"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-১৩ নাটক রিভিউ [benificiary ১০% @shy-fox]|
আজ - ০৭ মাঘ| ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | শনিবার | শীতকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--১৩)
- আজ ০৭ই মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- শনিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ রাত্রি সবাইকে......!!
ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পিতা বনাম পূত্রগং । |
---|---|
পরিচালনা | সকাল আহমেদ। |
প্রযোজক | কাজী রিটন |
রচনা | বৃন্দাবন দাশ |
গল্প | রমজান আলী |
আবহ সংগীত | অধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ |
চিত্রনাট্য | শামসুল আলম লেলিন। |
অভিনয়ে | মাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ১৯ মিনিট ৫০ সেকেন্ড |
পরিবেশনায় | Maasranga TV Official |
মুক্তির তারিখ | ১৮ ই আগষ্ট, ২০২২ ইং |
ধরন | সামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল |
পর্ব | ১৩ |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-
১২ তম পর্বের শেষ অংশের দৃশ্য লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরীর ছোট ভাই কান্না করতে করতে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে। মূলত তার কান্নার কারণ ছিল চঞ্চল চৌধুরী বিষ পান করেছে আত্মহত্যা করার জন্য। পথিমধ্যে তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা হয় এবং সে চঞ্চল চৌধুরীর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাই সে কান্না করতে করতে তার কাছে চঞ্চল চৌধুরীর ঘটনা খুলে বলছি। এরপরে না দিয়া এবং আরফান বসে রয়েছে একটি জায়গাতে নাদিয়া খুবই কষ্ট পাচ্ছে কারন তার কারণেই চঞ্চল চৌধুরী বিষ পান করেছে। এটাই ছিল ১২ তম পর্বের শেষ অংশের দৃশ্য।
১২তম পর্বের শেষ অংশের দৃশ্য।
১৩ তম পর্বের প্রথম অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে আরফান এবং নাদিয়া একটি জায়গায় বসে রয়েছে মূলত তাদের গল্পের মূল বিষয়বস্তু ছিল চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে। নাদিয়া খুবই ভয় পাচ্ছে তার ভয় পাওয়ার কারণ হচ্ছে এটাই যে সে বিষ পান করেছে তার জন্য আর এটা যদি এলাকাবাসী জেনে যায় তাহলে তার বাবার সম্মানহানি হবে। এরপরে আরফান তাকে বলে তুমি কোন চিন্তা করো না ও বিষ পান করেছে ও নিজেই মারা যাবে এতে তোমার কোন ক্ষতি হবে না। যেহেতু এখানে আরফান এবং চঞ্চল চৌধুরী একজনকেই পছন্দ করে সেহেতু আমার মনে হচ্ছে যে আরফান খুব করে চাইছে যেন চঞ্চল চৌধুরী মারা যায়, আমি এটার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ভাই হয়ে ভাইয়ের মৃত্যু কামনা করা মোটেও ঠিক না।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের বড় ছেলে এবং বাসার সাহেব হেঁটে হেঁটে হসপিটালের দিকে যাচ্ছে। মূলত হসপিটালের ডাক্তাররা বলেছে চঞ্চল চৌধুরীর বাবাকে এখানে নিয়ে আসতে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চঞ্চল চৌধুরীর বাবা এবং তার বড় ভাই হাসপাতালের দিকে যাচ্ছে। বাসার সাহেব খুবই ভয় পাচ্ছে কারণ সে তার ছেলেকে হারাতে চাইছে না মোটেও। সে বলছে মানুষের জীবনে প্রেম ভালোবাসা দরকার তাই বলে আত্মহত্যা করাটা এটা মোটেও ঠিক নয়।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেব এবং তার বড় ছেলে হেঁটে হেঁটে হসপিটালে যাওয়ার পথে হঠাৎ কোত্থেকে যেন সেই কবিরাজ এসে হাজির হলো। এটা সেই কবিরাজ যার কাছ থেকে বাসার সাহেব এর আগে তাবিজ নিয়েছিল কারণ তার মৃত স্ত্রী রাত্রে এসে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। এরপরে কবিরাজ তাকে জিজ্ঞেস করে কোথায় যাচ্ছেন তখন বাসার সাহেব তাকে পুরো ঘটনা খুলে বলে। তখন কবিরাজ বলে তাহলে তো ঘটনা সত্য সে আমাকে মিথ্যা বলেনি। তারপরে কবি রাস্তাকে বলে আপনি একটু সাবধানে থাকেন। এরপরে তারা দুজন আড়ালে যে কথা বলে কিন্তু তার বড় ছেলে কিছুই বুঝতে পারে না।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে নাদিয়া এবং আরফান একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে আরফানের মনটা খুবই খারাপ। সেই সাথে নাদিয়া কোনমতেই মেনে নিতে পারছে না যে চঞ্চল চৌধুরী বিষ খেয়েছে। সে বারবার বলছে এর আগেও সে ছুরি দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছে আমি এবারও সেটাই ভেবেছিলাম হয়তোবা আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। কথা বলার এক পর্যায়ে সেখানে চঞ্চল চৌধুরীর ছোট ভাইয়ের প্রেমিকা এসে হাজির হয় এবং খুবই কান্না করতে থাকে।
তার কান্না দেখে দুজনে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে তখন সে বলে চঞ্চল চৌধুরী আর নেই সে মারা গিয়েছে। একথা শুনে দুজনেই অবাক হয়ে যায় এবং নাদিয়া কান্না করে দেয়। এই পর্যায়ে এসে আরফান নিজের ভাইয়ের জন্য অস্থির হয়ে পড়েছে সে যখনই শুনেছে যে চঞ্চল চৌধুরী মারা গিয়েছে সে খুবই কান্না জুড়ে দিয়েছে ঠিক ছোট মানুষের মত।
এই প্রথম নাটক টা দেখে আমার চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গিয়েছে। আসলে ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের কত যে মায়া ভালবাসা থাকে সেটা এই অংশে এসে বুঝতে পারলাম। অবশেষে আরফান কান্না করতে করতে সেখান থেকে দৌড় দিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের বোন এবং তার ছোট ছেলে রুমের মধ্যে বসে বসে কান্না করছে হঠাৎ সেখানে আরফান এসে হাজির হয়। তারপরে বাসার সাহেবের বোন আরফানকে জড়িয়ে ধরে খুবই কান্না করে তারপরে আরফান তার ছোট ভাইকে জিজ্ঞেস করে কি অবস্থা এখন তার ছোট ভাই তাকে পুরো ঘটনাটা খুলে বলে। পুরো ঘটনাটা শুনে আর ফোনের মনটা অনেক বেশি খারাপ হয়ে যায় সে কোন কথা না বলে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
এরপরে নাদিয়া একটি জায়গায় বসে বসে চঞ্চল চৌধুরীর জন্য কান্না করছি সে আসলে তার ভুল বুঝতে পেরেছে হয়তোবা। মনে মনে কল্পনা করছে আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো চঞ্চল চৌধুরী তার সঙ্গে কেমন কি করেছিল একটু ভালোবাসার জন্য কত রকম কাকুতি মিনতি করেছে কিন্তু সে কোন কিছুই তোয়াক্কা করেনি যার কারণেই হয়তো আজকে চঞ্চল চৌধুরীর এই অবস্থা। সে খুবই কান্না করছে দেখে নিজের কাছে খুবই খারাপ লাগছিল।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের দুই ছেলে রুমের মধ্যে বসে চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে কথা বলছে মূলত আরফান নাদিয়ার উপরে কোনমতেই দোষ চাপাতে চাইছে না। কারন সে নাদিয়াকে অনেক বেশি ভালোবাসে সে কোনোমতেই চাচ্ছে না যে তার বাবা তার নামে কোন কেস করুক বা থানা পুলিশ এসব হোক। এরপরে বাসার সাহেবের বড় ছেলের সাবেক প্রেমিকা চঞ্চল চৌধুরীর বাসায় আসে এবং তার ফুফুকে দেখে খুবই কান্না করছে সে সমস্ত ঘটনা শোনার পরে তার ফুফুকে সান্তনা দিচ্ছে। কিন্তু এদিকে তার ফুপু অঝোরে কেঁদেই যাচ্ছে
