হিংসা এবং অহংকার ||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ)
আজ - ১৩ কার্তিক | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার| হেমন্তকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
চলুন শুরু করা যাক
শুভ রাত্রি সবাইকে....!!
হিংসা মানুষকে কতটা নিচে নামাতে পারে তার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। একজন হিংসাকারী অন্য কারো উন্নয়ন দেখলে তার অন্তরের জ্বালা বুজতে পারে। হিংসা এবং অহংকার মানুষের পতনের মূল কারণ। কিছু কিছু মানুষ আছে যারা হিংসা করতে করতে ফেসবুকের দেয়াল পর্যন্ত পৌঁছে যায়,এরং সেখানে গিয়ে খিল্লি করতে থাকে সফল মানুষ এবং গুণী জনদের নিয়ে। স্ট্যাটাস,স্টরি দিয়ে ভরিয়ে দেয় ফেসবুক ইন্সট্রাগ্রাম এর দেয়াল অব্দি। হিংসাকারীর এটা হলো এক প্রকার মানসিক শান্তনা। হিংসা দ্বারা ঘায়েল না করে নিজেদের কাজ দ্বারা মানুষের মন জয় করা উচিত,সেটা এরা বোঝেই না। আগুন নেভাতে যেমন জলের প্রয়োজন ঠিক তেমনই হিংসা দূর করতে প্রচুর ভালোবাসার প্রয়োজন। প্রতিপক্ষকে অস্ত্র দিয়ে নয় কাজ দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত। হিংসা মানুষকে শেষ করে দেয়,প্রসংশা আর অনুপ্রেরণা মানুষকে উপরে উঠতে সাহায্য করে। হিংসুকদের জীবন কখনোই সুখের হয় না, কেন'না হিংসুক ব্যাক্তিরা সব সময় সফল মানুষদের ব্যক্তিত্ব নিয়ে সর্বদাই হেও করার চেষ্টা করে। ওই হিংসুক ব্যাক্তিরা মনে করেন তার চোখে সে একাই সম্মানিত ব্যক্তি বা সফল ব্যাক্তি। যে ব্যাক্তিকে একদিন তুমি তার মাথার উপর ছাদ তৈরি করে দিয়েছিলে, সেই ব্যাক্তি নিজের ছাদের নিচে বসে স্বরযন্ত্র করবে সর্বপ্রথম তোমার ছাদ-টা ভাঙ্গার জন্য। হিংসুক ব্যাক্তিরা অন্যের ভালো থাকা সুখে থাকা একদমই মেনে নিতে পারে না। যদি তোমাকে কোন ব্যাক্তি হিংসা করে, তাহলে জানবে তোমার মধ্যে যথেষ্ট প্রতিভা এবং গুণ আছে। তোমার সাথে হিংসা করছে মানে, জানবে তার চোখে তুমি সফল মানুষ। হিংসাকারীর কথা অযথা দুঃখ কষ্ট পেতে নেই। হিংসা বা অহংকার তারাই করে যাদের হাতে কোন সঠিক কাজ থাকে না,জানবে মানুষকে ধ্বংস করে দেয় লোভ,হিংসা এবং অহংকার। অন্যের খাবার ছিনিয়ে খাওয়ার থেকে খালি পেটে থাকাটা অনেক শান্তির। কারন,অভুক্ত মানুষের পাশে সবাই থাকে,চালাক কিংবা হিংসুক মানুষের কখনো কোনদিন মানুষের কাছ থেকে সহানুভূতি পায় না। মনে রাখতে হবে হিংসুক ব্যাক্তিরা যতই তোমাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করুক,অপমান করুক,আঘাত করুন তাদের কথায় থামতে নেই,থেমে যেও না কখনো...!
আমাদের সমাজের মানুষ নিচে নামতে নামতে এতোটা নিচে নেমেছে যে তারা কারো ভালো দেখতেই পারে না। তারা কারো ভালো দেখলে সব সময় চায় কিভাবে তার খারাপ করা যায়। আমাদের সমাজটা-কে আসলেই পরিবর্তন করা উচিত। তাহলে সমাজে আমরা সুষ্ঠ এবং সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকতে পারবো।
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
আমার পরিচয়
আমি জীবন মাহমুদ। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সপ্তম পর্বের অধ্যায়ন রত আছি। আমি ছবি আঁকতে এবং ফটোগ্রাফি করতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমাইট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
হিংসা এবং অহংকার নিয়ে খুব সুন্দর লিখেছেন। খুঁটিনাটি সব কিছু তুলে ধরেছেন।এই দুটি খারাপ গুন মানুষকে কখনো উপরে উঠতে দেয় না।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই
আমাদের সমাজের একটা নিয়ম হয়ে গিয়েছে যে আমি নিজে উঠতে পারি না পারি কিন্তু আমার চোখের সামনে অন্য কেউ কোনভাবেই উঠতে পারবে না। তাকে টেনে হিচঁড়ে নিচে নামিয়ে ফেলব। সেই তাকে নিচে নামাতে গিয়ে আমার নিজের যত ক্ষতি হোক না কেন তাকে আমার নিচে নামাতে হবেই।আপনি অনেক বেশি বাস্তব একটি ব্যাপার আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। আমার কাছে বিষয়টা অনেক ভালো লেগেছে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
হিংসা এবং অহংকার নিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করছেন ভাইয়া। পড়ে আমার ভালো লাগলো।এভাবে এগিয়ে যান ভাইয়া।আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে
সমাজের কিছু ব্যক্তি রয়েছে যারা অন্যের সুখ ও উন্নতি দেখলে তারা হিংসার আগুনে জ্বলে। মানুষতো কথা বলবেই,তবুও আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।আপনি পোস্ট টি কথাগুলো খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ কথাগুলো আমাদের মাঝে ভাবে বুঝানোর জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে