প্রায় ১০-১৫ দিন পর বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি করার কিছু মুহূর্ত।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
তো গত বুধবার আমার একটা বন্ধু দেখি আমাকে মেসেজ দিয়ে বলল সে একটা মোবাইল কিনবে কিন্তু কি মোবাইল কিনবে সেটা নির্বাচন করতে পারছে না তাই আমাকে রাতে দেখা করতে বলল যেন দুজনে মিলে একটা মোবাইল চয়েস করতে পারি। তো যেহেতু অনেক দিন বন্ধুদের সাথে দেখা হয় না তাই আমিও রাজি হয়ে গেলাম রাতে ঘোরাঘুরি করার জন্য। তো আমি কাজ থেকে ফিরে ওকে মেসেজ দিয়ে ডেকে নিলাম। তারপর দুজনে মিলে সোজা বাজারে চলে আসলাম। তো বাজারে আমাদের আরেকটা বন্ধু আকাশ ছিল তাই প্রথমে ওর কাছে গেলাম কিন্তু ও কাজে ব্যস্ত ছিল যার কারণে ভাবলাম আমরা দুজনে একটু ঘুরে আসি । তো দুজনে মিলে গল্প করতে করতে অনেক দূরে পাউরুটি বিস্কিট বানানোর ফ্যাক্টরির কাছে চলে গিয়েছিলাম।
তো সেখানে গিয়ে বেশ সুন্দর ঘ্রাণ বেড়াচ্ছিল। তাই বন্ধু নয়ন বলল চল গিয়ে গরম পাউরুটি পাওয়া যায় কিনা দেখি। তো আমরা ফ্যাক্টরিতে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম গরম পাউরুটি বা বিস্কিট আছে কিনা কিন্তু ওনারা বলল যে শুধুমাত্র গরম টোস আছে। যদি আমাদের টোস খেতে খুব একটা ভালো লাগে না তারপরেও নয়ন একটা এবং আমি একটা টোস নিয়ে আবারো হাঁটা দিলাম। তো এবার হেঁটে আবারো বাজারে ফিরে আসলাম। তারপর ভাবলাম যে আরো কিছু একটা খাওয়া যাক। কিন্তু প্রথমেই নয়ন বলেছিল যে ওর পেটে সমস্যা তাই তেমন কিছু খাবে না। তারপরেও বললাম যে চল ভাপা পিঠা বানাচ্ছে ভাপা পিঠা খেয়ে আসি। তো যেই কথা সেই কাজ দুজনে মিলে চলে গেলাম ভাপা পিঠা খাওয়ার জন্য।
যাইহোক তারপর ও একটা এবং আমি একটা ভাবা পিঠা নিয়ে খেতে থাকলাম। যেহেতু বছরের প্রথম ভাপা পিঠা খেলাম তাই বেশ ভালই লাগছিল। যাহোক তারপর ভাবা পিঠাটা শেষ করে আমরা আবারো আকাশের কাছে ফিরে গেলাম। কিন্তু তখনও ওর কাজ শেষ হয়নি। তার জন্য আমি এবং নয়ন এক জায়গায় বসে আবারো আলোচনা করতে থাকলাম মোবাইল নিয়ে কোনটা নেওয়া যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সেই দিন অনেক ফোন দেখার পরেও একটাও ওর পছন্দ হলো না। যাই হোক কিছুক্ষণ বসে থাকার পর দেখি আকাশের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপর আমি ওদেরকে বললাম চল আরো কিছু খেয়ে আসি। তো বাজারে গিয়ে কি খাব আর খুঁজে পাচ্ছি না।
যদিও বা খুব বেশি অপশন ছিল না মাত্র তিন-চারটায় অপশন ছিল কিন্তু তার পরেও কোনটা খাব বুঝে উঠতে না পেরে শেষে ভাবলাম ঝাল মুড়ি খাবো। ঝাল মুড়ি খাওয়ার জন্য হুজুরের কাছে গেলাম ওনার ঝাল মুড়ি খাওয়ার জন্য। কিন্তু উনার বানানো ঝাল মুড়ি শেষ হয়ে গিয়েছিল আবার নতুন করে বানাতে অনেক সময় লাগবে তার জন্য চলে গেলাম আরেকটা হুজুরের কাছে ঝাল মুড়ি খাওয়ার জন্য। যদিও বা এই হুজুরের ঝাল মুড়ি একটু নরম হয়ে গিয়েছিল তার জন্য উনি ওই মুড়িগুলোর মধ্যে আরো কিছু মুড়ি দিয়ে মাখিয়ে আমাদেরকে দিলেন। নরম হয়ে যাওয়ার কারণে খেতে অতটা ভালো না লাগলেও এই মুড়িওয়ালার ব্যবহারটা খুবই ভালো ছিল। তো যাই হোক তারপর তিনজন মিলে ঝালমুড়িটা শেষ করে বাসায় দিকে রওনা দিলাম
তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। তো আমার আজকের পোস্টটা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। তো আজকের মতো এটুকুই আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
https://twitter.com/MdJohir65/status/1725535943422259559?t=VCjKN8mJIkhoKyZ9mcnvvA&s=19
অনেক সময় মোবাইল ফোন কিনতে গেলে মোবাইল ফোন নির্বাচন করা সত্যিই অনেক কঠিন হয়ে যায়। আর আপনার বন্ধুর ক্ষেত্রেও তেমনটা হয়েছিল। যাইহোক অনেকদিন পর বন্ধুর সাথে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন খাওয়া-দাওয়া করেছেন দেখে ভালো লাগলো।বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি করার কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
হ্যাঁ মোবাইল নির্বাচন করতে একটু সময় লাগে কিন্তু আমার বন্ধুর ক্ষেত্রে সেটার পরিমাণ একটু বেশি মনে হচ্ছে।
বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্ত জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত। প্রতিটা মানুষের জীবনে বন্ধু রয়েছে সেই বন্ধুত্বের বন্ধন জীবনকে সুন্দর করে তোলে। আপনি অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে দারুন কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন যেটা সবাই চায়। ভালো লাগলো আপনার কাটানো মুহূর্ত এবং দৃশ্যগুলো দেখে।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।