"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-০৯ নাটক রিভিউ [benificiary ১০% @shy-fox]|
আজ - ১০ পৌষ| ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | রবিবার | শীতকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--০৭)
- আজ ১০ম পৌষ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- রবিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ বিকেল সবাইকে......!!
ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পিতা বনাম পূত্রগং । |
---|---|
পরিচালনা | সকাল আহমেদ। |
প্রযোজক | কাজী রিটন |
রচনা | বৃন্দাবন দাশ |
গল্প | রমজান আলী |
আবহ সংগীত | অধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ |
চিত্রনাট্য | শামসুল আলম লেলিন। |
অভিনয়ে | মাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ২০ মিনিট ০০ সেকেন্ড |
পরিবেশনায় | Maasranga TV Official |
মুক্তির তারিখ | ১১ ই আগষ্ট, ২০২২ ইং |
ধরন | সামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল |
পর্ব | ০৯ |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-
অষ্টম পর্বের শেষ অংশের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, আরফান এবং নাদিয়া একটি বাগানের মধ্যে গল্প করছে। মূলত তাদের গল্পের মূল বিষয়বস্তু ছিল যে চঞ্চল চৌধুরী তার বাবার গলায় ছুড়ে ধরে সিগনেচার নিয়েছে কিনা। আরফান যখন নাদিয়াকে বলছে যে তার ভাই এ কাজ করেনি কিন্তু নাদিয়া তার কথা কিছুতেই বিশ্বাস করছে না। কিন্তু এদিকে আরফান তাকে বুঝিয়ে যাচ্ছে শেষের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে নাদিয়া তার উপর রাগ করে সেখান থেকে চলে যায়। এটাই ছিল পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকের অষ্টম পর্বের শেষ অংশের দৃশ্য।
অষ্টম পর্বের শেষ অংশের দৃশ্য।
নবম পর্বের প্রথম অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরী ছোট ভাই এবং তার প্রেমিকা একটি পুকুর ঘাটে বসে গল্প করছে। তার ছোট ভাইয়ের প্রেমিকা খুবই ভয় পাচ্ছে যে, তারা একবার চঞ্চল চৌধুরীকে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়েছিল সে যদি তাদেরকে রাগের মাথায় আবার খুন করতে বসে। এরপরে চঞ্চল চৌধুরীর ছোট ভাই তাকে জিজ্ঞেস করে যে সে তাকে ভালোবাসে কিনা। কিন্তু চঞ্চল চৌধুরীর ছোট ভাইয়ের প্রেমিকা তাকে জিজ্ঞেস করে যে আমি আপনাকে ভালোবাসি কিনা সেটা জানিনা। মূলত আপনার মধ্যে কোন গুণ নেই আপনার চেহারা ভালো কিন্তু চেহারা ভালো দিয়ে কি আর হয়...!! এ কথা শুনে তার ছোট ভাই কান্না জড়িত কন্ঠে বলে তুমি আমার ভালোবাসার সাগরে ডুব দাও। কিন্তু মেয়েটা রাজি হয় না। এখানে আসলে বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। এখনকার সমাজে ছেলেদের ক্ষেত্রে রুপের থেকে গুণ অনেক বেশি দরকার। এখানে গুন বলতে বোঝানো হয়েছে কর্মদক্ষতা। ছেলেদেরকে রূপের প্রয়োজন হয় না তার কর্ম যদি ভাল থাকে আপনা আপনি অনেক মেয়ে তাকে বিয়ে করতে চায়। নাটকের এই বিষয়টি আমার কাছে একদম বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের বড় দুই ছেলে তার কাছে গিয়ে উপস্থিত হয়। এবং তাদের বড় ছেলে তাকে জিজ্ঞেস করে যে আমাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে আপনি আমাদেরকে বিয়ে না দিয়ে কেন চঞ্চল চৌধুরীকে বিয়ের অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু তার বাবা এটা মানতে রাজি হয়না একপর্যায়ে তার বড় ভাই মনের অজান্তে বলে ফেলে যে চিঠিতে আপনি স্বাক্ষর করেননি এটা আমরা জানি এ কথা শোনার পরে তার বাবা তাকে বলে তাহলে তো সবকিছু পরিষ্কার হয়ে গেল, এত কথা বলছ কেন। এ কথা শোনার পরে তার মেজ ভাই সেখান থেকে রাগ করে চলে যায় মূলত তার বড় ভাই আসল কথা ফাঁস করে দিয়েছে।