কক্সবাজারে ভ্রমণ কথা [benificiary ১০% @shy-fox]
আজ - ১৪ ভাদ্র | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | রবিবার| শরৎকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
তো চলুন শুরু করা যাক
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে
অনেক দিন ধরেই ভাবতেছিলাম একটু ভ্রমণ করা দরকার। কিন্তু কোথায় যাবো সেটাই ভেবে পাচ্ছিলাম না। একা একা তো আর ভ্রমন হয় না, একা ভ্রমণের মাঝে নেই কোন আনন্দ নেই কোন মজা। তাই আমাদের এলকার কিছু বন্ধু এবং কিছু বড় ভাই এর কাছে ভ্রমণ সম্পর্কে উপস্থাপন করি। তারা ও দেখি আমার মতো ভ্রমণ করতে অধির আগ্রহ নিয়েই বসে আছে। বিকেল বেলা একটা ফুসকা দোকানে বসে আমরা সকলে সিন্ধান্ত করলাম কক্সবাজার যাবো। অনেকেই বললবো কক্সবাজার যেহেতু যাবো তাহলে বান্দরবান ঘুরে আসতে তো কোন সমস্যা নাই। যে কথা সেই কাজ পরের দিন চলে আসলাম কক্সবাজারের উদ্দেশ্য।
ফটো
ছবিঃ-উদ্দেশ্য কক্সবাজার
দীর্ঘ ত্রিশ ঘন্টা লঞ্চ বাস এবং ট্রেন-এ জার্নি করে কক্সবাজারের পৌঁছেছি।লঞ্চ এ প্রথম বার উঠে আমার খুবই ভালো লেগেছিল। আমি লঞ্চের উপরে উঠে যাই এবং পদ্মানদী টা সুন্দর ভাবে দেখি, আহ্ কি সুন্দর সেই নদীর দৃশ্য চারিকে শুধু পানি আর পানি। পানিতে যেন চারিদিকে থৈই থেই করে আছে। আর পানির মধ্যে চলা বড় বড় জাহাজ দেখে আমার খুবই ভালো লাগছিল। প্রতি মধ্য ট্রেনের মধ্যে আমরা সকলে অনেক আনন্দ করেছি। আমি সহ সবাই গান করতে করতে সারা পথ অতিক্রম করেছি। সেই দিনের সেই রাতটা মনে রাখার মতো। এমন আর কখনো ফিরে পাবো কি না জানি না তবে এমন রাত বার বার ফিরে পেতে চাই।
ফটো
ছবিঃ-লঞ্চ পারাপার
লঞ্চে উঠার প্রথম অভিজ্ঞতা টা অনেক ভালো ছিল। নদীতে প্রচুর ঢেও আর স্রোত ছিল। মাঝেমাঝে খুবই ভয় করছিল। তবে অনেক মানুষ এক সাথে দেখে ভয় কাটিয়ে উঠেছিলাম। নদীতে অনেক অনেক বড় বড় লঞ্চ এবং জাহাজ চলছিল।প্রচুর ঢেও থাকার কারনে ছোট ছোট নৌকা গুলো স্রোতের বিপরীত দিকে যেতে খুবই বেগ পেতে হচ্ছিল।
ফটো
ছবিঃ-ট্রেন জার্নি
- অবস্থানঃ-https://w3w.co/grins.waitress.taking
আমরা সবাই ঢাকা আন্তজার্তিক বিমানবন্দরের পাশের রেলওয়ে থেকে ট্রেনে করে রওনা হই চট্টগ্রামের উদ্দেশে। সারা রাত আমরা ট্রেনের মধ্যেই কাটিয়ে দিই। রাতে ট্রেন জার্নি খুবই ভালো লাগে। ট্রেনের মধ্যে ঘুম কাটানোর জন্যে চা-কফি খেয়ে সারা রাত না ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিই। অবশেষ ট্রেন জার্নি শেষ করে বাসে উঠে চলে আসি কক্সবাজারে।
ফটো
ছবিঃ-কক্সবাজার সমুদ্র
- অবস্থানঃ-https://w3w.co/freshest.ideals.spine
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে অবশেষে চলে আসলাম সেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।সবাই দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে যদিও একটু বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল কিন্তু যে শোনে কার কথা আমাদের কারোরই আররতর শৈইছিল না। সবাই চলে যাই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। কি সুন্দর মনোমুগ্ধকর সেই দৃশ্য। চারিদিকে শুধু পানি আর পানি এই পানির যেন শেষ নেই।
সবাই দ্রুত পোশাক পরিবর্তন করে নেমে পরি পানির মধ্যে।
ফটো
ছবিঃ-সমুদ্র গোসল
আমার জীবনে আমি নদীতে অনেক বার গোসল করেছি অনেক মজা পেয়েছি। কিন্তু এই প্রথম সমুদ্র গোসল করে এতো তৃপ্তি পেয়েছি। কক্সবাজার বি'চ এর ধারে বাতাস দিয়ে ফোলানো টিউ পাওয়া যায়। এগুলো আমরা গোসল করা জন্যে নিয়েছিলাম। যখন সমুদ্র ঢেউ আসে তখন ঢেউয়ের সামনে দিয়ে গেছে অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে যায়। ইচ্ছা ছিল সমুদ্রের একটু ভিতরে যেতে কিন্তু খুব ভয় পাচ্ছিলাম। ভয় পাচ্ছিলাম এই ভেয়ে যদি মারা যাই। আর যদি বাড়িতে ফিরতে না পারি। বেঁচে থাকার তীব্র ইচ্ছা পুষে রেখেছি মনের মধ্যে।
