একটানা ঝড় বৃষ্টি।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
যাইহোক গত কয়েকদিন ধরেই শুনছি ঝড় আসতে চলেছে। আর সেটাই কাল রাতে আমাদের এদিকে বাস্তবায়িত হল। আর এখনো সেই ঝড় চলছে তো চলছেই। গতকাল রাতে হালকা বাতাস হতে না হতেই কারেন্ট চলে গিয়েছিল। কিন্তু বাইরে বাতাস হলেও ঘরের মধ্যে বেশ গরম পরছিলো। আমি সেই সময় কমিউনিটির কাজ করছিলাম তাই বাইরেও আসতে পারছিলাম না। আর এর কারণ হচ্ছে ভয়েস টাইপিং। ভয়েস টাইপিং করতে যেহেতু কথা বলা লাগে আর রাতে যেহেতু আস্তে কথা বললেও অনেকদূর পর্যন্ত চলে যায়। তাই চাচ্ছিলাম না কাউকে ডিস্টার্ব করতে। বেশ কিছুক্ষণ গরমের মধ্যেই থেকে পোস্ট এবং কিছু কমেন্ট করে বাইরে আসলাম একটু বাতাস খাওয়ার জন্য। বাইরে বসে বাতাস খাচ্ছিলাম ঠিক আছে,তবে অনেক জোরে জোরে বাতাস হচ্ছিল আর গাছগুলো যখন নড়ে উঠছিল তখন কেনো জানি ভয় লাগছিল।
আর ভয় লাগার কারণে কিছুক্ষণ বসে থেকেই ঘরের মধ্যে চলে গেলাম। তবে এবারে ঘরের মধ্যে গিয়ে দেখি অতটা আর গরম লাগছে না। যাইহোক ফোনে চার্জ ছিল আর অল্প কিছু। যখন ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেল তখন ফোনটা চার্জে দিয়ে রেখে দিলাম। ভেবেছিলাম রাতে কারেন্ট আসলে চার্জ হয়ে যাবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ফোনে এক পার্সেন্টও চার্জ হয়নি। তখনই বুঝতে পারলাম সারা রাতে হয়তোবা একবারও কারেন্ট আসে। আসলে কারেন্ট না আসারই কথা কারণ বাইরে এসে দেখলাম অনেক জোরে বাতাস বইছে। আর বাতাসের সাথে সাথে হালকা হালকা বৃষ্টিও পড়ছে।
সেটা এখন পর্যন্ত একভাবেই চলছে। না জানি আরো কতক্ষণ চলবে। তো যাই হোক সকাল বেলায় মোটামুটি খাওয়া-দাওয়া শেষ করে দোকানে আসার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। কারণ যেহেতু ফার্মেসিতে কাজ করি তাই যত যাই হোক না কেনো দোকানে আমাকে আসতেই হয়। তারপরেও আজকে যে আসতেই হবে তেমন কোনো বাধ্যতা ছিলো না। তারপরও নিজের ইচ্ছা থেকেই বেরিয়ে পড়লাম দোকানের উদ্দেশ্যে। রাস্তায় উঠে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর একটা পিকআপে উঠে সোজা দোকানে চলে আসলাম। তবে মজার বিষয় হচ্ছে যখন পিকআপে উঠি তখন দেখি সোহেল ভাই অর্থাৎ আমার দোকানের অনার ও সেই পিকআপেই আছে। কিন্তু এখানে একটু দুঃখের বিষয় ছিল সেটা হচ্ছে সিট ফাঁকা না থাকার কারণে আমাকে দাঁড়িয়ে আসতে হয়েছিল। অন্য সময় হলে কোনো সমস্যা ছিল না কিন্তু যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছিল আর পিকআপে বাহিরে দাঁড়াতে হয় তাই একটু ভিজে গিয়েছিলাম।
কিছুক্ষণের মধ্যে দোকানে পৌঁছালাম। ভেবেছিলাম দোকানে যেহেতু আই পি এস আছে ফোনটা চার্জ করে নিব তাই চার্জার সাথে করে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু দোকানে এসে দেখি আইপিএস আগে থেকেই অফ। অর্থাৎ চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে দোকানে পাওয়ার ব্যাংকের বডি ছিল এবং সেই সাথে কিছু ব্যাটারি ছিল সেগুলো দিয়ে মূলত ফোনটাকে মোটামুটি চার্জ করলাম।
যাইহোক এগুলো ছিল মূল ঘটনা। তবে কয়েকজনের মুখে শুনতে পেলাম এই ঝড়ের কারণে তাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। আর মাঠের ফসলও নষ্ট হচ্ছে। আবার ফেসবুকে ঢুকে দেখতে পেলাম অনেকেই এই ওয়েদার কে উপভোগ করছে। আসলে এরকমটাই হয়,যাদের ভালো ঘর আছে তাঁরা এই আবহাওয়াটাকে উপভোগ করছে। আর যাদের ভালো ঘরবাড়ি নেই তাঁরা এ আবহাওয়ার জন্য দুশ্চিন্তায় ভুগছে।
তো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আপনাদের ওদিকে কি অবস্থা কমেন্টে জানাতে পারেন। তো আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
https://twitter.com/MdJohir65/status/1794988078890647630?t=VtwrTWqKMa6qkbFNaNUuiA&s=19
চতুর্দিকে দেখছি রেমাল ভালই তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের অঞ্চলেও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে এরকম ঝড়-বৃষ্টিতে আসলেই সিমগুলোতে তেমন একটা নেটওয়ার্ক পায়না এমনকি নেটওয়ার্কও বিষয় বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দেয়। অবশেষে দোকানের পাওয়ার ব্যাংকের ব্যাটারির সাহায্যে ফোনে চার্জ করেছেন এটা শুনে ভালো লাগলো। তবে এই বৃষ্টিতে ভেজা থেকে সতর্কতা অবলম্বন করুন ভাইয়া যতটা সম্ভব। পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ থেকে আরো খারাপ হচ্ছে সাবধানতা অবলম্বন করুন সব দিক থেকে নিরপদে থাকার চেষ্টা করুন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে পরামর্শ সহ সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
ভাই আমাদের এদিকে অল্প ঝড়ো হাওয়াতেই বেশ কয়েক জায়গায় গাছ উপড়ে গিয়েছে। যার কারণে বিদ্যুতের দেখা নেই। আর বিদ্যুৎ যে কখন আসবে তারও নিশ্চয়তা নেই। এ নিয়ে আমিও বেশ সমস্যায় আছি। কারণ মোবাইলের চার্জ একদমই কম, কখন যে বন্ধ হয়ে যাবে তার ঠিক নেই। যাইহোক ভাই, একটানা ঝড় বৃষ্টি নিয়ে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
যারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে যে, এই ঝড়ের ওয়েদার উপভোগ করছে, তারা আসলে ভালো কোন মানুষ নয় ভাই। কারণ এই সময়টাতে মানুষের যে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, এটা তারা বুঝতে পারে না। আর আমাদের এখানেও ঝড়ের কারণে অনেকটা সময় কারেন্ট ছিল না। সেইজন্য ফোনে চার্জ দেওয়া নিয়ে বেশ খানিকটা অসুবিধা আমারও হয়েছিল। তবে পরে আবার কারেন্ট চলে আসার কারণে সব ম্যানেজ করে নিয়েছিলাম।