এরপরে আগামী পর্ব লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের বড় ছেলের প্রেমিকা নাদিয়ার কাছে গিয়েছে এবং তাকে বলছে যে তোর জন্য নাকি চঞ্চল চৌধুরী বিষ খেয়েছে। একথা শুনে নাদিয়া কোন কথা বলছে না চুপচাপ বসে রয়েছে। তবে আগামী পর্বের জন্য আরেকটি বড় ধামাকা রয়েছে যেটা আমি এখন আপনাদের মাঝে বললাম না ধামাকাটি আমি পরবর্তী পর্বে শেয়ার করব যেটা শুনলে বা দেখলে আপনারা রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন। এখানেই আমি আমার আজকের পোস্ট শেষ করছি সকলের সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
শিক্ষণীয় দিক-
পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকটি মূলত একদম বাস্তবতা অবলম্বনে নির্মিত করা হয়েছে। অনেক আগে গ্রাম অঞ্চলের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে পিতা মাতারা তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিতে মোটেও চাইত না। মূলত তারা বিয়ে দিতে চাইতো না কারণ তারা ভাবতে হয়তো অন্য ঘরের মেয়েরা সংসারে আসলে তারা সংসারটা নষ্ট করে দেবে বা তাদের ছেলেরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ছেলেদেরকে বিয়ে না দিলে তারা যে কতটা উতোলা হয়ে পড়ে সেটা এই নাটকটা দেখলে বোঝা যায়। নাটকের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিয়ে করার জন্য বাসার সাহেবের পাঁচ সন্তান খুবই উৎফুল্ল কিন্তু বাসার সাথে তাদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত বয়সে বিয়ে না দিলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ব্যক্তিগত মতামত-
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পিতা বনাম পুত্রবাগ নাটকের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি এবং শিখছি। আমার মনে হয় এটা একটা বাস্তবধর্মী নাটক যেটা কিনা বর্তমান সময়ের সঙ্গেও কিছুটা মিল রয়েছে। আমি মনে করি এই নাটকটি সকল পিতা-মাতার দেখা উচিত এতে করে তারা এই নাটকের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।
ব্যক্তিগত রেটিং-
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | নাটক রিভিউ |
---|---|
বিষয় | পিতা বনাম পূত্রগং (১৩ তম পর্ব) |
রিভিউ এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
চঞ্চল চৌধুরীর নাটক মানেই অনেক আনন্দের বিষয়। আশা করি নাটকটি খুবই হাস্যকর। মাঝে মাঝে যে সুন্দর বর্ণনা করেছেন নাটক বিষয়ে এতে বোঝা যায় জনগণের অতি প্রিয় একটি নাটকের অংশবিশেষে এটি। বাকি রিভিউ পাওয়ার প্রত্যাশায় রইলাম
চঞ্চল চৌধুরী মানেই যেন অনেক কিছু শিক্ষনীয় তার মাঝে একটু হাসি এই নাটকটার ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে আমার কাছে নাটকটা প্রতিনিয়ত খুবই ভালো লাগছে।
আসলে বাংলাদেশের যে কোন নাটকই দেখতে অনেক ভালো লাগে। নাটকের সংলাপ এবং কাহিনী গুলো খুবই চমৎকার হয়ে থাকে। আপনার নাটকটি পড়ে বুঝতে পেরেছি নাটকটা অনেক চমৎকার একটি নাটক এবং এই নাটকটি যেটি বাস্তবধর্মী একটি নাটক এতে কোন সন্দেহ নেই। আসলে এ ধরনের ঘটনাগুলো আমাদের সমাজে এখন অহরহ ঘটছে। খুব চমৎকার একটি নাটক আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বর্তমান সময়ে নাটকগুলো সত্যি অনেক বেশি শিক্ষনীয় তবে মাঝে মাঝে কিছু কিছু নাটক দেখলে খুবই খারাপ লাগে কারণ সেখানে শেখার কিছুই নেই বরঞ্চ কিভাবে অন্য পথে চলে যাওয়া যায় সেটাই নির্দেশ করা হয়। কিন্তু এই নাটকটা পুরোই আলাদা এখানে অনেক কিছু শিক্ষনীয় ব্যাপার রয়েছে।