পটল ভাজি রেসিপি [benificiary ১০% @shy-fox]🦊
আজ - ২৯ আষাঢ় | ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | বুধবার| গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- পটল ভাজি রেসিপি
- আজ ২৯ শ আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- বুধবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে.....!!
আজ আমি আপনাদের মাঝে পটল ভাজি রেসিপিটি উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি পটল ভাজি তেমন একটা পছন্দ করি না এটা আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন। পটল ভাজি খুব ছোটবেলা থেকেই আমার কাছে খুব অপছন্দের শুধুমাত্র পটল ভাজি নয় দরকারের মধ্যেও যদি পটল দেওয়া হয় তাহলে সেদিনের তরকারিটা আমি তেমন একটা খাই না আমার জন্য অন্য কোন তরকারি রান্না করা হয়। কেন জানি আমার কাছে মনে হয় পটল আমার চিরশত্রু। শত্রুকে যেমন মানুষ দেখতে পায় না ঠিক তেমনি ভাবে পটল আমার তেমন একটা পছন্দ না। তবে অনেকদিন বাদে বাসায় এসেছি ঈদের ছুটিতে। গতকাল রাত্রে আম্মু পটল ভাজি রান্না করেছিল। যদিও আমার জন্য অন্য কোন তরকারি ছিল তবে পটল ভাজি এই রেসিপিটি দেখে আমার কাছে অনেক বেশি লোভনীয় মনে হয়েছিল। হঠাৎ করেই ভাবলাম যে আজ পটল ভাজি খাওয়া যাক যেহেতু পটলের মধ্যে বিচি গুলো খুবই নরম তাই আমার খেতে ইচ্ছে করছিল। যদি পটলের ভেতরের বিচিগুলো শক্ত হতো তাহলে আমি মোটেও খেতাম না। নিজের ভালোলাগা থেকেই সেদিন পটল ভাজি খেয়েছিলাম আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল তবে বেশি খাইনি শুধুমাত্র চার থেকে পাঁচ পিস খেয়েছি। ভালো লেগেছিল তবে নিজের ইচ্ছা থেকেই আর খাইনি। মূলত সেই রেসিপিটি আমি আপনাদের মাঝে আজ তুলে ধরব তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
- মরিচ
- পেঁয়াজ
- ধুনের গুড়া
- হলুদের গুড়া
- তেল
প্রথমে পটলগুলো খুবই চমৎকারভাবে মাঝখান থেকে কেটে নিতে হবে। কেটে নেওয়ার পরে পরিষ্কার পানি দ্বারা দুই থেকে তিনবার ধুয়ে নিতে হবে দু থেকে তিনবার এজন্যই ধুয়ে নিতে হবে যেন পটলের সঙ্গে কোন রকম ময়লা না লেগে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এবার একটি পরিষ্কার করাই চুলার উপর দিতে হবে করাইটি চুলার উপর দেওয়ার আগে পরিষ্কার পানি দ্বারা ধুয়ে নিতে হবে। তারপরে পরিষ্কার করা পটলগুলো করাই এর উপর ঢেলে দিতে হবে।
এবার কড়াই এর উপর সামান্য পরিমাণ পানি ঢেলে দিতে হবে তারপরে নিচ থেকে তাপ দিতে হবে। এই তাপ দেওয়ার কারণ হচ্ছে পটলের মধ্যে জমে থাকা পানিগুলো বের হয়ে আসবে যার ফলে পটল খেতে আরো বেশি সুস্বাদু লাগবে মূলত এ কারণেই একটু সময় নিয়ে তাপ দিতে হবে।
যখন তার দেওয়ার ফলে পটল থেকে পানি বের হয়ে আসবে এবং পানিটুকু শুকিয়ে যাবে তখন পটলের ওপর পেঁয়াজ এবং মরিচ এই দুইটি উপকরণ ছেড়ে দিতে হবে।
এবার একটি চামচ দিয়ে নাড়ানাড়ি করতে হবে এমন ভাবে নাড়ানাড়ি করতে হবে যেন পটলের সাথে পেঁয়াজ এবং মরিচ এই দুইটি উপকরণ একত্রে মিশে যায়। যখনই এই দুইটি উপকরণ একত্রে মিশে যাবে তখন পরিমাণ মতো তেল ঢেলে দিতে হবে।
