জীবনে প্রথমবারের অনেক উপরে ওঠার অনুভূতি।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
তো পৌরসভার কাছে একটা মেস আছে ওখানে আমাদের দুইটা বন্ধু শুয়াইব ও শামীম থাকে তাই জিহাদ বলল চল ওদের কেউ ডেকে নিয়ে যায়। তারপর আমি আর জিহাদ চলে গেলাম ওদের মেসে তারপর ওদের দুজনকে সাথে নিয়ে চলে গেলাম পানির ট্যাংকের উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষণ হাঁটার পর পৌঁছে গেলাম আমাদের পানির ট্যাংকের কাছে। আমি এর আগেও এসেছি তবে কখনো উপরে ওঠা হয়নি। নিচ থেকে দেখতে তেমন একটা উঁচু লাগেনা কিন্তু আমার বন্ধুরা যারা এর উপর উঠেছে তারা সবাই বলে উপরে উঠলে নাকি বেশ ভয় লাগে। শুয়াইব ও শামীম গতকালকে এই ট্যাংকের উপর উঠেছিল। ওরা বলছিল বেশ ভয় লাগে তাই ওরা আজকে উঠেনি। কিন্তু আমি আর জিহাদ তো উপরে ওঠার জন্য অনেক এক্সাইটেড ছিলাম। তাই আর দেরি না করে উপরে ওঠার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলাম। যখন উপরে ওঠার কথা বলছিলাম তখন একটা চাচা আমাদের বলছে ওঠার সময় শক্ত করে ধরে রাখবা আর নিচের দিকে তাকাবে না। আমরা বললাম ঠিক আছে দেখা যাবে।
এই ছবিতে যে সিঁড়িগুলো দেখতে পারছেন ওই সিঁড়ি দিয়ে মূলত আমরা উপরে উঠেছিলাম।
তো তখন আমরা দুজনে মিলে ট্যাংকের উপর উঠা শুরু করে দিলাম। প্রথমে ওঠার সময় কিছু মনে হচ্ছিল না। দুজনে আরাম এর সাথেই উঠে যাচ্ছিলাম। কিন্তু একদম শেষ ধাপে গিয়ে আমি নিচের দিকে তাকিয়ে ফেলেছিলাম। আর এত উপরে কোনদিন না ওঠার কারণে মাথার মধ্যে অন্যরকম একটা অনুভূতি হচ্ছিল এবং ভয় ভয় ফিল হচ্ছিল। তখন বুঝতে পারলাম সবাই এটার উপর উঠতে কেন ভয় পায়। যাইহোক তারপর পুরোপুরি উঠে গেলাম তখন নিচের দিকে তাকালেই বেশ ভয় লাগছিল। মনে হচ্ছিল যেন আরেকটু যদি উপরে যেতাম তখন যদি নিচের দিকে তাকাতাম তাহলে মাথা ঘুরে যেত। যাইহোক তারপর ওখানে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পর মোটামুটি স্বাভাবিক হয়ে পড়লাম তখন আর কিছু মনে হচ্ছিল না।
এই ছবিতে দূরে যে এরিয়াটা দেখতে পারছেন ওটাই আমাদের ওটাই হচ্ছে আমাদের গাংনী শহর।
উপর থেকে তোলা আমার একটা ছবি।
যাই হোক তারপরে যেহেতু আমরা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিলাম আর এখানে এসেছিলাম ছবি তোলার জন্য তাই আর দেরি না করে আমরা ছবি তোলা শুরু করে দিলাম। প্রথমে আমি উপর থেকে চারিপাশের বেশি ছবি তুলেছিলাম সেগুলো নিশ্চয়ই আপনার ওপরে দেখতেই পারছেন। যেহেতু দুজনে গেছি তাই একবার ও আমার ছবি তুলছিল আর একবার আমি ওর ছবি তুলছিলাম। তো আমি ওর ছবি ভালোভাবে তুলে দিয়েছিলাম কিন্তু ও আমার ছবি তোলার সময় তাড়াহুড়া করছিল তাই অনেকগুলো ছবির মধ্যে মাত্র কয়েকটা ছবি ভালো হয়েছিল। যাইহোক তারপর ছবি তোলা শেষ আমরা নেমে আসার জন্য প্রস্তুত হলাম। আর নামার সময় জিহাদ বলছে আমি আর কখনো এর উপরে উঠবো না। তখন বুঝতে পারলাম ও বেশ ভালই ভয় পেয়েছিল। যাইহোক তারপর নেমে এসে চারজন মিলে কিছু সময় কাটালাম তারপর বাড়ি ফিরে এলাম।
আমার বন্ধু যখন আমাকে একা রেখে আগে আগে নেমে যাচ্ছিল এই ছবিটা তখন তুলেছিলাম।
তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আজকের লেখাগুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
পানির ট্যাংকটা তো বেশ ভালোই উচু ৷ পানির ট্যাংক থেকে তোলা শহেরর দৃশ্যে গুলো খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে ৷ পানির ট্যাংকের উপর উঠে চারপাশের দৃশ্যে গুলো বেশ ভালোই উপভোগ করেছেন দুই বন্ধু মিলে ৷ আপনার সুন্দর অনুভুতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন্তব্যটি করার জন্য।