তৃতীয়বার মামা হওয়ার অনুভূতি। পার্ট-২
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।
আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম তৃতীয় বার মামা হওয়ার অনুভূতি পার্ট-২এর আগের পর্বে আমি আপনাদেরকে বলেছিলাম যে আবার আমার আপু বলছিল যে আজকে সিজার করবে।
তো এবার আপুকে ভালো মতো জিজ্ঞাসা করলাম যে এবার সিওর তো সিওর না হলে আমরা গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবো না। তো আপু বলছিল এবার সিওর। তো পরেরদিন সকালে আকাশে মেঘ ছিল। হয়তো বা বৃষ্টি হবে কিন্তু ওদিকে আপু বার বার বলছিল আজকে সিজার হবে তোমরা তাড়াতাড়ি চলে আসো তো প্রথমে দুলাভাই আমার আম্মুকে নিয়ে বাইকে চলে গেলেন তাড়াতাড়ি বৃষ্টি হওয়ার আগেই। আর আমাদের বললেন পরে চলে আসতে।
বাড়ি থেকে হসপিটাল বেশ খানিকটা দূরে প্রায় ১০ কিলোমিটার। কিছুক্ষণ পরে হালকা হালকা বৃষ্টি শুরু হল তো ভাবছিলাম আমরা যাব কিভাবে। তারপর দেখলাম বৃষ্টির মাত্রা অত বেশি না কিছুক্ষণ পরেই মোটামুটি থেমে গেল। আম্মুরা সকাল আটটার দিকে চলে গিয়েছিল আর আমরা দশটার সময় যার জন্য বের হলাম। তারপর আমরা হসপিটালে পৌঁছে শুনলাম যে আপুকে সিজার করতে নিয়ে গেছে।
ঐদিন মোট সাতটা সিজার হওয়ার কথা আপু ছিল ৬ নম্বরে তো আমরা যখন পৌঁছেছিলাম তার কিছুক্ষণ পরেই তিন নম্বর সিজারটা কমপ্লিট হয়েছিল। তখনই বুঝতে পারলাম আজও অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। তো অনেকক্ষণই আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল এর মাঝে আমরা এদিক ওদিক হাঁটছিলাম আর দেখলাম বেশ কিছু ফুল আছে ওখানে অনেকগুলো ফুলেরই ফটোগ্রাফি করেছিলাম।
তাছাড়া এই কদিন হসপিটালে যাতায়াতের সময় বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি সেগুলো শেয়ার করব আপনাদের মাঝে খুব শীঘ্রই। তো যাই হোক ফিরে আসা যাক আবার সিজারে। তো বারোটা বেজে ২৫ মিনিট আম্মু আমাদেরকে ডাক দিল ও বলল যে বাবু হয়ে গেছে তো আমরা তখনই চলে গেলাম। গিয়ে দেখলাম নার্সরা বাবুকে শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে যাচ্ছিল বাবু সুস্থ আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করার জন্য।
তো আম্মুর কোলে প্রথমে দেয়নি তারপরে আমি গেলাম আম্মু বললে এটা বাচ্চার মামা। তো দেখলাম যে তারা আমার কোলে দিল। তার মানে নার্সরা বাদে এবার সর্বপ্রথম আমি কোলে নিয়েছি আমার ভাগ্নেটাকে। তারপর ওকে কোলে নিয়ে ওর কানে আজান দিলাম তারপর আম্মুর কোলে একটু দিলাম। তারপর ওকে নার্সরা শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে গেল। তারপর ডাক্তার বলছিল যে বাচ্চার ওজন খুবই কম ওকে আজকে তাদের কাছেই রাখবে।
তারপর আমাদের হাতে একটা লিস্ট ধরিয়ে দিল আর বলল এগুলো লাগবে। তখন দুলাভাই ছিল না একটা কাজে বাহিরে গিয়েছিল। আমি ফোন দিলাম দুলাভাইকে বললাম যে বাবুর জন্য কিছু জিনিস লাগবে তারপর দুলাভাই আমাকে বাজারে চলে যেতে বলল। আমি তখন বাজারে গিয়ে দুলাভাইয়ের সাথে জিনিসগুলো নিয়ে আসলাম। সেই জিনিস গুলো দিয়ে তারপর শুনলাম আপু আই সি ইউ তে আছে আজকে আর দেখা হবে না আর বাবু শিশু ওয়ার্ডে থাকবে তাকেও আজকে আর দেখা হবে না। তাই আম্মুকে আর আমার দ্বিতীয় নম্বর ভাগ্নিকে গাইনি ওয়ার্ডে রেখে আমরা তিনজন বাড়ি চলে আসলাম।
তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন ও বন্ধুরা এই ছিল মূলত আমার আজকের দ্বিতীয়বার মামা হওয়ার দ্বিতীয় পার্ট আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। খুব শীঘ্রই এরপরের পার্ট নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
আপনার ভাগ্নির পৃথিবীতে আগমনে স্বর্গীয় একটা সুখ অনুভব করেছেন। এবং সর্বপ্রথমে আপনি কোলে তুলেছেন তবে অনুমান করতে পারছি আপনার মনে যে ভালোলাগা এবং আনন্দ এতটাই বেশি ছিল যা সত্যি প্রকাশ করার সম্ভাবনা। আপনার ভাগ্নের সুস্বাস্থ্য এবং নেক দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনার ভাগ্নির জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইল। সুস্থভাবে আপনার পৃথিবীতে এসেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো।আপনার ভাগ্নের সুস্বাস্থ্য এবং নেক দীর্ঘায়ু কামনা করছি। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আপনার কমিটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।