এবার তেল পেঁয়াজ এবং মরিচ এই তিনটি উপকরণ যখন পটলের সঙ্গে একত্রে মিশে যাবে তখন অনেকটা সময় ধরে তাপ দিতে হবে। অনেকটা সময় তাপ দেওয়ার পরে দেখতে হবে পটলগুলো সিদ্ধ হয়েছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে অবশ্যই সব সময় চামচ দিয়ে পটল নাড়ানাড়ি করতে হবে তাহলেই ভালোভাবে সিদ্ধ হবে।
এবার পটলের ওপর মরিচের গোঁড়া এবং হলুদের গুড়া এই দুইটি উপকরণ একত্রে মিশিয়ে দিতে হবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে মরিচ এবং হলুদের গুড়া যেন পরিমাণ মত হয়। প্রয়োজনের থেকে বেশি হলে তখন এমন একটা স্বাদ লাগবে না।
এবার একটি চামচ দিয়ে প্রতিটি উপকরণ এর সাথে পটল চমৎকারভাবে নাড়ানাড়ি করতে হবে এমন ভাবে নাড়ানাড়ি করতে হবে যেন প্রতিটি উপকরণ একত্রে মিশে যায়। অনেকটা সময় নারানারি করতে হবে।
অনেকটা সময় নারানারি করার পরে পটলের রং পরিবর্তন হবে। পটলগুলো সবুজ বর্ণ থেকে লাল বর্ণের ধারণ করবে। ঠিক তখনই বোঝা যাবে পটলগুলো খাওয়ার উপযোগী হয়েছে কিনা। এবার স্বাদ গ্রহণ করতে হবে পটলের লবণ এবং ঝাল এর পরিমাণ ঠিক থাকলে চুলা থেকে পটল ভাজি নামিয়ে ফেলতে হবে।
তৈরি হয়ে গিয়েছে পটল ভাজি রেসিপি। পটল ভাজি এই রেসিপিটি অনেকদিন বাদে খেয়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল, সেই সাথে আমার পরিবারের সকলেই আমরা খুবই চমৎকার ভাবে রেসিপিটি উপভোগ করেছিলাম। মাঝে মাঝে এ ধরনের রেসিপি চাইলে আপনারাও বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন খুবই সুস্বাদু এবং লোভনীয়। যাই হোক আজকের মত আমার পোস্ট এখানেই শেষ করছি সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।**
আল্লাহ হাফেজ.....!!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
বিভাগ | মজাদার রেসিপি । |
---|---|
ডিভাইজ | Realme 6i |
বিষয় | পটল ভাজি রেসিপি |
কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | সংযুক্তি |
পটল ভাজি করার নতুন কলাকৌশল দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। এভাবে কখনো পটল ভাজি করে খাওয়া হয়নি। একদম নতুন রূপে পটল ভাজা রেসিপি দেখে নিলাম। মনে হচ্ছে খেতে ভালই সুস্বাদু হয়েছে। তাই একদিন বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ
আপনার মত অনেকেই বলছে এরকম ভাবে কখনো পটল ভাজি প্রস্তুত করে খাওয়া হয়নি তার মানে আমি বুঝতে পারলাম আমার এই রেসিপিটি একদম ইউনিক এবং নতুন সকলের কাছেই। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে স্বল্প সংখ্যক সাপোর্ট দিয়ে সব সময় পাশে থাকার জন্য।
মচমচে পটল ভাজি খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। তবে এভাবে কখনো পটল ভাজি করে খাওয়া হয়নি। আজকে আমি পটল ভাজির ভিন্ন একটি রেসিপি শিখলাম। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া। মজার এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
যেহেতু আপনি আমার মত করে কখনো পটল ভাজি খাননি সেহেতু আমি আপনাকে বলতে চাই আপনি খুব দ্রুতই বাসায় এরকম পটল ভাজি প্রস্তুত করুন এবং খেয়ে ফেলুন দেখবেন অনেক বেশি সুস্বাদু লাগবে।
পটলের মিতালি মাছের সাথেই বেশি তবে একাকি পটল ভাজির জন্য সেরা। ছোবেলায় পটল রান্না খাওয়ার সময় এর বীজ গুলো বেছে বেছে প্লেটের চারিদিকে সাজিয়ে রাখতাম। এটা ছিল আমার প্রতিদিনের কাজ।
আপনার পটলভাজি দেখেই মনে হচ্ছে এটা ভীষন স্বাদেত হয়েছে।
সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমি আপনার ছোটবেলার একটি ঘটনা শুনে ফেললাম খুবই ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর মন্তব্য ।সাপোর্ট করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি পটল ভাজি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পটল ভাজি আগে কখনো খাইনি। আজ প্রথম দেখলাম এবং আপনার রেসিপিটা দেখে শিখে নিলাম। দেখে মনে হচ্ছে সুস্বাদু হয়েছে্। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
যেহেতু আপনি আমার এই পটল বাজি রেসিপি দেখে শিখে নিয়েছেন খুব দ্রুতই বাসায় প্রস্তুত করুন দেখবেন খুবই সুস্বাদু লাগবে আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লেগেছিল পটল ভাজি রেসিপিটি।
পটল ভাজি আমার খুবই ফেভারিট বিশেষ করে ডাল দিয়ে খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিটি প্রস্তুত করে উপস্থাপন করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হবে
আপনার কথা সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি ডাল দিয়ে পটল ভাজি খুবই সুস্বাদু লাগে আমি অনেকদিন আগে খেয়েছিলাম খুবই ভালো লেগেছিল ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
পটল ভাজি রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো। পটল খেতে আমার খুবই ভালো লাগে এটি আমি ফ্রাই খেয়ে থাকি মাছ এবং বিভিন্ন ধরনের জিনিসের সাথে। এভাবে আমি বানাইনি এবং খাইনি। চেষ্টা করব বানিয়ে খাওয়ার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
অবশ্যই আপনি বাসায় একদিন চেষ্টা করবেন এরকম পটল ভাজি তৈরি করার পটল ভাজি করে খেয়ে দেখবেন অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
পটল ভাজি রেসিপি খেতে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। আপনি খুব সুন্দর করে পটল ভাজি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে যে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে মজাদার মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আর আমি সবসময়ই সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করি যাতে করে সকলেই বুঝতে পারে। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ডালের সাথে পটল ভাজি খেতে বেশি মজা লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ও সহজ ভাবে পটল ভাজির কৌশল আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ভাই।
ডালের সাথে পটল ভাজি সত্যিই অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে তবে আমি তেমন একটা পটল ভাজি খেতে পছন্দ করি না অনেকদিন আগে ডালের সাথে খেয়েছিলাম খুবই ভালো লেগেছিল।
পটলের বিচি গুলো শক্ত হয়ে গেলে সেটা খেতে আমারও খুব একটা বেশি ভালো লাগে না।
পটল ভাজির খুবই চমৎকার একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। প্রতিটি ধাপে ধাপে আপনি আমাদেরকে দেখিয়েছেন কিভাবে এমন চমৎকার পটল ভাজি করতে হয়।
আপনিও দেখছি আমার মতই পটল ভাজি খেতে পছন্দ করেন কিন্তু বিচি তেমন একটা পছন্দ করেন না কিন্তু অনেকেই আবার পটল ভাজি সহ বিচি খেয়ে ফেলে কেমন করে খায় সেটা আমার বুঝে আসেনা। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।