প্রতিবেশীদের পুরনো দোকান সরিয়ে নতুন দোকান বসিয়ে দেওয়ার কিছু মুহূর্ত।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
যেহেতু দশটার সময় মাহফিলে যাব তাই তার আগে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে একটু বিশ্রাম নিয়ে নিলাম এবং নয়টা বাজলে হ্যাংআউটে জয়েন হয়ে হ্যাংআউট শুনতে থাকলাম। যাইহোক তারপর দেখতে দেখতেই যখন সময় হয়ে আসলো তখন নয়ন আমাকে মেসেজ দিয়ে রাস্তায় আসতে বললো। তো আমি রাস্তায় গিয়ে দেখি নয়নের সাথে আমার আরেকটা বন্ধু আকাশও ছিল। তারপর তিনজনে মিলে মাহফিলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম কিন্তু যেতে যেতে ঈদগাহার মোড়ে গিয়ে দেখি আমাদের আরো বেশ কয়েকটা বন্ধু আড্ডা দিচ্ছে। তো প্রথমে কিছু না বুঝে আমরাও ওদের সাথে কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়িয়ে গেলাম। তারপর হঠাৎ করেই দেখি পাশে থাকা একটি কাঠের দোকান হাটানোর জন্য সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আসলে ওই দোকানটা আমাদের এক প্রতিবেশীর আমি আগে থেকেই জানতাম যে ওরা আজকে দোকান সরাবে । কিন্তু সেটা যে এই মুহূর্তেই ,সেটা আমার জানা ছিল না। যাইহোক যেহেতু উনারা আমাদের প্রতিবেশী আর ওনার একটা ছেলে আমাদের বন্ধু ছিল, যদিও বা এখন সে বিদেশে আছে। তাই আমরাও হেল্প করতে চলে গেলাম। প্রথমে পুরনো দোকানটা মূল জায়গা থেকে সরিয়ে তারপর চলে গেলাম নতুন আরেকটা দোকান আনতে যেটা মূলত এই জায়গাটাতে বসাবে। তো প্রথমে সবাই মিলে নতুন দোকান তুলতে গিয়ে দেখি বেশ ভারী। কিন্তু আমরা লোক সংখ্যাও ছিলাম অনেকজন যার জন্য সবাই মিলে কোনরকমে দোকানটা ভ্যানের উপর তুলতে পেরেছিলাম। দোকানটা যেহেতু অনেক বড় ছিল তাই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে দুইটা ভ্যানে দোকানটাকে তুলবে। তো সেই মোতাবেকি তোলা হয়েছিল কিন্তু একটা ভ্যানের বাঁকা হয়ে গিয়েছিল।
তারপরেও আমরা অনেক কষ্টে কোনরকমে দোকানটাকে মূল জায়গায় নিয়ে এসেছিলায। যাই হোক তারপর দোকানটাকে সবাই মিলে ধরে মূল জায়গায় বসিয়ে দিয়েছিলাম। তো এই দোকান সরানোর মাঝখানে যখন একটু দাঁড়িয়ে ছিলাম ঠিক তখনই দেখি হ্যাংআউটের কুইজ সেগমেন্ট চালু হয়েছে। তো এই দোকান ছাড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে চেষ্টা করছিলাম কোনো কুইজের উত্তর দিতে পারি কিনা। তবে মজার বিষয় হচ্ছে কুইজে আমি একটা উত্তর সঠিকও দিয়েছিলাম কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ আন্দাজে। যাই হোক দোকানটা সরানোর পর দেখি আমার প্রতিবেশী একটা ভাই আমাদের হাতে এক প্যাকেট করে খিচুড়ি ধরিয়ে দিল। যদিও বা আমি আগে থেকেই জানতাম যে যারা ওনাদের দোকান সরিয়ে দিবে তাদের জন্য উনারা খাওয়া-দাওয়া ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু সেটা দেখছি আমার রিজিকেও ছিল। আসলে রিজিক জিনিসটা এমন যেটা আমার সেটা আমি পাবই সেটা যেভাবেই হোক না কেন।
যাইহোক এরপর আমি নয়ন এবং আকাশ মিলে খিচুড়ির প্যাকেট হাতে নিয়ে সোজা চলে গেলাম সামনে থাকা মসজিদে। এবং সেখানে বসে তিনজনে খিচুড়িগুলো খেতে শুরু করলাম। খিচুড়ির মধ্যে মুরগির মাংস দেওয়া ছিল তার জন্য বেশ সুস্বাদু লাগছিল। যাই হোক আমরা দ্রুত খিচুড়ি খাওয়া শেষ করে রওনা দিয়েছিলাম মাহফিলের দিকে। তো মাহফিলে ঘোরাঘুরি মুহূর্তগুলো পরবর্তী কোন পোস্টে শেয়ার করবো ইনশা-আল্লাহ।
তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। তো আমার আজকের পোস্টটা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। তো আজকের মতো এটুকুই আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
https://twitter.com/MdJohir65/status/1725910094880391429?t=bujl1X37nitBYy-PLRwOUQ&s=19