বন্ধু নয়নের সাথে ঘোরাঘুরি ও আড্ডা।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
তো গত কয়েকদিন আগেই নয়ন ম্যাসেজ দিয়েছিল বাইরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য যেটা প্রত্যেকবারেই হয়ে থাকে। তো আমিও রাজি হয়ে গিয়েছিলাম একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসার জন্য। তো বাড়ি থেকে দুজনে হাঁটতে শুরু করলাম তো করলামই। এ হাঁটা যেন শেষ হওয়ার নয় সোজা বাজার দিয়ে চলে গেলাম অন্য একটি এলাকায় যেদিকে আমরা প্রতিবারই যেয়ে থাকি। তো তারপর সেই গলি দিয়ে আবারো হাঁটতে থাকলাম এবং দুজনে এটা সেটা গল্প করতে থাকলাম।
তারপর হাঁটতে হাঁটতে আমাদের সামনে আলাদা একটা রাস্তা বাধল। যেদিকে আমরা এর আগে দুইবার গিয়েছিলাম। সেদিন ভেবেছিলাম যে ওদিকে আবার যাব কিন্তু কিছুদূর যেতেই দেখি। রাস্তা অবস্থা খুবই খারাপ সেটা নিশ্চয়ই আপনার উপরে ফটোতে দেখতে পারছেন। যেহেতু রাস্তা ভালো ছিল না তাই আর ওদিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাদ দিলাম। কারণ শুধু শুধু পা নোংরা করে লাভ নাই। তাই এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম সোজা বাজারের দিকে যাওয়ার। তো বাজারের দিকে আসার সময় একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম আমাদের বাড়ির কাছে দুটো ছেলেকে হাঁটতে দেখেছিলাম তারা আবার হাঁটতে হাঁটতে এখানে চলে এসেছে বিষয়টা বেশি ইন্টারেস্টিং লাগলো।
তো যাই হোক এরপর আমরা বাজারে ফিরে আসলাম এবং ভাবলাম বাজার থেকে কিছু খাওয়া যাক। তো সোজা চলে গেলাম মুড়ি খাওয়ার জন্য এবং গিয়ে মুড়ির অর্ডার দিলাম। তো প্রতিবারের মতো এবারও কিছুক্ষণ ওয়েট করার পর আমাদেরকে মুড়ি দিয়ে দিলো।
তো তারপর দুজনে দুইটা কার্ড নিয়ে মুড়ি খাওয়া শুরু করে দিলাম। তবে সেদিন পেট হালকা একটু ভরা ছিল তাই সম্পূর্ণ মুড়ি শেষ করতে গিয়ে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আর সেদিন আবার একটু বেশি করেই মুড়ির অর্ডার দিয়েছিলাম। তো যাই হোক এরপর মুড়ি খাওয়া শেষ করে যখন বাড়ির দিকে রওনা দিচ্ছি তখন লক্ষ্য করলাম যে নয়নের গায়ে এবং আমার গায়ে কিছুটা সেম দেখতেই শার্ট। তাই দুজনে মিলে একটি সেলফি তুলে নয়নকে বিদায় জানিয়ে দিলাম।
তো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন ও বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। তো আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। তো যাই হোক আজকের মতো এটুকুই আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
মূলত বন্ধুদের সাথে কাটানো সময় সব সময় স্মরণীয় হয়ে থাকে। ঘোরাঘুরির পাশাপাশি ঝাল মুড়ি খেয়ে আবার বন্ধুকে বিদায় জানিয়েছেন। আপনাদের কাটানো সুন্দর সময়টুকু শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এত সময় ঘুরাঘুরি করে খেয়ালই করেননি যে দুজনের শার্ট একই রকম। একদম শেষ মুহূর্তে গিয়ে দেখতে পেলাম যে একরকম।পেটে জায়গা না থাকলে এরকম মুড়িগুলো খেতে হবে ভালো লাগে না। কিন্তু মুড়িগুলো দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার ছিল। যাই হোক দুজনে মিলে কিন্তু বেশ ভালোই ঘোরাফেরা করেছেন। ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর মুহূর্তটি দেখে।
আসলে অনলাইনে বন্ধুদের সঙ্গে যতই আড্ডা দেই না কেন বাস্তবে একত্রে বসে আড্ডা দেওয়ার মাঝে যে অনুভূতি সেটা কখনোই অনলাইনে পাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালই লাগে রাতের বেলা বন্ধুর সঙ্গে দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন এবং ঝাল মুড়ি খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। হয়তোবা এই মুহূর্তগুলোই একদিন স্মৃতি হয়ে থাকবে, সুন্দর কাটানো মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।