ঈদের শপিং।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
আমরা বন্ধুরা মিলে প্ল্যান করেছিলাম যে ২৪ রোজায় মার্কেট করতে যাব। কিন্তু আর অপেক্ষা করতে ভাল লাগছিল না,তাই আঠারো রোজায় চলে গিয়েছিলাম মার্কেট করার জন্য। তো প্রথম দিন আমরা রাত 9 টার সময় বাজারে গেলাম। তো গিয়ে প্রতিটা মার্কেট ঘুরছি তো ঘুরছি কোন জিনিসই আমার পছন্দ হচ্ছিল না। শুধু আমার যে পছন্দ হচ্ছিল তা তা কিন্তু নয় আমার আরেকটা বন্ধুরও পছন্দ হচ্ছিল না। তবে আমার একটা বন্ধু সে মোটামুটি একটা শার্ট পছন্দ করে নিয়েছিল। তো আমি প্রথমে মূলত একটা পাঞ্জাবি কেনার জন্য ঘুরছিলাম। শার্ট প্যান্টের দিকে আমি নজর দিইনি। তো গাংনী বাজারের প্রায় অনেকগুলো মার্কেটে আমরা ঘুরে ফেলেছিলাম কিন্তু আমার কোন পাঞ্জাবী পছন্দ হয়নি। তোর পছন্দ না হওয়ারও একটা কারণ আছে সেটা হচ্ছে আমার অনলাইনে একটা পাঞ্জাবি পছন্দ ছিল। অনলাইনে কখনো শপিং করা হয় না বলে তাই আর অর্ডার করার সাহস পাইনি। না জানি কি দিয়ে দেবে। তো সেই টাইপের পাঞ্জাবি খুঁজতে মূলত আমার এত দেরি হচ্ছিল। তো অনেক ঘোরাঘুরির পরে শেষে একটা দোকান থেকে আমরা তিন বন্ধু মিলে তিনটা প্যান্ট কিনে নিয়েছিলাম। আর এই প্যান্ট কিনতে কিনতেই দেখি ঘড়ির কাঁটায় বারোটা বেজে গেছে। তো যেহেতু অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল সমস্ত মার্কেট বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল,তাই সেদিন আর ঘোরাঘুরি না করে বাড়ি ফিরে এসেছিলাম। তো বাড়ির পথে যাওয়ার সময় ভাবলাম কিছু খাওয়া যাক তো দেখলাম চটপটি দোকান অলা এখনো আছে তাই সবাই মিলে গিয়ে একবাটি করে চটপটি খেয়ে বাসায় ফিরে আসলাম।
তো এই ছিল মূলত প্রথম দিনের কাহিনী। প্রথম দিন ৩ ঘন্টা ঘুরে শুধুমাত্র একটা প্যান্ট কিনতে পেরেছিলাম। প্রথম দিন অতটা ভিড় ছিল না আবার তখন অতটা গরমও ছিল না। তারপরও সেদিন কিছুই কিনতে পারিনি শুধুমাত্র একটা প্যান্ট পছন্দ হয়েছিল। তো যাই হোক এরপর আম্মু বলল যে আমার খালাতো ভাই নাকি মার্কেটে যাবে ওর সাথে গিয়ে একটা পাঞ্জাবি কিনে আনতে। পাঞ্জাবি কিনতে হয়তো ওর সাথে আমি ২২ রোজায় গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি মার্কেটে প্রচুর ভিড়। এবারে মূলত একটা দোকানে গিয়েছিলাম সেখান থেকেই মূলত একটা পাঞ্জাবি পছন্দ করে নিয়েছিলাম এবং ওটাই কিনে নিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা গিয়েছিলাম মূলত সাতটার সময় আর ভিড়ের মধ্যে অপেক্ষা করতে করতে দেখলাম ঘড়ির কাঁটায় দশটা বেজে গেল। তো এবারও তিন ঘন্টা ধরে একটা মাত্র পাঞ্জাবি কিনতে পেরেছিলাম।
তো পাঞ্জাবি এবং প্যান্ট তো গেল এবার দরকার শার্ট এবং একটা স্যান্ডেল। তো তারপরের একদিন গিয়েছিলাম এগুলো কিনার জন্য কবে গিয়েছিলাম সেটা আমার এখন মনে পড়ছে না। তো সেদিন আমি গিয়েছিলাম মূলত সাড়ে নটার সময় গিয়েছিলাম। তো সেদিন বাজারে গিয়ে প্রথমে প্যান্টটাকে কাটছাঁট করে নিয়েছিলাম। এরপর মূলত গেলাম একটি শার্ট কেনার জন্য। তো সেই দিনই মূলত শার্টটা আমি তাড়াতাড়ি কিনতে পেরেছিলাম মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা শার্ট আমার পছন্দ হয়ে গিয়েছিল আর সেটাই কিনে নিয়ে চলে এসেছিলাম। কিন্তু সেদিন অনেক টায়ার্ড থাকার কারণে আর স্যান্ডেলের দোকানে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। তাই সেদিন বাড়ি ফিরে এসেছিলাম।
গত পরশু দিন আবারও গিয়েছিলাম বাজারে স্যান্ডেল কেনার জন্য। বেশ ৫ থেকে ৬ টা দোকান ঘুরলাম কিন্তু কোন স্যান্ডেল পছন্দ হচ্ছিল না। আসলে আমার পায়ের সাইজ একটু বড় তো তাই কোন স্যান্ডেলই ঠিকমত আমার পায়ে হচ্ছিল না। আর যেগুলো হচ্ছিল সেগুলো আমার পছন্দের ছিল না। তো আমার সাথে আমার দুইটা বন্ধু গিয়েছিল ওরা আমার কান্ড দেখে বেশ ভালোই ক্ষেপে গিয়েছিল। তার জন্য আর এদিক ওদিক না করে একটা স্যান্ডেল পছন্দ করে কিনে নিয়ে চলে এসেছিলাম। তো এইগুলোই ছিল মূলত আমার ঈদের শপিং করার মুহূর্ত। আপনাদের কি বাজারে গিয়ে তাড়াতাড়ি জিনিস পছন্দ হয়ে যায় নাকি অনেক দেরি হয় অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আর এই গরমের মধ্যে শপিং করার মুহূর্ত গুলো কেমন ছিল একটু কমেন্টে জানিয়ে যেতে পারেন। আমি তো প্রতিবারই রাত্রে শপিং করতে গিয়েছিলাম তাই খুব একটা প্যারা খেতে হয়নি। তবে পাঞ্জাবি কেনার দিন বেশ ভালই ভিড়ের সম্মুখীন হয়েছিলাম আর সাথে গরম তো আছেই।
তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আজকের লেখাগুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আর কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। তো আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি আর ঈদের দিনে সবাই যার যার সমর্থ্য অনুযায়ী শেষে মার্কেট করে চলেছে। ঈদের নতুন জামা কাপড় না খেলে যেন ঈদ জমে না। আসলে দোকানে কোন জিনিস কিনতে গেলে একটু সময় লাগে। তবে অনেকটা সময় ব্যয় করে আপনি আপনার কেনাকাটা গুলো শেষ করেছেন। কেনাকাটার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ এই প্রথমবারেই এত সময় লাগলো এর আগে কখনো এত সময় লাগতো না।
বন্ধুরা মিলে একত্রে প্লান করে মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটা করার মাঝে এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে, যেটা আমরা প্রতিবছরই করে থাকি। তবে বন্ধুদের সঙ্গে খুব কমে যাওয়া হয় বড় ভাইদের সঙ্গেই বেশি কেনাকাটা করতে দেওয়া হয়। অনেক ঘুরাঘুরির পরে দেখছি অনেক কিছু কেনাকাটা করেছেন দেখে ভালো লাগলো ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করবেন এটাই স্বাভাবিক। ধন্যবাদ আপনার কেনাকাটার মুহূর্ত টা শেয়ার করার জন্য।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে ভালো লাগলো ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন্তব্যটি করার জন্য।
ঈদ নিয়ে বেশ ভালো এক্সাইটেড তাই ২৪ রোজার আগেই কেনাকাটা করে ফেলেছেন। তবে আমাদের প্ল্যান আছে আপনার মত রাত্রেবেলা কেনাকাটা করব কারণ যে গরম পড়ছে দিনের বেলায় তো মার্কেটের দিকে যাওয়া অসম্ভব।যাই হোক আপনার ঈদ কেনাকাটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ গরমের সময় রাত্রে বেলায় কেনাকাটার করার প্রাণটাই ভালো ছিল।
দেখতে দেখতে সবার ঈদের শপিং করা শেষ হয়ে গিয়েছে। ঈদের শপিং করে ফেলেছেন দেখছি। অনেক কিছুই কেনাকাটা করলেন ঈদ উপলক্ষে। এমনিতে শপিং করতে গেলে সময়ের প্রয়োজন হয় কারণ দেখে শুনে কেনা লাগে। আপনি আপনার কেনাকাটা করার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন দেখছি। ফটোগ্রাফি গুলো ও খুবই ভালো ছিল। সম্পূর্ণটা দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে মন্তব্যটি করার জন্য।
বুঝা যাচ্ছে বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছেন ঈদের জন্য বন্ধুদের সাথে যেয়ে। মার্কেটে যৌথভাবে গেলে বেশ ভালো লাগে সবাই পছন্দ করে নিয়ে দেয়। ফটোগ্রাফি দেখে বুঝা যাচ্ছে ঈদের মার্কেট বেশ জমজমাট হয়েছে। অনলাইন থেকে জিনিস আসলে বুঝে শুনে কিনতে হয় না হয় ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমি বেশ কেনাকাটা করেছি অনলাইন থেকে তবে এখন আর করি না। এখন সরাসরি মার্কেটে যেয়ে কিনে নিতে ইচ্ছা করে।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন বুঝে শুনে না কিনতে পারলে ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
বন্ধুরা মিলে ২৪ রোজার প্ল্যান থাকলেও ১৮ রোজায় সবাই মার্কেট করতে গিয়েছিলেন।তবে মার্কেট করতে গিয়ে আবার ঝামেলা কোনো কিছু পছন্দ হচ্ছিল না।এটা দেখছি মেয়েদের মতো ছেলেদেরও হয়।যাইহোক এর কারণ ছিল অবশ্য অনলাইনের পাঞ্জাবী টা।তারপরে আবার স্যান্ডেল কিনতে গিয়ে বিপাকে আপনার পায়ের মাপের স্যান্ডেল পাওয়া যাচ্ছিলনা।যাইহোক খুব সুন্দর লেগেছে ভাইয়া আপনার শপিং ব্লগটি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ প্রতিবার আমার তাড়াতাড়ি পছন্দ হয়ে যায় তবে এবারে একটু দেরি হচ্ছিল। আমারতো তিন ঘন্টা লেগেছে কিন্তু হয়তো ছয় ঘন্টা লাগবে। 🤭