ফটো
ছবিঃ-সামুদ্রিক শামুক
- অবস্থানঃ-https://w3w.co/sprays.loved.mills
বিকেল বেলা সবাই মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম। বিকেল বেলা এক অপরূপ দৃশ্য দেখা যায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে,তখন পানিতে জোয়ার ভাটা নিচে চলে যায়। সমুদ্র সৈকতের মানুষ তখন স্রোতের সাথে সাথে নিচে যেয়ে ঢেউ উপভোগ করে। বিচ'চ এ হাটাহাটি করার সময় অনেক বড় একটা ঢেউ চলে আসে আর ঢেউ এর সাথে সাথে অনেক গুলো শামুক দেখতে পাই আমি দৌড়ে দিয়ে শামুক গুলো কুড়াতে থাকি। অনেক গুলো শামুক কুড়িয়েছিলাম আমি সুন্দর সুন্দর তিন শামুক বালিতে বসিয়ে দেই। অবশ্য এই তিনটা শামুকের আমি তিন জন ব্যাক্তি হিসেবে বেঁছে নিয়েছি,আব্বু,আম্মু এবং আমি। একজন মানুষ যখন জন্ম গ্রহন করে তখন কিন্তু তিন জন মানুষ নিয়েই তাদের পরিবার গঠিত হয়। হোক সেটা ছেলে অথবা মেয়ে।এখানে এসে আব্বু আম্মুকে খুব মনে পরার কারনেই আমার এই ক্ষুদ্র আয়জন।
ফটো
ছবিঃ-সন্ধ্যাকালিন মুহুর্ত
অবস্থানঃ-https://w3w.co/assorted.excellent.beeline
সন্ধ্যাকালীন মুহুর্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এক অপরূপ দৃশ্য ধারন করে, কারন সেই সময় সূর্য অস্ত যায়।সূর্য যখন অস্ত যায় তখন মনে হয় সূর্যটা সমুদ্রর ঠিক শেষ অংশে অস্ত যাচ্ছে। যা এক অপূর্ব দৃশ্য ধারন করে।আকাশের কিছু অংশ লাল বর্ণ ধারন করে যা সত্যিই অসাধারণ মনোমুগ্ধকর দেখাচ্ছিল। এমন দৃশ্য সবাই দেখতে যায় আমি তো এমন দৃশ্য বার বার দেখতে চাই। মাঝে মাঝে মনে হয়েছে এখানে ছোট্ট একটা ঘড় বানিয়ে এখানেই থেকে যাই।
বাহ ভাই বাহ কি ভ্রমণ কাহিনী শোনালেন।মনে হচ্ছে আমি নিজেই যেন ভ্রমণ করে এলাম। খুব সুন্দর।সুন্দর ভাবে ঘুরে ভালোভাবে বাড়ি ফিরে আসেন। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই
কক্স-বাজার অনেক সুন্দর জায়গা, আমি গিয়েছিলাম খুব আনন্দদায়ক পরিবেশ। আপনার ফটোগ্রাফিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু
বাহ আপনার ভ্রমন কাহিনী টি অসাধারণ লাগলো আমার কাছে।সমুদ্র আমার সবসময় প্রিয়। কক্সবাজার থেকেও আমি সেন্টমার্টিন ঘুরার জন্য খুব বেশি এক্সাইটেড থাকি। আপনার পোস্টটি খুবই সুন্দর এবং গোছালো ছিল। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
অনেক সুন্দর আপনার ভ্রমণ কাহিনী,আমি নিজেই যেন ভ্রমণ করে এলাম। খুব সুন্দর।সুন্দর ভাবে ঘুরে ভালোভাবে বাড়ি ফিরে আসেন। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো 🥀
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
বাগুস বেতুল লাহ পোকোকন্যা মন্তপ বেনার দেহ
বাগুস সেকালি পোস্টিং বোস সায়া সুকা
নিয়ান
তেরিমাকাসিহ বুয়াত কাওয়ান সায়া
আপনার মন্তব্যটা খুব সুন্দর হয়ছে। সব বুঝে ফেলছি😁😆😜।
আসলেই কক্সবাজার জায়গাটাই এমন। যেখানে গেলে আপনার ভালো লাগতে বাধ্য। আমি বেশ কয়েকবার কক্সবাজার গিয়েছি। প্রতিবারই আমার কাছে নতুন মনে হয়েছে। বিশেষ করে সমুদ্রের পাড়ে কাটানো মুহূর্তগুলো অসাধারণ। আর সমুদ্রে টিউব নিয়ে গোসলের মজাই অন্যরকম। আপনার তো সম্ভবত এখন বান্দরবান আছেন। আপনাদের টুরটা ভালোভাবে শেষ হোক। এই কামনা করছি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
মন ভালো করে কিছু ছবি। একঘেঁয়ে জীবনে কিসিবিতা শান্তি। খুব ভালো করেছেন। সুমন ভাই তো আশেপাশেই আছে দেখা হলো নাকি?
জ্বী দাদা দেখা হয়েছিল