আলু ও ফুলকপি ভাজি রেসিপি [benificiary ১০% @shy-fox]|
আজ - ২২ পৌষ | ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | শীতকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এখন জনপ্রিয় কয়েকটি কমিউনিটির মধ্যে একটি। এটা ভাবতেই আমার অনেক বেশি ভালো লাগে,সেই সাথে আমি সত্যিই অনেক বেশি গর্বিত আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য হয়ে।
- আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি
- মজাদার রেসিপি
- আজ ২২শ পৌষ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- শুক্রবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে.....!!
বর্তমান শীতকাল আর এই শীতকাল মানেই যেন টাটকা সবজি খাওয়ার উপযুক্ত একটি সময়। এই শীতের মৌসুমে সকলেই সবজি খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে বিশেষ করে এই সময়টাতে বাজারে নতুন নতুন সবজি পাওয়া যায়। আর এই নতুন নতুন সবজির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফুলকপি বাঁধাকপি। আপনারা কে কেমন ফুলকপি এবং বাঁধাকপি পছন্দ করেন সেটা আমি হয়তো জানি না কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি ফুলকপি এবং বাঁধাকপি এই দুটো সবজি শীতকালে অনেক বেশি পছন্দ করি। বাঁধাকপি যদি ঘন্টা করা হয় তাহলে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে আর ফুলকপি যে ভাবেই হোক রান্না করা হলে খেতে খুবই সুস্বাদু এবং লোভনীয় মনে হয় আমার কাছে।
ফুলকপি অনেক রকম ভাবেই খাওয়া যায় মাছের ঝোলের সঙ্গে ফুলকপি আবার কোন কোন ক্ষেত্রে ফুলকপি ভাজি এই দু'রকম ভাবেই খাওয়া যায়। তবে আমার কাছে মাছের ঝোল এর মধ্যে ফুলকপির থেকে ফুলকপি যদি আলু এবং বেগুন দিয়ে ভাজি করা হয় তাহলে খেতে অনেকটা বেশি সুস্বাদু লাগে। এইতো সেদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠার আগেই জানতে পারলাম যে আজকে নতুন আলু দিয়ে ফুলকপি ভাজি করা হবে। কথাটা শুনেই আমি অনেকটা বেশি খুশি হয়েছিলাম কারণ আমি আপনাদের আগেই বলেছি ফুলকপি ভাজি আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। আর এই ফুলকপি ভাজি যদি এই শীতের সময়ে গরম ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয় তাহলে কতটা যে সুস্বাদু লাগে সেটা হয়তো আমি আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না। যাই হোক সেদিনের সেই রেসিপিটি আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লেগেছিল। চাইলে আপনারা এই শীতের সময় সকালবেলা ফুলকপির সঙ্গে আলু যুক্ত করে ভাজি করে খেতে পারেন। আশা করছি এই রেসিপিটি আপনাদের অনেক বেশি পছন্দ হবে।
- মরিচ
- পেঁয়াজ
- রসুন
- তেল
- লবণ
সর্বপ্রথম আলু এবং ফুলকপি এই দুইটি সবজি খুবই ভালোভাবে কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। কচি কচি করে কেটে নিলে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগবে বলে আমার মনে হয়। তাই চেষ্টা করে যাবেন যত ছোট করে আলু এবং ফুলকপি এই দুইটি সবজি কেটে নেওয়া যায়। তারপরে পরিষ্কার পানি দিয়ে কয়েকবার ধুয়ে নিতে হবে যাতে করে কোন রকম ময়লা তার সঙ্গে লেগে না থাকে। ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়ার পরে পরিষ্কার একটি পাত্রে রেখে দিতে হবে। এতে করে আলু এবং ফুলকপি থেকে পানি বের হয়ে যাবে।
এরপরে একটি কড়াই এর ওপর পরিমাণ মতো তেল ঢেলে দিতে হবে। তবে আমার মনে হয় তেলের পরিমাণটা একটু বেশি রাখা উচিত।
কড়াই এর উপর তেল ঢেলে দেওয়ার পরে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে, অপেক্ষা করার পরে যখন দেখবেন তেলের উপর বুদবুদ শুরু হয়ে গিয়েছে ঠিক তখনই প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো তার ওপর ঢেলে দিতে হবে।
এরপরে একটি চামচ দিয়ে কিছুটা সময় নাড়ানাড়ি করতে হবে। এমনভাবে নাড়ানাড়ি করতে হবে যেন প্রতিটি উপকরণ যেমন মরিচ পেঁয়াজ এবং রসুন এই তিনটি উপকরণ একে অপরের সঙ্গে মিশে যায়। অতপ্রতভাবে কয়েক মিনিট নাড়াচাড়া চালিয়ে যেতে হবে।
কিছুটা সময়ে নাড়াচাড়া করার পরে যখন উপকরণগুলো একটু লাল বর্ণ ধারণ করবে ঠিক তখনই পরিমাণ মতো লবণ তার ওপর ছেড়ে দিতে হবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে লবণের পরিমাণটা যেন বেশি না হয়ে যায়।
উপকরণ গুলির উপর লবণ ছেড়ে দেওয়ার পরে, কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে তারপরে একটি চামচ দিয়ে খুবই চমৎকারভাবে নাড়ানাড়ি করতে হবে। উপরের ন্যায় এমনভাবে নাড়ানাড়ি করতে হবে যেন উপকরণগুলোর সঙ্গে লবণ অতপ্রতভাবে মিশে যায়।
যখন উপকরণ গুলি একে অপরের সঙ্গে মিশে যাবে ঠিক তখনই আলু গুলো উপকরণ গুলির উপর ছেড়ে দিতে হবে।
এরপরে আলুর সঙ্গে ফুলকপি ছেড়ে দিতে হবে। দুইটি সবজি একত্রে করায় এর উপরে দেওয়ার পরে একটি চামচ দিয়ে খুবই চমৎকারভাবে নাড়ানাড়ি করতে হবে।
এরপরে অনেকটা সময় নিয়ে সবজিগুলো নাড়াচাড়া করতে হবে যেন উপকরণগুলোর সঙ্গে এই দুইটি সবজি একত্রে মিশে যায়। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সবজিগুলো যেন একেবারে শুকিয়ে নেয়া যায় যদি তাপের ফলে সবজি শুকিয়ে যায় তাহলে কিছুটা পানি যোগ করতে হবে। যদি পানি যোগ করা হয় তাহলে আবার কিছুটা লবণ ছিটিয়ে দিতে হবে।
কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করার পরে দেখা যাবে সবজিগুলো একদম কুঁচিয়ে গিয়েছে। তখন বুঝতে হবে সবজিগুলো আস্তে আস্তে সে সেদ্ধ হচ্ছে। এরপরে একটা ঢাকনা দিয়ে কিছুটা সময় ঢেকে রাখতে হবে যাতে করে সবজিগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে সবজিগুলো নাড়াচাড়া করতে হবে যাতে করে সবজিগুলোর সঙ্গে উপকরণ একত্রে মিশে যায়।
সবজিগুলো যখন ভালোমতো সিদ্ধ হয়ে যাবে তখন। নারানারি করার প্রক্রিয়াটি অব্যাহত রাখতে হবে। এরপরে এপিঠাপিট করে ভালো মতো নাড়াচাড়া করতে হবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে তেলের পরিমাণটা যেন ঠিকঠাক থাকে।
অনেকটা সময় নাড়ানাড়ি করার ফলে দেখা যাবে সবজিগুলো একদম লাল বর্ণ ধারণ করেছে। যখন এই দুইটি সবজি লাল বর্ণ ধারণ করবে তখন এর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। যদি ঝাল এবং লবণের পরিমাণ ঠিকঠাক থাকে তাহলে কিছুটা সময় নাড়ানাড়ি করে করাই এর উপর থেকে ভাজি নামিয়ে ফেলতে হবে। আপনি চাইলে বেশি করে ভাজি করতে পারেন যত বেশি ভাজি হবে খেতে তত বেশি সুস্বাদু লাগবে।
এইতো তৈরি হয়ে গেল আলু ও ফুলকপি ভাজি রেসিপি। এই রেসিপিটি আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু সুস্বাদু লেগেছিল। বিশেষ করে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে গরম ভাতে সঙ্গে যদি এরকম ভাজি রেসিপি খাওয়া যায় নিশ্চয়ই খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগবে এটা আমি বিশ্বাস করি। সকালবেলা এরকম ভাজি খেতে সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করবে বলে আমার মনে হয়, তাই আমি বলতে চাই যদি এরকম ভাবি আপনারা এখন পর্যন্ত না খেয়ে থাকেন অবশ্যই শীঘ্রই এরকম একটি রেসিপি তৈরি করে ফেলুন। দেখবেন আপনার নিজের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে। যাইহোক এখানেই আমি আমার আজকের এই পোস্ট শেষ করছি। সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
বিভাগ | মজাদার রেসিপি । |
---|---|
ডিভাইজ | Realme 6i |
বিষয় | আলু ও ফুলকপি ভাজি রেসিপি |
কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | সংযুক্তি |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখন শীতকাল আর এই সময় বাজারে অনেক রকম সবজি পাওয়া যায় তার মধ্যে আমার কাছে ফুলকপি অন্যতম। আলু দিয়ে আপনি ফুলকপি ভাঁজির মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপি তৈরি করে ধাপে ধাপে আমাদের বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি একদম ঠিক ধরেছেন খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল আর শীতের সময় সকালবেলা এ ধরনের রেসিপি সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করবে বলে আমার মনে হয়।
আলু ও ফুলকপি ভাজি রেসিপি দেখতে খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এই শীতে আলু ও ফুলকপির ভাজি খেতে খুব ভালো লাগে। আজকে বাসায়ও এটি রান্না হয়েছিল। যাই হোক এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
এই শীতের মৌসুমে আপনার বাসাতেও এ ধরনের রেসিপি তৈরি করা হয় জেনে খুবই খুশি হলাম আসলে শীতের সময় এরকম রেসিপি খেতে খুবই ভালো লাগে।
নতুন আলু ও ফুলকপির এই ভাজিটি বেশ লোভনীয় হয়েছে। খেতে ও দারুন লাগে। আপনি রেসিপিটি ধাপে ধাপে শেয়ার করেছেন, দারুন হয়েছে। এমন ভাজি গরম ভাত ও রুটির সাথে খেতে এই শীতে কিন্তু দারুন লাগে। মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য। অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।
আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন এই ভাজি গরম ভাত এবং রুটির সঙ্গে খেতে সত্যিই অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে।
ফুলকপি বাঁধাকপি বা খেলে মনে হয় শীত পালন হয়নি। আমার।খুব পছন্দের দুটি সবজি। আপনি ঠিক বলেছেন গরম ভাতের সাথে খেতে দারুন লাগে । আপনি নতুন আলু আর ফুলকপি দিয়ে খুব সুস্বাদু একটি ভাজি রান্না করেছেন। রান্নার প্রণালী আমার।খুব ভাল লেগেছে। আমাদের বাসায় ফুলকপির সাইজ আরো বড় রেখে ভাজি করা হয়। আপনার রান্নার পরিবেশন সুন্দর হয়েছে দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সত্যি ফুলকপি এবং বাঁধাকপি না খেলে মনে হয় এবছর শীত পালন হয়নি, ফুলকপি সাইজে আরো বড় করে ভাজি করা যায় তবে সাইজে বড় করে ভাজি করলে আমার কাছে তেমন একটা সুস্বাদু লাগেনা।
একটু আগে আরেক আপুর পোস্ট দেখলাম।বাসায় আম্মু রান্না করলে আলু খুব একটা দেয়না তবে মেসে বুয়া আলু ছাড়া কিছু বুঝেই না।মাঝে মাঝে কপির চেয়ে আলুই বেশি মনে হয়🥲।
দারুণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন রেসিপিটা। শুভ কামনা জানাই।
আসলে ম্যাচের বুয়া গুলো রান্না করলে রান্না তেমন একটা সুস্বাদু হয় না আবার সুস্বাদু হলেও কিছু একটা কমতি থেকে যায় বরাবরই এরকম অভিজ্ঞতা আছে আমার। মায়ের হাতের রান্না সবসময়ই সুস্বাদু।
ফুলকপি আমার মাছের ঝোল দিয়েই বেশি খাওয়া হয়েছে কিন্তু এভাবে কখনো ভাজি করা হয়নি। বেশ ভালো লাগলো রেসিপিটি দেখে নতুন একটা রেসিপি শিখলাম।
মাছের ঝোলের সঙ্গে কয়েকবার আমি খেয়েছি বরাবরি খুবই সুস্বাদু লেগেছে তবে আপনি যেহেতু এরকম খাননি অবশ্য আমি আপনাকে বলতে চাই এরকম একদিন রান্না করে খাবেন খুবই সুস্বাদু লাগবে।
আলু ও ফুলকপি ভাজি রেসিপি শীতকালের রেসিপির মধ্যে প্রিয় একটি রেসিপি। আমি মাঝে মাঝেই বাসায় আলু ও ফুলকপি ভাজির রেসিপি বানিয়ে থাকি। বেশ চমৎকারভাবে বারোটি ধাপের মাধ্যমে রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।
এই শীতের সময় প্রায় প্রতিটি বাসায় এ ধরনের রেসিপি তৈরি করা হয়। আলু এবং ফুলকপি ভাজি রেসিপি সত্যিই আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে সকাল সকাল গরম ভাতের সঙ্গে খেতে।
খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। শীতকালের সবজির স্বাদই আলাদা। আপনার রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু ছিলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আপু এই রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল অনেকদিন বাদে সেদিন এরকম রেসিপি খেতে পেরে খুবই ভালো লাগছিল।
ভাইয়া আজকে সকালে এই রেসিপিটা খেয়েছি। শীতকালিন সবজি ফুলকপি আমার অনেক প্রিয়। এই রেসিপিটা অনেক সহজে বানানো যায়। খেতেও অনেক সুস্বাদু। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার মনে হয় ফুলকপি সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করে বিশেষ করে শীতের সময় যে ফুলকপি খায় না তার কাছে শীত অপূর্ণ থেকে যায়।