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরী একটি গাছের নিচে লুকিয়ে থাকে এবং সেই পাশ দিয়ে নাদিয়া আসছিল। হঠাৎ করে চঞ্চল চৌধুরী গাছের আড়াল থেকে হাতে চুড়ি নিয়ে তার সামনে হাজির হয়। সে তাকে বিয়ে করার কথা বলে কিন্তু নাদিয়া কোনমতেই রাজি হয় না চঞ্চল চৌধুরী তাকে বলে যে আমি কাজী অফিসে সবকিছু ঠিকঠাক করে রেখেছি তুমি আমার সঙ্গে গিয়ে এখনই আমাকে বিয়ে করবে। কিন্তু একথা নাদিয়া কোন মতেই মানতে পারছে না। এক পর্যায়ে চঞ্চল চৌধুরী তার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে থাকে এবং নাদিয়া অনেক বেশি চিল্লাচিল্লি শুরু করে। সেই পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল চঞ্চল চৌধুরীর বড় ভাইয়ের প্রেমিকা মূলত সে হচ্ছে, শাহনাজ খুশি। নাদিয়া শাহনাজ খুশি কে ডাক দেয় এবং শাহনাজ খুশি সেখানে গিয়ে নাদিয়াকে উদ্ধার করে চঞ্চল চৌধুরীর হাত থেকে।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, বাসার সাহেবের বড় দুই ছেলে একটি জায়গায় বসে থাকে এবং তার মেজ ভাই তার বড় ভাইয়ের উপর অনেক বেশি রাগান্বিত হয়ে আছে কারণ সে ভুলবশত তার বাবার সামনে গিয়ে সত্য কথা বলে ফেলেছে। কথা বলার এক পর্যায়ে সেখানে শাহনাজ খুশি এসে হাজির হয় এবং তাদের কাছে চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা বলে। একথা শুনে তাদের বড় দুই ভাই অনেক বেশি অবাক হয় এবং শাহনাজ খুশি তাদের কাছে বিচার দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। শাহনাজ খুশি চলে যাওয়ার আগে বলে পুলিশের কাছে যাব বিচার দিতে এ কথা শুনে তারা খুবই ভয় পায়।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে নাদিয়া এবং আরফান একটা জায়গায় বসে চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে আলোচনা করে। এরপরে নাদিয়া যখন বলে যে সে তার বাবার কাছে বিচার দেবে এ কথা শুনে আরফান বলে যে বিচার দেওয়ার দরকার নেই কারণ বিচার দিলে চঞ্চল চৌধুরী তার বাবার কাছে আমাদের বিষয়টা বলে দেবে। তখন নাদিয়া বলে আমাদের মাঝে কোন সম্পর্ক নেই, এ কথা শুনে আরফান অনেক বেশি দুঃখ পায়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে নাদিয়া সেখান থেকে ধাই ধাই করে চলে যায়। নদিয়া চলে যাওয়ার পরে আরফান আরো বেশি রাগান্বিত হয়।
এর পরের অংশে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের বোন তার কাছে এসে বলে যে তার বড় ছেলের প্রেমিকা তাকে কিছু বলেছে কিনা। মূলত তার বোন তার কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলে এ শুনে বাসার সাহেব বলে পুরো কথাই মিথ্যে এ বলে সে সেখান থেকে চলে যায়। এরপরে বসার সাহেবের বড় ছেলে একটা জায়গায় বসে থাকে সেখানে আরফান এসে তাদের অনেক বেশি রাগ দেখায়। কিন্তু তাদের বড় ভাই তাকে বলে যে যা ঘটেছে তুই নাদিয়াকে বল সে যেন পুলিশের কাছে যায় আমরা এখানে কিছু করতে পারবো না এই কথা শুনে আরফান সেখান থেকে মনে দুঃখ কষ্ট নিয়ে চলে যায়।
নবম পর্বের আগামী পর্বে দেখানো হয় যে বাসার সাহেবের মত স্ত্রী তার কাছে আসে এবং তাকে অনেক বেশি শাসায় ঠিক আগের মতই। কিন্তু এবার আর বসার সাহেব তাকে দেখে ভয় পাচ্ছি না কারণ তার হাতে তাবিজ আছে বাসার সাহেব তার সঙ্গে অনেকক্ষণ ঝগড়া করে। এটাই ছিল পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকের নবম পর্বের রিভিউ। প্রতিনিয়ত এই নাটকটি আমি যতই দেখছি ততই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছে কিছুটা হাস্যরসিক এবং কিছুটা জ্ঞানমূলক। আশা করছি এই নাটকটি আপনাদের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছে। আগামী সপ্তাহে আমি আপনাদের মাঝে আরেকটি পর্ব নিয়ে হাজির হব ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ধৈর্য ধারণ করবেন বলে আশা রাখি।
শিক্ষণীয় দিক-
এই নাটক থেকে আমরা এটাই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি যে গ্রামের এমন অনেক পিতা-মাতা আছে যারা হয়তো বা তাদের ছেলেমেয়েদের সঠিক সময়ে বিয়ে দিতে চায় না। কিন্তু তারা কেন বিয়ে দিতে চায় না এটা হয়তো তারা বুঝতেই পারে না। মূলত তারা মনে করে যে যদি তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দেওয়া হয় তাহলে হয়তো সংসার নষ্ট হয়ে যাবে কিন্তু সঠিক সময়ে সন্তানদেরকে বিয়ে দেওয়া উচিত। যেমনটা এই নাটকে আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পারি যে সন্তানদের বিয়ে না দেওয়ার কারণে তারা কতটা আফসোস করছে। তারা যেই প্রেমিকার সঙ্গে প্রেম করত তাদের ছেলেমেয়ে হয়ে গিয়েছে তবুও তাদের বিয়ে হয়নি ব্যাপারটা আসলেই খুবই দুঃখজনক।
ব্যক্তিগত মতামত-
প্রথমে ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত চমৎকার একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।দেখতে দেখতে আজ ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করে ফেললাম,আপনাদের মাঝে। এই নাটকের মাধ্যমে আমরা অবশ্যই ভালো কিছু শিখবো এবং ভালো একটা জ্ঞান নিতে পারব বলে আশা রাখি। যদিও এই নাটকটা অনেকগুলো পড়বে ভাগ করা হয়েছে আমি ইউটিউবে দেখেছি প্রায় ৬০ পর্বের ও বেশি এই নাটক। আমি ভেবে নিয়েছি আপনাদের মাঝে প্রতিটি পর্ব শেয়ার করব একে একে। কেউ ধৈর্যহারা হবেন না আশা করি।
ব্যক্তিগত রেটিং-
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | নাটক রিভিউ |
---|---|
বিষয় | পিতা বনাম পূত্রগং (৯ম পর্ব) |
রিভিউ এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সবসময় সাপোর্ট করি পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পর্ব আকারে নাটকগুলো একটা না দেখে আরেকটা বুঝা মুশকিল! তবুও আপনার রিভিউটা পড়ে কিছুটা আইডিয়া পেলাম। সমাজের বাস্তব সত্য হলো মেয়েরা কখনো ছেলেদেরকে ভালোবাসেনা, ভালোবাসে তার কর্ম, টাকাকে! এটা আমার কাছেও ভালো লেগেছে
আশুলিয়া আগের নাটকগুলো না দেখলে হয়তো এভাবে নাটক বোঝা অনেক বেশি মুশকিল হয়ে পড়ে তবে আমি আশা করব আপনি আগের পর্বগুলো ইউটিউব থেকে দেখবেন খুবই ভালো লাগবে।
ভাইয়া আপনার এই নাটকের রিভিউ দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার। তবে এই নাটক টি আমি আগে কখনো দেখিনি। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেরে ইচ্ছে করছে দেখতে। আমি সময় পেলে একবার এই নাটকের পর্ব গুলো দেখার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
যেহেতু আপনি এই নাটক সম্পর্কে আগে জানতেন না এখন বর্তমানে জেনেছেন, ইউটিউব থেকে দেখবেন খুব ভালো লাগবে, বিশেষ করে চঞ্চল চৌধুরী যেই নাটকে অভিনয় করে সেটা সব সময় অনেক বেশি সুন্দর হয়ে থাকে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।