আজ - ০৫ ফাল্গুন | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | বসন্তকাল |

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

তো চলুন শুরু করা যাক...!

শুভ সন্ধ্যা সবাইকে.....!!

আচ্ছা বলুনতো দেশি হাঁসের মাংস খেতে কার না ভালো লাগে...!! আমি এখনই বুঝতে পারছি আপনাদের এই দেশি হাঁসের মাংসের কথা শুনে জিভে জল এসে গিয়েছে। আমরা যারা ভোজন প্রেমী মানুষ তাদের কাছে দেশি হাঁসের মাংস মানে যেননো অমৃত। শুধু ভোজন প্রেমী মানুষই নয় সবাই দেশি হাঁসের মাংস খেতে খুবই ভালোবাসে বলে আমি মনে করি। এরকম একটি রেসিপি আমি আজকে আপনাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করব।
বেশ কিছুদিন হল দেশি হাঁসের মাংস খাওয়া হয় না তাই আজকে আমার আব্বু বাজার থেকে একটি দেশি হাঁস কিনে নিয়ে এসেছিল। এই দেশি হাঁসের মাংস আমরা সবাই অনেক তৃপ্তি সহকারে উপভোগ করেছিলাম। যাইহোক অনেক বকবক করলাম এখন রান্না শুরু করি চলুন তাহলে।

• পেঁয়াজ
• কাঁচা মরিচ
• হলুদের গুড়া
• তেল
• লবণ
• মরিচের গুড়া
• জিরা
• ধুনের গুড়া

সর্বপ্রথম হাঁসের মাংস গুলো অনেক চমৎকার ভাবে কেটে নিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তারপরে একটি পরিষ্কার পাত্রে মাংসগুলো রেখে দিতে হবে

তারপরে পাটার সাহায্যে পেঁয়াজ এবং রসুন অনেক সুন্দরভাবে বেটে নিতে হবে

ঠিক এরকম ভাবে ফিনিশিং করে পেঁয়াজ এবং রসুন বেটে নিতে হবে, তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন রসুন কিছুটা শক্ত শক্ত থাকে

এরপরে কড়াই চুলার উপর দিতে হবে তারপরে কড়াই এর উপরে পরিমান মত তেল ঢেলে দিতে হবে

এরপরে কিছুটা সময় তাপ দিতে হবে, যখন পেলে বুদবুদ আসবে ঠিক তখন তেলের ওপরে পেঁয়াজ এবং রসুন বাটা ছেড়ে দিতে হবে।

এরপরে একটি চামচ দিয়ে পেঁয়াজ এবং রসুন বাটা সুন্দরভাবে নারানারি করতে হবে। এমন ভাবে নারানারি করতে হবে যেন পেঁয়াজ এবং রসুন বাটা তেলের সঙ্গে একত্রে মিশে যায়।

এরপরে পেঁয়াজ এবং রসুন বাটা আর উপরে পরিমাণমতো লবণ ছেড়ে দিতে হবে, তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন লবণের পরিমাণ বেশি না হয়ে যায়।

এরপরে ধনিয়া পাতার গুঁড়া এবং হলুদের গুঁড়া এই 2 টি উপকরণ একত্রে মিশিয়ে দিতে হবে। তারপরে একটি চামচ দিয়ে প্রতিটি উপকরণ গুলো অনেক চমৎকার ভাবে নারানারি করতে হবে।

এরপরে হাঁসের মাংস গুলো উপকরণ গুলির উপর ছেড়ে দিতে হবে। তারপরে একটি চামচ দিয়ে অতপ্রোতভাবে উপকরণ গুলির সাথে মাংস মিশিয়ে দিতে হবে।

এরপরে অনেকটা সময় নিয়ে তাপ দিতে হবে। সেইসাথে চামচ দিয়ে নারানারি করতে হবে যেন মাংস গুলো খুবই সুন্দরভাবে সিদ্ধ হয়ে যায়। সেই সাথে মাঝে মাঝে পানি দিতে হবে।

মাংসগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গেলে এবার পরিমাণমতো পানি ঢেলে দিতে হবে করাইয়ের মধ্যে। তারপরে অনেকটা সময় নিয়ে তাপ দিতে হবে তখন পানিটা কিছু পরিমাণ শুকিয়ে যাবে। পানি কিছুটা শুকিয়ে গেলে মসলা গুলো মাংসের উপর ছিটিয়ে দিতে হবে এবং চামচ দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। তারপর মাংসের স্বাদ গ্রহণ করতে হবে, লবণ এবং ঝালের পরিমাণ ঠিকঠাক থাকলে কড়াই থেকে মাংস নামিয়ে ফেলতে হবে।

চাইলে আপনারাও এরকমভাবে হাঁসের মাংস রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন। হাঁসের মাংস খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। এই রকম মজাদার এবং ইউনিক ধরনের রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে।