"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-২৫//নাটক রিভিউ
আজ - ০৬ বৈশাখ| ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | বুধবার | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--২৫)
- আজ ০৬ই বৈশাখ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- বুধবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে......!!
ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পিতা বনাম পূত্রগং । |
---|---|
পরিচালনা | সকাল আহমেদ। |
প্রযোজক | কাজী রিটন |
রচনা | বৃন্দাবন দাশ |
গল্প | রমজান আলী |
আবহ সংগীত | অধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ |
চিত্রনাট্য | শামসুল আলম লেলিন। |
অভিনয়ে | মাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ১৯ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড |
পরিবেশনায় | Maasranga TV Official |
মুক্তির তারিখ | ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ইং |
ধরন | সামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল |
পর্ব | ২৫ |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-
পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ২৫ পর্বের রিভিউ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে আরফান এবং নাদিয়া তারা বসে বসে গল্প করছে। নাটকের এ পর্যায়ে এসে আপনারা সকলেই হয়তোবা জানেন যে আরফান নাদিয়াকে অনেক বেশি পছন্দ করে এবং ভালোবাসে কিন্তু নাদিয়া তাকে কোনদিনই সেই রকম ভাবে কখনোই ভালোবাসার কথা বলেনি। এদিকে আরফান নাদিয়ার কাছে এসে তার ছোটমার কথা বলে। তার ছোট ভাই যে তার ছোট মার কথা শুনে প্রথম বিয়ে করিয়ে নিতে রাজি করিয়েছে এ ব্যাপারেই সে নাদিয়ার কাছে বলছে। নাদিয়া ও তাকে বলে যে তাহলে তোমার ছোট মাকে বলে বিয়ে করে নাও। ঠিক তখনই আরফান তাকে বলে যে আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই এ ব্যাপারে তোমার মতামত কি তখন নাদিয়া একদম তাকে সরাসরি বলে দেয় যে আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব না।
এ পর্যায়ে এসে আমি বুঝতেই পারলাম না যে এটা নাদিয়ার মনের কথা নাকি সে এমনি এমনি মুখে মুখে এমন কথা বলল কারণ, আরফান নাদিয়াকে অনেক বেশি ভালবাসে এটা নাদিয়া জানে। যখনই নাদিয়া তাকে না বলে দিয়েছে ঠিক তখনই আরফান কান্নায় ভেঙে পড়ে।
বাস্তবিকভাবে আমার কাছে আরফানের অভিনয় অনেক বেশি ভালো লাগে তার কান্না করার এই অভিনয়টা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। তার এরকম কান্না দেখে যে কেউ হাসবে বলে আমার মনে হয়। হাসি হাসি কান্না করা এই অভিনয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
এদিকে আপনারা সকলেই জানেন যে বাসার সাহেবের মেজ ছেলে বাসা থেকে রাগ করে বের হয়ে গিয়েছে। যদিও তার বের হওয়ার কারণটা হচ্ছে যে তার বাবা বৃদ্ধ বয়সে এসে বিয়ে করেছে কিন্তু তার বাবা বিয়ে করেছে কিনা সেটা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। এদিকে বাসার সাহেবের মেজো ছেলের বান্ধবী হচ্ছে শাহনাজ খুশি সে শাহনাজ খুশির ননদকে বিয়ে করতে চায়। যার কারণে সে জামা কাপড় নিয়ে তার কাছে গিয়েছে সে তার সঙ্গে তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে উঠবে কিন্তু ও শাহনাজ খুশি কিছুতেই রাজি হচ্ছে না। যদিও এখানে রাজি না হওয়ার পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
বর্তমান সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে কোন মেয়ে যদি কোন একটি যুবক ছেলেকে নিয়ে তার শ্বশুরবাড়িতে ওঠে তবে আশেপাশের মানুষ তাকে নিয়ে অনেক রকম মন্তব্য করে। আর এই ব্যাপারটাই শাহনাজ খুশি খুবই ভয় পাচ্ছে সে চাচ্ছে না যে সে তার সঙ্গে তার শ্বশুরবাড়িতে যাক এতে করে আশেপাশের মানুষ তাকে কটু কথা বলবে এটাই স্বাভাবিক।
এ পর্যায়ে এসে বাসার সাহেব তার বড় ছেলেকে ডেকে এনে আচ্ছা মত কিছু কথা শুনিয়ে দেয়। আমি মনে করি সে তার সন্তানদেরকে এরকম কিছু কথা শোনাবে এটাই স্বাভাবিক কারণ ছোটবেলা থেকে যে বাবা তাদেরকে বড় করেছে শেষ বয়সে এসে সন্তানেরা তার কথা শুনছে না বরঞ্চ কোথাকার কোন মেয়ে যাকে কিনা তার বাবা বিয়ে করেছে কিনা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি আর তারা তাদের স্বার্থ হাসিল করার উদ্দেশ্যে সেই মেয়েটাকে মা হিসেবে মেনে নিয়েছে, এই ব্যাপারটা আমার কাছে অনেক বেশি খারাপ লেগেছে। সন্তান হয়ে বাবার প্রতি এরকম ব্যবহার আসলে কাম্য নয়। এই ব্যাপারটা নিয়েই বাসার সাহেব এবং তার বড় ছেলের সঙ্গে কিছুটা সময় কথা কাটাকাটি হয় এক পর্যায়ে তার বড় ছেলে তার বাবাকে না মেনে সেখান থেকে চলে যায়।
