মেসলাইফ শেষ ঘুরাঘুরি পর্ব: ০১---বিদায় ঘনিয়ে এসেছে [benificiary ১০% @shy-fox]🦊

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

আজ - ১০ জৈষ্ঠ্যমাস| ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | গ্রীষ্মকাল |



আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।


আজ আমি আপনাদের মাঝে মেস লাইফ থেকে বিদায় এর সময় ছোট ভাইদের সাথে কাটানো কিছু সুন্দর মুহুর্ত উপস্থাপন করবো । আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।



  • মেস লাইফে বিদায় মুহূর্ত
  • আজ ১০ জৈষ্ঠ্য, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
  • মঙ্গলবার


তো চলুন শুরু করা যাক...!


শুভ সন্ধ্যা সবাইকে.....!!


Picsart_22-05-24_13-24-46-173.jpg

শেষ বিদায়ের দিনে কিছু ফটোগ্রাফি।


এইতো মনে হলো কয়েক দিন আগেই মাসে গিয়েছিলাম। কিন্তু এই কয়েকদিন যে চার বছরে পরিণত হয়ে গিয়েছিল সেটা মনেই ছিলনা। কখন যে দেখতে দেখতে চার টি বছর অতিবাহিত হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। প্রথম অবস্থাতে যাদের সঙ্গে মেসে গিয়েছিলাম তারা সবাই ম্যাচ পরিবর্তন করেছিল। কিন্তু আমার ম্যাচ পরিবর্তন করতে কেন জানি ইচ্ছে হয়নি কখনো। আমার সবসময়ই মনে হয় যে বেশি মেস পরিবর্তন করলে নিজেকে সেই জায়গায় মানিয়ে নিতে অনেকটা সময় লাগে। আর বাস্তবিকভাবে এটাই ঘটে তাই আমি প্রথমে যেই ম্যাচটাতে উঠেছিলাম ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর শেষ চারটি বছর সেখানেই কাটিয়ে দিয়েছি। কখনো অন্য কোন মেসের দিকে সেরকম ভাবে নজর দেইনি বা থাকার ইচ্ছা জাগে না। থাকার ইচ্ছা জাগে নি এ কারণেই, সেখানকার পরিবেশ টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অনেকটা গ্রাম্য পরিবেশের মত। সকালে ঘুম থেকে উঠে বা সন্ধ্যা মুহূর্তে আমি সেই ম্যাচ টা তে গ্রামের অনুভূতি খুঁজে পেতাম। সবুজে ঘেরা গাছপালা মাঝে ছোট্ট একটি মেস। এই ম্যাচের প্রতিটা ছেলের সঙ্গে আমার আলাদা রকম একটা ভালোবাসা ভালোলাগা সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। তাদের সাথে আমার অনেক ভালো সময় কাটতো প্রতিটা দিন প্রতিটা মুহূর্ত। যদিও প্রথম অবস্থাতে তেমন একটা ভাল লাগত না সব সময় মন খারাপ করে থাকেন কিন্তু সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে ভালো লাগা শুরু হয়ে যায়। যাইহোক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং চার বছর শুরু করেছে এই ম্যাচটাতে থেকেই। যেহেতু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ হয়ে গিয়েছে সে তো এখন আমাকে ছেড়ে চলে যেতে হবে। চলে যেতে হবে এটাই প্রকৃতির নিয়ম, মানুষ একটি জায়গায় চিরস্থায়ী ভাবে কখনোই থাকতে আসে না। সেই মানুষটি যদি সেখানে চিরস্থায়ীভাবে থাকতে চাই তবুও আশেপাশের পরিবেশ বা মানুষজন তাকে কোনো অবস্থাতেই থাকতে দেবেনা। তাকে তার অবস্থান পরিবর্তন করতেই হবে। আমার বেলাতেও ঠিক তেমনি হয়েছিল আশেপাশের পরিবেশ মানুষ আমাকে রাখতে চাইনা ব্যক্তিগতভাবে আমিও থাকতে চাই না। আমিও থাকতে চাই