গভীর রাতের সিদ্ধান্ত
আজ--৩০ শ অগ্রহায়ণ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | হেমন্তকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- গভীর রাতে সিদ্ধান্ত
- আজ-৩০শ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- শুক্রবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ সকাল সবাইকে......!!
কিছু কিছু সিদ্ধান্ত আছে যে সিদ্ধান্তের কারণে আমরা অনেক বেশি খুশি হয়ে যাই কারণ সিদ্ধান্তটা যদি সঠিক হয়। ঠিক তেমনিভাবে আরও কিছু সিদ্ধান্ত আছে যে সিদ্ধান্তগুলো আমরা আমাদের জীবন চলার পথে নিয়ে থাকি কিন্তু সে সিদ্ধান্ত গুলো যদি সঠিকভাবে না হয় তাহলে মনটা অনেক বেশি খারাপ হয়ে যায়। এই যে মন ভালো এবং মন খারাপ এই দুটো ব্যাপারটা আমাদের মেনে নিয়ে অনেক সিদ্ধান্ত আমরা নিয়ে থাকি। হঠাৎ করেই সেদিন গভীর রাত্রে একটা নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সিদ্ধান্তটা মূলত খাওয়া দেওয়ার ব্যাপারে। আমি যেই বাসায় থাকি সেই বাসায় এক বড় ভাই একটা কর্পোরেট অফিসের জব করত ভাই সম্ভবত দেশের বাহিরে চলে যাবে যার কারণে সে চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছে কিছুদিন আগেই। গতকাল ছিল তার লাস্ট অফিস যার কারণে অফিসে হয়তো বা কোন আয়োজন করা হয়েছিল। এইসব ব্যাপার নিয়েই ভাইয়ের সঙ্গে বেলকনিতে বসে একটু গল্প করছিলাম, গল্প করার একপর্যায়ে ভাইকে বললাম যেহেতু আপনার অফিস শেষ হয়ে যাচ্ছে আপনি তো একদম ফ্রি। একথা শুনে ভাই বলল হ্যাঁ আমি আবার আগের মত ফ্রি হয়ে যাব।
আমি বরাবরই একজন খাওয়া-দাওয়া প্রেমি মানুষ আগে অনেক বেশি খাওয়া-দাওয়া করতাম কিন্তু এখন শরীরের দিকে তাকিয়েই ইচ্ছাকৃতভাবেই খাওয়া দাওয়া খুব একটা করি না টাইম মতো খাওয়া-দাওয়া খুব কমই হয়। তবে ভাই ব্রাদারের সঙ্গে পিকনিক করতে আবার অনেক বেশি ভালো লাগে মাঝে মাঝেই পিকনিক করা হয় আর এই পিকনিক করার ব্যাপারে আমি আপনাদের মাঝে কয়েকদিন আগে একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলাম বসতেই পারছেন। তো কথা বলার এক পর্যায়ে ভাইকে বললাম যেহেতু আপনার অফিস শেষ অফিস শেষ দিন উপলক্ষে আমাদের তো একদিন খাওয়াতে পারেন নাকি..? ভাইকে একথা বলার পরে ভাই বলল কি খাবে তাহলে বলো..!!
এই কথা শোনার পরে আমি ভাইকে বললাম বেশি কিছু না আমরা তো মাঝে মাঝেই ভাই ব্রাদার একত্রে পিকনিক করি মাংস দিয়ে। এবার আর মাংস খাব না অন্য কিছু খাব। মাংস খাব না এ কথা শুনে ভাই একটু নড়েচড়ে বসে আমাকে বলল মাংস খাবে না তাহলে কি খাবে। এবার আমি ভাইকে বললাম আপনি নতুন একটা রেসিপি এর কথা বলেন যে রেসিপি আমরা এখন পর্যন্ত খাইনি। এরপরে ভাই বলল কি এমন রেসিপি এর কথা বলব যে রেসিপি আমরা এখন পর্যন্ত খাইনি চলো মাংস খাই যেহেতু শীতকাল হাঁসের মাংস খাই চলো।
আপনারা হয়তোবা অনেকেই জানেন যে কয়েকদিন আগেই ভাই ব্রাদার একত্রে মিলে হাঁসের মাংস খেয়েছি। যেহেতু কয়েকদিন আগেই হাঁসের মাংস খেয়েছি তাই আমি ভাইকে বললাম না হাঁসের মাংস খাব না অন্য কোন রেসিপি যদি থাকে তাহলে সেটা বলেন অবশ্যই সেটা মাংস বাদে। এর পরে ভাই বলল এখন সেরকম রেসিপি মাথায় আসছে না তারপরও নতুন আরেকটা রেসিপি তৈরি করব জানিনা তুমি খেয়েছো কিনা। এবার আমি ভাইকে বললাম সেটা কি হতে পারে আপনি বলেন। এরপরে ভাই বলল যে চিংড়ি মাছ এবং পালং শাক দিয়ে ভাজি করলে কেমন হয় সেই সাথে থাকবে বেগুন ভর্তা আর অন্যান্য কিছু সবজি থাকলো বেশ ভালই লাগবে মনে হয়। এ কথা শোনার পরে বললাম চিংড়ি মাছ দিয়ে পালংশাক ভাজি এর আগে কয়েকবার খেয়েছি তবে আপনি যেটা বলতেছেন এরকম ভাবে করলে মনে হয় ভালই হবে।
এ কথা বলেই আমরা আর কিছুক্ষণ সময় গল্প করে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম তারপরে বাসার একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে সে গ্রুপে আমি অ্যানাউন্সমেন্ট করে দিলাম যে আগামীকাল বাসায় নতুন একটা রেসিপি তৈরি করা হবে রাতের বেলা। এরপরে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কিছুটা সময় লেখাপড়া করে দুপুরবেলা ভাই অফিস থেকে আমাকে ফোন দিল। ভাই ফোন দিয়ে বলল বাজারে গিয়ে চিংড়ি মাছ পালং শাক এবং বেগুন কিনে নিয়ে আসতে। যথারীতি আমি আর দেরি না করে খুব দ্রুতই বাজারে চলে যাই। বাজারে গিয়ে কিছু চিংড়ি মাছ কিছু বেগুন এবং কিছু পালং শাক কিনে নিয়ে আসি।
এরপরে সেটা ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম সন্ধ্যার পরে ভাই বাসায় এসে সবকিছু দেখে রান্না করা শুরু করে দিল যদিও বাসায় তখন আমরা দুজন ছিলাম। আর দুজন এর পরীক্ষা ছিল তারা ভার্সিটিতে গিয়েছিল পরীক্ষা দিতে তারা আসবে রাত্রি দশটা পরে। অপেক্ষা করতে চেয়েছিলাম তাদের জন্য কিন্তু আমার আবার শুক্রবারের দিন পরীক্ষা ছিল যার কারণে খুব একটা দেরি না করে দ্রুতই রান্না করতে গিয়েছিলাম যদিও আমি খুব একটা বেশি ভালো রান্না পারি না ভাই মোটামুটি বেশ ভালই রান্না করতে পারে, যার কারণে ভাই একা একাই সব কিছু রান্না করেছিল বেশ ভালই লেগেছিল।
শীতের সময়ে চিংড়ি মাছ দিয়ে পালংশাক ভাজি সেই সাথে বেগুন ভর্তাটা একটু ইউনিক ভাবে তৈরি করা হয়েছিল বেশ ভালই লাগছিল খেতে। গভীর রাতে হঠাৎ করে এরকম একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালোই উপভোগ করেছি। এরকম ছোট ছোট সিদ্ধান্ত নিতে খুবই ভালো লাগে, ছোট ছোট সিদ্ধান্তের ফলে মাঝে মাঝে ভালই খাওয়া দাওয়া হয়। এটাই ছিল আমার আজকের পরশ আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে। সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | গভীর রাতের সিদ্ধান্ত |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার গভীর রাতের গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে রাতে এভাবে সিদান্ত নিলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনারা পালংশাক দিয়ে চিংড়ি মাছ খাবেন জেনে অনেক ভালো।তাহলে তো আমরা ও দাওয়াত পাব মনে হচ্ছে। যাইহোক আপনার বড় তাহলে শ্রীর্ঘই খাওয়াবে আশাকরি। ধন্যবাদ আপনাকে।
পরবর্তী সময়ে যদি আবার রান্না করা হয় তাহলে অবশ্যই আপনাদের দাওয়াত দেব। পালং শাক দিয়ে চিংড়ি মাছ অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে এর আগে আমি কয়েকবার খেয়েছি তবে সেদিনেরটা একটু বেশি সুস্বাদু ছিল। মন্তব্য জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রান্না করতে না পেরেই যদি চিংড়ি মাছ আর পালং শাকের সমন্বয়ে মজাদার রেসিপি তৈরি করা যায় তাহলে রান্না করতে পারলে কি করতে সেটাই তো ভাববার বিষয় 🤔
যদি আপনি বাসায় থাকতেন আর আমাদের সঙ্গে খেতেন তাহলেই বুঝতে পারতেন যে আসলে কতটা সুস্বাদু হয়েছিল।
গভীর রাতে হঠাৎ হঠাৎ কিছু সিদ্ধান্ত বেশ মধুর হয়। অনেক ভালো একটি রেসিপি মাথা থেকে বের হয়েছিল রাতে। খেতে তো বেশ মজার ছিল আসলে মাঝে মধ্যে এরকম সিদ্ধান্ত নিলে ভালোই হয় কিন্তু।
গভীর রাতে মাথার ভিতর বুদ্ধি খেলাধুলা করে আর এই খেলাধুলা করার মুহূর্তেই আমি একটা কাজে লাগিয়েছিলাম। সেদিন সেই রেসিপিটা আসলেই অনেক বেশি সুস্বাদু লেগেছিল খেতেও মজা লেগেছিল অনেক। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার বড়ো ভাই ও আপনার গল্পও চিংড়ি দিয়ে পালংশাক খাওয়ার সিদ্ধান্ত খুব ভালো লাগলো।আসলে মাংস তো প্রায় সময়েই খাওয়া হয়ে থাকে তাই নতুন কিছু রান্না করে খেলে মজা লাগে বেশি। চিংড়ি দিয়ে পাংল শাক ভাজি করে খেতে আসলেই মজার হয়।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
মাঝে মাঝে মাংস ডিম মাছ এসব খাওয়া হয় কিন্তু এসব হওয়ার পাশাপাশি আমাদের যে একটু শাকসবজি খাওয়া উচিত এটা হয়তোবা আমরা ভুলে যাই। তাই সেদিন হঠাৎ করেই এরকম একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তবে আসলেই অনেক বেশি সুস্বাদু লেগেছিল আমার কাছে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ভাই আপনি যে, ভোজন রসিক সেটা আমি জানি। আর তাইতো হঠাৎ করে রাতে সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ একটা খাওয়া দাওয়া হয়ে গেলো। আহা চিংড়ি মাছ দিয়ে পালং শাক ভাজির রেসিপি টা বেশ দারুন হয়েছিলো। মাঝে মধ্যে এরকম খাওয়া দাওয়া হলে বেশ ভালই হয়। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আসলে সেদিনের সেই রেসিপিটা অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় লেগেছিল আমার কাছে। আপনিও কিন্তু একজন ভোজন রসিক মানুষ এটা আমরা জানি ভালোই খেতে পারেন আপনি এখন। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি গভীর রাতে দারুণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।খাওয়া দাওয়া মানেই মজার বিষয়।তাছাড়া মাংস ছাড়া চিংড়ি দিয়ে পিকনিক করেছেন যেটা ভালোই লাগলো জেনে।তো সময় পেলে সেই রেসিপিটি শেয়ার করতে পারেন ভাইয়া এখানে, ধন্যবাদ আপনাকে।
যদিও আমি খুব একটা ভালো রান্না করতে পারি না বাসার এক ভাই আছে সে আবার পালং শাক দিয়ে চিংড়ি মাছ অনেক বেশি সুস্বাদু করে রান্না করতে জানে, সেই রান্না করেছিল। যদি কখনো আবার সুযোগ হয় অবশ্যই শেয়ার করবে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।