অবহেলা নয় চাই একটু সহানুভূতি আর ভালোবাসায় [benificiary ১০% @shy-fox]🦊
আজ - ২৫ জৈষ্ঠ্যমাস| ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | বুধবার| গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- অবহেলা দূরে যাক ভালোবাসার জয় হোক
- আজ ২৫ শ জৈষ্ঠ্য, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- বুধবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে.....!!
আমরা সবাই মানুষ আর মানুষ হিসেবে আমাদের সকলের উচিত মানুষের প্রতি ভালোবাসা সহানুভূতি বজায় রাখা। আমরা মানব জাতি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাণীকুলের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু আমরা মানব জাতি হিসেবে কখনোই আমরা অপর মানুষকে সঠিক ভাবে ভালোবাসতে পারি না। আমরা সব সময় মানুষকে দাঁড়িপাল্লায় মাপার চেষ্টা করি। ধর্ম পাত্র কাল এগুলো নিয়েই আমরা সব সময় পড়ে থাকি। কিন্তু আমাদের উচিত একজন মানুষ হিসেবে অপর আরেকজন মানুষের প্রতি কোন রকম প্রতিযোগিতা বা বিভেদ সৃষ্টি না করা। আমাদের একটা কথা সবসময় মাথায় রাখতে হবে, সবসময় এটা মেনে চলতে হবে যে আমরা মানুষ। আর মানুষ হিসেবে আমরা সকলেই সমান।
সমাজের কিছু নিয়ম ভেঙে দেওয়া উচিত যে নিয়ম গুলো মানুষকে মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে দেয় না। মানুষকে মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে দিলেও তাদের মধ্যকার যে প্রতিদ্বন্দ্বী বা মতবিরোধ এগুলো সমাজ থেকে চিরদিনের জন্য উঠিয়ে দেওয়া উচিত। মানুষ মানুষকে কেন তাদের নিজ অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে। অবহেলা করে কেউ কখনো বেশি দিন সুখী থাকতে পারে না। আপনি নিজ থেকে একবার ভাবুন আপনার শরীরের কোন অংশ যদি কেটে যায় তাহলে আপনার শরীরের ভেতর থেকে যে লাল রক্ত বের হবে অন্য আরেকজন মানুষের শরীরের যদি কেটে যায় তাহলে তার শরীর থেকে ও লাল রক্তই বের হবে। শুধু আপনার আর তার ভেতর কার পার্থক্য হচ্ছে আপনি থাকেন রাজপ্রাসাদে। আপনার চলাফেরা রাজা-বাদশাদের মত। আপনি bmw.car এ চলাফেরা করেন বড় বড় রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করেন। আর সমাজের যে মানুষটির বিন আনতে পান্তা ফুরায় তার জীবন যাপন আপনার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। হয়তো আপনার মত তার বড় বড় রাজপ্রাসাদ নেই, নেই কোনো bmw.car, আপনার মত করে প্রতি সপ্তাহে তারা বড় বড় রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে না। কিন্তু সত্যি বলতে তাদের ভেতরে সুপ্ত একটা মন আছে যে মন কে দিয়ে তারা খুব সহজেই মানুষকে আপন করে নেয়। তাদের বেঁচে থাকা অনেকটা নির্ভর করে তাদের রোজগারের উপর। তাদের বেঁচে থাকাটা হয়তো অনেকটা সংগ্রাম এবং যুদ্ধের মাধ্যমে। যে সংগ্রাম তারা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে রাষ্ট্র এবং সমাজের সাথে। হয়তো যে সংগ্রামটা আমি আপনি চেষ্টা করলে কখনোই পারতাম না। আমি মনে করি বিলাসিতায় জীবন যাপন করার মাঝে কোনো আনন্দ নেই, সংগ্রামের মাধ্যমে জীবন যাপন করে বেঁচে থাকার নামই আসল জীবন।
সমাজের নিম্নবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত এই দুই শ্রেণীর মানুষের মধ্যে পার্থক্য সেই পার্থক্যটা আমি আপনাদের মাঝে একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাই। আমরা যারা উচ্চবিত্ত পরিবারে বসবাস করি তাদের চলাফেরা টা একটু আলাদা হবে এটাই স্বাভাবিক। এই যেমন ধরুন আপনার বাসার যত ময়লা-আবর্জনা রান্না করার পরে তরকারির খোসা থেকে শুরু করে আপনার বাসার যাবতীয় জিনিস আপনি রাস্তার এক কোণে ময়লার স্তূপে ফেলে আসেন। হয়তোবা আপনার বাসার অপ্রয়োজনীয়' খাবারগুলো আপনি সেখানে রেখে আসেন। যে খাবারগুলো আপনি সেখানে রেখে আসলেন সেই খাবারগুলো হয়তো আপনার কাছে অপ্রয়োজনীয়' হলেও রাস্তার পাশে ফুটপাতে বেঁচে থাকা কিছু কিছু মানুষের কাছে সেগুলো অমৃতর মত। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন যে প্রতিদিন সকালে একজন মানুষ একটা ভ্যান রিক্সা করে প্রতিদিন আপনার বাসার সামনে থেকে সেই ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত অপ্রয়োজনীয়' প্যাকেট গুলো সংগ্রহ করে। আপনি যেটা সেখানে রেখে এসেছেন সেটা পরিবেশকে নষ্ট করছে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কিন্তু যাকে আমরা অবহেলা করি সমাজের সব থেকে নিচু চোখে তাদেরকে দেখি তারাই কোন একজন এসে সেগুলো সেখান থেকে সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট একটা জায়গায় ফেলে দিচ্ছে। অথচ আমরা তাদেরকে নাম দিয়েছি নোংরা কারী। নোংরা কারিয়ে জন্যই নাম দিয়েছে কারণ তারা ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে। কিন্তু আসলে কি তাদের নোংরা কারীর নাম দেওয়া উচিত। আমার মতে তাদের নাম দেওয়া উচিত পরিষ্কারকারী। আর আমাদের মত উচ্চবিত্তরা যারা ময়লা রাস্তার এক কোনায় ফেলে দিয়ে আসে তাদের নাম দেওয়া উচিত নোংরা কারী। কারণ আমরা তো নোংরা করছি বিধায় রাস্তার এক কোণে ফেলে দিয়ে আসছি। আর তারা সেগুলো পরিষ্কার করছে। তাহলে এবার আপনারাই বলুন আমার কথায় যুক্তি আছে কিনা...?? অথচ তারা এটা পরিষ্কার করছে বিধায় আমাদের পরিবেশ এবং পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক থাকছে। কিন্তু তাদেরকে আমরা কখনই সম্মানের চোখে দেখি না। তাদেরকে আমরা এতটাই নিচু করে দেখি যে আমরা কখনও তাদেরকে মানুষ বলে গণ্যই করি না। এটা বলতে গেলে আমাদের সমাজের চোখে এক দারুণ লজ্জার ব্যাপার। সমাজের কাছ থেকে তারা হয় এগুলো মোটেও আশা করে না। কিন্তু আফসোস সমাজ তাদেরকে এটাই দিয়েছে।
আমি আশা করি সমাজ একদিন বদলে যাবে বদলে যাবে পরিবেশ। বদলে যাবে সমাজের মানুষগুলো বদলে যাবে রাষ্ট্র। সমাজের মানুষ বদলে গিয়ে সৃষ্টি হবে নতুন আরেক রাষ্ট্র যে রাষ্ট্রে থাকবে না কোনো বিভেদ থাকবে না কোনো পার্থক্য। যেখানে থাকবে শুধু ভালোবাসা যেখানে থাকবে সহানুভূতি। যেখানে সবাই মানুষকে মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে। যেখানে ধনী-গরীব সবাই এক কাতারে বসে খাবার খাবে। সমাজের চোখে সবাইকে মানুষ বলে গণ্য করা হবে। সেদিন আর বেশি দূরে নয় খুব শীঘ্রই সেই দিন চলে আসবে ইনশাল্লাহ। সমাজের সকল অবহেলিত মানুষ গুলোকে যদি একটু সহানুভূতি আর ভালোবাসা দেওয়া যায় তাহলে তারাও একটা সময় যে অনেক ভালো কিছু করতে পারবে। তাদেরকে অবহেলা না করে একটু সহানুভূতি প্রকাশ করা উচিত। তাদের কি সবসময় সম্মানের সঙ্গে কথা বলা উচিত। মানুষ হিসেবে এটাই তো আমাদের প্রত্যাশা। মানুষকে বিচার করা উচিত তার মনুষত্ব দেখে তার কর্ম দেখে নয়। আমি মনে করি যে যেমন ইচ্ছে কর্ম করুক তাতে কিবা আসে যায়...!! সঠিক পথে থেকে হালাল উপার্জনের মাধ্যমে যে উপার্জন করে সেই তো প্রকৃত মানুষ। সেইতো সমাজের মহানায়ক। থাকুক সে ফুটপাত অথবা রাস্তার পাশে কোন একটি বস্তিতে। মানুষকে দূরে ঠেলে দেওয়া খুব সহজ কিন্তু ভালোবেসে কাছে রাখাটা সত্যিই অনেক কষ্টের যেটা আমরা মানুষ হিসেবে অনেকেই পারি না। আমি তাইতো বলি অবহেলা নয় চাই একটু সহানুভূতি আর ভালোবাসা। সহানুভূতি আর ভালোবাসা দেখালে খুব শীঘ্রই আমরা নতুন এক সমাজ এবং রাষ্ট্র উপহার পাবো।
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
বিভাগ | মানুষ মানুষের জন্য । |
---|---|
বিষয় | অবহেলা নয় চাই একটু সহানুভূতি আর ভালোবাসায় |
কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | সংযুক্তি |
সব সময় আমাকে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এভাবে সবসময় সাপোর্ট করবেন আশাকরি শুভেচ্ছা রইল আপনার প্রতি।