অনেকদিন পর পিকনিক করলাম।

in আমার বাংলা ব্লগ7 months ago
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।

আজকে আবারো আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরও একটি নতুন পোস্ট। বেশ অনেকদিন হলো কোনো পিকনিক করা হয় না। তাই মনে চাচ্ছিল একটা পিকনিক করতে কিন্তু তেমন সুযোগ পাচ্ছিলাম না। আবার কয়েকদিন আগে একটা সুযোগ পেলেও ফোন ভেঙে যাওয়ার কারণে সেটা মিস করে ফেলেছিলাম। তো আমি যেখানে কাজ করি সেখানকার কিছু ছেলেরা মিলে বলছিল যে একটা পিকনিকের আয়োজন করবে। আমার প্রথমে ইচ্ছে হচ্ছিল করতে কিন্তু আমি সেভাবে তাদেরকে কিছুই বলেছিলাম না। তবে পরে সোহেল ভাই যখন আমাকে পিকনিক করার জন্য অফার করে তখন আমি একবারই রাজি হয়ে গিয়েছিলাম।

তো প্রথমে ওরা বলছিল যে শুক্রবারে পিকনিকটা করবে কিন্তু কিছু কারণবশত সেদিন আর করতে পারিনি। তারপর বলেছিল যে ১৯ তারিখে তারা পিকনিক টা করবে কিন্তু সবকিছু গুছাতে না পেরে আবারও বলল যে আজকে আর হবে না। তো গতকালকে তারা একদম প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল পিকনিক করার জন্য তাই গতকালকে মূলত কাঙ্খিত পিকনিকটা আয়োজন করা হয়েছিল।

IMG_20231220_193011-01.jpeg

IMG_20231220_193556-01.jpeg

IMG_20231220_200930-01.jpeg

তো রাতে কাজ শেষ করে আমি এবং সোহেল ভাই চলে গেলাম ওই গ্রামের স্কুলের ফিল্ডে যেখানে মূলত পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল। গিয়ে দেখি চারিদিকে অনেক মানুষ। আসলে প্রথমেই শুনেছিলাম যে পিকনিকটাতে অনেক মানুষ অংশগ্রহণ করবে তো পরে জানতে পারি যে পিকনিকটাতে মোট ৬৫ জন অংশগ্রহণ করেছিল। আসলে বলতে গেলে ওই গ্রামের যত ছেলেপেলে প্রায় সবাই পিকনিকটাতে অংশগ্রহণ করেছিল।

IMG_20231220_193553-01.jpeg

তো এখানে একটা মজার বিষয় ছিল যে যারা রান্নার কাজ করার সময় পিকনিকের জায়গায় উপস্থিত ছিল না তাদের দিয়ে পরবর্তীতে রান্না করার পাত্র ধুয়ে নেওয়া হয়েছিল।

তো আমরা যেহেতু একদম শেষের দিকে গিয়েছিলাম তাই তেমন কোন কাজ ছিল না তার জন্য বলতে পারেন আমার কোনো কাজই করা লাগেনি। আর এমনিতেও যেহেতু আমি গেস্ট হিসেবে পিকনিকে জয়েন করেছিলাম তাই তারা হয়তো আমাকে দিয়ে তেমন কোনো কাজও করাতো না। তারপরেও পিকনিকের কাজ করতে আমার খারাপ লাগে না। যাই হোক কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমাদেরকে ডাকলো খাওয়া-দাওয়া করার জন্য। এবং প্রথমে ওদের দাওয়া করা কয়েকজন গেস্ট দের সাথে আমাদেরও খাওয়া দাওয়া করিয়ে দিলো। তার জন্য সবাই মিলে একসাথে বসে খেতে পারেনি।

IMG_20231220_195357-01.jpeg

আমার আশেপাশে সব চাচারা বসেছিল তাই খাবারের তেমন কোনো ছবি তোলার সুযোগ পাইনি তারপরেও কোনো রকমে এই একটা ছবি তুলেছিলাম তাও দেখি সেটা ঘোলা হয়েছে।

