"পিতা বনাম পূত্রগং"পর্বঃ-১০ নাটক রিভিউ [benificiary ১০% @shy-fox]|
আজ - ১৬ পৌষ| ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | শনিবার | শীতকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- নাটক রিভিউ (পিতা বনাম পূত্রগং--১০)
- আজ ১৬ই পৌষ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- শনিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে......!!
ছবিঃ- ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া।
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | পিতা বনাম পূত্রগং । |
---|---|
পরিচালনা | সকাল আহমেদ। |
প্রযোজক | কাজী রিটন |
রচনা | বৃন্দাবন দাশ |
গল্প | রমজান আলী |
আবহ সংগীত | অধ্যায়ন ধাড়া (কলকাতা)মেহেদি হাসান তামজিদ |
চিত্রনাট্য | শামসুল আলম লেলিন। |
অভিনয়ে | মাসুম বাসার,আজিজুল হক,নাদিয়া আহমেদ,শাহনাজ খুশি,প্রাণ রায়,আরফান আহম্মেদ,মৌসুমি হামিদ,শিরিন আলম,ইকবাল হোসেন,আশরাফুল আর্শিষ,শেলি আহসান,সৌম,সেতু,তৌহিদুল ইসলাম তায়েব এবং চঞ্চল চৌধুরী,সহ আরও অনেকে । |
দৈর্ঘ্য | ২০ মিনিট ০৭ সেকেন্ড |
পরিবেশনায় | Maasranga TV Official |
মুক্তির তারিখ | ১৪ ই আগষ্ট, ২০২২ ইং |
ধরন | সামাজিক,বাংলা ড্রামা সিরিয়াল |
পর্ব | ১০ |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনীঃ-
নবম পর্বের শেষ অংশের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরী গাছের আড়ালে লুকিয়ে ছিল একটা চাকু হাতে করে। মূলত সে নাদিয়ার অপেক্ষায় ছিল নাদিয়া সেই পাশ দিয়ে যখন যায় তখন সে গাছের আড়াল থেকে বের হয়ে এসে থাকে খুন করার জন্য হুমকি দিতে থাকে। মূলত চঞ্চল চৌধুরীর উদ্দেশ্য ছিল তাকে ভয় দেখিয়ে বিয়ে করা কিন্তু যখন সে তার হাত ধরে টেনশনে করেছিল সেই মুহূর্তে শাহনাজ খুশি সেখানে এসে উপস্থিত হয়, তারপরে নাদিয়াকে চঞ্চল চৌধুরীর হাত থেকে রক্ষা করে।
নবম পর্বের শেষ অংশের দৃশ্য।
দশম পর্ব দেখা যায় যে বাসার সাহেব তার রুমের মধ্যে বসে থাকে হঠাৎ করেই তার মৃত স্ত্রী তার সামনে এসে হাজির হয়। তার মৃত স্ত্রীটার সামনে এসে মাঝে মাঝেই হাজির হয়ে থাকে ভয় দেখায়। মূলত তার স্ত্রী তার সঙ্গে ঝগড়া করে এই নিয়ে যে এসে কেন তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না এই নিয়ে তাদের মাঝে কিছুটা সময় কথা কাটাকাটি হয়। এরপরে বাসার সাহেব তাকে বলে তুমি যেন আমার আর যন্ত্রণা দিতে না পারো সেজন্য আমি কবিরাজের কাছে গিয়ে তাবিজ নিয়ে এসেছি এবং কালকের মধ্যে বাড়ির আশেপাশে তাবিজ ঝুলিয়ে দেবো যাতে করে আর পরবর্তীতে আমার কাছে আসতে না পারে। তখন তার মৃত স্ত্রী রেগে তাকে গলা টিপ দিতে যায় কিন্তু বাসার সাহেবের হাতে তাবিজ থাকার কারণে তার স্ত্রী চিৎকার দিয়ে সেখান থেকে উধাও হয়ে যায়। এটা দেখে বাসার সাহেব অনেক বেশি হাসাহাসি করে। মূলত বাসার সাহেব খুশি হয়েছে এই ভেবে যে তার হাতে তাবিজ থাকার কারণে তার মৃত স্ত্রী তার কাছে এসে তাকে ভয় দেখাতে পারবে না।
এরপরের লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের ছোট ছেলে রুমের মধ্যে শুয়ে থাকে। সে মূলত তার প্রেমিকার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি নিয়ে ভাবতে থাকে এবং সেই মুহূর্তে বাসার সাহেবের সেজো ছেলে অর্থাৎ আরফান সেখানে এসে হাজির হয়। এবং সে তাকে চঞ্চল চৌধুরী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে এই নিয়ে তাদের মধ্যে কিছুটা সময় তর্ক বিতর্ক হওয়ার পরে। তার ছোট ভাই তাকে বলে বড় ভাইদের আর কখনো বিয়ে হবে না আমাদের তিন ভাইকে এখন ঐক্য গঠন করতে হবে এ কথা শুনে আরফান অনেক বেশি রাগান্বিত হয় কারণ সেটা অঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে গঠন করতে চায় না। এরপরে তারা দুই ভাই ঐক্য গঠন করে এবং তারা বলে আমরা দুজন এক।
এর পরের অংশে দেখা যায় যে চঞ্চল চৌধুরীর রাতের অন্ধকারে চুপি চুপি তার ফুফুর ঘরে যায়। মূলত সে অনেক বেশি ভয় পাচ্ছে কারণ সে নাদিয়াকে ছুরি দেখিয়েছে এটা তার বাবা জেনে গিয়েছে তার বাবা তাকে পেলে অনেক বেশি মারবে এই ভেবে সে চুপিচুপি তার ফুপুর রুমে গিয়ে তার ফুপুর কাছে পুরো ঘটনাটা খুলে বলে এবং কান্না করতে থাকে। তোর ফুফু তার কান্না শুনে বলে ঠিক আছে তুই এখানে বস আমি তোর জন্য খাবার নিয়ে আসি। মূলত চঞ্চল চৌধুরী সারাদিন বাসার বাহিরে থাকার কারণে কিছু খেতে পারেনি সে এখন অনেক ক্ষুধার্ত। তবে চঞ্চল চৌধুরী তার ফুফুর কাছে যে কথাগুলো বলেছে তা কিছুটা সত্য এবং কিছুটা মিথ্যা হাহাহা।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেব সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে সেই কবিরাজের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়েছে। সে আসলে মনের আনন্দে কবিরাজের বাড়ি গিয়ে উঠেছে এবং কবিরাজকে পুরো ঘটনা খুলে বলে। এ কথা শুনে কবি রাস্তা কে বলে তাহলে কি আপনি আমার উপর সন্দেহ করেছিলেন..?? তখন বাসার সাহেব কিছুটা অবাক হয়ে বলে না আমি কালকের ঘটনাটা আপনার কাছে বর্ণনা করছি মাত্র। সে আমার কাছে এসে আমাকে কিছু করতে পারেনি এবং সে নিজেই ভয় পেয়ে সেখান থেকে চলে গিয়েছে। একথা শুনে কবি রাস্তাকে বলে আমি সব জানি আপনার মৃত স্ত্রী আমার কাছে এসে সব বলেছে, এ কথা শুনে বাসার সাহেব রীতিমতো অবাক হয়ে যায়।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে নাদিয়া ও শাহনাজ খুশি একটি মাঠের মধ্যে বসে থাকে এবং তারা চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে উদ্দেশ্য করে কথা বলতে থাকে। এরপরে শাহনাজ খুশি নাদিয়াকে জিজ্ঞেস করে তার সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরীর প্রেমের সম্পর্ক আছে কিনা সে বলে যে তার সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই কিন্তু তার বড় ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে পারছি না। মূলত শাহনাজ খুশি তখন বুঝতে পারে যে নাদিয়া আরফানের প্রতি কিছুটা দুর্বল হয়তোবা ভালোবাসে। এরপরে বাসার সাহেব সেই কবিরাজের কাছে থাকে এবং সে সবকিছু জানতে চায়। কবিরাজ কাকে বলে যে আপনার মৃত স্ত্রী আমার কাছে এসে বলে যে সে কেন তার ছেলেদেরকে বিয়ে দিচ্ছে না। একথা শুনে বাসার সাহেব রীতিমতো অবাক হয়ে যায় এবং কবিরাজের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
এর পরের অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বাসার সাহেবের বোন রান্নাঘরের তরকারি কোটাকুটি করছে সেই সময়ে আরফান সেখানে গিয়ে হাজির হয়। তারপরে সে তার ফুফুকে জিজ্ঞেস করে সে চঞ্চল চৌধুরীকে তার ঘরে লুকিয়ে রেখেছে কিনা এ কথা শুনে তার ফুফু খুবই রাগান্বিত হয় এবং তাকে বলে সেকি মার্ডার কেসের আসামি নাকি..? এরপরে তার ফুফু তাকে বলে চঞ্চল চৌধুরী এবং নাদিয়া একে অপরকে ভালোবাসে তুই তাদের মধ্যে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছিস কেন। একথা শুনে আর ফোন খুবই রাগান্বিত হয় এবং তাকে বলে ঠিক আছে আমি নাদিয়াকে তোমার সামনে নিয়ে আসবো তুমি তাকে জিজ্ঞেস কর এ কথা বলে সে সেখান থেকে চলে যায়। এর মাঝে পিতা বনাম পুত্র গং নাটকের দশম পর্ব শেষ হয়ে যায়।
পিতা বনাম পুত্রগণ নাটকের ১১ পর্বে, অর্থাৎ আগামী পর্বে দেখানো হয় যে নাদিয়া এবং আরফান একটি জায়গায় বসে থাকে। আর ফোন তার কাছে গিয়ে হয়তো চঞ্চল চৌধুরীর কথা বলেছে। নাদিয়া এ কথা শুনে খুবই রাগান্বিত হয়ে যায় এবং বলে সে যদি আবার আমার সাথে এমন কিছু করতে আসে আমি বাবাকে বলে দেব। মূলত নাদিয়া চঞ্চল চৌধুরীর উপর অনেক বেশি রাগান্বিত। এরই মাঝে আমি দশম পর্বের রিভিউ আপনাদের মাঝে শেয়ার করে ফেললাম খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে আমি পরবর্তী পর্বগুলো নিয়ে হাজির হব। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
শিক্ষণীয় দিক-
এই নাটক থেকে আমরা এটাই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি যে গ্রামের এমন অনেক পিতা-মাতা আছে যারা হয়তো বা তাদের ছেলেমেয়েদের সঠিক সময়ে বিয়ে দিতে চায় না। কিন্তু তারা কেন বিয়ে দিতে চায় না এটা হয়তো তারা বুঝতেই পারে না। মূলত তারা মনে করে যে যদি তাদের সন্তানদেরকে বিয়ে দেওয়া হয় তাহলে হয়তো সংসার নষ্ট হয়ে যাবে কিন্তু সঠিক সময়ে সন্তানদেরকে বিয়ে দেওয়া উচিত। যেমনটা এই নাটকে আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পারি যে সন্তানদের বিয়ে না দেওয়ার কারণে তারা কতটা আফসোস করছে। তারা যেই প্রেমিকার সঙ্গে প্রেম করত তাদের ছেলেমেয়ে হয়ে গিয়েছে তবুও তাদের বিয়ে হয়নি ব্যাপারটা আসলেই খুবই দুঃখজনক।
ব্যক্তিগত মতামত-
প্রথমে ধন্যবাদ জানাই সকাল আহমেদ স্যারকে এত চমৎকার একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।দেখতে দেখতে আজ ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করে ফেললাম,আপনাদের মাঝে। এই নাটকের মাধ্যমে আমরা অবশ্যই ভালো কিছু শিখবো এবং ভালো একটা জ্ঞান নিতে পারব বলে আশা রাখি। যদিও এই নাটকটা অনেকগুলো পড়বে ভাগ করা হয়েছে আমি ইউটিউবে দেখেছি প্রায় ৬০ পর্বের ও বেশি এই নাটক। আমি ভেবে নিয়েছি আপনাদের মাঝে প্রতিটি পর্ব শেয়ার করব একে একে। কেউ ধৈর্যহারা হবেন না আশা করি।
ব্যক্তিগত রেটিং-
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | নাটক রিভিউ |
---|---|
বিষয় | পিতা বনাম পূত্রগং (১০ম পর্ব) |
রিভিউ এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
চঞ্চল চৌধুরীর নাটক মানেই জমজমাট। এই নাটকটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমি কিছু দিন আগে এক নাটকটি দেখেছি। আমার কাছে চঞ্চল চৌধুরীর নাটক অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দেওয়ার জন্য।
আসলেই চঞ্চল চৌধুরী নাটক পছন্দ করে না এরকম মানুষ হয়তো খুঁজেই পাওয়া যাবে না। ব্যক্তিগতভাবে চঞ্চল চৌধুরীকে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি তার অভিনয় আমার কাছে বাড়াবাড়ি অনেক বেশি ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া চঞ্চল চৌধুরীর নাটক পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। 😊
নাটক রিভিউ পড়তে আমার ভাল লাগে। আপনি আজ পিতা বনাম পূত্রগং নামক নাটক রিভিউ শেয়ার করেছেন। নাটকের পোষ্টার দেখেই বোঝা যাচ্ছে নাটক অনেক হাসির। নাটকের থিম ভাল যে ছেলে মেয়েদের সময় মত বিয়ে না দিলে বিপদ হতে পারে। চঞ্চল চৌধুরী আমার খুব পছন্দের একজন অভিনেতা। ধন্যবাদ আপনাকে ।
এই নাটকটি আমি আপনাদের মাঝে প্রতি সপ্তাহে একটি পর্ব শেয়ার করে থাকি আসলে এই নাটকের মূল বিষয়বস্তুটা আপনি বুঝতে পেরেছেন। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় এটা একদম বাস্তবতা অবলম্বন করে তৈরি।
ভাইয়া আপনার পিতা বনাম পূত্রগং নাটকের অনেক গুলো পর্ব পড়েছি। আজ দশম পর্ব পড়লাম। চঞ্চল চৌধুরীর নাটক অনেক ভাল লাগে। তার অভিনয় গুলো সেই লেভেলের হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি আপনাদের মাঝে একটি করে পর্ব শেয়ার করার জন্য এভাবে শেয়ার করতে থাকলে হয়তো অনেকটা সময় লাগবে কিন্তু সকলেই বুঝতে পারবে প্রতিটি নাটকের বিষয়বস্তু।