এদিকে তো আপনারা সকলেই জানেন যে শাহনাজ খুশি বাসার সাহেবের মেজো ছেলেকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছে সে যেন তার শ্বশুর বাড়ি গিয়ে না ওঠে। কিন্তু বাসার সাহেবের মেজো ছেলে অনেকটাই ঘাড় তেড়া সে কারো কথা শুনতে চায় না। একপর্যায়ে এসে সে শাহনাজ খুশি কে কিছু না বলেই সেখান থেকে চলে যায়। আসলে তার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এটাই যে সে বাসায় থাকবে না কারণ তার বাবা বৃদ্ধ বয়সে এসে বিয়ে করেছে। বাসায় না থাকার এই একটি মাত্র কারণ আরেকটি কারণ হচ্ছে তার বাবা তাকে বিয়ে দিচ্ছে না, আসলেই ব্যাপারটা অনেক বেশি দুঃখজনক।
হঠাৎ চঞ্চল চৌধুরী কাগজ হাতে নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল সেখানে গিয়ে হাজির হয়ে শাহনাজ খুশির ছোট ভাই। নাটকের প্রথম পর্যায়ে জানতে পেরেছিলাম যখন চঞ্চল চৌধুরীর মা মারা যায় তখন সে অনেক ছোট ছিল আর সেই ছোট অবস্থায় শাহনাজ খুশির ভাইয়ের সঙ্গে খেলাধুলা করত। তাই তারা ছোটবেলা থেকেই অনেক পরিচিত এবং একে অপরকে তুই তুকারি বলে সম্বোধন করে। নাটকের এ পর্যায়ে এসে শাহনাজ খুশি হয় যখন চঞ্চল চৌধুরীকে তুই বলে সম্বোধন করছিল তখন চঞ্চল চৌধুরী হঠাৎ রেগে গিয়েছিল। কিন্তু সেই ছেলেটা কিছুতেই বুঝতে পারছি না, তবে আমিও এ পর্যায়ে এসে বুঝলাম সে কেনই বা রেগে গেল...?? যার সঙ্গে সে ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে খেলাধুলা করেছে।
এদিকে বাসার সাহেব অনেক বেশি চিন্তিত কারণ তার কথায় এখন আর কেউ শুনছে না। একটা সময় তার সন্তানেরা তার কথায় উঠাবসা করতো কিন্তু সেই সন্তানেরা এখন তাকে মূল্যায়ন করছে না। যদিও মূল্যায়ন না করার পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে কারণ সে তার সন্তানদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না পর্যাপ্ত বয়স হয়ে যাবার পরেও। আর এদিকে তার বোন তাকে শুধু বলছে সে যেন তার ছেলেদেরকে বিয়ে দিয়ে দেয় যাতে করে তার সন্তানেরা সেই মেয়েটাকে আর মা বলে সম্বোধন না করে, কিন্তু বাসর সাহেব এখনো বলছে যে সে নাকি তার ছেলেদেরকে বিয়ে করাবে না।
বাসার সাহেব এখনো বিশ্বাস করে যে সে যদি তার ছেলেদেরকে বিয়ে করিয়ে দেয় তাহলে এই সংসারে তার আর কোন কথা থাকবে না সংসারটা একদম ধ্বংস হয়ে যাবে যেটা একদমই অযৌক্তিক। বাসার সাহেবের বোন তাকে এ ব্যাপারে অনেক আগেই বলেছিল কিন্তু বাসার সাহেব সেটা কোনভাবেই মেনে নেয়নি এখন পর্যন্ত নিচ্ছে না তবে দেখার বিষয় এটা যে বাসর সাহেব ভবিষ্যতে তার সন্তানদেরকে বিয়ে দেবে কিনা। এটাই ছিল নাটকের শেষ অংশের দৃশ্য।
এটাই ছিল আমার আজকের পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ২৫ পর্বের রিভিউ। আশা করছি এই রিভিউ আপনাদের খুবই ভালো লেগেছে। আজ আর না এখানেই শেষ করছি সকলের সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকল....!!
শিক্ষণীয় দিক-
পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ব্যক্তিগত মতামত-
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। বর্তমান সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যারা কিনা সন্তানদেরকে দিয়ে দেয় না কিন্তু তার সন্তানেরা বাবা মার কাছে বলতেও পারে না যে তারা বিয়ে করবে। এটাই মূলত নাটকের মূল বিষয়বস্তু। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।
ব্যক্তিগত রেটিং-
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | নাটক রিভিউ |
---|---|
বিষয় | পিতা বনাম পূত্রগং (২৫ তম পর্ব) |
রিভিউ এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
খুবই চমৎকার একটা নাটকের রিভিউ আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এই নাটকটি আমি বেশ কিছুদিন আগে দেখেছিলাম খুবই ভালো লেগেছিল আমার কাছে।
নাটকটা দিনদিন আমার কাছেও অনেক বেশি ভালো লাগছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনি এই নাটকটির প্রত্যেকটা পর্ব খুবই সুন্দরভাবে শেয়ার করেন আমাদের মাঝে সব সময়। আজকে এই নাটকটির ২৫ তম পর্ব পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। আসলে আমার কাছে এমনিতেই নাটকের রিভিউ পড়তে ভালো লাগে। এই নাটকটির পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম আমি। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।
খুব শীঘ্রই আমি আপনাদের মাঝে পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হব অবশ্যই অপেক্ষায় থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতি সপ্তাহে আপনার এই নাটকটির রিভিউ পড়ে বেশ ভালই লাগে। আপনার রিভিউ পড়লে নাটকটি আর টিভিতে দেখার প্রয়োজন পড়ে না। বেশ সুন্দর করে আপনে নাটকটি রিভিউ তৈরি করেন। এমনিতে চঞ্চল চৌধুরীর নাটক আমার বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি চমৎকারভাবে নাটক শেয়ার করে থাকি নাটক রিভিউ করলে আর নাটক দেখার প্রয়োজন বোধ মনে হবে না বলে মনে করছি। ধন্যবাদ মন্তব্য জন্য।