নি তারা আমাকে রাখতে চাই নি দুই-এ মিলে আমার সেখানে থাকা হয়নি। অনেকদিন আগেই মেস ছেড়ে দিয়েছিলাম। মেস মালিককে আগেই বলে রেখেছিলাম যে আমি সামনের মাস থেকে মেস ছেড়ে দিব। ঠিক তেমনি ভাবে ছেলেপেলেদের কাছেও বলে রেখেছিলাম যে তোমাদের সঙ্গে হয়তো আর বেশিদিন থাকা হবে না। যেদিন আমি তাদের কাছে এরকম কথা বলেছিলাম তাদের মধ্যে অনেকেরই চোখে পানি টলটল করছিল, ঠিক তেমনি ভাবে আমিও নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছিলাম না খুব কান্না আসছে। এই যে আমি আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করছি যখন আমি এই লেখাগুলো লিখছি নিজের বুকের মধ্য থেকে চাপা কান্না জাগ্রত হচ্ছে অজান্তেই চোখের কোনে কয়েক ফোটা পানি চলে এসেছে। মেস লাইফ টা এমনই যখন তাদের সবাইকে ছেড়ে চলে আসবা হয় তখন সত্যিই অনেক খারাপ লাগে খুব কষ্ট হয় আর এই কষ্টটা কাউকে বোঝানো যায়। যেদিন আমি ম্যাচ ছেড়ে চলে আসে সেদিন নিচের কয়েকটি ছোট ভাই আমাকে জড়িয়ে ধরে প্রচন্ড রকম কান্না করছে। সত্যি বলতে তাদের সঙ্গে আমার চারটি বছর ছিল একদম বন্ধুর মত। কখনো তাদের উপর বড় ভাইয়ের মতো আচরণ করিনি সব সময় বন্ধুর মতো আচরণ করার চেষ্টা করেছে। আবার হয়তোবা কখনো তাদের ভালো-মন্দ খারাপ লাগা ভালো লাগার সব রকম ভাবেই এখন রকম ভালবাসা ছিল তাদের সঙ্গে। সত্যি বলতে পোস্ট লেখার সময় নিজেকে কন্ট্রোল করে আমরা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে গিয়েছিল তাই আমি আশেপাশের মানুষজন এর থেকে অনেকটা দূরে চলে এসেছি পোস্ট লেখার জন্য। সত্যি সেদিনের সেই মুহূর্তটা বারবার মনে পড়ছে চোখের সামনে অজান্তেই চোখে পানি এসে জমেছে। ছলছল আঁখি তে পোস্ট লিখতে ইচ্ছে করছে, তবুও আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চাই ম্যাচ লাইভ এর বিদায় ঘনিয়ে আসার মুহূর্তটি। যাইহোক অনেকটা বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছে। আর বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে যাওয়ার কারণেই হয়তো বা এরকম অবস্থা হচ্ছে। তো হঠাৎ করেই একদিন সিদ্ধান্ত নেই মিসে যাবো সবার সঙ্গে শেষ দেখা করে আসবো। সেই চিন্তা ভাবনা রেখেই আমি বিকেলের দিকে রওনা করে দেশের উদ্দেশ্যে এসে পৌঁছাতে আমার রাত সাড়ে সাতটা থেকে আটটা বেজে যায়। মেসের গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করার সাথে সাথেই সেই চির চেনা মুখগুলো এসে জড়িয়ে ধরল। নিজেকে আবারও এক অজানা সমুদ্রের মাঝে হারিয়ে ফেললাম, অজান্তেই আবার চোখের কোনে পানি চলে আসলো যাইহোক, সকল রকম আবেগ কন্ট্রোল করে রুমের মধ্যে প্রবেশ করি অনেকটা সময় বসে তাদের সঙ্গে গল্প করি। তাদের সঙ্গে এরকম মুহূর্ত কাটাতে পেরে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগছিল। অনেকটা রাত পর্যন্ত গল্প করার পরে আমরা চিন্তা ভাবনা করি আজকে একটু বাহিরে হাটাহাটি করব। তাই আর বেশী জল্পনা-কল্পনা না বাড়িয়ে চলে যাই হাঁটাহাঁটি করার উদ্দেশ্যে। আর জানেন তো শহরে রাত্রিবেলা হাঁটাহাঁটি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে।

