অনেকদিন পরে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার মুহুর্ত
আজ--০৯ মাঘ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | শীতকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার মুহূর্ত।
- আজ--০৯ম মাঘ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- মঙ্গলবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ বিকেল সবাইকে......!!
এর আগে আমি আপনাদের মাঝে বলেছিলাম যে বন্ধুর সঙ্গে অনেক মান-অভিমান হয়েছিল যার কারণে অনেকদিন তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। মূলত সে আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল কিন্তু কোন একটা কারণে হয়তো বা দেখা করতে পারিনি যার কারণে আমার খুবই রাগ হয়েছিল সেখান থেকে কিছুদিন আমাদের কথাবার্তা বন্ধ ছিল। এ ব্যাপারটা নিয়ে আমি এর আগে আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলাম আজ বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার মুহূর্ত আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। হঠাৎ করে সেদিন বিকেল বেলা বন্ধুকে ফোন দিয়েছিলাম যে সে আজ ফ্রি আছে নাকি, এ কথা শুনে সে বলল যে তুই চলে আয় আমি সবসময়ই ফ্রি আছি আমি বিকেল বেলা বন্ধুর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। যদিও আমার গ্রাম ওর গ্রামের থেকে খুব একটা বেশি দূরে নয় তিন থেকে চার কিলো পথ। যেতে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে। আমি তাকে লোকেশন পাঠিয়ে দিয়েছিলাম বলেছিলাম তুই আগে গিয়ে এখানে বসে থাকবি তারপরে আমি যাব। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেদিনও আমি সেই লোকেশনে গিয়ে দেখি বন্ধু সেখানে নেই। তাকে না দেখে আমি আবার ফোন দিলাম। ফোন রিসিভ করে বলছে প্রত্যেকবার তুই আমাকে বসিয়ে রাখিস এবার তুই কিছুক্ষণ বসে থাক। কেমনটা লাগে এবার আপনারাই বলুন...!!
একথা শোনার পরে আমি ফোনটা কেটে দিয়ে সেখানে বসে একটা দোকানে গিয়ে চা খাচ্ছিলাম দু মিনিট পর দেখি বন্ধু হাজির। আমি তাকে দেখে হেসে উঠেছিলাম সেও আমাকে দেখে যথারীতি হাসতেছিল এরপর পাশে এসে বসল কৌশলাদি বিনিময় হল। সেখানে কিছুক্ষণ গল্প করার পরে বললাম যে নদীর কিনারে গিয়ে বসবো, আমরা যেখানে বসেছিলাম তার পাশেই ছোট্ট একটা নদী ছিল নদীতে বর্ষা মৌসুমে প্রচুর পানি থাকে কিন্তু যখন বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে যায় তখন চারিদিক শুকিয়ে গেলেও মাঝখানে বড় একটা জায়গা জুড়ে সারা বছর পানি থাকে। সেখানে মাছ চাষ করা হয় প্রত্যেক বছরে। এরপরে আমরা দুজন গিয়ে বসি প্রকৃতির মাঝে সামনের নদী আর নদীর কিনারে ছোট্ট একটা নৌকা বাধা ছিল আমরা গিয়ে সেই নৌকার উপরেই বসে ছিলাম। নদী থেকে উঠে আসছিল ঠান্ডা বাতাস যদিও শীত লাগছিল তবে খুব একটা বেশি খারাপ লাগছিল না।
এরপরেই শুরু হয়ে গেল দুজনের যত অভিযোগ দুজনকে শোনানোর। অভিযোগ শুনতে শুনতে একটা সময় আমি ক্লান্ত হয়ে গেলাম এরপরে বললাম ঠিক আছে এসব গল্প বাদ নতুন কোন গল্প থাকলে সেটা বল। দুই বন্ধু যেহেতু অনেক দিন পর একত্রে হয়েছে বুঝতেই পারছেন অনেক কথা জমে রয়েছে সে বলা শুরু করল তার চাকরি জীবন কেমন কাটছে লেখাপড়া জীবন কেমন কাটছে এসব নিয়েই আমরা গল্প করছিলাম আর নদীর মধ্যে থাকা অতিথি পাখির কিচির-নীতির শব্দ শুনছিলাম। অতিথি পাখির কিচির-নীতির শব্দ শুনতে বেশ ভালই লাগছিল মাঝে মাঝে নদী থেকে উপরের দিকে উঠে যাচ্ছিল আবার নদীতে ঝাঁপ দিচ্ছিল সেই অতিথি পাখি দৃশ্যটা অসাধারণ ছিল। যখন আমরা নদীর ঘাটে গিয়েছিলাম তখন প্রকৃতিটা সেজে উঠেছিল তার নিজস্ব রূপে সূর্যটা প্রায় অস্ত চলে গিয়েছিল। গোধূলি লগ্নের মুহূর্তে আমরা দুজন নদীর পাড়ে বসে বসে গল্প করছিলাম। পাশেই দেখছিলাম যে খেয়াঘাট ও পাশের মানুষ এ পাশে আসছে নদী পারাপার হচ্ছে ছোট্ট একটা ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে অসাধারণ ছিল।
