"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা -০৫ ( স্ট্রীটফুড রিভিউ প্রতিযোগিতা )[benificiary ১০% @shy-fox]
আজ - ০৭ ভাদ্র | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | রবিবার | শরৎকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
চলুন শুরু করা যাক
খুব ছোট বেলা থেকেই আমার স্ট্রীটফুড খেতে খুবই ভালো লাগে।ছোটবেলা থেকেই আমি স্ট্রীটফুড খেয়ে আসছি। স্ট্রীটফুড খাওয়ার কথা যখন চলেই আসলো তাহলে মনে পরে গেল সেই ছোট বেলার কথা। যখন আমি ছোট ছিলাম তখন আব্বুর সাথে বাজারে যাওয়ার জন্যে মাঝেমধ্যেই বায়না ধরতাম। আব্বু কোন কোন দিন সাথে নিয়ে যেতো আবার কোন কোন দিন সাথে নিয়ে যেতো না। যে দিন সাথে নিয়ে যেতো না সেই দিন কান্না করতাম। আব্বুর সাথে বাজারে যাওয়ার একটাই কারন আর সেটা হলো বাজারে যেয়ে স্ট্রীডফুড খাওয়া। যে দিন আব্বু বাজারে নিয়ে যেতো না সে দিন আব্বু বাজার থেকে স্ট্রীট ফুড নিয়ে আসতো আর আমি বাসায় বসে বসে খেতাম খুবই ভালো লাগতো। বলতে পারেন খুব ছোট বেলা থেকেই আমি স্ট্রীট ফুড পছন্দ করি এবং এই স্ট্রীট ফুডের প্রতি খুবই দূর্বল। যা দেখলে না খেয়ে থাকতে পারি না।
ছবিঃ-স্ট্রীট ফুড খাওয়ার সময়
তেলে ভাজা খাবার খেতে কার না ভালো লাগে বলেন..? স্ট্রীডফুড খাবারের মধ্যে আমার তেলে ভাজা খাবার খুবই প্রিয়। তেলে ভাজা খাবার যদিও স্বাস্থ্যের জন্য তেমন ভালো না। এখন তেমন বেশি একটা স্ট্রেটফুড খাবার খাই না। তারপরেও রাস্তার পাশে কোন স্ট্রেটফুড এর দোকান দেখলে নিজেকে আর সামলাতে পারি না। অনেক দিন যাবত স্ট্রীটফুড খাবার খাওয়া হয় না তাই সবাই মিলে ভাবলাম আজ একটু স্ট্রীটফুড খাবো।যে ভাবা সেই কাজ বিকেল হতেই চলে গেলাম আমাদের গ্রামের পরের একটি গ্রামে সেখানে নদীর পাশে অনেক গুলো স্ট্রীটফুডের দোকান আছে। প্রতিদিন বিকেল বেলা সেখানে অনেক মানুস উপস্থিত হয় শুধু মাত্র স্ট্রীটফুড খাওয়ার জন্যে। দোকানীরা অনেক সুস্বাদু স্ট্রীটফুড তাদের বানানো স্ট্রীট ফুড আশপাশ এলাকায় খুবই সুনাম অর্জন করেছে।
ছবিঃ-সামনে থেকে স্ট্রীটফুডের দোকান
ছবিঃ-ভেতর থেকে স্ট্রীট ফুডের দোকান
ছবিঃ-স্ট্রীট-ফুড এর দোকান
ঠিক বিলেক বেলা আমরা ক'জন সেই দোকানের সামনে যাই এবং যেয়ে দেখি দোকানদার মামা আজকে অনেক ধরনের রেসিপি রান্না করেছে। দেখেই মনটা আনন্দে নেচে উঠল। শারি শারি স্ট্রীট ফুড সাজানো আছে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। দোকানে প্রচুর ভীর থাকার কারনে আমরা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি। ভীর কিছু টা কমে গেলে আমরা সবাই বসে দোকানদার মামাকে স্ট্রেড ফুড দিতে বলি। দোকানদার মামা সব গুলো রেসিপি থেকে দুইটা দুইটা করে মোট ছয় ধরনের রেসিপি নিয়ে। একটা প্লেটে এ গুলো বহন করা খুবই কষ্ট স্বাদ্ধ। তারপরে আমরা সেখানে বসে সবাই মিলে অনেক মজা করে স্ট্রীড ফুড খাই এবং অনেক গল্প করি। স্ট্রীড ফুড অনেক মজার ও সুস্বাদু ছিলো। এখনে অনেক ধরনের স্ট্রীট ফুড পাওয়া যায় যেমন,আলুর চপ,বেগুনের চপ,চিকেন চপ,ডালের বড়া,পেঁয়াজি, নুডলস এবং চিংড়ি মাছের চপ। এখন আপনারাই বলেন এতো সুন্দর খাবার রেখে কি না খেয়ে চলে আসা যায়..!মোটেও না।
ছবিঃ-স্ট্রীট ফুডের রেসিপি
চিংড়ি মাছের চপ এবং বেগুনি আমার কাছে সব থেকে প্রিয়। চিংড়ি মাছের চপ প্রতি পিচ পনেরো টাকা এবং বেগুনি প্রতি পিচ পাঁচ টাকা। তাছাড়া ছোট বেলায় যখন নদীতে মাছ ধরতে যেতাম তখন চিংড়ি মাছ পেলে কাঁচাই খেয়ে ফেলতাম,কাঁচা চিংড়ি খেতে ভালোই লাগে। আর এখানে তো চিংড়ি ভেজে দেওয়া হচ্ছে,বুঝতেই পারছেন লোভ সামলানো কঠিন।
ছবিঃ-নুডলস এবং চিকেন চপ
নুডলস পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়তো পৃথিবীতে খুজে পাওয়া যাবে না। আমি নিজেও নুডলস খুবই পছন্দ করি। স্ট্রীটফুড এর মধ্যে সব গুলো খাবার খেতে খেতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। পরে সর্বশেষে নুডলস আর চিকেন চপ খেয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হই।
কেন এটি আমার কাছে প্রিয়...?
রাস্তার পাশে দোকান গুলোতে অনেক সুন্দর সুন্দর স্ট্রীটফুড এর রেসিপি তৈরি করা হয়। এবং এর স্বাদ ও অনেক ভালো। যদিও এ গুলো রাস্তার পাশে খোলা পরিবেশে তৈরি করা হয়, তবুও মাঝে মাঝে এখানে অল্প টাকায় ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়। দামে সস্তা মানে ভালো এর নাম স্ট্রীটফুড। এজন্য আমার কাছে স্ট্রীটফুড প্রিয়।
অনেক লোভনীয় স্ট্রীট ফুড। দারুন মুহূর্ত তুলে ধরেছেন সাথে চমৎকার উপস্থাপনার সাথে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকে স্বাগতম ভাই💜💜
ভাই কি খাবার দেখাইলেন।জিভায় জল চলে আসতাছে।খুবই সুন্দর হয়েছে শুভ কামনা ভাই।💖
হা হা হা,,ধন্যবাদ ভাই ধন্যবাদ 🥰🥰
আপনার খাবারের রেসিপিটা খুব সুন্দর।আপনি সুন্দর ভাবে আপনার স্ট্রীফুডের রিভিউটা ভালো ভাবে উপস্থাপন করেছেন। স্ট্রীটফুড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করায় সাধুবাদ আপনাকে
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা