শহর উন্নয়ন।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরও একটি নতুন পোস্ট। তো আমরা দিন দিন অনেক কিছুরই উন্নত করছি। যেমন আগে চলাচল করার জন্য রাস্তাও ছিল না এখন প্রায় সব জায়গায় রাস্তা হয়ে যাচ্ছে। যদিও বা গ্রামাঞ্চলে এখনো অনেক জায়গায় বাদ আছে তবে আশা করা যায় সেগুলো খুব দ্রুত হয়ে যাবে। তো সব জায়গায় যেহেতু উন্নতি হচ্ছে তো আমাদের গাংনী শহর তাই বা বাদ থাকবে কেন। তার জন্যই মূলত আমাদের গাংনী শহরটাকেও একটু উন্নতির দিকে নিয়ে চলেছে।

Canva দিয়ে তৈরি

এইতো কিছুদিন আগেই আমাদের এখানে একটা বড় পানির ট্যাংক তৈরি করেছে যাতে সাপ্লাই এর মাধ্যমে প্রতি বাড়িতে বাড়িতে পানি পৌঁছে দেওয়া যায়। যদিও বা আমাদের এখানে প্রায় সব জায়গায় পানি ওঠে আলহামদুলিল্লাহ যার কারণে পানি নিয়ে অতটা সমস্যা হয় না। তোর পানির ট্যাংক তৈরি শেষ করে এবারের মূলত রাস্তা বানানোর কাজ শুরু করেছে। অর্থাৎ গাংনী থেকে মেহেরপুর বা কুষ্টিয়া যাওয়ার যে হাইওয়ে রোডটা আছে ওটাকে ডাবল সাইড রোড বানাতে চলেছে।

তো সেইসব নিয়ে পরে কোন পোস্টে আলোচনা করা যাবে আজকে আমি আপনাদের মাঝে যেগুলো নিয়ে আলোচনা করব সেগুলো হচ্ছে আমাদের সাইডে অর্থাৎ আমাদের বাড়ির সাইডে যে সব সরকারি কাজ চলছে সেগুলো নিয়ে। তবে আমাদের বাড়ির সাইডের রাস্তা তো বড় করছে না তবে এদিক দিয়ে বড় একটি পানির যাওয়ার লাইন করছে। আসলে বর্ষাকালে যখন অনেক অনেক বৃষ্টি হয় তখন শহরের অনেক জায়গায় পানি জমে থাকে। যার কারণে ঠিকভাবে চলাচল করা যায় না। এবার তো দেখলাম ঢাকার অবস্থা বেশ খারাপ হয়েছিল। আর এবার আমাদের গাংনীতেও একটু পানি জমে ছিল। যদি সেটার পরিমাণ খুবই কম ছিল ।

যাইহোক ভবিষ্যতে যেন আমাদের গাংনী শহরে বর্ষাকালে পানি জমাট বেঁধে না থাকে তার জন্যই মূলত এই পরিকল্পনা। পানি লাইনটা হচ্ছে গাংনী বাজার থেকে মালসাদহ পর্যন্ত। আসলে মালসাদহ তে একটা বড় দোহাখাল আছে যেটাতে মূলত বাজারের পানিগুলো যাওয়ার লাইন করা হচ্ছে। যেন ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা না হয়। আর হ্যাঁ গাংনী বাজার থেকে দোহা খালটা প্রায় এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তাই বলা চলে এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত পানির লাইন করা হচ্ছে। যদিও বা পূর্বে গাংনী বাজারের পানি গুলো অন্য একটা ঘাটে গিয়ে পড়তো।

এই পাশের কাজগুলো তখন নতুন নতুন শুরু করেছিল।

বর্তমান সেই ঘাটের জায়গায় বিল্ডিং করতে চাচ্ছে যার জন্য মূলত বর্তমান এই পরিকল্পনা নেওয়া। আর অলরেডি একটা বিল্ডিং তৈরি হয়ে গিয়েছে। যাইহোক এবারে সে পানি যাবার লাইনটার কিছু দৃশ্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক। তবে জানিনা কেন পানি যাওয়ার ড্রেন রাস্তার দুই সাইডে করছে। আসলে যারা পরিকল্পনা করছে তারাই এ ব্যাপারে ভালো জানে।

আর আমি যখন ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম তখন অন্য পাশে ড্রেন বানানোর কাজটা বেশ কিছুটা কমপ্লিট হয়ে গেছিল যা আপনারা নিশ্চয়ই ফটোগ্রাফি গুলোতে দেখতেই পারছেন।

তবে একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম রাস্তা থেকে বেশ কিছুটা দূরে এই পানির লাইনটা করছে হয়তোবা ভবিষ্যতে এই রাস্তাটাকেও ডবল বানানো চিন্তাভাবনা আছে। তো আপনারা উপরে সেই ড্রেন বানানোর দৃশ্য নিশ্চয়ই দেখতেই পারছেন। যদিও বা আমি যখন ফটোগুলো তুলেছিলাম তখন এক একপাশে একটু বেশি কমপ্লিট হয়ে গেছিলো। আর অন্য পাশে কাজ কেবল শুরু করছিল। তবে এখন বর্তমান প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি কমপ্লিট হয়ে গিয়েছে। যাই হোক কাজ যেহেতু কন্টিনিউ চলছে তাই আশা করা যায় খুব শীঘ্রই কমপ্লিট হয়ে যাবে। আর হ্যাঁ পরবর্তী পর্বে এই উন্নয়নের সময় মানুষের যেসব ঝামেলা পোহাতে হয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। যদিও ভাই এখানে ঝামেলার থেকে উপকার টাই বেশি।

তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। তো আমার আজকের পোস্টটা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। তো আজকের মতো এটুকুই আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