বন্ধুর সঙ্গে অনেকদিন পরে এরকম একটা সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করতে পেরে নিজের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছিল। এরপরে আমরা ফিরে গিয়েছিলাম আমাদের পলিটেকনিক লাইফে পলিটেকনিক লাইফ কি রকম ভাবে কাটিয়েছি কত ইনজয় করেছি এই ব্যাপারটা নিয়েই আমরা কথা বলছিলাম কথা বলতে বলতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল আমরা বুঝতেই পারিনি। যখন মাগরিবের আজান দেয় তখন আমরা বুঝেছিলাম যে হায় হায় সন্ধ্যা হয়ে গেল এত তাড়াতাড়ি যদিও আমরা ঘড়ির কাটার দিকে তাকিয়ে দেখি প্রায় দেড় ঘন্টা মতো একই জায়গায় বসে আছি, কিন্তু আমাদের মনে হয়েছিল মাত্র ৩০ মিনিট হয়েছে। কিভাবে যে সময় কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না।
পোস্টের ছবিগুলো লক্ষ্য করলেই আপনারা দেখবেন যে আসলে প্রকৃতি পরিবেশের মাঝে আমরা কতটা সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছি। চারিদিকে সবুজ ঘাস সামনে ছোট্ট একটা নদী আর নৌকার উপরে আমরা বসে বসে প্রকৃতি দেখছিলাম আর একে অপরের সঙ্গে গল্প করছিলাম এরকম মুহূর্ত হয়তোবা খুব কম কাটানো হয়েছে তার সঙ্গে। যদিও অনেকদিন আমাদের দেখা ছিল না তারপরেও অনেকদিন পরে এরকম একটা প্রকৃতিক পরিবেশের মাঝে সময় কাটাতে পেরে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল এখনো মন চায় বারবার এরকম মুহূর্ত তার সঙ্গে কাটাতে। হয়তোবা আবার হবে তবে কবে হবে সেটা জানি না কারণ লেখাপড়া এবং চাকরি এই দুটো নিয়েই আমরা দুজন অনেক বেশি ব্যস্ত থাকবো আর কিছুদিন পরে। তবে যদি কখনো এরকম সুযোগ আবার আসে সেটা কখনোই হাতছাড়া করবো না।
এরপরে যখন চারিদিকে অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে এখান থেকে উঠে যাব যদিও আমাকে বাসায় যেতে হবে এ কথা ভেবেই সেখান থেকে উঠে আসা ততক্ষণে চারিদিকে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছিল। আর যেহেতু নদীর পাড়ে বসে ছিলাম তাই প্রচন্ড শীত লাগছিল নদী থেকে স্ব স্ব শব্দে বাতাস উঠে আসছিল। এরপরে আমরা চলে যাই ছোট্ট স্ট্রিট ফুড এর দোকানে, দোকানটা খুবই ছোট হলেও সেখানকার স্ট্রিট ফুড খুবই সুন্দর এবং সেখানকার খাবার অনেক বেশি সুস্বাদু। এরপরে আমি আর বন্ধুকে আমি বিদায় দিয়ে আমি নিজেও একটা অটো রিকশা করে বাসায় চলে এসেছিলাম।
এটাই ছিল আমার আজকের সংক্ষিপ্ত পোস্ট আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | অনেকদিন পরে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার মুহুর্ত |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।
@jibon47
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে কম বেশি সবাই পছন্দ করে। বন্ধু হল, যার সাথে অভিমান করা যার,রাগ করা যায় এবং মনের সকল কথা বলে হালকা হওয়া যায়। যার একজন সত্যিকারের বন্ধু আছে সে কখনও একা হয় না। মান অভিমান শেষে আবার দু'বন্ধু বেশ ভালো সময় কাটালেন।অভিমান কাটল দু;বন্ধুর। সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বিষয়টা খুবই চমৎকার ছিল যেহেতু আপনি অপেক্ষা করে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। অথবা দেখা করতে চেয়েও দেখা করেন নাই। সেই বিষয়টা তো আপনাকে ফেরত পেতে হবে তাই না। তো আপনাকেও লোকেশনে নিয়ে গিয়ে বাসায় রাখলেন। যদিও বন্ধ বলে কথা বেশিক্ষণ আপনাকে ব্সাই রাখতে পারেনি। অবশেষে আপনার সাথে দেখা করতে হাজির হয়ে গেলেন। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত ছিল এবং ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল।
অনেকদিন পরে বন্ধুর সাথে দেখা করার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়ে যেদিকে ভালো লাগলো। বন্ধুর সাথে রাগ অভিমান থাকবেই। সত্যিকারের বন্ধুত্বগুলো সত্যি অনেক বেশি সুন্দর হয়ে থাকে। একে অপরকে অপেক্ষা করানো সহ সবকিছুই থাকে। অবশেষে আপনার সাথে দেখা করতে হাজির হয়ে গিয়েছিল দেখেই খুব ভালো লেগেছে। বুঝতেই পারতেছি ভাই এরকম একটা সুন্দর পরিবেশের মাঝে দুই বন্ধু খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন। ধন্যবাদ এরকম একটা মুহূর্ত সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।