তার জন্য পিকনিকটা তেমন একটা উপভোগ করতে পারিনি। তো যাই হোক এবারে চলুন এগুলো বাদ দিয়ে খাবারের মেনুতে কি ছিল সেটা বলা যাক। তো খাবারের মেনুতে ছিল মূলত ভাত,আলু মালিশ,গরুর মাংস,সালাদ এবং শেষে একটা সফট ড্রিংকস। সত্যি বলতে খাবারগুলো খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। তবে যখন খাবার খেতে বসেছিলাম তখন ওরা এমন ভাবে পরিবেশন করছিল যে মনে হচ্ছিল আমি এখানে পিকনিক করতে আসি নি বরঞ্চ দাওয়াত খেতে এসেছি। তো যাই হোক খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলাম। আর এমনিতেও সেখানে আমাদের আর কোন কাজও ছিল না।

তো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন ও বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। অনেকদিন পর পিকনিক করলাম কিন্তু অতটা মজা করতে পারিনি তবে এরকম একটা অভিজ্ঞতারও দরকার ছিল। আপনারা লাস্ট কবে পিকনিক করেছেন অবশ্যই কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। তো যাই হোক আজকের মতো এটুকুই আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ
Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 7 months ago 

শীত মানেই পিকনিক। আসলে শীতের দিনে পিকনিক করতে খুব ভালো লাগে।সবাই মিলে দেখছি বেশ আনন্দ করেছেন পিকনিকে।যারা রান্নার কাজ করার সময় ছিলো না তাদের দিয়ে থাল বাজিয়েছে তার মানে আপনিও তো শেষে এসেছেন হাহাহা। আপনাকে সবাই ভালোবেসে পিকনিকে দাওয়াত খাইয়ে দিয়েছে জেনে ভালো লাগলো।

 7 months ago 

আসলে আমি শেষে গিয়েছিলাম ঠিকই তবে যেহেতু আমি গেস্ট হিসেবে গিয়েছি সেখানে তাই আমাকে আর কাজ করতে বলেনি। হাহাহা

 7 months ago 

আপনারা পিকনিক করেছিলেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আপনাদের পিকনিক করার কথা ছিল ১৯ তারিখে কিন্তু সেদিন আপনারা গুছিয়ে উঠতে না পারার কারণে আপনারা ২০ তারিখে পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন জানতে পারলাম। আপনাদের গ্রামের স্কুলের ফিল্ডে আপনারা পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন। আসলে এভাবে রাত জেগে পিকনিক করতে সত্যি বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।

 7 months ago 

অনেকবার পিকনিক করার দিন তারিখ ঠিক করার পরেও পিকনিক করা হয়নি অবশেষে পিকনিক করেই ফেললেন। এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে এলাকার সকলের মিলে একত্রে পিকনিক করেছেন। এলাকার সকলে মিলে একত্রে পিকনিক করার মাঝে এক অন্যরকম ভালোলাগা এবং ভালোবাসা কাজ করে একে অপরের মধ্যে ভালোবাসার ভাতৃত্ব সৃষ্টি হয়। তবে এরকম দেশি সকলের এলাকাতেই হয় যে যারা কাজ করে না তাদের দিয়ে নির্দিষ্ট একটা কোন না কোন কাজ করিয়ে নেওয়া হয়। যদিও আমি সচরাচর কাজকর্ম খুবই কম করি পিকনিকের সময় তবে খাওয়ার সময় ঠিকই উপস্থিত হয়ে হা হা হা। ভালো লাগলো আপনার এই পিকনিকের মুহূর্ত দেখে এবং গল্প পড়ে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

হ্যাঁ খাওয়া দাওয়ার সময় সবাই উপস্থিত হয়ে যাই বলেই উনারা বুদ্ধি করে প্রথমে যারা রান্নার সময় ও উপস্থিত ছিল না তাদেরকে বলেছিল যে রান্নার পাত্র গুলো ধুয়ে তারপর খেতে বসতে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 66930.79
ETH 3268.09
USDT 1.00
SBD 2.64