"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-৩১//নাটক রিভিউ

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আজ - ০৩ আষাঢ় | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শনিবার | বর্ষাকাল |



আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।


আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি নাটক রিভিউ উপস্থাপন করবো। নাটকের নাম পিতা বনাম পূত্রগং। আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।



  • প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
  • নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--৩১)
  • আজ ০৩রা আষাঢ়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  • শনিবার


তো চলুন শুরু করা যাক...!


শুভ সকাল সবাইকে......!!


IMG_20230616_092225.jpg

ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।

source



নাটকের কিছু তথ্য


নামপিতা বনাম পূত্রগং ।
পরিচালনাসকাল আহমেদ।
প্রযোজককাজী রিটন
রচনাবৃন্দাবন দাশ
গল্পরমজান আলী
আবহ সংগীতঅধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ
চিত্রনাট্যশামসুল আলম লেলিন।
অভিনয়েমাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে ।
দৈর্ঘ্য২০ মিনিট ০৪ সেকেন্ড
পরিবেশনায়Maasranga TV Official
মুক্তির তারিখ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ইং
ধরনসামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল
পর্ব৩১
ভাষাবাংলা।
দেশবাংলাদেশ


নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-



আপনারা সকলেই হয়তো জানেন পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের মূল বিষয়বস্তু এখন পর্যন্ত এটাই যে বাসার সাহেব নামক সেই ব্যক্তি তার সন্তানদেরকে কোনভাবেই বিয়ে করাতে রাজি নয় কিন্তু তার সন্তানেরা বিয়ে করতে অনেক বেশি মরিয়া হয়ে উঠেছে। যাই হোক পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৩১ পর্বের রিভিউ এর প্রথম অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের বড় ছেলে তার বাবার কাছে গিয়ে বিয়ের কথা বলে সে অনেক রকম ভাবেই তার বাবাকে এটা বোঝাতে চায় যে তাদের বিয়ের বয়স হয়ে গিয়েছে কিন্তু তার বাবা কোনোভাবেই সেটা মেনে নিতে চায় না। এদিকে আপনারা সকলেই জানেন যে বাসার সাহেবের দ্বিতীয় একটা স্ত্রীর উদয় ঘটেছে তবে বাস্তবিকভাবে এখন পর্যন্ত সেটা তার স্ত্রী কিনা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

সন্তানেরা বাবার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে কারণ তার বাবা তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না এদিকে বাসার সাহেব তার দ্বিতীয় স্ত্রীকেও মেনে নিচ্ছে না কোনভাবেই। এদিকে বাসার সাহেবও তার সন্তানদেরকে বিয়ে দিয়েছে না কিন্তু বাসার সাহেব এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তার সন্তানেরা যদি তার কাছে আবার বিয়ের কথা নিয়ে কোনরকম কথা বলতে আসে তাহলে তাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেবে। একথা শুনে তার বড় ছেলে সেখান থেকে রীতিমতো ভয় পেয়ে সেখান থেকে চলে যায়।

Screenshot_2023-06-16-09-25-47-87_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2023-06-16-16-55-08-32_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

এদিকে আরফান অনেকটাই হৃদয় ভাঙার মতো অবস্থা সে বরাবরি কষ্ট পেয়ে আসছে কারণ নাদিয়া তাকে কোনভাবেই ভালোবাসার কথা বলছে না। এ পর্যায়ে এসে আরফান শাহনাজ খুশির কাছে গিয়ে নাদিয়ার ব্যাপারে খবর নিতে যায় কিন্তু না দেয়া শাহনাজ খুশি কে অনেক আগেই বলে দিয়েছে যে আরফানের ব্যাপারে তার সঙ্গে যেন কোন রকম কথা না বলে। যখন শাহনাজ খুশি আরফানকে এই কথা বলছে তখন আরফান অনেকটাই কান্না শুরু করে দিয়েছে। যখন এটা জানতে পেরেছে যে নাদিয়া এখন চঞ্চল চৌধুরীকে অনেক বেশি পছন্দ করে এ কথা জানার পরে আরফান কান্না আর ধরে রাখতে পারেনি।

এই নাটকের এই বিষয়টা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে যে আরফান আসলেই নাদিয়াকে অনেক বেশি ভালোবাসে এবং পছন্দ করে। কিন্তু নাদিয়া সেটা কোনভাবেই গ্রহণ করল না। একটা ছেলে একটা মেয়ের কাছে কতটা অসহায় সেটা এই নাটকের এই অংশটুকু দেখলেই বোঝা যায়। বিষয়টা দেখার পরে আমার কাছে অনেক বেশি খারাপ লেগেছে আরফানের জন্য।

Screenshot_2023-06-16-16-50-11-78_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2023-06-16-16-58-37-46_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

এরপরে হঠাৎ বাসার সাহেবের রুমে তার ছোট স্ত্রী অর্থাৎ মৌসুমী হামিদ এসে হাজির হয়। মৌসুমী হামিদকে দেখে বাসার সাহেব রীতিমতো অবাক হয়ে যায় এবং অনেক বেশি রাগান্বিত সুরে বলে তার রুম থেকে বের হয়ে যেতে। কিন্তু মৌসুমী হামিদ রুম থেকে বের হয় না বরঞ্চ তাকে বলে, সে নাকি তার বড় ছেলের কাছে বলেছে তাকে বাসা থেকে বের করে দেবে না হলে তাকে তালাক দিয়ে দেবে। তখন মৌসুমী হামিদের তাকে অনেক রকম ভাবেই ভয় দেখায় তাকে এই বলে ভয় দেখায় যে এই বৃদ্ধ বয়সে যদি জেলের ভাত না খেতে চাও তাহলে এ সকল কথা আর দ্বিতীয়বার মুখে না আনতে। বাসার সাহেব এখন অনেকটাই বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছে আর এই বৃদ্ধ বয়সে জেলে যাওয়ার কথা আছে মাথায় আনতে পারেনা।

এর পরের অংশে দেখা যায় যে আরফান অনেক রাত্রে নাদিয়ার বাসার সামনে গিয়ে নাদিয়ার সঙ্গে কথা বলে সে যেন তাকে বিয়ে করে নেয় কিন্তু না দিয়ে তাকে কখনোই বিয়ে করবে না এটা বলে দিয়েছে। এই ব্যাপারটা নিয়ে তাদের মাঝে কিছুটা সময় কথা কাটাকাটি হয় কিন্তু নাদিয়া কোনভাবেই তাকে বিয়ে করতে রাজি হয় না পরবর্তীতে আরফান তাকে বলে সে বিষ পান করে আত্মহত্যা করবে হাহাহা,চঞ্চল চৌধুরীর মতো। মূলত এখন লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে নাদিয়া অনেকটাই চঞ্চল চৌধুরীর উপর ভালোবাসা দেখাচ্ছে কিন্তু এই ভালোবাসাটা আসলেও সত্যি কারের ভালোবাসা নাকি মিথ্যে অভিনয় সেটাই জানার বিষয়...!!

Screenshot_2023-06-16-17-00-56-28_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2023-06-16-17-02-51-20_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2023-06-16-17-03-10-47_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের ছোট ছেলে হঠাৎ শাহনাজ খুশির ভাইকে সাথে নিয়ে তার প্রেমিকার সামনে উপস্থিত হয়। আমরা আগের পর্বগুলোতে দেখেছি যে বাসার সাহেবের ছোট ছেলে একটা মেয়েকে পছন্দ করে সেই মেয়েও একটা পর্যায়ে তাকে ভালোবাসতো কিন্তু বাসার সাহেবের এই বৃদ্ধ বয়সে বিয়ের কথা শুনে সেই মেয়ের বাসা থেকে কোন ভাবেই তার সাথে প্রেম ভালোবাসা মেনে নিচ্ছে না। যার কারণে সে হাতে একটা বিষের বোতল নিয়ে তার সামনে উপস্থিত হয় এবং বলে যে সে বিষয়ে আত্মহত্যা করবে কিন্তু তার প্রেমিকা এ বিষয়ে কোন রকম গুরুত্ব দেয় না।

Screenshot_2023-06-16-17-08-38-87_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2023-06-16-17-10-45-38_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

Screenshot_2023-06-16-17-12-38-85_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329.jpg

নাটকের এ পর্যায়ে এসে আমার মনে হচ্ছে যে বাসার সাহেবের ছোট ছেলের প্রেমিকা তাকে কোনোভাবেই বিয়ে করবে না কারণ বাসার সাহেব বৃদ্ধ বয়সে এসে বিয়ে করেছে একথা এলাকার মানুষ এখন প্রায় জেনে গিয়েছে যার কারণে কোন পরিবারই এমন পরিবারের সঙ্গে কারো মেয়ে বিয়ে দেবে না। এদিকে হঠাৎ চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে শাহনাজ খুশির দেখা হয় কিন্তু চঞ্চল চৌধুরীর শাহনাজ খুশির উপর অনেক বেশি রেগে আছে কিন্তু এই রেগে থাকার কারণ এখন পর্যন্ত এ পর্বে শেয়ার করা হয়নি। পরবর্তী পর্ব লক্ষ্য করলে হয়তোবা চঞ্চল চৌধুরীর এই রেগে থাকার কারণ লক্ষ্য করা যাবে।

এটাই ছিল পিতা বনাম পুত্রগং নাটকের ৩১ পর্বের রিভিউ। আশা করছি এর রিভিউ আপনাদের খুবই ভালো লেগেছে আর আমি প্রতি সপ্তাহে একটি করে রিভিউ আপনাদের মাঝে এখন থেকে প্রতিনিয়ত শেয়ার করব। আশা করছি আমার এই রিভিউ আপনাদের খুবই ভালো লাগবে।

আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে নতুন ভাবে নতুন রূপে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে....!!



শিক্ষণীয় দিক-


পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। ‌ অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।


ব্যক্তিগত মতামত-


প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। বর্তমান সমাজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যারা কিনা সন্তানদেরকে দিয়ে দেয় না কিন্তু তার সন্তানেরা বাবা মার কাছে বলতেও পারে না যে তারা বিয়ে করবে। এটাই মূলত নাটকের মূল বিষয়বস্তু। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।

ব্যক্তিগত রেটিং-


৮.৫/১০

source


সবগুলো স্ক্রিনশট এখান থেকে নেয়া


সমাপ্ত


আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা

বিবরণ
বিভাগনাটক রিভিউ
বিষয়পিতা বনাম পূত্রগং (৩১ তম পর্ব)
রিভিউ এর কারিগর@jibon47
অবস্থান[সংযুক্তি]source

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56586.53
ETH 2392.96
USDT 1.00
SBD 2.30