তীব্র গরম।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
তো প্রথমেই একটা কথা বলে নেই,এই লেখাগুলো মূলত আমি গতকালকে লিখেছিলাম তবে দুঃখজনক হলেও সত্য সেটা আমি গতকালকে পোস্ট করতে পারিনি। তো এই পোস্টের মাঝে যদি আমি কোথাও আজ বলে থাকি তাহলে সেটা গতকাল ধরতে হবে এবং যদি গতকাল বলে থাকি সেটা গত পরশুদিন ধরতে হবে।
আমার যতটুকু মনে আছে অন্যান্য বছরে গরম আসলেও সেটা অল্প থেকে বেশি আসে। কিন্তু এ বছর আমার কাছে মনে হলো যেন হুট করেই তীব্র গরম চলে আসলো। আর কয়েকদিন ধরে যে গরম পড়ছে সবাই তো অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। আমারও মাঝে মাঝে এতটাই গরম ফিল হচ্ছে যে অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সারাদিন ফ্যানের তলায় থাকা হয় কিন্তু তারপরেও যেন মাঝে মাঝে গা দিয়ে ঘাম বের হয়ে যায়। আসলে ফ্যানের বাতাস যে ঠান্ডা হবে তা হয় না ফ্যানের বাতাস গরম হয়।
তবে গত শুক্রবারে ফ্যানের বাতাস টাকে আরো বেশি গরম ফিল করেছিলাম। আসলে শুক্রবার ছাড়া আমার দিনের বেলায় বাড়িতে যাওয়া হয়না বললেই চলে। তো গত শুক্রবার বাড়িতে গিয়ে একটু বিশ্রাম নেব কিন্তু এতটাই গরম পড়ছিল যে অস্থির হয়ে পড়ছিলাম। ফ্যান চলছিল কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল যে আমি কোনো আগুনের কাছে দাঁড়িয়ে আছি আর সেটা তাপ আমার গায়ে এসে লাগছে।
আর এই তীব্র গরমে সব থেকে বেশি বিরক্ত কর হচ্ছে লোডশেডিং। যদিওবা এ লোডশেডিং এর কারণে আমার অতটা সমস্যা হয় না কারণ আমি যে দোকানে কাজ করি এ দোকানে আইপিএস আছে যার কারণে সব সময় ফ্যান চলে। আর রাতে বাড়ি গেলে দেখি বাড়িতেও সবসময় কারেন্ট থাকে। আসলে এটা হচ্ছে শহরে থাকার অ্যাডভান্টেজ। তবে আজ সকালে কারেন্টে বেশ ভালোই বিরক্ত করেছিল। সকালে ঘুমিয়ে ছিলাম ভালোই কিন্তু হঠাৎ করে কারেন্ট চলে গিয়েছিল আর কারেন্ট চলে যাওয়ার সাথে সাথে যেহেতু ফ্যান অফ হয়ে গিয়েছিল তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতেই পারছেন তারপর এই গরমে কি অবস্থা হচ্ছিল। আর সকালে ঘুম এতটাই বেশি আসছিল যার কারণে না পারছিলাম উঠে বাইরে আসতে না পারছিলাম গরমে ঘরের মধ্যে থাকতে। এই গরম সহ্য হয়না আল্লাহ ভালো জানেন জাহান্নামের আযাব কতটা কঠিন। তো যাই হোক আপনাদের ওখানে কারেন্ট কেমন থাকছে অবশ্যই কমেন্টে জানাতে পারেন।
তো আমি যতদূর দেখেছি আমাদের এখানে গতকালকে ৪১° পর্যন্ত গরম পড়েছিল। তবে আমাদের পাশের জেলাস চুয়াডাঙ্গা তে আবার ৪২.৬ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠেছিল। আর নিউজে দেখলাম যশোর এলাকায় ৪১° তাপমাত্রাতেই রাস্তার পিচঢালাই গলে যাচ্ছে। তো আমাদের এখানেও যেহেতু ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল তাই ভাবলাম যে আমিও রাস্তায় গিয়ে দেখে আসি আমাদের এখানে পিচ গলছে কিনা। তো আমি রাস্তায় গিয়ে দেখি আমাদের এখানে যশোরের মতো পিচ গলেনি তবে একটু হাত দিয়ে চাপ দিলেই উঠে আসছিল।
তো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। তো এই গরমে আপনাদের কি অবস্থা অবশ্যই কমেন্টে জানাতে পারেন। আর যেহেতু এই তীব্র গরমের জন্য আমরাই অনেকটা দায়ী তাই আমাদের উচিত বেশি বেশি করে গাছ লাগানো এবং পরিবেশকে বাঁচানো। যাই হোক আজকের মত এটুকুই । দোয়া করুন আল্লাহ যেন খুব তাড়াতাড়ি বৃষ্টি দিয়ে পরিবেশটাকে ঠান্ডা করে দেয়। আমি জহির আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন এবং এই গরমে বেশি বেশি পানি পান করবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ।আমাদের ঢাকায় কারেন্ট তেমন একটা যায়না।গেলে ৫ মিনিটে আবার চলেও আসে।এই গরমে ফ্যান ছাড়া থাকা মুশকিল।আমিও খবরে শুনলাম যশোরের আর চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশী।আল্লাহকে সবাই ডাকুন আর সবাই মিলে বলি পুরো পৃথিবীকে আল্লাহ তুমি শীতল করে দাও,আমিন।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
প্রতিদিনই গরমের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফ্যানের নিচে গিয়ে ঘুমোতে গেলে মনে হয় যেন গরম বাতাসে গা পুড়ে যাচ্ছে এমন অবস্থা। আর দিনের বেলায় এমনিতেই রোদের প্রভাবে তাপমাত্রা বেশি থাকে।
জি ভাই গরম বেশ ভালোই পরছে।
আর বলার দরকার নেই ভাই যে হারে গরম পড়ছে আমাদের এলাকায়। ৪১-৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বাঁচা যায়। বাইরে পরিবেশের চলাচল বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে এই মুহূর্তে আমাদের সবাইকে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে নিজের শরীর ভালো রাখার জন্য। পাশাপাশি আপন বোনদের সচেতন রাখতে হবে এই বিষয়ে।
অবশ্যই ভাই সবাইকে সচেতন থাকাই উচিত।
আমাদের এখানে কারেন্ট যায় ৩/৪ দিন পরপর,শুধুমাত্র ১০/১৫ মিনিটের জন্য। তাই অতিরিক্ত গরমেও আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছি। যাইহোক তীব্র গরমে জনজীবন একেবারে অতিষ্ঠ। অতিরিক্ত গরমের সময় ফ্যানের বাতাসও গরম লাগে। এই গরমে এসি ছাড়া আর কোনো গতি নেই। তাপমাত্রা সামনে আরও বাড়বে মনে হচ্ছে। তাই বেশি বেশি পানি পান করবেন এবং তরল জাতীয় খাবার বেশি খাবেন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
যেভাবে গরম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রতিনিয়ত এই গরমের প্রভাব বৃদ্ধি হয়ে যাচ্ছে এর ফলে মানুষ প্রতিনিয়ত অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে৷ এই অসুস্থতার কারণেই অনেক মানুষ অনেক ভাবে মারা যাচ্ছে৷ তবে আমাদের সকলের উচিৎ এই গরমের সময় অনেক বেশি পরিমাণে সতর্ক থাকা এবং যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকা৷
আসলেই ভাই অতিরিক্ত গরমে আমাদের উচিত যতটা সম্ভব সতর্ক থাকা।