নিজেদের ভুল স্বীকার করতে পারি নি।
আজ--১৪ পৌষ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | শীতকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- নিজের ভুল স্বীকার করতে পারি নি।
- আজ-১৪ই পৌষ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- শুক্রবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে......!!
আপনারা সকলে জানেন যে বাসায় আসলে আমি ঘুরাঘুরিটা অনেক বেশি করে থাকি সেটা হোক দিন কিংবা রাত্রি। দিনের বেলাতে কোথায় থাকি নিজেই জানিনা আর সন্ধ্যে হবার পরে বাসায় আসি। রাতের খাওয়া দাওয়া করে আবার বের হই যদিও খুব একটা বেশি দূরে যাই না বাসার আশেপাশেই থাকি তবে বাসায় থাকা হয় খুবই কম। বাসায় থাকি না এটা নিয়ে আমার বোন এবং আমার আম্মুর অনেক অভিযোগ বিশেষ করে আমার ছোট বোনের অভিযোগ অনেক বেশি। এরপরেও বাসায় খুব একটা বেশি থাকা হয়ে ওঠে না সবসময়ই বন্ধু বড় ভাই ছোট ভাই এদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে করতেই আমার দিন শেষ হয়ে যায়। যদিও কয়েক বছর আগেও এমনটা ছিল না কয়েক বছর আগে বাসা থেকে বের হতাম খুবই কম হঠাৎ বাসা থেকে বের হতাম সন্ধ্যের আগেই এবার বাসায় ফিরে আসতাম কিন্তু এখন সময়টা একদমই ভিন্ন হয়ে গিয়েছে। বাসা থেকেও এখন আর ওই রকম ভাবে চাপ দিয়ে বলা হয় না যে সন্ধ্যের আগেই বাসায় ফিরতে হবে।
গত কয়েকদিন আগে মাঠ ভ্রমণ করতে আবার বের হয়েছিলাম। মূলত আমাদের উদ্দেশ্য ছিল যে সরিষা ক্ষেতের মাঝখানে গিয়ে বসে থাকব সন্ধ্যে অব্দি আর গল্প করবো। এই উদ্দেশ্যেই আমরা মাঠের দিকে অগ্রসর হয়েছিলাম মাঠের দিকে অগ্রসর হওয়ার পরে আমরা ছোট্ট একটা নৌকা নিয়ে নদী পার হয়ে গিয়েছিলাম। নদী পার হয়ে যখন যাচ্ছিলাম তখন আমার ছোট কাকুর সঙ্গে দেখা হয়েছিল সে তার জমিতে কাজ করছিল। বাসায় এসেছি কয়েকদিন ছোট কাকুর সঙ্গে সে রকম ভাবে কথা বলা হয়নি যার কারণে ছোট কাকুর সঙ্গে গিয়ে কিছুটা সময় কথা বললাম। এরপর কাকু আমাকে জিজ্ঞেস করল কোথায় যাচ্ছিস..?ছোট কাকু কে বললাম যে একটু সরিষা ক্ষেতের মাঝখানে গিয়ে বসবো। এ বছর এখন পর্যন্ত সরিষা ক্ষেতের মাঝখানে গিয়ে বসা হয়নি।
ছোট কাকু বলল সোজা উপরে উঠে গিয়ে আমাদের একটা জমি আছে সেখানে সরিষা ক্ষেতে ভালো ফুল এসেছে, সেখানে গেলেই সরিষা ফুলের গন্ধ নিতে পারবি। কাকুর কথা শুনে আর খুব একটা বেশি দেরি করিনি খুব দ্রুতই সেখানে চলে গিয়েছিলাম এবং দেখেছিলাম যে বৃষ্টিত সরিষা ক্ষেত দেখতে বেশ ভালই লাগছিল এরকম একটা মুহূর্তই আমরা চাচ্ছিলাম বেশ কিছুদিন ধরে কিন্তু সময়ের অভাবে এরকম মুহূর্ত কাটাতেই পারছিলাম না। অনেকদিন পরে যেহেতু এরকম একটা সময় পেয়েছি তাহলে আর দেরি কেন সেখানেই বসে গিয়েছিলাম।
বসে বসে অনেক রকম গল্প করছিলাম আমরা চারজন। প্রতিবছরই এরকম সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করা হয় ভাই ব্রাদারের সঙ্গে বিশেষ করে মাঝে মাঝে আমরা পিকনিক করার সরঞ্জামাদি এই মাঠে নিয়ে এসে মাঠের মধ্যেই পিকনিক করি। মাঠের মধ্যে পিকনিক করার মাঝে এক আলাদা রকম মজা আছে আমরা সেখানে বসেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে কয়েকদিন বাদে এখানে এসে পিকনিক করবো। কত রকমের গল্প যে আমরা করছিলাম বলে শেষ করা যাবে না গল্প করতে করতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে বুঝতেই পারিনি। আপনারা হয়তোবা একটা জিনিস অনেক ভালোভাবে লক্ষ্য করবেন যে, সুন্দর সময় গুলো আমাদের জীবন থেকে খুব দ্রুতই চলে যায়। আমাদের জীবনে এমন কিছু সময় বা মুহূর্ত থাকে যে সময় বা মুহূর্ত আমরা কখনোই কিনতে পারবো না।