IMG20220518234759.jpg

IMG20220518234723.jpg

location
Device :realme 6i
ম্যাচ লাইফ এ কলিজার ছোট ভাই গুলো।

ম্যাচ লাইফ এ যেদিন আমি এ গিয়েছিলাম তার একবছর পরেই এই তিনজন মানুষকে আমি পেয়েছি আমার জীবনে। এই তিনজন মানুষ ছিল আমার জীবনের সব সময় পথ চলার সাথী সুখ-দুঃখ বিপদ-আপদ হাসি কান্না সকল সময় এদেরকে আমি পাশে পেয়েছি আবার আমি আমার নিজের জায়গা থেকে সব রকম ভাবে চেষ্টা করেছি তাদের পাশে থাকার জন্য। মেস লাইফে যদি আপনি মনের মত মানুষ পেয়ে যান তাহলে আপনার জীবনটা সত্যিই অনেক বেশি সৌন্দর্য মন্ডিত হবে। এখনকার সময় নিজের মনের মত মানুষ পাওয়া সত্যিই অনেক কষ্টসাধ্য কাজ কিন্তু আমি হয়তোবা অনেক বেশি ভাগ্যবান ছিলাম। অনেক বেশি ভাগ্যবান ছিলাম বলেই এরকম 3 জন মানুষকে আমি পেয়েছিলাম যাদের সঙ্গে আমার প্রতিটা মুহূর্ত অনেক বেশি রোমাঞ্চকর ছিল।

IMG20220518214200.jpg

IMG20220306192024.jpg

IMG20220223193422.jpg

location
Device :realme 6i
ছোট ভাইদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া।

আমরা মেস থেকে বের হয়ে চলে যাই আমাদের প্রাণ প্রিয় ক্যাম্পাস কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। সেখানে গিয়ে আমরা অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম। এরকম সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করতে আমাদের অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। যেহেতু তার একদিন পড়ে ছিল আমাদের বিদায় অনুষ্ঠান তাই ক্যাম্পাসটা অনেক চমৎকার ভাবে সাজানো হয়েছিল। চারিদিকে অনেক ধরনের লাইটিং ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সে যেন এক অপরূপ সৌন্দর্য। বিদায় অনুষ্ঠানে প্রতিবছরই আমাদের ক্যাম্পাসে অনেক চমৎকার ভাবে সাজানো হয় ।যেহেতু, গতবছর করোনাভাইরাস ছিল তাই তেমন ভাবে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে বিদায় অনুষ্ঠান করা হয়নি। যেহেতু একটা বছর বিদায় অনুষ্ঠান করা হয়েছিল না তাই এবার আমাদের বিদায় টা অনেক জাঁকজমকপূর্ণভাবে করা হয়েছে। সেই জন্য খুবই চমৎকার ভাবে ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছিল রাতের বেলা সেই দৃশ্য দেখে আমি সত্যি অনেক বেশি মুগ্ধ হয়েছিলাম। তোকে আমি বাস থেকে বের হয়ে আমরা ছোট্ট একটা রেস্টুরেন্টে যাই সেখানে গিয়ে আমরা কিছু খাওয়া দাওয়া করি। সত্যি বলতে অনেকটা সময় ছোট ভাইদের সঙ্গে গল্প করতে গিয়ে আমার গলা শুকিয়ে গিয়েছিল সেই সাথে খুদা লেগেছিল খুব। আমরা সেখানকার খাওয়া-দাওয়া শেষ করে হাঁটা শুরু করি সামনের দিকে।

