার বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো টা অনেক আনন্দের অনেক দিন পর বন্ধুদের সাথে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। শীতের রাতে এরকম আগুন জ্বালিয়ে আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা। সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আমরা দিন দিন যত বড় হব তত ব্যস্ত হয়ে পড়ছি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
সবাই এখন ব্যস্ত। আগের মত করে সময় আর কারো কাটে না। তবে প্লান করে আড্ডা, ঘোরাঘুরি হয় না। সবকিছুর মাঝেও সময় দিয়ে নিজের ভাল থাকাটা করে নিতে হয়।বন্ধুদের সাথে যখন দেখা হয় তখন খুব জমে উঠে। চিপসের কাগজ ও বিভিন্ন কাগজ দিয়ে আগুন ধরিয়ে খুব আনন্দমুখর সময় কাটিয়েছেন বেশ বুঝতে পারছি। অনেক ভাল লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন্তব্যটি করার জন্য।
ছোটকাল এবং ছাত্রজীবন সবাই অনেক বন্ধু-বান্ধব থাকে। বিশেষ করে ছাত্র জীবনে শুক্রবার আসলে সবাই একসাথে আড্ডা দিতে অনেক ভালো লাগে। আর ব্যাডমিন্টন খেলা আমার অনেক প্রিয় একটি খেলা। তবে রাত্রেবেলা এভাবে আগুন জ্বালিয়ে আড্ডা দিতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে আপনাদের এই ফটোগ্রাফি দেখে আমারও জীবনে পুরনো স্মৃতিগুলো অনেক কথা মনে পড়ে গেল।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর ভাবে গুছিয়ে একটি মন্তব্য করার জন্য।
ছোটবেলায় সবাই এভাবে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিত। আপনি তো দেখছি বন্ধুদের সাথে বেশ ভালোই মুহূর্ত কাটিয়েছেন।শীতের সময় রাত্রে বেলায় বন্ধুরা মিলে আগুন জ্বালিয়ে আড্ডা দেওয়ার মজাটাই কিন্তু অন্যরকম হয়ে থাকে তাই না। এটা কিন্তু আপনি ঠিকই বলেছেন যত বড় হতে থাকবে ততই ব্যস্ততা বাড়তে থাকবে। আপনাদের আড্ডা দেওয়ার মুহূর্তে পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে।
আসলেই শীতের সময় আগুন জ্বালিয়ে আড্ডা দেওয়ার মজাটাই আলাদা। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।