দু'ঘণ্টার পথ আট ঘন্টা
আজ--২০ ফাল্গুন | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | সোমবার | বসন্তকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- দু'ঘণ্টার পর আট ঘন্টা
- আজ-২০শফাল্গুন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
- সোমবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে......!!
বর্তমান সময়ে ট্রাফিক জ্যামে এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে কোথাও যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হলে নির্দিষ্ট একটা সময় পরে আমি সেখানে গিয়ে পৌঁছাবো কিনা এটার কোন নিশ্চয়তা নেই। এই ব্যাপারটা আমার কাছে সব থেকে বেশি খারাপ লাগে। বর্তমান সময়ে রাস্তায় এত বেশি ট্রাফিক জ্যাম লেগে থাকে যে ঘন্টার পর ঘন্টা একটা নির্দিষ্ট জায়গাতেই গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। মনে করুন আপনার যদি কোন চাকরির ইন্টারভিউ থাকে আর আপনি যদি বাসা থেকে বের হন দু'ঘণ্টা আগে যদিও আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে এক ঘন্টা সময় লাগবে বলে আপনি মনে করেন, তারপরেও আরও অতিরিক্ত এক ঘন্টা সময় হাতে রেখেই আপনি বাসা থেকে বের হলেন কিন্তু আপনি তারপরেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেখানে গিয়ে পৌঁছাতে পারবেন কিনা এটার কোন নিশ্চয়তা বর্তমান সময়ে নেই। এই কথাগুলো আমি নিসক বানিয়ে বানিয়ে বলছি না, আমি এই কথাগুলো এজন্যই বলছি কারণ আমি এর বাস্তব অভিজ্ঞতাটা অর্জন করেছি কিছুদিন আগে। ট্র্যাফিক জ্যামে আমি অনেক সময় অনেক জায়গায় যাওয়ার পথে বাধা গ্রস্ত হয়েছি কিন্তু সেদিনের মতো বিপত্তিকর অবস্থায় আমি আর কখনোই পড়িনি। এ যেন এক অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক মুহূর্ত এই অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক মুহূর্তগুলো এতটাই অস্বস্তিকর যেটা কাউকে কখনো বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
বর্তমানে এখন আমি নারায়ণগঞ্জ থাকি,যেহেতু আমার ভার্সিটির ক্লাস থাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছটায় এবং শুক্রবার সকাল সাতটায়। যথারীতি আমি বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার সময় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করি মূলত আমার উদ্দেশ্য থাকে যে নারায়ণগঞ্জ থেকে রওনা হয়ে ভার্সিটির ক্লাস শেষ করে আগের যে বাসায় থাকতাম সেখানে কিছু ভাই ব্রাদার আছে, মূলত সেখানে গিয়ে রাত্রি থেকে সকাল বেলা আবার ভার্সিটির ক্লাস করে নারায়ণগঞ্জ চলে আসবো। এরকম চিন্তা ভাবনা নিয়েই আমি নারায়ণগঞ্জ থেকে দুপুর আড়াইটায় রওনা দিয়েছিলাম যদিও নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় যেতে সর্বোচ্চ সময় লাগবে তিন ঘন্টা। এই তিন ঘণ্টা আমি সর্বোচ্চ সময় ধরেছি এরকম লাগার কথা। আরেকটা সময় রওনা হয়ে মিনিট দশেক বাস ভালো মতই চলল। ভেবেছিলাম যে রাস্তায় হয়তোবা তেমন কোন জ্যাম নেই কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে হঠাৎ করেই গাড়ি একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে গেল। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তোবা কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়িয়েছে খুব দ্রুতই ছেড়ে দেবে। কিন্তু আধা ঘন্টা পেরিয়ে গেল তবুও বাস ছাড়ছে না একটা নির্দিষ্ট জায়গাতেই দাঁড়িয়ে আছে।
এরপরে আমি বাস থেকে নামলাম বাস থেকে নেমে উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম যে আসলে সামনে কি অবস্থা। ওকে দিয়ে দেখলাম যে আমার চোখ যত দূর পর্যন্ত যায় তত দূর পর্যন্ত রাস্তা জ্যাম করে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। এটা দেখে মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়ে গেল, মনে মনে ভাবছিলাম এই জ্যাম আজ বোধহয় আর ছাড়বে না। ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ করেই দেখি যে গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে দৌড়ে গিয়ে বাসে উঠলাম। এরপরে বাস আস্তে আস্তে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এরকম ভাবে আরো প্রায় আধা ঘন্টা সামনের দিকে অগ্রসর হলো। এরপরে আবার বাস থেমে গেল। আমি তো আগে থেকেই বুঝতে পেরেছি আগে একবার যেহেতু অনেকটা সময় জ্যামে গাড়ি দাঁড়িয়েছিল এবারও হয়তোবা তেমনটাই হবে তবে এবারের সময়টা যে আরও বেশি হবে সেটা ভাবতে পারিনি।
প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তোবা, প্রথমবার যেহেতু আধাঘন্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম এবার হয়তোবা ১০-১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। ব্যাগের মধ্য থেকে হেডফোনটা বের করে গান শুনছিলাম মিনার রহমানের। মিনার রহমানের গান শুনছিলাম আর জানালা দিয়ে দূরের ওই আকাশ দেখছিলাম বেশ ভালই লাগছিল। কতক্ষণ যে আকাশের দিকে তাকিয়েছিলাম সেটা মনে নেই তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আকাশ দেখছিলাম ততক্ষণ পর্যন্ত নিজের মনের মধ্যে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছিল। এরপরে ঘড়ির দিকে তাকাতেই মাথায় চিন্তার ভাঁজ করল। মোটামুটি ভাবে আইডিয়া করলাম যে গাড়ি এই একই জায়গাতেই দাঁড়িয়ে আছে ৪৫ মিনিট। বুঝতেই পারছেন তাহলে ট্রাফিক জ্যামটা কতটা বেশি ছিল সেদিন। খুবই অস্বস্তিকর লাগছিল এতটাই অস্বস্তিকর লাগছে না মনে হচ্ছিল যেন সবকিছু ভেঙে চড়ে দুমড়ে মুছরে ছারখার করে দিই। এদিকে ভার্সিটির ক্লাস করার সময় হয়ে যাচ্ছিল। বারবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছিলাম আর দেখছিলাম যে সময় কত দ্রুত চলে যায়।যখন আপনি কোন একটা ব্যাপার নিয়ে অনেক বেশি টেনশন করবেন এবং আপনি মনে মনে চাইবেন যেন সময় খুব দ্রুত না যায়, ঠিক তখনই দেখবেন যে সময়গুলো আপনা আপনি মনে হয় যে খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে।
আমার কাছে ঠিক এমনটাই মনে হয়েছিল বাসের মধ্যে অস্বস্তিকর অবস্থায় বসে থাকাকালীন সময় আমার কাছে মনে হয়েছিল সময় যেন পাগলা ঘোড়া হয়ে গিয়েছে। পাগলা ঘোড়াতে যদি ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে সে দেখবেন যে এতটা দ্রুত দৌড়াবে এতটা দ্রুত সে পথ অতিক্রম করবে যেন সে চারিদিকের কোন কিছু দেখছে না সে যেন অন্য স্বভাবের হয়ে গিয়েছে। আমার কাছে সময় বলে এমনটাই মনে হয়েছিল আর সেই সাথে আমার অস্থিরতা বেড়েই চলছিল। যখন আমি ঢাকার গুলিস্তান মোড়ে এসে নামলাম তখন সন্ধ্যে ছয়টা। বুঝতেই পারছেন নারায়ণগঞ্জ থেকে গুলিস্তান মোড় পর্যন্ত আসতে আমার সময় লেগেছে প্রায় চার থেকে সাড়ে চার ঘন্টা। যেহেতু ছটা বেজে গিয়েছে আর আমি এখন গিয়ে আমার ক্লাস ধরতে পারবো না সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললাম যে সোজাসুজি বাসায় চলে যাব আজ আর ক্লাস করব না। আবার আর একটা বাসে গিয়ে উঠলাম মোহাম্মদপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
সেই বাসে ওঠার পরে আরো অসহ্য লাগছিল, চারিদিকে গাড়ির হর্নের শব্দ সেইসাথে কেমন যেন একটা হইহুল্লোড় মনে হচ্ছিল এজন্য আমি এক অন্য রাজ্যে এসে পৌঁছেছি। যেখানে নিরবতা বলে কিছুই নেই যেখানে রয়েছে কিছু অস্বস্তিকর শব্দ যে শব্দগুলো মানুষ কিছু অস্বস্তিকর শব্দ,যে শব্দগুলো মানুষের মস্তিষ্ককে বিকৃতি করে তোলে। এখানেও বসে থাকলাম অনেকটা সময় কি আর করার আছে কিছুই তো করার নেই। ভেবেছিলাম যে উভার কল করে খুব দ্রুত চলে যাব কিন্তু আমি দেখছি যে বাস উভার সিএনজি অটোরিকশা যত রকম যানবাহন আছে সবগুলো যানবাহন নির্দিষ্ট জায়গায় যার যার অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে, মনে হচ্ছে তারা কোন প্যারেড করতে গিয়েছে তাদেরকে বলা হয়েছে আরামে দাঁড়াতে আর তারা সোজা হয়ে আরামে দাঁড়িয়ে আছে। সেদিন আমার কাছে যানবাহনগুলো এমনটাই মনে হয়েছিল।
যেহেতু অনেকটা পথ এসেছি প্রচুর ক্ষুধা লেগে গিয়েছে যার কারণে বাস থেকে নেমে পাশের ছোট্ট একটা স্টিড ফুড দোকানে গিয়ে কিছু খাওয়া দাওয়া করলাম। বাস ওখানেই দাঁড়িয়ে আছে আমি আর বাসের মধ্যে গিয়ে উঠে বসেনি ভেবেছি যখন বাস চলাচল করবে ঠিক তখনই বাসের মধ্যে গিয়ে বসবো। এরপরে শুরু হলো আর এক যুদ্ধ। গরমে গা ঘেমে টপটপ করে পানি পড়ছে এটা হতে পারে দুটো কারণ, নিজের মধ্যে এর আতঙ্ক টা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল সেই সাথে আরেকটা টেনশন কাজ করছিল যে বাসায় পৌঁছাব কখন। ভার্সিটি ক্লাস মিস হয়ে গিয়েছে এটা নিয়ে নিজের কাছে আর আফসোস হচ্ছে না কারণ আমি যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলাম ক্লাস করার জন্য কিন্তু ট্রাফিক জ্যাম সবকিছু নষ্ট করে দিয়েছে। এরপরে অনেকটা সময় জ্যামের মধ্যে আটকে থেকে কিছুটা সময় বাস চলাচল করে আবার কিছুটা সময় আটকে থাকে এরকম ভাবেই করতে করতে হঠাৎ করে পৌঁছে যাই মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে।
দীর্ঘ এক নিঃশ্বাস নিয়ে কিছুটা স্বস্তি পেয়ে এবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করি একটা রিক্সা নিয়ে। বাসায় গিয়ে যখন পৌঁছালাম তখন দেখি প্রায়, নটা বেজে গিয়েছে। তাহলে এবার আপনারাই বিবেচনা করুন যে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা যেতে যদি আমার ৯ ঘণ্টা প্লাস সময় লাগে তাহলে মানুষের সময়ের মূল্য কোথায়..?? আমি মনে করি বর্তমান সময়ে মানুষের সময়ের কোন মূল্য নেই। আমরা সময়ের মূল্য দিতে পারি না বিধায় আমরা আজ অন্যান্য দেশের থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছি, আমাদের পিছিয়ে থাকার এই একটাই কারণ বলে আমি মনে করি।
যাইহোক এটাই ছিল আমার আজকের পোস্ট আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | দু'ঘণ্টার পথ আট ঘন্টা |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।
@jibon47
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বর্তমান সময়ে ট্রাফিক জ্যাম কতটা মারাত্মক হয়ে উঠেছে তা আমরা সবাই জানি। জ্যামে আটকে থাকতে ভীষণ কষ্ট লাগে। আপনার তো দেখছি অনেক সময় লেগেছে। আপনার লেখা গুলো পড়ে ভীষণ খারাপ লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
জ্যামের মধ্যে বসে থাকতে একটুও ভালো লাগেনা, খুবই অস্থির অস্থির লাগে সেই সাথে মন চায় সবকিছু ভেঙে ফেলতে হাহাহা। তারপরও কিছু করার থাকে না আমাদের যেহেতু গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
তুমি ঠিকই বলেছ মানুষের সময়ের কোন মূল্য নেই। এভাবে জ্যামের মধ্যে আমিও অনেকদিন আটকা পড়েছি। তবে এই পরিস্থিতি মেনে নিয়ে তোমাকে প্রতি বৃহস্পতিবার আসতে হবে। দু'ঘণ্টার পথ ৮ ঘণ্টা পার দিয়ে এসে কিন্তু আমাদের অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত হয়েছে। আশা করি সুন্দর সময় উপভোগ করার পর তোমার জ্যামের কথা ভুলে যাওয়া উচিত।
আট ঘন্টা জ্যাম পাড়ি দিয়ে অবশেষে অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম এরকম একটু সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর জন্যই মূলত ঢাকায় যাওয়া। তবে সেদিনের সেই ঘটনাটা ভুলে যাবার নয় মনে থাকবে চিরদিন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া সত্যি বর্তমানে ঢাকার যেই পরিস্থিতি চলছে আর তার জন্য কোথাও বের হতে ইচ্ছে করে না। আপনি একটা কথাও বানিয়ে বলেননি। আমি তো কোথাও গেলে গাড়িতে বসে একদম অস্থির হয়ে যাই। গাড়ি চলে তো চলে না ঠেলে ঠেলে চলে। আর তাই মাঝে মাঝে ভাবি। তিন বেলার খাবার একবারে একটা বাটি করে নিয়ে বের হব। যখন গাড়িতে জ্যামে বসে থাকবো তখন গাড়িতে বসে বসে খাব। এতে করে অন্ততপক্ষে একটি কাজ তো শেষ হবে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। খুব সুন্দর একটি টপিক্স নিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খুবই চমৎকার একটা কথা বলেছেন আপু, মাঝে মাঝে গাড়ির মধ্যে বসে থাকতে থাকতে ক্ষুধা লেগে যায় বাসা থেকে খাবার নিয়ে যাওয়া উচিত। এরকম জ্যামের মধ্যে বসে থাকলে খোদা লাগাটাই স্বাভাবিক আমারও অনেক ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল। মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে বর্তমান সময়ে ঢাকা শহরে এত বেশি পরিমাণে ট্রাফিক জ্যাম রয়েছে সেখানে মানুষের খুবই ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। ২ ঘণ্টার রাস্তা আপনাকে ৮ ঘন্টা থেকে অতিক্রম করতে হয়েছে তাহলে ভাবুন কত খারাপ অবস্থা আমাদের দেশের। সরকারকে এই বিষয়গুলোতে একটু ভালোভাবে নজর দেওয়া উচিত।
বর্তমান সময়ে ঢাকার অবস্থা খুবই খারাপ এত এত গাড়ি আর মানুষ যার কারণেই রাস্তায় সব সময় জ্যাম লেগেই থাকে। এই যে আমার কারণগুলো মূলত আমরাই আমরাই এর পেছনে দায়ী। মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন৷ আসলে এই ঘটনা একদমই বাস্তব৷ ঢাকা শহরের যে জ্যামের পরিস্থিতি তা কখনোই সমাধান হবে বলে আমার মনে হয় না। একবার যদি ভালোভাবে জ্যাম লেগে যায় তাহলে সারাদিন সেই জ্যামের মধ্যে আটকে থাকতে হয়। একইসাথে ঢাকা শহরে এত মানুষজন থাকার কারণে এবং এত গাড়ি থাকার কারণেও প্রতিনিয়তই রাস্তার মধ্যে হাজার হাজার গাড়ি একসাথে চলাফেলা করে৷ এর কারণেই জ্যাম লেগে যায় এবং দুই ঘন্টার পথ আপনি আট ঘণ্টায় শেষ করেছেন শুনে একেবারেই খারাপ লাগলো৷ কারণ ২ ঘণ্টা আমাদের গাড়িতে বসে থাকলেও যেন কিরকম একটা অস্থির অনুভূত হয় আপনি আধঘন্টা গাড়ির মধ্যে বসে বসে অনেক৷ তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন যা আপনার পোস্ট থেকেই বুঝতে পারলাম৷
আসলেই ভাই ঢাকার মধ্যে যে এরকম জ্যাম হবে এটা কখনোই ভাবেনি, এর আগেও অনেকবার জ্যামে পড়েছি তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটা ছেড়ে দিয়েছে তবে এবারের টা একটু ভিন্ন ছিল। তিক্ত এক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।