ভালো সময় গুলো আমাদের জীবনে খুব কমই আসে, আর সেই সময়টা আমাদের জীবন থেকে দ্রুত চলে যায়। সেদিনের সেই সময়টা আমাদের কাছে তেমনি ছিল চার জন-ই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম যে এত দ্রুত সন্ধ্যা হল কিভাবে..!! যাই হোক সন্ধ্যা যেহেতু হয়ে গিয়েছে আমরা চিন্তা-ভাবনা করেছিলাম যে সন্ধ্যার পর আমরা এখান থেকে উঠবো যদিও শীতের সময় গায়ে হালকা-পাতলা ঠান্ডার কাপড় ছিল তারপরেও খুবই বেশি শীত লাগছিল। যদিও সেখানে নৌকা ছিল কিন্তু আমাদের ইচ্ছে ছিল যে আমরা নৌকা না নিয়ে সামান্য একটু পর ঘুরে ঘুরে যাব আর গল্প করবো।
একটু পথ হাটাহাটি করার পরে দেখতে পারলাম পাটকাঠি দিয়ে চারিদিকে আয়তাকার ভাবে উঁচু করে রাখা হয়েছে আর মাঝখানে ধানের তুষ রাখা হয়েছে। অনেকটা ধানের চারা আমরা যেরকম ভাবে দিয়ে থাকি সেরকম ভাবেই রাখা হয়েছে। প্রথমে আমরা কেউই বুঝতে পারেনি যে এর ভেতরে কি রয়েছে প্রথমে ভেবেছিলাম যে এটা হয়তোবা নদীতে ভেসে ভেসে এখানে এসে স্থির হয়ে আছে যার কারণে আমাদের মাঝখান থেকে একজন আবার সেটাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। যেহেতু পাটকাঠি ছিল তাই আগুন খুব সহজেই ধরে গিয়েছিল। এরপর হঠাৎ করেই আমার মাথায় একটা চিন্তা এল যে এটা এরকমভাবে তো থাকার কথা না, হয়তোবা এর নিচে কিছু একটা আছে।
এই কথা চিন্তা ভাবনা করে আমি তাদেরকে একটু রাগারাগি করলাম আর পড়লাম যে কোন কিছু না জেনে এরকম ভাবে আগুন ধরিয়ে দেওয়াটা ঠিক হয়নি। ততক্ষণে আগুন চারিদিকে প্রায় ধরে গিয়েছে আমি পা দিয়ে সেই আগুন নিভিয়ে দিয়েছিলাম যদিও তারা বলছিল এখানে কিছু নেই। শুধু শুধু আমি টেনশন করছি। এরপরে আগুন সবটুকু নিভিয়ে সেখান থেকে চলে এসেছিলাম। ঘটনাটা এ অবধি যদি শেষ হয়ে যেত তাহলে তেমন কিছু মনে হতো না কিন্তু ঘটনাটা আরো বিশদ আকার ধারণ করেছে।
দুদিন পরে কাকু আমার কাছে হঠাৎ জিজ্ঞেস করল যে তোরা সেদিন মাঠে গিয়েছিলি আর ওই জমিতে পাটকাঠির মধ্যে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল কে..?? একথা শুনে আমি রীতিমতো তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলাম আমি তখনই ভেবেছিলাম যে কিছু একটা তো হয়েছে। কি বলবো ভেবে পাচ্ছিলাম না তখন কাকুকে বললাম আমরা জানি না, আমরা উপর দিয়ে উঠে চলে এসেছিলাম। এরপর আমি কাকুকে জিজ্ঞেস করলাম যে কি হয়েছিল..? বলল ওখানে কিছু ধানের চারা দিয়েছিলাম কারা যেন আগুন ধরিয়ে দিয়েছে আর চারিদিকে পুড়ে গেছে। এর পরে আমি বললাম বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় নাই তো..? বলো তেমন কিছু না চারিদিকে হালকা পাতলা পুড়ে গিয়েছে এটাই।
কিন্তু সেদিনের সেই ঘটনা তো আমরাই ঘটিয়েছিলাম। যদিও আমি এখন পর্যন্ত কাকুকে সেটা বলতে পারিনি কারণ এরকম একটা কাজ যে আমাদের দ্বারা হয়ে যাবে সেটা আমরা বুঝতেই পারিনি। যদিও আমার কোন দোষ ছিল না আমি বরাবরই তাদেরকে নিষেধ করেছিলাম যে এখানে আগুন না দিতে কিন্তু তারা কেউই আমার কথা শুনেনি সেদিন। যার কারণে এরকম একটা বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম। আমাদের সবসময় উচিত আবেগের বশীভূত হয়ে এরকম কাজ না করা।
এটাই ছিল আমার আজকের পোস্ট আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সকলের অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | নিজেদের ভুল স্বীকার করতে পারি নি। |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
যেখানে কারো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে সেখানেই সেরকম কাজ না করে এসব থেকে বেশি শ্রেয়। যাইহোক ভাই আপনার কথা হয়তো শুনলে এরকম ক্ষতি হতো না আপনার কাকার।
যেখানে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে আমরা সচরাচর সে জায়গাগুলোতে যাই না তবে হঠাৎ করে সেদিন কেমন কি হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে জীবনে অনিচ্ছাকৃত অনেক ভুল থাকে।আপনারা সুন্দর একটি সময় পার করেছেন।সরিষা ফুলের মাঝে বসে সরিষা ফুলের গন্ধ নিতে পেরেছেন এর থেকে ভালো সময় আর কি হতে পারে।আপনার বন্ধুরা না বুঝে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে আসলে না জেনে শুনে এমন কাজ করা মোটেও ঠিক হয়নি।
আমরা কখনোই ভাবতে পারিনি যে ওখানে কিছু একটা থাকবে যদিও আমি তাদেরকে নিষেধ করেছিলাম কিন্তু তারা আমার নিষেধ শুনিনি। পরবর্তীতে অবশ্য খুব একটা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি সামান্য উপর দিয়েই গিয়েছে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনার পোস্ট পড়ে একটা বিষয় সত্যি জানতে পারলাম যে ভালো সময় কিছু সময়ের জন্য আসে সেটা আবার চলে যায়। কিন্তু আমরা অনেকেই আছি যে নিজের ভুল কখনোই স্বীকার করতে পারেন না। হয়তো এ কারণে আমরা পিছিয়ে আছি। পোস্টটি দারুন ছিল ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
খুবই চমৎকার একটা মন্তব্য করেছেন আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো, ভালো সময় এবং খারাপ সময় আসবে এটাই স্বাভাব, অনেকেই আমরা আছি যারা নিজের ভুল স্বীকার করতে পারিনা। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরা অনেক সময়ে নিছক মজার ছলে এমন অনেক কাজই আগা-মাথা চিন্তা না করেই করে ফেলি, যেটা একদমই উচিত না। এই পাটকাঠি গুলো হতেও পারতো কারোর রান্না করার সরঞ্জাম। অনেকেই পাটকাঠির সাহায্যে রান্না করে গ্রামে। আবার যেমনটা দেখা গেলো, আপনার কাকুরই অল্প হলেও ক্ষতি তো হয়ে গেলো। মজার ছলে কোনো কাজ করে অন্যের ক্ষতি করা একদমই ঠিক না। আপনার বন্ধুদের বুঝায়েন।
আরেকটা কথা, ভাই পোষ্টে দুই বার দিন-তারিখ উল্লেখ করার কি কোন বিশেষ কারণ রয়েছে?
পরবর্তীতে আমি তাদেরকে বুঝিয়ে ছিলাম এবং তারাও সেটা বুঝতে পেরেছিল, পরে তারাও বুঝতে পেরেছে যে তারা ভুল করেছে।
দুবার দিন তারিখ উল্লেখ করার কোন বিশেষ কারণ নেই, এটা শুধুই পোষ্টের সৌন্দর্যের জন্য। বুঝতে পারছেন..? ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।