IMG20220518220054.jpg

IMG20220518220214.jpg

IMG20220518220645.jpg

location
Device :realme 6i
রাতের বেলা কুষ্টিয়া শহর এর অবস্থা।

আমরা চারজন ক্যাম্পাসে অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিয়েছিলাম। যখন আমরা আড্ডা শেষ করে তখন ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি রাত সাড়ে এগারোটা বেজে গেছে। তবুও আমরা আমরা মন স্থির করলাম যে শহরের দিকে একটু ঘুরাঘুরি করে আসবো। ঠিক যেরকম ভাবনা সে রকমই কাজ আমরা চারজন হাঁটা শুরু করি শহরের উদ্দেশ্যে। বিশেষ করে এ শহরে রাত্রেবেলা হাঁটাহাঁটি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর এই হাঁটাহাঁটি করার সময় যদি হালকা মৃদু বাতাস থাকে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। সেদিন সত্যিই হালকা মৃদু বাতাস ছিল সেই সাথে ছিল আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ তাহলে এবার আপনারাই ভাবুন কত চমৎকার একটি মুহূর্তও কাটিয়েছি আমরা সেদিন। আমরা অনেকটা পথ হেঁটে হেঁটে শহরে পৌঁছাই যতক্ষণে আমরা শহরে পৌঁছে গিয়েছি ততক্ষণে দেখি রাস্তাঘাটে তেমন লোকজন নেই এবং দোকানপাট গুলো বন্ধ। যদিও সম্পূর্ণ দোকানপাট বন্ধ হয়নি তবে বন্ধ হবার উপক্রম। থাকা রাস্তার মাঝখান দিয়ে আমরা হাঁটাহাঁটি করছিলাম যেহেতু রাস্তায় তেমন গাড়ি ঘোড়া ছিল না। আর মাঝে মাঝে এক ঝলক বাতাস এসে আমাদের গা হয়ে যাচ্ছিল। কি দারুন সেই অনুভূতি, যা সত্যি বলে বোঝানো যাবে না মাঝে মাঝে এরকম সুন্দর অনুভূতি নেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই রাত্রেবেলা শহরের অচেনা গলি দিয়ে হাটাহাটি করতে হবে। এরকম হাঁটাহাঁটি করলে আপনি খুবই চমৎকার মুহূর্ত অতিবাহিত করতে পারবেন সেই সঙ্গে নতুন এক অভিজ্ঞতার জন্ম দেবে। যে অভিজ্ঞতাটা আপনি চাইলেও কখনো ভুলতে পারবেন না।
তো যাই হোক আজ আমি এখানেই আমার এই পোস্ট শেষ করলাম আমি খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে ম্যাচ লাইফ এ শেষ ঘুরাঘুরির দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হব। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এবং পরিবারের সাথেই থাকুন। সেই সাথে প্রিয় মানুষটিকে হ্যাপি রাখার চেষ্টা করুন সবসময় ।ধন্যবাদ সকলকে......!!



আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন

ছবির বিবরণ
বিভাগশেষ ঘুরাঘুরি।
ডিভাইজRealme 6i
বিষয়মেসলাইফ শেষ ঘুরাঘুরি পর্ব: ০১
ছবির কারিগর@jibon47
ছবির অবস্থানসংযুক্তি

Sort:  
 2 years ago 

মেচলাইফ আসলেই অনেক চমৎকার হয়। মাঝে মাঝে কষ্ট লাগে। তবে আবার মাঝে মাঝে আনন্দ হয় বন্ধুদের সাথে একসাথে অনেক সময় কাটানো যায় এবং তার সাথে অনেক যায়গায় ঘুরাফিরা করা যায়। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে অনেক চমৎকার সময় কাটিয়েছেন চার বছর ইঞ্জিনিয়ারিং লাইফ শেষ করে প্রায় শেষের দিকে। আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

সত্যিই এখন মেস লাইফ টা অনেক বেশি মিস করি সকলের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো মাঝে মাঝে মনের ভেতরে মাথা গুঁজে জেগে ওঠে তখন খুবই খারাপ লাগে। আমার অনুভূতি গুলো আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ম্যাচ লাইফের ঘুরাঘুরির শেষ অনুভূতিগুলো আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আপনার পোস্ট টি আমার সেই পুরনো দিনের কথাগুলো আবার স্মরণ করিয়ে দেয়। স্টুডেন্ট লাইফে বাইরে লেখাপড়া করতে গেলে অবশ্যই মেস লাইফ কে বিদায় জানাতে হবে এটাই স্বাভাবিক। প্রথম পর্ব টা বেশ ভালো ছিল দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।

 2 years ago 

পুরনো দিনের এমন কিছু কিছু স্মৃতি থাকে যেগুলো আমাদের কখনো হাসায় কখনো কাঁদায় কিন্তু মেসি লাইফের স্মৃতি গুলো আমাদের সত্যিই কখনো হাসায় কখনো কাঁদায়। হাসি কান্নার মধ্য দিয়েই জীবন মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

