ওয়াজ মাহফিলে ঘোরাঘুরি করার কিছু মুহূর্ত।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
তো প্রথমে আমি আমার বন্ধুকে মেসেজ দিলাম মাহফিলে আসার জন্য। কিন্তু ও আসতে রাজি হচ্ছিল না। তবে আমি ভাবছিলাম যে একবার হলেও মাহফিলে যাব। কিছুক্ষণ পর দেখলাম আমার আরেকটা বন্ধু মেসেজ দিয়ে বলছে মাহফিলে আসার জন্য। তো আমি বললাম ঠিক আছে একটু পরে আসছি। তোর যেই কথা সেই কাজ কিছুক্ষণ পরে চলে গেলাম মাহফিলের উদ্দেশ্যে। প্রথমে গিয়ে দেখি মাহফিলের গেটটা দারুন ভাবে সাজিয়েছে। যদিও বা এটা ৪-৫ দিন আগে সাজিয়েছে। আর আমি যেহেতু এই দিক দিয়েই যাতায়াত করি তাই গেটটা প্রতিদিনই প্রায় চোখে পড়তো। যাই হোক মাহফিলের গেটের ছবিটা নিচে আপনার উপরে দেখতে পারছেন।
তারপর আমি ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভিতরে গিয়ে দেখি মিউজিক লাইট দিয়ে বেশ ভালই সাজিয়েছে। যাইহোক প্রথমে আমি মাহফিলের মূল জায়গায় গেলাম মানে যেখানে মাহফিলের বক্তব্য হবে। তো সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়ালাম।
তো আমার বন্ধুরা যেহেতু যেখানে বিভিন্ন ধরনের স্টল বসে সেখানে ছিল। তাই আমিও সেখানে চলে গেলাম। তো প্রথমে গিয়ে দেখি বেশ ভালোই স্টল বসেছে। এখানে অনেক মানুষজন। যাইহোক প্রথমে ওদেরকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না তাই ওখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ বক্তব্য শুনলাম। দেখলাম আমাদের বাড়ির পাশে একজন বক্তা ওখানে বক্তব্য দিচ্ছে। শুনলাম বেশ ভালই বক্তব্য দিচ্ছিল।
যাইহোক কিছুক্ষণ পরেই বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে গেল সবাই মিলে একটু ঘুরাঘুরি করলাম। তারপর কিছুক্ষণ পরে দেখি যে বন্ধুগুলো আসতে চাইছিল না তারাও হাজির হয়ে গেছে। যাই হোক ওরা যেহেতু এসে গেছে তাই সবাই মিলে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করলাম। তার সাথে বড়া শরবত এগুলো খেয়েছিলাম।
তারপর আরো কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। তবে বাড়ি ফেরার সময় মাহফিলে মাঠে দেখলাম এবার বেশ অনেকে লোকজন আছে। আস্তে আস্তে আরো অনেক লোক হবে। আসলে প্রথমদিকে সবাই একটু কেনাকাটা করে তারপরে বক্তব্য শুনতে আসে। যাইহোক ওখানে একটা মসজিদ আছে দেখলাম এটাকে অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে। দেখে ভালই লাগছিল তাই মসজিদ টার একটা ছবি তুলে নিয়েছিলাম সেটা নিশ্চয়ই আপনার উপরে দেখতেই পারছে।
তো এরপর আমরা আর এদিক ওদিক না করে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম তবে সোজা বাড়ি পথে না এসে আশেপাশে একটু ঘোরাঘুরি করে তারপর বাড়ি ফিরে আসলাম।
তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আজকের লেখাগুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আসলে অন্যবার আমি মাহফিলে বক্তব্য গুলো শুনি তবে এবার ক্লান্ত থাকার জন্য তাড়াতাড়ি ফিরে এসেছিলাম। আর যেহেতু মাহফিল টা আমাদের বাড়ির কাছে অনুষ্ঠিত হয়েছে তাই আমাদের বাড়ি থেকেও বক্তব্যগুলো শুনা যায়। তবে বাড়ি থেকে শুনলে তেমন একটা মনোযোগ বসেনা।যাই হোক তো আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার ওয়াজ মাহফিলে ঘুরাঘুরি করার এত সুন্দর একটা মুহূর্তের পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। দেখেই বুঝতে পারছি বেশ ভালোই মুহূর্ত কেটেছে আপনাদের। ওয়াজ মাহফিলের আয়োজনটা দেখছি খুবই সুন্দর ভাবেই করেছে। এভাবে ঘোরাঘুরি করার মধ্যে অন্যরকম একটা ভালো রাখা রয়েছে।ফটোগ্রাফি গুলো ও খুবই সুন্দর ছিল আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো।
আসলে ঘোরাঘুরি করলে অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এই সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন্তব্যটি করার জন্য।
আপনার পোস্টটি দেখেই প্রথমেই আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমাদের বাড়ির পাশে মাদ্রাসার যখন মাহফিল হতো তখন দুপুরেই সুন্দরভাবে সাজুগুজু করে নতুন ড্রেস পড়ে আমরা মাদ্রাসায় চলে যেতাম। বিভিন্ন ধরনের আচার, আলুর দম, ঝাল মুড়ি, ফুচকা, চটপটি কত কিছুই দেখতে পেতাম মাহফিলে। যদিও মাদ্রাসা বা মসজিদে এভাবে লাইটিং করেনি। বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছেন মাহফিলে। আপনার মত আমারও বাড়ির পাশেই মাদ্রাসা ছিল, সেখানেই মাহফিল হতো।
আমাদের এখানেও আপনার মত অনেক ছোট বাচ্চারা আনন্দ করে থাকে। আপনার মন্তব্যটি পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন্তব্যটি করার জন্য।
প্রতি বছর শীতকাল ধরেই ওয়াজ হয়ে থাকে বেশি।আপনারা ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন।মাহফিলের আয়োজন বেশ বড়ই ছিল মনে হচ্ছে।মসজিদের ছবি অনেক ভালো লাগছে দেখতে লাইটিং সুন্দর ছিল।তারপর আপনারা একটু ঘোরাঘুরি করে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ব্লগটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
মাহফিলের জন্য গেট খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে। আপনার ওয়াজ মাহফিলে ঘোরাঘুরি মুহূর্ত দেখে আমার গ্রামের মাহফিলের কথা মনে পড়ে গেল। আমাদের গ্রামেও কিছু দিন আগে এমন বড় মাহফিল হয়েছিল। সময় সুযোগ করে সেই সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। মাহফিলের আশেপাশে বাচ্চাদের অনেক খেলনা পাওয়া যায় আর নানা রকমের খাবারও পাওয়া যায়। আপনার ওয়াজ মাহফিলে ঘোরাঘুরি করার কিছু সুন্দর মূহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
এই মাহফিল গুলো সম্পর্কে আমার তেমন বিশেষ কোন ধারনা নেই। তবে বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি এবং একসাথে আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা। যদিও মাঝেমধ্যে আমি ইউটিউব বা ফেসবুকে মাহফিলের অংশবিশেষ দেখি। কিছু কিছু বক্তাদের কথা বেশ জীবনমুখী।
এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা। আর হ্যাঁ কিছু কিছু বক্তাদের কথা আসলেই জীবনমুখী হয়ে থাকে।যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন্তব্যটি করার জন্য।
ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে আপনি দারুন ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন। বিশেষ করে প্রথমের গেটের ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর ভাবে লাইটিং করা হয়েছে এবং সাজানো হয়েছে। এছাড়া দোকানগুলোর ফটোগ্রাফি দেখেও ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন্তব্যটি করার জন্য।
এখনকার ওয়াজ মাহফিলে ভিন্ন ভিন্ন দোকানীরা আসে তাদের দোকানের পসরা সাজিয়ে। তাই মনে হয় ওয়াজ মাহফিলে মেলা বসেছে। আপনার ফটোগ্রাফিতে বিভিন্ন খাবার ও হরেক মালের দোকান দেখে সেরকমই মনে হচ্ছে। যাইহোক ভাই, ওয়াজ মাহফিলে ঘোরাঘুরি করার কিছু মুহূর্ত সেই সাথে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলে এসব দোকানের জন্য ওয়াজ মাহফিলটা যেন মেলার মতোই দেখা যায়। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন্তব্যটি করার জন্য।
আমাদের এদিকে মাহফিল একবারে হয় না বললেই চলে, সেজন্য আমার তেমন কোন ধারণা নেই। তবে এই জায়গা গুলোতে বন্ধুদের সাথে একসাথে যাওয়া এবং খাওয়া দাওয়া করার মজাই আলাদা এটা আমি বুঝতে পারি।
ঠিক বলেছেন বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি করে খাওয়া দাওয়া করার মজা আলাদা।
ওয়াজ মাহফিলে ওয়াজ না শুনে ঘোরাঘুরি করলে হবে। মনে হচ্ছে ক্যামেরা খুব ভালো তাই এত সুন্দর ফ্রেশ ছবি হয়েছে। আমরাও কিছুদিন আগে আমাদের গ্রামের ওয়াজ মাহফিলে গিয়েছিলাম। আগামী কাল পাশের গ্রাম এ ওয়াজ রয়েছে। যাইহোক খুব সুন্দর পোস্ট সৃষ্টি করেছ ছোট ভাই। খাওয়া-দাওয়ার পর্যায়টা বেশ আনন্দঘন ছিল মনে হচ্ছে। খুবই ভালো লাগলো পোস্ট পড়ে।
ক্যামেরা অতটা ভালো না ভাই এডিট করে ছবিগুলো ফ্রেশ করে নিয়েছি।