ছোট ভাইদের সাথে সারাদিন গ্রাম্য পরিবেশে ঘোরাঘুরি করার অনুভূতি।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
আমার নানীদের বাড়িতে একটা বড়ই গাছ আছে। কিন্তু এগুলো ছোট ছোট ছিল তাই সেগুলো খেতে ভালো লাগবে না। আমার মামার ছেলেদেরকে বললাম যে বড়ই খেতে ইচ্ছে করছে কিন্তু তোদের গাছের বড়ই তো ছোট ছোট। এই কথা শোনার পর আমার ছোট মামার ছেলে বলল মাঠের দিকে একটা বড়ই গাছ আছে। ওখানকার বড়ই গুলো একটু বড় বড় হয়েছে একটু পরে ওখানে বড়ই খেতে নিয়ে যাবোনি। আমি বললাম ওকে ঠিক আছে। যেই কথা সেই কাজ তার কিছুক্ষণ পরে চলে গেলাম বড়ই খাওয়ার জন্য।
আমরা যে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম আসলে এটাকে রাস্তা বলা চলে না ধরতে গেলে পুকুরপাড়। দুই সাইডে পুকুর মাঝে যেটুকু জায়গা আছে ওইটুকু দিয়েই রাস্তা। রাস্তার পাশ দিয়ে যেতে যেতে দেখলাম একটা পুকুর পাড়ের চারিদিকে সারি সারি ভাবে কলা গাছ লাগানো দেখতে বেশি সুন্দর লাগছিল তাই পুকুরটির একটা ফটো তুলে নিয়েছিলাম। আর যেই দিক দিয়ে যাচ্ছিলাম ওইদিকেও অনেকগুলো কলা গাছ লাগানো ছিল।
যাই হোক কিছুদূর যাওয়ার পর বড়ই গাছটি দেখতে পেলাম। তবে এই গাছটার বড়ইগুলো অতটা বড় ছিল না। কিন্তু জানতে পারলাম সামনে আরও একটা গাছ আছে। ওই গাছের কাছে গিয়ে দেখলাম এই গাছের বড়িগুলো মোটামুটি বড় হয়ে গেছে।ওই গাছ থেকে বেশ কিছু বড়ই খেলাম এবং পকেটেও কিছু নিয়ে নিলাম যেতে যেতে খাওয়ার জন্য। যাইহোক বড়ই খেয়ে এবং ঘুরাঘুরি করে এভাবেই সকালবেলাটা কাটিয়ে দিলাম।
তারপর তিনটার দিকে আমার বড় ভাই @marufhh বলল পুকুর পাড়ে খেজুর গাছে কাট দেওয়া আছে। ওখান থেকে রস বের হচ্ছে কিন্তু রস সংগ্রহ করার জন্য কিছুই দেওয়া নেই। আমাদেরকে বললো একটা বোতল ঝুলিয়ে দিয়ে আসতে। পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখি দুইটা খেজুর গাছ আছে। আর দুইটা খেজুর গাছেই রস বের করার জন্য কাট দেওয়া আছে। দেখলাম একটা গাছে আগে থেকেই রস সংগ্রহের জন্য একটা বৈয়াম লাগানো ছিল। দেখলাম তাতে কিছুটা রস সংগ্রহ হয়েছে। যেহেতু রস সংগ্রহ হয়েছে তাই আর লোভ সামলাতে না পেরে। মুহূর্তের মধ্যে বৈয়ামের ভিতরে থাকা রসগুলো ফাঁকা করে দিলাম।
যাইহোক আরেকটা যে গাছটি ফাঁকা ছিল ওখানে একটা বোতল লাগিয়ে দিয়ে আমরা চলে গেলাম তেঁতুল খেতে। ওখান থেকে একটু দূরেই কয়েকটা তেঁতুল গাছ আছে। ওখানে গিয়ে ঢিল মেরে মেরে কয়েকটা তেঁতুল পেরে নিয়ে আসলাম।
তারপর বাড়ি ফেরার সময় দেখলাম মাঠে সরিষার ক্ষেত। চলে গেলাম সরিষা ক্ষেত কয়েকটা ফটো তুলতে। আমি এর আগেও একবার সরিষা খেতে গিয়েছিলাম বেশ কয়েকটা ফটো তুলেছিলাম কিন্তু সেগুলো ডিলিট হয়ে যাওয়ার কারণে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারিনি। যাই হোক সেগুলো বাদ দেয়। সরিষার ক্ষেতে গিয়ে আমরা কয়েকটা ফটো তুলে বাড়ির পথে রওনা দিলাম।
তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট। আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
গ্রামের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন। গ্রামের এত সুন্দর চমৎকার ফটোগ্রাফি দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কাঁচা খেজুরের রস খাবার অনুভূতি সত্যি অন্যরকম। বিশেষ করে সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। যখন মাঠের পর মাঠ সরিষা ফুল ফুটে তখন চারদিকের পরিবেশে অন্যরকম হয়ে ওঠে। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর ভাবে গুছিয়ে একটি মন্তব্য করার জন্য।
নানীদের বাসায় গিয়ে খুবই চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বিশেষ করে বড়ই খেতে গিয়েছিলেন অনেকটা দূরেই। আসলে নারীদের বাসায় গিয়ে যদি মামাতো ভাই থাকে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই তার সঙ্গে সব সময় সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করা যায় যেটা আপনি করেছেন। বড়ই খাওয়ার পাশাপাশি খেজুরের রস সহ সরিষা ফুলের কিছু চমৎকার ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে গ্রাম্য পরিবেশের সময় পটাতে সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করে।
আপনি ঠিক বলেছেন নানি বাড়িতে যদি মামাতো ভাইয়েরা থাকে তাহলে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ভাবে গুছিয়ে চমৎকার মন্তব্যটি করার জন্য।
আপনি তো দেখছি আপনার নানিদের বাসায় গিয়ে খুবই ভালো একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। আপনার মামাতো ভাইয়ের সাথে দেখছি বড়ই খাওয়ার জন্য গিয়েছেন। বড়ই গুলো দেখছি অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। আবার খেজুরের রস সংগ্রহ করার জন্য বোতল দেওয়ার মুহূর্তটিও বেশ ভালো ছিল। অনেক জায়গায় ঘুরাঘুরি করলেন। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন। আপনার কাটানো এত সুন্দর একটি মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে আপনি ঠিক বলেছেন নানির বাসায় গিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম । ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ভাবে গুছিয়ে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।