মেস লাইফটা আসলেই খুব আনন্দের, আবার খুব বিরক্ত করও তবে অনেকদিন এক জায়গায় থাকলে সেই জায়গার প্রতি মায়া জমে যায়। আর আপনি আজকে আপনার ম্যাচ লাইভ এর শেষ সময় এর ব ছোট ভাইদের সাথে কাটানো কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগছে আপনার পোস্ট।

 2 years ago 

আপনি অনেক চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন ভাই একটা জায়গায় অনেকদিন থাকলে সেখানকার প্রতি মায়া জমে যায় আর এই মাত্রা এতটাই প্রখর যে ছেড়ে আসতে কিছুতেই মন চায় না। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

মেসলাইফ শেষ অনেক ঘোরাঘুরির করেছেন এবং মজা করে সেটা আপনি আপনার পোস্ট দেখে বুঝতে পারলাম। আসলে সব কিছুরই শেষ আছে এটা মেনে নিতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

জ্বী ভাইয়া আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন সবকিছুরই একটা শেষ আছে সবকিছুরই এমন একটা শুরু আছে ঠিক তেমনি ভাবে শেষও আছে এটাই মেনে নিতে হবে। মেনে নিয়েই সেদিন মেস থেকে বের হয়ে এসেছি। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই শুভেচ্ছা রইল।

 2 years ago 

আমরা এখনও মেস লাইফ কাটাচ্ছি ভাই। আমাদের সময়ও আপনাদের মত ফুরিয়ে এল বলে। অনেক মিস করবো যখন সুন্দর এই সময় গুলো চলে যাবে। তবে জীবনের নিয়মেই আমাদের চলতে হবে। সব কিছু হাসি মুখে মেনে নেয়াটাই আমি মনে করি বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যাইহোক আপনার নতুন জীবনের শুরু হোক আবার নতুন কোন পরিবেশে এটাই কামনা করি। ধন্যবাদ

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্যে

মেস জীবনের কাব্যময় স্মৃতিগুলো অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করে উপহার দিলেন ।যেদিন গুলো হয়তো আর আপনার জীবনে ফিরে আসবেনা ।তারপরও ব্লকচাইন এর এই পাতায় ,স্মৃতিগুলো হাজার হাজার বছর ধরে সংরক্ষিত হবে ,জানতে পারবে 10-20 হাজার বছর পরের লোকজন । সুন্দর।

 2 years ago 

আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন এই স্মৃতি গুলো হয়তো একটা সময় শেষ হয়ে যাবে হয়তো মন থেকে হারিয়ে যাবে কিন্তু এখান থেকে কখনোই হারাবে না যার জন্য আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

খাওয়া দাওয়া সহ খুবই মজা করেছেন সবাই মিলে। দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ঘোরাঘুরি করতে কম বেশি সবারই ভালো লাগে। আমিও সময় পেলে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাই। খুব ভালো লাগে। নুডলস গুলো খুব সুস্বাদু ছিলো মনে হচ্ছে।

 2 years ago 

বন্ধু এবং ছোট ভাই এই দুজনের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে আমি মাঝে মাঝেই মেসের ছোট ভাইদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে যাই ।তবে বেশিরভাগ সময়ই রাত্রেবেলা বের হতে হয় কারণ রাতের বেলা শহর দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে।

 2 years ago 

সত্যি বলতে কি ভাই আবেগ-অনুভূতি সামলানো যায় না যেমনটি আপনার মেসেজের মধ্যে প্রবেশ করে হয়েছে ‌।সেখানে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত করেছে। পরবর্তীতে আপনি আপনার প্রিয় ক্যাম্পাস কুষ্টিয়া পলিটেকনিক মান।এখান থেকে গভীর রাতে বাসায় ফিরে আসেন ।মুহূর্তগুলো অনেক সুন্দর কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

সত্যি বলতে সেদিন অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম সকলের সঙ্গে এরকম মুহূর্তে অতিবাহিত করতে সকলেরই অনেক বেশি ভাল লেগেছিল। এরকম সুন্দর মুহূর্ত বারবার কাছে যাই কিন্তু মনে হয় আর এরকম মুহূর্ত কাটানো সম্ভব হবে না।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 66937.04
ETH 3270.78
USDT 1.00
SBD 2.74